Thursday 15 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেডলাইন ৫ আগস্ট
সংসদে লুকিয়ে থাকা মন্ত্রী-এমপিদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০৮ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১১

ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: চব্বিশের ৫ আগস্ট। বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা। হঠাৎ চাউর হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর খবর। মুহূর্তেই উল্লাসে মেতে ওঠে দেশের মানুষ। তবে নিজে ভারতে আশ্রয় নিলেও পালাতে পারেননি মন্ত্রিপরিষদের কিছু সদস্য। এর মধ্যে ডজনখানেক মন্ত্রী-এমপি নিজেদের প্রাণরক্ষায় লুকিয়ে ছিলেন জাতীয় সংসদ ভবনের ছোট্ট একটি জায়গায়।

এ তালিকায় সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও রয়েছেন। তারা সংসদ ভবনেই আত্মগোপনে ছিলেন। একপর্যায়ে রাত আড়াইটায় তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর একটি দল।

বিজ্ঞাপন

এভাবেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পলক জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। সেদিন জাতীয় সংসদ ভবনে ছিলেন। গভীর রাতে তাকেসহ ১২ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।

এদিন আদালতে পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রঙমিস্ত্রি আবদুল জব্বার। এ হত্যা মামলায় পলকের নাম রয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

ঠিক তখনই হাত উঁচু করে বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। আদালতের অনুমতি পেয়ে সেদিনের ঘটনা খুলে বলেন।

পলক বলেন, ‘বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। অথচ ৫ আগস্ট বেলা ১১টার সময় আমি সংসদে ছিলাম। সেখানেই আমরা থেকে যাই। আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে লুকিয়ে থাকতে বাধ্যই হই। পরবর্তীতে আমাদের সেনাবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো দায় নেই। এরই মধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।’

আদালতকে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন বলে আমরা শুনেছিলাম। আজ সেই ঘটনা বললেন পলক। কিন্তু এখনো স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’

সারাবাংলাকে ফারুকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তি করতেন। এখনও তারা করছেন। পলকসহ অন্য আসামিরা মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নানান তথ্যই দিচ্ছেন। তবে এসবের সত্যতা কতটুকু; তা যাচাই-বাছাইয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা আমরা কাজ করছি।’

সংসদে লুকিয়ে থাকা ১২ জনের তথ্য বিভ্রান্ত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব কথা বিভ্রান্তিকর বা ফেলে দেওয়ার মতোও নয়। অবশ্য এমন আসামিদের তথ্য গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তাদের তথ্যের ভিত্তিতে পালিয়ে থাকা বিভিন্ন ফ্যাসিস্টদের গ্রেফতার করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।’

সারাবাংলা/আরএম/আরএস

জুনাইদ আহমেদ পলক সংসদে লুকিয়ে ছিলেন ডজন খানেক মন্ত্রী-এমপি