Friday 25 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাশ্মীরে হামলা: ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৫ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৩

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলি হয়েছে।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিভিন্ন স্থানে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে পাকিস্তান গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের সেনাবাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ রেখার কয়েকটি স্থানে ছোট আকারে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রথম গুলি ছোড়া হয়েছে। তাদের এ গুলিবর্ষণের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অ্যাটাশিদের বহিষ্কার, ছয় দশকের পুরনো ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিতকরণ এবং আটারির স্থল-সীমানা ট্রানজিট পোস্ট বন্ধ করে দেয় ভারত। এর জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য দেশের আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।

ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাকিস্তানের পানি সম্পদ সচিব সৈয়দ আলী মুরতজাকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সততার সঙ্গে কোনো চুক্তি পালনের বাধ্যবাধকতা একটি মৌলিক বিষয়। কিন্তু আমরা যা দেখেছি তা হলো, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালানো।’

সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণার জবাবে পাকিস্তান গতকাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘ওই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। এ পানির প্রবাহ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কাশ্মীরে হামলাকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, যারা এ হামলা চালিয়েছে ও নীলনকশা সাজিয়েছে, তাদের কল্পনাতীত পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীদের যত সামান্য ভূমিই থাকুক না কেন, এখনই সময় এসেছে তা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি এই সন্ত্রাসীদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগামের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। ভারতের পুলিশ বলছে, পর্যটকদের ওপর হামলাকারীদের দুজন পাকিস্তানের নাগরিক।

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে স্বাধীনতাকামী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ২০১৯ সালে কাশ্মীর অঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠন পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত বলে ভারতের দাবি।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

কাশ্মীরে হামলা ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর