Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃষি ভর্তুকি খাদ্য নিরাপত্তায় কতটুকু অবদান রাখবে

ড. মিহির কুমার রায়
১৩ জুন ২০২৫ ১৬:৪৭ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৬:৫০

কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রানশক্তি ও দেশজ আভ্যনমশরিন উৎপাদনে (জিডিপির) কৃষি খাতের অবদান ১২.২ শতাংশ। বিগত চার বছরের হিসাবে দেখা যায় ক্রমাগত ভাবে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি কমে বর্তমানে তা দাড়িয়েছে ২.৬ শতাংশ এবং এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে কৃষকরা তার বাজারজাতকৃত কৃষি পন্যের ন্যায্য মূল্য থেকে ক্রমাগত ভাবে বঞ্চিত হয়। এই বাস্তবতার নিরিখে প্রস্তাবিত আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে ২৭ হাজার ২ শত ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক এর কাছাকাছি এবং উন্নয়ন খাতে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২ শতাংশের কাছাকাছি। আবার কৃষি ভর্তুকিতে ১৭ হাজার কোটি টাকাও দেখানো হয়েছে অর্থাৎ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ৪৫ শতাংশ রাখা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও কৃষি ভর্তুকিতে যার মধ্যে ১৪.৫৬% ই কৃষিতে। আবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন খাত মিলে কৃষি মন্ত্রনায়ের জন্য ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল যাা মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে শস্য কৃষি খাতের জন্য রাখা ২৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, বাকি ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বন ও পরিবেশ, ভূমি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল যা অপ্রতুল। চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তবিত নয়া বাজেটে বৃহত্তর কৃষি খাতের বরাদ্দ ৮ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা অর্থাৎ ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে গেছে। শতকরা হিসাবে দেখা যায় যে, অনুন্নয়ন বাজেটের ২.৬ শতাংশ এবং উন্নয়ন বাজেটের ৫.৭ শতাংশ কৃষিতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। বিগত ৪ বছরের মধ্যে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ হিসাবে কৃষি মন্ত্রনায়ের বরাদ্দ কম যা মোট বাজেটর ৩.৪০ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবিত বাজেটের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো কৃষি ভর্তূকি যা আলোচনার মূখ্য বিষয়। বিগত২০২৪-২৫ অর্থবছরের নয়া বাজেটে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা, যা আদামী বছরের মূল বাজেট এর প্রায় সমপরিমাণ। বাজেটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফসল খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম ও কৃষি যন্ত্রের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বাড়বে। সেক্ষেত্রে ভর্তুকি হ্রাস সঠিক নয়। তাতে বাধাগ্রস্থ’ হবে কৃষির উৎপাদন। খাদ্যনিরাপত্তা ব্যাহত হবে। বন, জার্মানি থেকে প্রকাশিত গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস ২০২৪ বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারির খাদ্যনিরাপত্তাহীন ১০টি দেশের মধ্যে অষ্টম স্থানে রেখেছে। বিবিএসের তথ্যানুসারে দেশের প্রায় ২২ শতাংশ মানুষের খাদ্যনিরাপত্তার অভাব রয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় উপদেষ্ঠা বলেছেন, ‘কৃষিজাত পণ্য আমদানি বিকল্প তৈরির মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংন্থন সৃষ্টি করা সম্ভব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনও কৃষিপ্রধান দেশ এবং কৃষিই আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। ফলে কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রধান উপকরণগুলো বিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শূন্য শুল্কহার অব্যাহত থাকবে। মূলত আমদানিকৃত সার, কীটনাশক ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের কাছে সরবরাহ করতেই এই ভর্তুকি খাত থেকে খরচ হয়েছে। অর্থাৎ, মুখে যতই মিঠেবাত থাকুক বাস্তবে চলতি বছরের তুলনায় কৃষি খাতের ভর্তুকি বাবদ কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন বাজেটে কৃষি খাতের হিস্যা কমছে। এক যুগ ধরে জাতীয় বাজেটের আকার দ্রুত বাড়ছে, সে তুলনায় কৃষি খাতে বাজেট বাড়ছে না।। আর এই ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশে। একইভাবে কৃষি ভর্তুকির হিস্যা নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে। এটার দায় কি আইএমএফের ওপরে চাপানো হবে? আইএমএফ অর্থ ছাড় করার শর্ত হিসেবে বাজেট ভর্তুকি কমানোর চাপ দিলে শুধু কৃষি খাতের কথা মনে হয়?

গত বছর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ভর্তুকির বেশির ভাগ অর্থ বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ মেটাতে ব্যয় করা হয়। এই খাতের বিশেষজ্ঞরা গত কয়েক বছর ধরেই বলছেন, বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ ও আমদানি শুল্কের ছাড় নিয়ে রয়েছে ভীষণ অসচ্ছতা ও স্বজনপ্রীতি এবং এই খাতের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন যাতে না তোলা যায় সেজন্য দায়মুক্তি আইন করে জবাবদিহিতা বন্ধ রাখা হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে সরকার বেশ কয়েকবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও বাজেটে এই বড় অঙ্কের ভর্তুকি রাখায় এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।তাহলে কৃষি খাতের ভর্তুকি দিতে এত কার্পণ্য কেন? এই ভর্তুকির অর্থ তো তবু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতেই থাকছে, সরাসরি কৃষি উপকরণের দাম কমাতে সাহায্য করছে। জ্বালানি খাতের ভর্তুকি বাদ দিয়ে অথবা কমিয়ে একই পরিমাণ বরাদ্দ দিলে কৃষি খাতে যা যা করার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যেত।

বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রায় পুরোটাই সার-বীজ-কীটনাশক নির্ভর উচ্চ ফলনশীল কৃষির অংশ। কৃষি উৎপাদনের এসব প্রাথমিক উপাদানের বাজারও দেশি-বিদেশি কোম্পানির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত, কৃষক সেখানে নিতান্তই বলির পাঠা মাত্র। অথচ এই ক্ষেত্রে সুবিবেচনাপ্রসূত বাজেট বরাদ্দ বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। কৃষি কার্ড দিয়ে সরাসরি ভর্তুকি খুবই দক্ষভাবে দেওয়া সম্ভব, ব্যাংক এশিয়া এবং ইউএসএইড সম্মিলিতভাবে গত কয়েকবছর আগে এ কার্ড নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক ও সার-বীজ-কীটনাশক বিক্রেতাদের নিয়ে বেশ বড় আকারে পাইলটিং করে প্রমাণ দেখিয়েছিল যে, এ দেশের কৃষক ও গ্রামের সার বীজ কীটনাশক ডিলাররা স্মার্ট কার্ড ও মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ক্যাশবিহীন ও ঘুসবিহীন দক্ষ লেনদেন করতে কতোটা দক্ষ ও আগ্রহী। সরকারি প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা পেলেই ব্যাংকগুলোই হতে পারে এই খাতের ভর্তুকি বা ঋণ সহায়তার অর্থের সংন্থান ও মার্কেট পেয়ার। এই খাতে বাজেট ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো বরাদ্দ ছাড়াও শুধু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্দেশনা ও নীতি সহায়তা থাকলেই চলতো।

এখানে উল্লেখ্য যে, কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেবা সহায়াতা প্রদান ( প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ) প্রতিটি গনতান্ত্রীক সরকারের আমালেই অত্যন্ত গুরুত্ব পায় এবং এটি একটি অগ্রাধীকার খাত হিবাবে এখনো বিবেচিত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাস্তবায়ণ অগ্রগতি ও যাদের জন্য এ সহায়তা তাদের কাছে কতটুকু পৌছে তা নিয়ে। বিষয়টি একধারে যেমন প্রশাসনিক অপরদিকে রাজনৈতিক অর্থনীতির অংশ। ইতহাসে দেখা যায় কৃষি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত সার্বিক কাজটি সরকার কর্তৃক পরিচালিত হতো কন্তু‘ সময়েরর আবর্তে ৮০এর দশক থেকে বাজার অর্থনীতির আগমনের ফলে বেসরকারী উদ্যোগ এ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়। এ দুটি সময়ের কার্য পরিচালনার অভিঙ্গতা থেকে দেখা যায় যে, বেসরকারী করণ বাজারে অসম প্রতিযোগিতার জন্ম দেয় এবং এ অবস্থা থেকে কৃষি সেবা ও উপকরন ক্রয় করে ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষীদের পক্ষে চাষাবাদা চালিয়ে যাওয়া কাঠিন হয়ে দাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চাহিদার তুলনায় উপকরন সরবরাহ কমা থাকায় এবং সার্বিক বিপনন ব্যবস্থার উপর সরকারী নিয়ন্ত্রন কমে যাওয়ায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এর সুযোগ গ্রহন করে লাভবান হতে চায়। এতদসংক্রান্ত গবেষনায় দেখা যায় যে, সরকার কর্তৃক প্রদ্ত্ত কৃষি সেবা গরীব কৃষকের কাছে খুব কমি পৌছে এবং এর প্রভাব দেশের সার্বিক উৎপাদন অর্থনীতির উপর প্রতিফলিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন দেখা যায় যে জিডিপিতে কৃষি খাত (শষ্য) এর অবদান কমে দাড়ায় ১০.৭ শতাংশ এবং কৃষিতে (শষ্য) প্রবৃদ্ধির হার ০.৯ শতাংশ দাড়ায় তাছাড়াও জৈব প্রযুক্তির ঘাটতির ফলে মাটির উৎপাদিকা শক্তি অনেকাংশে কমে যায় এবং এ সমস্যগুলো যেমন এক দিনে সৃষ্টি হয়নি তেমনি এর সমাধানও একদিনে সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে কার্যকরি প্রদক্ষেপ গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথমত: কৃষকের জন্য ১০ টাকা মূল্যের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সাহায্য সহয়োগিতা গ্রহন; দরিদ্র কৃষক কর্তৃক কৃষি পন্যের ন্যয্য মূল্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে ইউসিসিএ কে কেন্দ্র করে প্রতিটি গ্রাম সমবায়ের আওতায় কৃষি পন্যেরর সমাষ্টিগত বিপনন ব্যবস্থা ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে তুলা যায়; তৃতীয়ত: চাষাবাদ, পশু পালন, মৎস চাষ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবিত নতুন প্রজাতি সম্পর্কে ধারনা এবং গ্রহনের লক্ষ্যে মনমানসিকতা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন জাতী গঠন মূলক বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত কৃষি ভিত্তিক প্রশিক্ষন সূমহকে সমন্বিত করে যতদুর সম্ভব কৃষকের কাছকাছি নিয়ে যাওয়া যায়; চতুর্থত: হর্টি কালচার, পশু পালন, হাস মুরগি পালন, বনায়ন, মৌমছির চাছ ইত্যদির ক্ষেত্রে স্বীকৃত প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান থেকে সফল ভাবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত প্রত্যেক কৃষি কর্মীকে সেবা প্রদানের স্বার্থে কৃষি ভর্তুকির অংশথেকে প্রয়োজনীয় ঔষধপ্রত্র সহ একটি করে কিড বক্র সরবরাহ করা যেতে পারে; পঞ্চমত: কৃষি উপকরনের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করনের ক্ষেত্রে সরকারি সেবাদান প্রতিষ্ঠান সুমহের সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুমহের একটি সহযোগী সুস্থ প্রতিযোতীতার আবহ গড়ে তুলা প্রয়েজন এবং বেসরকারী খাততে প্রয়োজনীয় উৎসাহ দেওয়ার জন্য চাষী-বান্ধব একটি প্রসাশনিক উদ্দোগ কৃষি ভর্তৃকির অর্থে গ্রহন করা যায়; সর্বশেষে: বলা যায় সরকার ঘোষিত কৃষি সেবা কর্মসূচীকে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকার, এনজিও, সিভিও, এসএসও, সমাজ কর্মী , রাজনীতিবিদসহ সকলকে একযোগে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। তবেই বাজেটে প্রস্তাবিত ভর্তুকি এর জন্য প্রনীত লক্ষ্য অর্জন অনেকাংশে সহজতর হবে কিন্তু কৃষি সংশ্লিস্টরা বলছেন কৃষি বাজেটে অনেক কিছুর উল্লেখ নেই যেমন: সেচ কাজে ডিজেল ব্যবহারের ওপর আলাদাভাবে কোন বরাদ্দ রাকা হয়নি, কৃষি গবেষনা খাতে তেমন কোন বরাদ্ধ পরিলক্ষিত হয নি, বাজেটে আমদানি নির্ভর নীতিকে প্রাধান্য দেয়ায কৃষি খাতের ভর্তুকির টাকা সার আমদনিতে চলে যাবে বিধায় গবেষনা বাজেট ছাড়া কিভাবে গবেষনা হবে? দেশের ৪৫ শতাংশ কৃসিজীবি মানুসের জন্য বরাদ্দ মাত্র মোট বাজেটের ৩.৪ শতাংশ যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অপ্রতুল। অর্থনীতিবিদরা মনে করছে, বাংলাদেশের মত অর্থনীতিতে টার্গেট গ্রুপ ঠিক করে ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে যার জন্য কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদিত পন্যের ন্যাহ্য দাম কৃষককে নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। দেশে বর্তমানে ভর্তুকি প্রদান করা হয় পন্যের মাধ্যমে যা অনাহাসে নগদে প্রদান করার ব্যবস্থাকরা যায় ১০ টাকা মূল্যের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে। আবার কৃষি শক্তি হিসাবে যন্ত্রের ব্যবহার বর্তমানে গ্রামে খুবি জনপ্রিয় কিন্তু অর্থৃায়নের স্বল্পতার কারনে তা ক্রয় করা সম্ভব হয়ে উঠে না বিধায় ভর্তুকি সুবিধা কৃষকের জন্য সহায়ক হতে পারে। বর্তমানে ঔষদের মূল্য বেশী হওয়ায় কীট ও বালাহ নাশকে ভর্তুকি দেয়া যেতে পারে। আবার দেশীয় বীজের প্রতি র্কৃষকের অনেক আগ্রহ থাকায় এক্ষেএে লোন সহায়তা বাড়ানোর প্রস্কাব করছি। বাংলাদেশ একটি দুযৌগ প্রবন দেশ এবং যে কোন দুর্যোগের অব্যবহিত পরে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরুকরার জন্য কৃষি দুর্যোগ মোকাবেলা তহবিল গঠন করা হয়েছে কৃষি নীতিতে যার বাজেট বরাদ্ধ এবার থেকে শুরু হওয়ার প্রস্তাব করছি। ক্ষতিগ্রস্থ হাওর অঞ্চলের জন্য আলাদা বাজেট হওয়া সময়ের দাবি।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

সারাবাংলা/এএসজি

কৃষি ভর্তুকি খাদ্য নিরাপত্তা ড. মিহির কুমার রায় মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর