‘চীন নয়, ভারতে তৈরি হবে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য আইফোন’
২ মে ২০২৫ ১৩:২৫ | আপডেট: ২ মে ২০২৫ ১৪:৫৭
যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য নির্মিত আইফোন ও অন্যান্য ডিভাইস এখন আর চীনে তৈরি হবে না বলে জানিয়েছে অ্যাপল। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী টিম বৃহস্পতিবার (১ মে) বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক আলোচনায় জানান, এসব পণ্যের উৎপাদন এখন ধীরে ধীরে চীন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভারতে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য নির্মিত অধিকাংশ আইফোন তৈরি হবে।
একই সঙ্গে ভিয়েতনাম হবে আইপ্যাড, ম্যাক, অ্যাপল ওয়াচ এবং এয়ারপডসের মতো পণ্যের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বিক্রির জন্য অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য এখনো চীনে তৈরি হবে।
মার্কিন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির কারণে অ্যাপলের উৎপাদন ব্যয় চলতি প্রান্তিকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী টিম কুক বলেন, ‘আমরা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রিত আইফোনের অধিকাংশই ভারতে তৈরি হবে। তবে, উৎপাদন সরিয়ে নিতে সময় ও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে, যার জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।’
তিনি আরও জানান, অ্যাপল আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপলের এই পদক্ষেপ মার্কিন উৎপাদন খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
এদিকে, অ্যামাজনের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টরাও নিজেদের ব্যবসায়িক কাঠামোকে আরও টেকসই করতে পুনর্বিন্যাস শুরু করেছে। সংস্থাটি জানায়, শুল্কের ধাক্কা এখনো তাদের বিক্রয়ে প্রভাব ফেলেনি; বরং কিছু ক্ষেত্রে মজুদ বৃদ্ধির কারণে বিক্রি বেড়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে অ্যামাজনের বিক্রি বেড়েছে ৯ শতাংশ এবং মুনাফা ৬০ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কনীতি ঘিরে অনিশ্চয়তা থাকলেও, অ্যাপল ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ ব্যবস্থার বৈচিত্র্য ও বিনিয়োগ কৌশলের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আত্মবিশ্বাসী।
সারাবাংলা/এনজে