গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩১, অনাহারে হাজারো শিশু
২ মে ২০২৫ ১০:০১ | আপডেট: ২ মে ২০২৫ ১৩:০২
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে প্রাণ গেছে আরও অন্তত ৩১ জনের। এদিকে দুই মাস ধরে গাজায় কোনো ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না তারা। হামলার কারণে গাজায় ত্রাণসামগ্রীর ঘাটতি আরও প্রকট হচ্ছে। এতে অনাহারে রয়েছে হাজারো শিশু।
শুক্রবার (২ মে) আল জাজিরা লাইভ এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামবোঝাই তিন হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্তে আটকা পড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিশুরা। গাজার অন্তত ১০ লাখ শিশুর জীবন ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীর অভাবে তাদের জীবন শঙ্কার মুখে পড়েছে।
চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং শুক্রবার ভোরে হামলায় আরও আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
প্রতিবেদন বলছে, ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র এবং কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মধ্যাঞ্চলে বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আবু জেইনা পরিবারের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে, এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের হামলায় দুই দিনে আরও ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার নিহত হয়েছেন ১৮ জন। বুধবার প্রাণ গেছে ৩৫ জনের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্য দিয়ে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে।
গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩০৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৯৭৩ জন।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গোলাবর্ষণ করছে। গাজায় থাকা আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতার তথ্যমতে, খান ইউনিসের পূর্বে শেখ নাসর পাড়ায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়িতে গোলাবর্ষণ করেছে, এতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
গাজার একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক আমজাদ আল-শাওয়া বলেন, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, লুটপাটের ঘটনা তার একটি ইঙ্গিত। তীব্র খাদ্যসংকট, মনোবল হারিয়ে ফেলা, চরম হতাশা এবং আইনের শাসনের অনুপস্থিতির প্রতিফলন এসব ঘটনা।’
সারাবাংলা/এমপি