‘মৎস্যজীবীরা না থাকলে নদী আর সমুদ্রভর্তি মাছ থেকেও লাভ নেই’
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩০ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের মৎস্য খাতকে আরও ভালো অবস্থানে নেওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ফিশ ফ্যাস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এ ফ্যাস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘মৎস্যখাতে মুখ্য অবদান রাখছেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীরা না থাকলে নদী আর সমুদ্রভর্তি মাছ থাকলেও আমাদের কোন লাভ হতো না। এই যে কমিউনিটি তাদের সামাজিক অবস্থার উন্নতির দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। তাদের সামাজিক অবস্থা যদি উন্নত করা না যায়, তাহলে নতুন প্রজন্ম এ পেশায় থাকবে না। সুতরাং মৎস্যজীবীদের আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
‘এক্ষেত্রে ফিশিং ইন্ডাস্ট্রি যেগুলো আছে, সেগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মৎস্যখাতের উন্নয়নে এ ইন্ডাস্ট্রিকে আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। সরকারের পক্ষে একা অনেক কিছুই করা সম্ভব নয়। আমরা যদি ইন্ডাস্ট্রিকে পাশে পাই, আমাদের মৎস্যজীবীদের যদি আমরা রক্ষা করতে পারি, তাহলে মৎস্যখাতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিখাত। যেমন- এ খাতে বিদ্যুৎ বিল বেশি। এর ফলে উদ্যোক্তা ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা এ খাতের বিদ্যুৎ বিল কমাতে কাজ করছি।’
সিভাসু’র মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিভাসু’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, মৎস্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল এবং এসিআই এগ্রোলিংক লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এম ইসতিয়াক।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ফেস্টিভ্যালের স্টল, বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি ও ফিশারিজ মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। এছাড়া ফিশ ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত সেরা স্টল, সেরা গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার উপস্থাপকদের পুরস্কৃত করা হয়।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা, ভোক্তা এবং প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ৩৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এসডব্লিউ