কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৭ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫২
ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষির উন্নতি হয়েছে সত্যি, কিন্তু একইসঙ্গে আমরা গোখাদ্য নষ্ট করেছি। গরুর তথা প্রাণিকূলের নিজের খাবারের পছন্দ-অপছন্দ আছে।
খামারিদের অভিব্যক্তির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গোখাদ্য কখনো বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর মুনাফার জায়গা হতে পারে না। সেই জায়গা থেকে বিএলআরআই নেপিয়ার নিয়ে, ঘাসভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমাদের মাথায় রাখতে হবে, ঘাস উৎপাদনের জায়গা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমাদের যথাযথ পরিকল্পনা নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ আলাদা নয় বরং অবিচ্ছেদ্য। তাই কৃষকদের মতো প্রাণিসম্পদ লালন-পালনকারীদের সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ খামারিদের জন্য পৃথক ব্যাংক তৈরির বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় আমিষের সরবরাহ নিশ্চিত করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান দায়িত্ব। খামারিরা যেভাবে ডিম, দুধ, মাংস উৎপাদন করছে এর ফলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে। কৃষি কাজ বা প্রাণিসম্পদ পালনকে মর্যাদাপূর্ণ কাজ হিসেবে নিতে হবে।
এ সময় তিনি বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ভালো বিজ্ঞানী আছে, ভালো কর্মকর্তা আছে। বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে আলাদা ভাবা যাবে না, তাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বিএলআরআই এর মধ্যে চমৎকার একটি সম্পর্ক রয়েছে। প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পরপরই তা হস্তান্তরের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারকরণের ওপরেও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং ডেপুটি ডিরেক্টর গুলবালি ড. ক্যামেরন ক্লার্ক।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং ডেপুটি ডিরেক্টর গুলবালি ড. ক্যামেরন ক্লার্ক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই