Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা: আত্মত্যাগ, তাকওয়া নাকি প্রতিযোগিতা?

সুদীপ্ত শামীম
৬ জুন ২০২৫ ১৮:৩০

ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কোরবানি। এই ইবাদত শুধুমাত্র পশু জবাই নয়, এটি একটি শিক্ষা—আত্মত্যাগ, তাকওয়া এবং সামাজিক সাম্যের। এর মাধ্যমে একজন মুমিন শিখে, কিভাবে নিজের প্রিয় জিনিস আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করতে হয়, কিভাবে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে একজন পরিশুদ্ধ মানুষে পরিণত হতে হয়।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি কোরবানির সেই প্রকৃত শিক্ষা এখনো ধারণ করি? নাকি এটি হয়ে উঠেছে বাহ্যিকতা, লোক দেখানো প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক স্ট্যাটাস প্রদর্শনের এক উপলক্ষ? পশুর দাম, আকৃতি, বাহারি রঙ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ শো—এসব কি কোরবানির মূল উদ্দেশ্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে না? সময় এসেছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার, এবং কোরবানিকে কেবল এক আনুষ্ঠানিকতা না বানিয়ে, তাকওয়ার সত্যিকারের অনুশীলনে রূপান্তর করার।

বিজ্ঞাপন

কোরবানির শিকড়: ইতিহাস ও নির্দেশনা

কোরবানির সূচনা হয় এক অনন্য আত্মত্যাগের অধ্যায়ের মাধ্যমে। মহান আল্লাহ যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আদেশ করেন প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে, সেটি ছিল তাঁর জন্য চরম পরীক্ষা। এটি কেবল স্বপ্নে দেখা কোনো নির্দেশ নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্বাস, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণের এক আহ্বান। ইব্রাহিম (আ.) পুত্রকে বললেন, ‘হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখছি তোমাকে কোরবানি করছি, তোমার অভিমত কী?’ পুত্র ইসমাইল (আ.) জবাব দিলেন, ‘হে পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তা পালন করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে সবরকারীদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সূরা আস-সাফফাত, আয়াত ১০২)। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে যখন ইব্রাহিম (আ.) ছুরি চালাতে উদ্যত, তখনই আল্লাহ তাআলা তাঁদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন এবং ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি জান্নাতি পশু পাঠান। সেই থেকে কোরবানির বিধান কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকে তাকওয়ার নিদর্শন হিসেবে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না পশুর গোশত কিংবা রক্ত; বরং পৌঁছে যায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৭)। এই আয়াত পরিষ্কার করে দেয়, কোরবানির মূল লক্ষ্য বাহ্যিক কাজ নয়, আল্লাহভীতি, আনুগত্য ও আত্মশুদ্ধির অনুশীলনই এর সারকথা।

কোরবানি: ফিকহি দৃষ্টিভঙ্গি

ইসলাম কোরবানিকে কেবল ঐতিহাসিক প্রথা নয়, বরং নির্দিষ্ট শরয়ি ইবাদত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী, কোরবানি ওয়াজিব প্রাপ্তবয়স্ক সেইসব মুসলমানের ওপর, যারা কোরবানির দিনে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এবং মুকিম (অর্থাৎ শহরে অবস্থানকারী)। এই ইবাদত ইচ্ছাধীন নয়; বরং সামর্থ্যবানদের জন্য আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১২৩)। এ হাদিস যেমন কঠোর, তেমনি তাৎপর্যপূর্ণ। কেবল শরিয়তের বিধান অমান্য নয়—বরং ঈদের মতো সামষ্টিক আনন্দে নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতার বিরুদ্ধেও এটি এক বার্তা।

কোরবানির পশু নির্দিষ্ট বয়স ও গুণসম্পন্ন হতে হবে। যেমন, ছাগল বা ভেড়া এক বছর (বা এতটাই পরিপুষ্ট যে এক বছর বয়সী বলে মনে হয়), গরু-মহিষ দুই বছর এবং উট পাঁচ বছর। গুরুতর ত্রুটি (যেমন—অন্ধ, ল্যাংড়া, চরম দুর্বল) থাকলে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হয় না। শরিয়ত ভণ্ডামি, লোক দেখানো মনোভাব ও অহংকার নিষিদ্ধ করেছে। কোরবানি কেবল পশু জবাই নয়, বরং জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধানকে প্রাধান্য দেওয়ার এক প্রশিক্ষণ। যে আত্মা এ ইবাদতের গভীরতা উপলব্ধি করে, তার মধ্যে নম্রতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দয়া জন্ম নেয়।

আমাদের বাস্তবতা: ত্যাগ নাকি প্রদর্শনী?

সময়ের পরিক্রমায় কোরবানির মূল চেতনার জায়গা যেন ক্রমেই সরতে বসেছে। যে ইবাদতটি ছিল নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের প্রতীক, তা আজ অনেক ক্ষেত্রেই পরিণত হয়েছে এক প্রতিযোগিতামূলক প্রদর্শনীতে। কে কত বড় গরু আনছে, কার গরু কত দামের, কত দামী জাত—এসব যেন ঈদের আনন্দকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঈদ হয়ে উঠছে এক ধরনের ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’ প্রদর্শনের উপলক্ষ্যে। শহরের হাটে দামি ও সুসজ্জিত গরুর প্রতিযোগিতা, ফেসবুক-ইউটিউব লাইভ, ইনস্টাগ্রাম রিলস, পশুকে সাজিয়ে ঘোরানো—এসব মিলিয়ে এক নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যা কোরবানির মূল শিক্ষাকে ম্লান করে দিচ্ছে। কোথাও পশুর গলায় ঝুলছে ‘দামের ব্যানার’, আবার কোথাও মিছিল করে বাড়ি আনা হচ্ছে—যেন তা ইবাদত নয়, এক শো। কেউ কেউ আবার গরুর জন্য রাখছে ডিজাইনার নাম—‘সুলতান’, ‘রাজাবাবু’, ‘মহারাজ’—যা পুরো আয়োজনকে কৌতুকের রূপ দেয়।

প্রশ্ন হলো, এসব আয়োজনে কোরবানির মূল উদ্দেশ্য কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে? তাকওয়া, আল্লাহভীতি, আত্মশুদ্ধি—এসব কি আজ শুধু হুজুরদের খুতবা বা বক্তৃতায় সীমিত? ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই আনুগত্য কি আজ নিছক গল্পে পরিণত হয়েছে? যদি পশুর দরদাম, প্রদর্শন আর বাহ্যিকতা মুখ্য হয়ে ওঠে, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি গৌণ হয়ে পড়ে—তাহলে তো আমরা শুধু একটি প্রথা পালন করছি, ইবাদত নয়। আমাদের নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে—আমি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করছি, নাকি কেবল সমাজকে দেখাতে?

সামাজিক দায়িত্ব ও কোরবানি

কোরবানি শুধু ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, এটি এক বৃহৎ সামাজিক দায়িত্বও বটে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানির মাংস কেবল নিজের জন্য নয়; বরং গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাঝে বণ্টন করাই এর প্রকৃত সৌন্দর্য। কুরআন বলছে, ‘তারা যেন নিজেরাও খায় এবং অভাবীদেরও খাওয়ায়’ (সূরা হজ্জ, আয়াত ২৮)।

রাসুল (সা.)-এর যুগে কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করার প্রথা ছিল- নিজেদের জন্য, আত্মীয়দের জন্য এবং গরিবদের জন্য। কিন্তু আজকের সমাজে সেই চেতনার কতটুকু প্রতিফলন দেখি? অনেক সময় দেখা যায়, বিত্তবানরা মাংসের বড় অংশ ফ্রিজে রাখে, প্রভাবশালীদের দেয়, অথচ দরিদ্র প্রতিবেশী হয়তো একটুকরো মাংসও পায় না। অনেকে একসঙ্গে কয়েকটি গরু কোরবানি করেও পাশের অসহায়দের কথা মনে রাখে না। অথচ কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে দরকার অন্তরের কোরবানি—লোভ, অহংকার ও আত্মসন্তুষ্টি ত্যাগ, এবং দায়িত্ববোধের জাগরণ। যদি একটি মাংসের টুকরো একজন অনাহারীর মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তবে সেই কোরবানি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হতে পারে। কোরবানি যদি ক্ষুধা নিবারণ না করে, তবে তা শুধু মাংস ভাগ করে—মানবতা নয়।

কোরবানির গোশত বণ্টনে অসাম্য

ইসলাম কোরবানির মাংস বণ্টনে যে পদ্ধতি দিয়েছে- এক ভাগ আত্মীয়দের, এক ভাগ গরিবদের, এক ভাগ নিজের জন্য—তা শুধু ইবাদত নয়, সামাজিক সমতারও হাতিয়ার। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। অনেকে দরিদ্রদের অংশ দেন অবহেলায়; ভালো মাংস আত্মীয় বা প্রভাবশালীদের, আর রগ-হাড় গরিবদের। কেউ কেউ পুরো মাংসই রেখে দেন নিজেদের জন্য। ঈদের দিন দরিদ্ররা এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি ঘুরেও মাংস পায় না।

বিভিন্ন সংগঠন বা উদ্যোগেও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা, পক্ষপাত, পরিচিতির ভিত্তিতে বণ্টন। কোথাও ছবি তোলাই মুখ্য, বণ্টন নয়। এই পরিস্থিতি কোরবানির মূল উদ্দেশ্য—সহানুভূতি, ন্যায্যতা ও সাম্য—বিকৃত করে। যদি কোরবানির মাংস ভাগ হয়, অথচ মানবতা না জাগে, তবে তা শুধু এক রীতিগত আয়োজন হয়ে থাকে, ইবাদত নয়।

অর্থনৈতিক বৈষম্য ও কোরবানির ব্যয়

বর্তমান সময়ে কোরবানি একটি বিশাল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য। পশুর ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক পরিবারই কোরবানির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়নে অক্ষম হয়ে পড়ছে। ইসলাম চায়, সামর্থ্যবান সবাই কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগের এই মহান ইবাদতে অংশ নিক। কিন্তু বাস্তবে অনেকের কাছে আজ কোরবানির চেয়ে বাজার থেকে এক-দু’কেজি মাংস কিনে খাওয়া অনেক সহজ মনে হয়। এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে এবং এটি একটি উদ্বেগজনক সামাজিক সংকেত। শহরাঞ্চলে যখন একেকটি গরু ৩-৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়, তখন গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলো কোরবানির খরচ তো দূরের কথা, ঈদের দিনের ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খরচ জোগাতে হিমশিম খায়। ধনী-দরিদ্রের এই ব্যবধান শুধু আর্থিক নয়, ধর্মীয় আনন্দ ও অংশগ্রহণ থেকেও দরিদ্রদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এই দৃষ্টিকটূ বৈষম্য ইসলামের সাম্যবাদের চেতনার পরিপন্থী।

কোরবানির পশুর সঙ্গে করুণা

ইসলাম কেবল কোরবানিকে অনুমোদন দেয়নি, বরং এ ইবাদতের প্রতিটি ধাপে করুণা, সংবেদনশীলতা ও মানবিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোরবানি করো, তখন ভালোভাবে করো। তোমাদের ছুরি ধারালো করো, যাতে পশুকে কম কষ্ট হয়।’ —(সহীহ মুসলিম)।

কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পশুকে টানাহেঁচড়া করে আনা হয়, এক পশুর সামনে আরেক পশুকে জবাই করা হয়, ঢাক-ঢোল বা উচ্চ শব্দে ভয় দেখানো হয়—যা সরাসরি সুন্নাহবিরোধী। কোরবানি যেন ‘আনন্দের নামে নির্দয়তা’ না হয়ে যায়। পশুর প্রতিও আমাদের করুণাময় আচরণ থাকা জরুরি, কারণ সেও আল্লাহর একটি সৃষ্টি।

আসল কোরবানি: নিজের ‘নফস’-এর কোরবানি

কোরবানি মানে কেবল একটি পশু জবাই নয়। কোরবানির আসল শিক্ষা হলো—নিজের প্রিয় জিনিস আল্লাহর রাহে ত্যাগ করার মানসিকতা অর্জন করা। আজকের সমাজে এই আত্মত্যাগের জায়গায় প্রয়োজন নিজের ‘নফস’-এর কোরবানি—নিজের অহংকার, লোভ, হিংসা, আত্মসন্তুষ্টি ও গাফলতিকে কোরবানি করা। হালাল-হারামের সীমা না মানা, পরশ্রীকাতরতা, অন্যের অধিকার হরণ করা—এসব বর্জনের মানসিকতাই প্রকৃত কোরবানির সার্থকতা। যে ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে কোরবানি করেন, তার চিন্তা-চেতনা, আচরণ ও জীবনে প্রতিফলিত হয় আত্মসংযম, বিনয় এবং মানবিকতা। এই চরিত্রই ইসলামের সেরা সৌন্দর্য।

আমাদের করণীয়

আত্মসমালোচনার চর্চা: নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন করি—আমার কোরবানি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, নাকি লোক দেখানো প্রদর্শন? আমি কি তাকওয়ার জায়গায় আছি, নাকি শুধু বাহ্যিকতা রক্ষা করছি?

নিয়মিত সচেতনতা: পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সমাজে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা হোক। ঈদের আগের দিনগুলোতে তরুণ প্রজন্মকে বোঝানো হোক, কেন কোরবানি করা হয় এবং আল্লাহ কিসে খুশি হন।

সামাজিক সমতা: কোরবানির সময় যেন দরিদ্র, নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষরাও ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারেন, সেই চেষ্টা আমাদের থাকতে হবে। মাংস নয়, তাদের মুখে হাসি ফোটানোই হোক আসল লক্ষ্য।

গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব: মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানিকে শুধুমাত্র ‘বড় গরু’র প্রতিযোগিতায় না নামিয়ে, তার আধ্যাত্মিক ও নৈতিক দিকগুলো তুলে ধরা হোক। দৃষ্টিভঙ্গির এই পরিবর্তনেই নিহিত আছে সমাজ বদলের সম্ভাবনা।

আত্মা ও সমাজের কোরবানি

আমরা যদি ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের মহান শিক্ষা সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করতে চাই, তবে কোরবানিকে শুধুমাত্র পশু জবাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আত্মশুদ্ধির একটি বাস্তব পথ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তাকওয়ার সঙ্গে যুক্ত না হলে এই ইবাদত শুধুই একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিটি কোরবানির পশুর সঙ্গে যেন ত্যাগ হয় আমাদের লোভ, অহংকার, অন্যায় ও অবহেলার—সেই চেতনায় ফিরতে হবে। আল্লাহর পথে ত্যাগের শিক্ষা যদি ব্যক্তি থেকে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, তবে কোরবানি হবে শুধু রক্ত ঝরানোর নাম নয়, বরং একটি নৈতিক বিপ্লবের সূচনা।

লেখক: কলামিস্ট, গণমাধ্যমকর্মী ও সংগঠক

সারাবাংলা/এএসজি

কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা মুক্তমত সুদীপ্ত শামীম

বিজ্ঞাপন

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা
৭ জুন ২০২৫ ০০:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর