সবার আগে বাংলাদেশ, এটাই হতে হবে একমাত্র লক্ষ্য: তারেক রহমান
১ মে ২০২৫ ১৭:৫০ | আপডেট: ১ মে ২০২৫ ২২:০৯
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, করিডোরের বিষয়ে দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ মনে করে এই সিদ্ধান্ত আসা উচিত জনগণের পক্ষ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। অন্তবর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনো দেশ নয়। সবার আগে বাংলাদেশ, এটাই হতে হবে একমাত্র লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ করিডোর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে নাকি অন্তবর্তী সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তবর্তী সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি, জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনবোধ করেনি। দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ মনে করে এই সিদ্ধান্ত আসা উচিত জনগণের পক্ষ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। অন্তবর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনো দেশ নয়। সবার আগে বাংলাদেশ, এটাই হতে হবে একমাত্র লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত হলে, গণবিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর পরিবর্তন হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়। এ ধরণের বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অবৈধ নয়। তবে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না।’
শ্রমজীবীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে- তৃণমূলের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের অধিকার উপেক্ষা করে কোনো রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন। দেশের প্রতিটি ইতিহাসের বাঁকে জনগণের একটি সুমহান আকাঙ্ক্ষা- একটি বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’
জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কোনো উস্কানি বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত সকল শহিদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যবদ্ধ থাকি। কারণ, অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে পলাতক অপশক্তি আর পুনর্বাসিত হতে না পারে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং শ্রমিক মেহনতিসহ সকল মানুষের সাফল্য কামনা করছি।’
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও শিমুল বিশ্বাসসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমএইচ/এমপি