‘উপদেষ্টা হওয়ার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে’
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৬ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩৭
যশোর: তদবির প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেককেই আমি চিনি না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন। তারপর এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে যশোর জেলার সরকারি বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশবাহিনীকে সর্তক করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন আর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য যেন না হয়। আগের চেয়ে এটা কমেছে। দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে জিনিস পত্রের দাম কমবে, অন্যায় অপরাধ কমবে।
তিনি বলেন, পুলিশকে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হবে। তবে পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের উপরেও নজরে রাখতে হবে।
সবার সহযোগিতার আহ্বান করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাঠ প্রশাসনে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করলে জনগণ তার সুরক্ষা পাবে। বর্তমান সরকারের মূল দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষায় কাজ করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগের চেয়ে পুলিশ বাহিনী আরও বেশি সক্রিয় হবে, তারা মব জাস্টিসকে প্রশ্রয় দেবে না, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবে, মিথ্যা মামলা দেবে না, কোনো নির্দোষীকে অকারণে শাস্তি দেওয়া যাবে না এবং মামলা হলেই অজ্ঞাত আসামির নামে মামলা বাণিজ্য করবে না।
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইআ