Wednesday 30 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজবাড়ীতে কাঙালিনী সুফিয়ার নামে জাদুঘর উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ মে ২০২৫ ০০:১৯

রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কাঙালিনী সুফিয়া একাডেমি ও জাদুঘর উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুরের কল্যাণপুর বিলপাড়ায় কাঙালিনী সুফিয়া একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কাঙালিনী সুফিয়া একাডেমির উপদেষ্টা সদস্য মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বক্তব্য দেন এবং কাঙালিনী সুফিয়া একাডেমি ও জাদুঘর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী জেলা কালচারাল অফিসার আল মামুন বিন সালেহের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তারিফ-উল-হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া।

এর আগে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার কাঙালিনী সুফিয়া একাডেমি ও জাদুঘর ঘুরে দেখেন। অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আয়োজকেরা।

কাঙালিনী সুফিয়া বলেন, আমি মরে গেলেও যেনো এই একাডেমিটা থাকে। সরকারের মাধ্যমেই থাকবে, সরকারই চালাবে। এখানে একটি কমিটি গঠন করা হবে। একটি ইলেকশনের মাধ্যমে যে পাশ করবে সে এই একাডেমির সেক্রেটারি হবে। এটিই আমার পরিকল্পনা। আমার এই একাডেমিটা যেনো সরকার ভালো করে তৈরি করে দেই এটাই আমার দাবি। এ ছাড়া এই একাডেমির রক্ষার জন্য চারপাশে বাউন্ডারি প্রয়োজন। সেটি যেনো সরকার করে দেই। বাউন্ডারি না থাকায় এখানে গরু-ছাগল এসে অনেক ক্ষতি করে। এ ছাড়া নেশাখোর ছেলেপেলে আসে, কিছু বললে বলে থাকো সরকারি জায়গাতে আবার ফুটানি করো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, আমার মনের তাগিদ থেকে এখানে আসা। সকলের সহযোগিতায় আজকের এই সুন্দর আয়োজনটা সম্পূর্ণ হয়েছে। ছেলেবেলায় আমরা তার গান গুনগুন করে গায়তাম। কাঙালিনী সুফিয়া শুধু রাজবাড়ীর না সে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য। আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি বা কালচার আমরা এখনো সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি বা শিখিনি। যে কারণে তার মতন মানুষরা যে অবস্থায় আছে যতটা সম্মান তারা প্রাপ্য আমরা সেটা দিচ্ছি কিন্তু তার থেকে আরও বেশি তারা প্রাপ্য। রাজবাড়ীর ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার মত মানুষ সব সময় থাকবে। তাকে আমরা দেখেছি। তার আঙিনায় এসে পা রাখার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি মনে করব এটা আমাদের জীবনের একটি অন্যন্য প্রাপ্য।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কাঙালিনী সুফিয়া আমাকে অনেকগুলো অনুরোধ করেছেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি চেষ্টা করব আমার সাধ্যের ভেতর থেকে তার অনুরোধ গুলো রাখার। তিনি একজন গুণী শিল্পী। তার স্মৃতি রক্ষার্থে আমরা জেলা প্রশাসন তার পাশে সবসময় আছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা থেকে আগত এবং স্থানীয় বাউলদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন গুণী বাউল সঙ্গীতশিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া।

সারাবাংলা/এইচআই

কাঙালিনী সুফিয়া জাদুঘর বাউল সঙ্গীতশিল্পী