‘ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা না থাকলেও প্রস্তুত থাকতে হবে’
৩ মে ২০২৫ ১৩:১২ | আপডেট: ৩ মে ২০২৫ ১৫:০১
কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। হামলার ১১ দিন পর উভয় দেশ পারস্পরিক পালটা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি এবং সীমান্তে গোলাগুলি বিনিময়।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) মোঈদ ইউসুফ সতর্ক করে বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা করছি না, তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে সঙ্কট মোকাবেলার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই, যা সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।’ শনিবার (৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ঘটনার পর ভারত সিন্ধু পানি চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে, যা পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পানি বণ্টন ব্যবস্থা। জবাবে পাকিস্তান ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে, যা কাশ্মীরে সীমান্তরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল- এলওসি) স্বীকৃত করার ভিত্তি। পাশাপাশি উভয় দেশ পরস্পরের নাগরিক বহিষ্কার ও কূটনৈতিক মিশনে কাটছাঁট করেছে।
সেই সঙ্গে কূটনৈতিক উদ্যোগও চলছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন এবং দুই পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনে আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (১ মে) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফ চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অনুরোধ করেছেন, যেন উত্তেজনা হ্রাস পায়।
মোঈদ ইউসুফ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে সঙ্কট ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে। এটি আমাদের পরমাণু অস্ত্রধারী বাস্তবতায় অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই যুদ্ধ নাও হতে পারে, কিন্তু সংঘাতের ঝুঁকি অস্বীকার করা যায় না।’
উল্লেখ্য, মোঈদ ইউসুফ ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সারাবাংলা/এনজে