৯ কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত: রিটার্নিং কর্মকর্তা
২৬ জুন ২০১৮ ১৫:৩৯
।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
গাজীপুর থেকে: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সারাবাংলা’কে এ তথ্য জানান গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল।
তিনি বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং ব্যালট বাক্সে জোর করে ভোট দেওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষতে এই ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
নির্বাচন স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো— ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৯৮, ভোটার সংখ্যা ৩২০১), মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা (কেন্দ্র নম্বর ১৬৬, ভোটার সংখ্যা ২৫৫২), কুনিয়া হাজী আ. লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নারী ও পুরুষ কেন্দ্র (কেন্দ্র নম্বর ২৪৩ ও ২৪৪; ভোটার সংখ্যা ৩৩০২ ও ৩৩২৭), বিন্দান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ২৭৪, ভোটার সংখ্যা ১৮০৩), জাহান পাবলিক স্কুল (কেন্দ্র নম্বর ৩৪২, ভোটার সংখ্যা ২০০৩), খরতৈল মনসুর আলী আদর্শ বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্র (কেন্দ্র নম্বর ৩৭২ ও ৩৭৩; ভোটার সংখ্যা ২৬১৭ ও ২৭৫১), হাজী পিয়ার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৩৮১, ভোটার সংখ্যা ২৪০৩)। স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলোর মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৫৯।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে এই নয়টি কেন্দ্রসহ ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের ২ হাজার ৭৬১টি কক্ষে একযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অনিয়ম বা নির্বাচন বন্ধ চেয়ে কোনো চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘বিএনপির চিঠি আমরা পেয়েছি। আমরা চিঠি পড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করতে বলা হচ্ছে, সেসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর আগে, রিটার্নিং কর্মকর্তা সকাল সাড়ে ১১টার দিকেও সারাবাংলাকে বলেছিলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কমিশন নিচ্ছে।
নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে বলে ধারণা করছি।
তিনি আরো বলেন, গাজীপুরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনেও মানুষ এমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে বলে আশা করছি।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর