Monday 28 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে না পারলে সংস্কার, নির্বাচন সব ভেস্তে যাবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১১ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৯

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

ঢাকা: মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে না পারলে সংস্কার, নির্বাচন ইত্যাদি সব ভেস্তে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষুধা বড় ভয়ঙ্কর বিষয়। ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ ‘মানচিত্র চিবিয়ে খায়’। মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে না পারলে সংস্কার, নির্বাচন ইত্যাদি সব ভেস্তে যাবে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন। অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পাদন করুন। চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটবাজদের আইনের আওতায় আনুন। যেকোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু ১০ শতাংশ বেশি মূল্যে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছে । জীবন চালানো এখন জীবন যুদ্ধে রুপান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির পেছনে পতিত স্বৈরাচারের নীতিগত ভুলের প্রভাব আছে, তা সত্য। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস দেশ পরিচালনা করার পরও মূল্যস্ফীতি একই অবস্থায় থাকার বিষয়টি আমাদেরকে হতাশ করছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ভয়ংকর মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে অবস্থা আগের মতোই থেকে গেছে। এটা আমাদের অর্থনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির সামগ্রিক ব্যর্থতা হিসেবে হাজির হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবজি ও সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিচ্ছেন। এটা জুলাই বিপ্লবকে অপমান করার শামিল। বাংলাদেশে এতো রক্তক্ষয়ী একটা আন্দোলনের পরও চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটবাজরা কাদের ছত্রছায়ায় এসব করে দেশের কোটি মানুষকে খাদ্যাভাবে ফেলছে তা জাতি জানে। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতি বিরক্ত হয়েই জুলাইয়ে জনতা রক্ত দিয়েছিল। সেই পুরোনো বন্দোবস্ত এখনো নাগরিকদের হয়রানি করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এদের প্রতিহত করতে হবে।’

সারাবাংলা/এজেড/এইচআই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর