ডিএসসিসির মেয়র ইস্যুতে সিইসি’র সঙ্গে ইশরাকের সাক্ষাৎ
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩২
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেনশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায় পাওয়ার পর গেজেটের বিষয়ে জানতে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইশরাক হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরের রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
পরে ব্রিফিংয়ে ইশরাক হোসেন জানান, গত ১৫ এপ্রিল রায়ের কপি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কপি পাওয়ার পর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ সেই হিসাবে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এর সময় শেষ হবে।
ইশরাক আরও জানান, গেজেট প্রকাশের পর তিনি আনইজীবী প্যানেল নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গত পাঁচ আগস্টের আগে দেশে আইনের শাসন ছিলো না। এবং আইন মেনেই তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই মামলার আবেদন করেছিলেন।
গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইনমন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়ার দুদিনের মাথায় আপডেট জানতে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ২৭ মার্চ সেই ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয় ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের এক মাসের মাথায় মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।
সব প্রক্রিয়া শেষ করে শপথ গ্রহণের পর ইশরাক হোসেন কতদিনের জন্য মেয়রের আসনে বসার সুযোগ পান, সেই প্রশ্নে এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘পরবর্তী কাযক্রম এখন রায়ের পর ফাইল ইসিতে এসেছে, গেজেট হবে। ইতোমধ্যে মতামতের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটার ফলোআপ, আমাদের ইন্টারনাল ডিসকাশন যেহেতু আমি বাদী ছিলাম, কি হচ্ছে সেটার একটা আপডেট নেওয়ার বিষয় রয়েছে।’
গেজেট প্রকাশ শেষে শপথ নেওয়ার পর কতদিনের জন্য মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে আইনজীবির পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে গেজেট প্রকাশ হলে শপথের ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
কতদিনের জন্য দায়িত্ব পাবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এগুলো সব কিছুর গেজেট প্রকাশ হবে, পরবর্তী আরও কাযক্রম অগ্রসর হবে। আইনজীবী প্যানেলের সঙ্গে মিটিং করবো।’
অবিভক্ত ঢাকার শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক জানান, এ পযন্ত যা করা হয়েছে দেশের প্রচলিত আইন ও স্থানীয় সরকারের প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করে ও সম্পূর্ণ আইনগতভাবে করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএল/এনজে