বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)-র নবনির্বাচিত সভাপতি ও রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু সদস্যদের কল্যাণ, এ শিল্পের সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণ, স্বচ্ছতা নিশ্চিত কররি জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাগাদা অনুভব করেছেন। এজন্য পোশাকশিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে পোশাকশিল্পের জন্য স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রণালয়ের দাবিও তুলেছেন তিনি। পোশাকশিল্প নিয়ে আমি বেশ কিছু কলাম আগেও লিখেছি। আমিও এরকম কিছু একটা ভাবতাম। মাহমুদ হাসান খান বাবুর অতি সম্প্রতি এ দাবি আমার চিন্তা ও কলাম লেখায় অনুপ্রাণিত করেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছে তৈরি পোশাক খাত। পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক উন্নতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের জিডিপিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদান ৯ শতাংশের এর বেশি। ৮০ শতাংশের বেশি রপ্তানি আয় আসে এ-শিল্প খাত থেকে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪০ লাখমানুষের কর্মসংস্থান করছে (যার বড় অংশ নারী) এ খাত। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্প সাড়ে ২২ লাখ নারী শ্রমিকের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে চলেছে। চব্বিশের অভ্যুত্থানের মূললক্ষ্যই হচ্ছে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি। কাজে লাগাতে পারলে, পোশাক শিল্প এ ব্যাপারে বৃহত্তর স্টোকহোল্ডার হতে পারে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির আরও বড় সুযোগ হতে পারে পোশাক শিল্প। নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা করতে পারে এ শিল্প। এর জন্য দরকার বিশেষ তদারকির ব্যবস্থা। আমাদের অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন মতে, বাংলাদেশ ৩৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করে যা বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানির ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ১ম স্থানের চীন বাজার দখল রাখে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। ভিয়েতনাম রপ্তানির ৬ শতাংশবাজার দখলে নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ (যদিও ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত) শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ (মূলত ৫২ শতাংশ) আরোপিত পালটা শুল্ক-ব্যবস্থা বাংলাদেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। অনেকদিন থেকে বাংলাদেশের সস্তাশ্রম তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শুল্ক বাড়ায় তৈরি-পোশাক-শিল্প বিরাট ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই ছিল বস্ত্র ও তৈরি পোশাক। ইইউর বাজারে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষস্থানে চীন। বৈশ্বিক বাণিজ্যে পরিবর্তন, আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত দুর্বলতা ইত্যাদির সম্মিলিত নেতিবাচক প্রভাবে রপ্তানি-বাজার কমে যাচ্ছে। এছাড়া অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, উৎপাদন ও সরবরাহ সময় বেশি, উচ্চ ঋণ ব্যয়, প্রশাসনিক জটিলতা, অস্থিরতা ইত্যাদি নেতিবাচকতার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ-প্রবাহ দেশের অবস্থান ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে পারে। ফলে, তৈরি পোশাক রপ্তানির বাজার সৃষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণ জরুরি একটি বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ঝুঁকি মোকাবিলা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
১৬০টির বেশি দেশের মানুষ বাংলাদেশের পোশাক পরিধান করেন। কিন্তু নিজের দেশের বিশাল বাজার দখল নিয়ে নিচ্ছে চীন। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ দুই তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক চীন ও ভিয়েতনাম। এই বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা অনুযায়ী ভিয়েতনামের পণ্যে ৬১ শতাংশ শুল্ক। চীনের পণ্যে শুল্ক হার হবে ১৪৫ শতাংশ। যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এতে চীন ও ভিয়েতনাম তাদের পোশাক-পণ্য বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারে চাপ তৈরি করার চেষ্টা থাকবে। এতে বাংলাদেশের বাজার সংকুচিত হওয়ার চাপ থেকে যায়। এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রতিবেশি পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতা করতে হবে। এ দুটি দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম শুল্ক আরোপ করেছে (ভারতের পণ্যে ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের পণ্যে ২৯ শতাংশ)। ভারতের পোশাক শিল্পের সক্ষমতার পার্থক্যের কারণে এবং সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকেন্দ্রিক। তৈরি পোশাক শিল্পে চীন ও ভিয়েতনাম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারক দেশ। ভিয়েতনামের অবস্থান দ্বিতীয়। উভয় দেশই বিভিন্ন কৌশল ও উদ্যোগ গ্রহণ করে এই শিল্পের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। তাই বাজার সৃষ্টি ও প্রসারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। চীনের বাজার ধরতে পারলে বাংলাদেশের জন্য সোনালি দুয়ার আরও প্রসস্ত হবে।
চীনের ছেড়ে দেওয়া/পড়তি বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে। এ জন্য দরকার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ। দেশের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চীনের পোশাকশিল্পের বাজার দখল করতে হলে বাংলাদেশকে প্রথমেই যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে তা হলো বিশ্ববাজারে এখন কোন পণ্যের চাহিদা বেশি তা খুঁজে বের করা এবং এসব পণ্যের ক্রেতা কারা সেটি নির্ধারণ করা। বিদেশি বাজার ধরতে হলে ও চীনের পড়তি অংশ লুফে নিতে হলে পোশাকের মান বাড়াতে হবে। সরবরাহের সময় কমাতে হবে। সরবারহের দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেকক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা চীন বা অন্য দেশের দিকে ঝুঁকে পরে। শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ করতে হবে। দক্ষদের বেশি বেতন দিতে হবে। তাহলে অন্যেরা অনুপ্রাণিত হবে। শিল্পকারখানার ভৌত অবকাঠামো মান উন্নত করতে হবে। বন্দর ব্যবস্থায় উন্নয়ন করতে হবে। পোশাকশিল্পের জন্য বন্দরে আলাদা সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। শ্রমিকের নিরাপত্তা অন্যান্য বিষয় নিশ্চিত করে শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ-বান্ধব করতে হবে। পোশাকের মান নিয়ন্ত্রণ, সময় কম, ভৌত অবকাঠামো শক্তিশালী করা, শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি করে শৃংখলায় কঠোরতা আনয়ন করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারলে আমাদের দেশের ‘তৈরি পোশাকশিল্প’ তার পূর্বের গৌরব ফিরে পাবে এবং বিশ্ববাজারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি গতি পাবে।
কাঙ্খিত ফল পেতে হলে সরকার-মালিক-শ্রমিক তিন পক্ষকেই সন্তুষ্টি থাকতে হবে। শ্রমিকের ঘামের মূল্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম। তাই উৎপাদন খরচ অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম হয়। সরকার আন্তরিক হলেও মালিকপক্ষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকের বেতন নির্ধারণে আন্তরিকতা দেখাতে ব্যর্থ। কিন্তু গোপনকক্ষে উৎপাদন খরচ ও আয়ের হিসাব করে শুধুমাত্র মানবিক কারণ উপলব্ধি করে মালিকপক্ষ সদয় হলে শ্রমিকপক্ষকে সন্তুষ্ট করা খুব কঠিন কাজ বলে আমি মনে করি। বিশ্বের অন্যদেশের তুলনায় বা দেশের অন্য অনেক সেক্টরের তুলনায় এ খাতের শ্রমিকের সন্তুষ্ট করা খুব সহজ। কারণ তাদের দাবি খুব বেশি নয়। তবে শ্রমিকেরা যাতে ইচ্ছাকৃত বিশৃংখলা না করতে পারে সে ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। আগে তৈরি পোশাকশিল্পে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় শতকরা আশি ভাগের মত। ক্রমান্বয়ে এহার কমতে শুরু করেছে। এটা হতাশাজনক। কারণ পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় নারী শ্রমিকের মূল্য অনেক কম। পথে পথে হয়রানি, শ্রমমূল্য অনেক কম, নিরাপত্তাজনিত ও অন্যান্য কারণে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ ও আয়ের হিসাবের অনুপাত কমে যাচ্ছে। যা এ শিল্পের জন্য অশনিসংকেত।
বর্তমানে পোশাকশিল্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন। এ শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর, সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যস্ত একটি মন্ত্রণালয়। ফলে, কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সময় বেশি লাগে। অনেকসময় অনেক সিদ্ধান্ত অনেক কাজের ভিড়ে যথার্থ গুরুত্ব পায় না। কিন্তু পোশাকশিল্প বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রেমিটেন্স প্রবাহ সচল রেখেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাভাবে অনেক শিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন শিল্প থাকলেও পোশাকশিল্প ‘হার্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’র ভূমিকা পালন করছে। করোনা-পরবর্তী এ শিল্পের উপর যথার্থ গুরুত্ব না-পাওয়া এবং উন্নয়নে বিভিন্ন পলিসি-সিদ্ধান্ত গ্রহণ-বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়া, বিদেশিবাজার বৃদ্ধি করতে না-পারা ইত্যাদির কারণে নাজুক অবস্থার দিকে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিশেষ নজর কিংবা যত্ন নেওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি/সৃষ্টির জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয় ফলপ্রসু উদ্যোগ হতে পারে। শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাখলে পর্যাপ্ত মনোযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই, বর্তমানের সরকার অভ্যুত্থানের স্পিরিট বাস্তবায়নে এ সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট আন্তরিক হবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন করা যেতে পারে। বাস্তবায়নের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। যদি, করোনা-পরবর্তী এ শিল্পের প্রতি যত্নবান হতাম তাহলে এ শিল্পের ক্রমাবনতি দেখা লাগত না।
দেশের উন্নয়নের দরকার ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, কলকারখানা বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন, শিল্পের প্রসার অন্যতম। এসব বিষয়ের উন্নতির সঙ্গে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথের প্রথম ও বিশাল পথ দেখিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রসার। এদেশের সস্তাশ্রমকে কাজে লাগাতে পারলে আরও বহুদূর যেতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এ শিল্প। ক্ষয়িষ্ণু এ শিল্পের প্রতি নজর না দিলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আলাদা ও বিশেষ যত্ন নিতে পারলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে, এ শিল্পের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা। বিশেষ গুরুত্ব, বাজার সৃষ্টি কিংবা বৃদ্ধি, কোয়ালিটি মেইন্টেইন্ড, শ্রমিকদের ন্যায্যতার প্রতি তদারকি ইত্যাদির জন্য পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয় গঠন বলে জরুরি মনে করি।
লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক