কেউ বখে গেলে বা ইচ্ছেকৃত বিপথে চললে বা তালগোল পাকিয়ে ফেললে আমরা তাকে দিকভ্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। কাউকে নিভ্রান্ত বললে সে ক্ষেপে যায়, কারণ সে যা করছে বা যেপথে অগ্রসর হচ্ছে সেপথ তার কাছে সহীই মনে হয়। তাই সে উল্টো গালিদাতাকেই দিকভ্রান্ত বলে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে যে দিশেহারা বা কিংকর্তব্যবিমূঢ় সে উদ্ভ্রান্ত। আর যে বুঝে উঠতে পারেনা কী তার করণীয়, যে হতভম্ব বা বিচলিত সে হলো বিভ্রান্ত। শব্দের মারপ্যাচে যাই অর্থ হোক আমাদের আজকের দশা এরকমই একটা কিছু।
আমাদের সাম্প্রতিক জীবনাচারে এমনটিই প্রতিভাত হচ্ছে। সমাজে যখন অস্থিরতা বিরাজ করে, মানুষ যখন বহুধা বিভক্ত হয়ে যায়, আরোপিত দর্শনে যখন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বা নিজে ‘সঠিক’ বাকিরা ‘বেঠিক’ হিসেবে একতরফা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে তখনই এরূপ অবস্থা হয়। আমাদেরও হয়েছে সেই দশা।
আমরা আজ দল-উপদল, কোন্দল- উপ-কোন্দলে বিভক্ত। তর্কাতর্কি আমাদের কাছে চায়ের কাপে ঝড় তোলার মত। চাপাবাজি আমাদের অধিকার আদায়ের মারণাস্ত্র। দলবাজি আমাদের একতা ও অস্তিত্বেও প্রতীক। খণ্ডিত বিশ্বাস আমাদের কাছে প্রশ্নাতীত সত্তা। আমরা দলেবলে চলি, সেখানেও দলাদলি করি। ভিন্নমত আমাদের কাছে চরম নাপছন্দ। প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের কাছে হয় জয় নাহয় ক্ষয়ের মত একমাত্র অপশন।
আমরা সহজেই উত্তপ্ত হই। উত্তপ্ত হলে আমাদের হুঁশ থাকে না। কাকে কি বলি নিজেও জানি না। তবে এটুকু জানি ভুল-শুদ্ধ যাই হোক যা বলেছি ঠিকই বলেছি, নো কারেকশন, নো এপোলজি। কথা ফাইনাল, খেল খতম। আজকাল পলিটিক্সের নামে যা হচ্ছে তা পলিউটেড ট্রিক্সের রেপ্লিকা। আমরা খুব ভালো করেই জানি, যা আমরা বলি তা আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। অন্যকে চাপিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে তাকে অবদমিত রাখার চেষ্টা বা নিশ্চুপ-নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সিগন্যাল। আমরা প্রকাশ্যে যেমন দুধর্ষ তেমনি ব্যাকডোরে ততোধিক দক্ষ। বলা চলে আমরা সব্যসাচী।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে অভাবনীয় সব কায়কারবার ঘটছে তার কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে এর চিত্র কীভাবে আঁকা হবে তা ভবিষ্যতেই দেখা যাবে। গত পনের বছরের দু:শাসনে আমরা হয়ে উঠেছিলাম ধাতস্থ। মেনে নেই বা না নেই তাতে কারো কিচ্ছু যায় আসে নি। গেলো শাসক গোষ্ঠী যে দাওয়াই সাব্যস্ত করত তা কুইনানসম হলেও গিলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে হত। আহা কত মজা! এইবার ভেতরের পাগলা ব্যামো যদি অসার হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং তা সুপ্ত আগ্নেয়গিরির উদগীরণ কাণ্ডের মত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট এর জ্বলন্ত প্রমান। সে আগুনের লেলিহান শিখা এখনো জ্বাজ্জল্যমান। বিভিন্ন সময় দুর্বল ব্যবস্থাপনায় তা নিবার্পনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আগ্নেয়গিরির ভেতরের অপ্রকাশিত শক্তির উদগীরণ জ্বালার ঠেলায় আজ দেশের সমাজ জীবন যাতনাময় হয়ে উঠেছে।
একদলের দুর্বিষহ শাসনে অতীষ্ঠ মানুষ তাই অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে রাস্তায় নেমে এসেছিলো। ধরেই নিয়েছিলো এইবার এইবার খুকু বুঝি চোখ খুললো। মোটাদাগে তারা স্বপ্ন দেখেছিলো, যা হয়নি স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছরে, এবার তার অন্তত শুরু হবে। স্বপ্ন ছিলো সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সর্বত্র শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আইনশৃঙ্খলা নতুন ফ্রেমে যাত্রা শুরু করবে। সর্বত্র বৈষম্য নিরসনের কাজ আরম্ভ হবে। নৈতিকতা হারানো জায়গা ফিরে পাবে। সেলক্ষে যাত্রাও শুরু হয়েছিলো বেশ জম্পেশ। এরপরেই চিরচেনা সেই প্যাচালো পথে পথচলা শুরু হয়েছে। এর শেষ কোথায় জানি না। তবে এই পথচলাও নির্বিঘœ হচ্ছে না। সেপথে গতির ঘাটতি পরীলক্ষিত হচ্ছে। বেপথে হারিয়ে যাচ্ছে বা ঘুরপাক খাচ্ছে সে পথ । কিছুলোক এই পথ চলায় অগ্রণী ভূমিকায় থেকেও মনে হচ্ছে দিকভ্রান্ত বা জটিল সমীকরণ তৈরিতে ব্যস্ত।
আমাদের দেশে বরাবরই এরূপ হয়। যখনই কোন মোক্ষম সময় উপস্থিত হয় তখন কোথা থেকে যেন কিছু চিহ্নিত পিঁপড়া সেখানে এসে ভীড়ে যায়। তারা কদরও পেয়ে যায়। পরে তারাই ক্রীড়নকের স্ট্যায়ারিং হাতিয়ে নেয় বা ইচ্ছেমত সফট ওয়ার ইন্সটল করে দেয়। ফলতঃ উদ্দীষ্ট কুয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়, সে জায়গায় ধুলোয় অন্ধকার জাতীয় কিছু সেট ‘ওয়ে আউট’ হিসেবে নির্দিষ্ট হয়ে যায়। সমস্যা যে তিমিরে ছিলো তা মাল্টি ডাইমেনশনের পাকে পড়ে এক সময় সমস্ত আয়োজনকে স্তিমিত করে দেয়। জনগণের আশা দুরাশায় পর্যবসিত হয় আর সরকার বা প্রশাসনের ব্যাপারে এক ধরণের চিরস্থায়ী হতাশা আরো ব্যাপক হয়।
গেলো রেজিমের দু:শাসনের ফিরিস্তি তৈরি করার কথা ছিলো। তার অগ্রগতি জানা যায় না। লুটপাটের একটা স্পষ্ট চিত্রও জনগণ এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি। যে মামলাগুলো হচ্ছে তার মধ্যে ‘ভূতে’র ভূমিকা আকারে ও প্রকারে কত তাও জানার জো নেই। কেননা ভবিষ্যতে বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে সেগুলোর কী দশা হবে কে জানে? এদিকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা কে বলবে? পুলিশ আজ নিজের অস্তিত্ব সংকট সামাল দিতেই নাস্তানাবুদ। তাদের ক্রেডিবিলিটি মাইনাসের ঘরে। সেটাকে পজিটিভ ডিজিটে আনার জন্য না পুলিশের তরফ থেকে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হচ্ছে। অথচ এই পুলিশই বিগত সরকারের হাই ভোল্টেজ অপশাসনের, লুটপাটের, গুম-খুনের, অন্যায়-অবিচারের ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করেছে, নির্দেশ মত তদন্ত করছে।
পুলিশ এখনো সুশৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে নি। রাস্তায় পুলিশের উপস্থিতি সংখ্যায় আশা জাগানিয়া কিন্তু কার্যক্রমে ততটাই হতাশাব্যাঞ্জক। রিক্সাওয়ালারাও তাদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। ছাত্রদের গ্রুপ দেখলেই পুলিশের মানসিক ট্রমা অটো জেনারেটেড প্রক্রিয়ায় শুরু হয়ে যায়। অযাচিত ও উৎশৃঙ্খল ম্যুভ ঠেকাতে প্রতিকার তো দূরের কথা তাদের আত্মরক্ষা নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তে হয়৷ পুলিশ এখন সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় শিশুর মত প্রতিপালিত হচ্ছে। তাদের সমস্যা মানসিক। বিগত সরকারের রক্ষকের তকমা তাদেরকে আজকের এই হালতে নামিয়ে এনেছে। পুলিশ বাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা ও তাদের গাঁটছড়া কিছু সদস্যের কারণে দেশের সবচেয়ে পুরোনো এই কর্মবিভাগের আজকের এই দশা। যারা তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছিলো তাদের অনেকেই পলাতক, কেউ কেউ বিদেশে আর কিছু কারাগারে। আর অনেকেই ভেতরে অবস্থা স্থান করে শৃংখলার বেড়া কেটে যাচ্ছেন এই আশায় যে, একদিন আবার জমবে মেলা বটতলা, হাটখোলা। যারা সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটিতে থেকে গেলো রেজিমে পুলিশ বাহিনীকে পেটুয়া বাহিনী তথা রক্ষীবাহিনীতে পরিণত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া আবশ্যক। সেটা কি তাদেরই রেখে যাওয়া অভিন্ন মতাবলম্বীদের দিয়ে সম্ভব?
সিভিল প্রশাসনের অবস্থাও তদ্রুপ। যারা প্রশাসনকে গেলো রেজিমে সরকারি দলের সিভিল এক্সটেনশন গোষ্ঠীতে পরিণত করেছে তাদের অনেকেই কারাগারে, অনেকেই সপরিবারে বিদেশে। আর বাকিরা সিনিয়র সিটিজেন তকমা লাগিয়ে বিনি সূতোর মালা আবার গাঁথার চেষ্টা করছেন। বর্তমান প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই বদলী খেলোয়াড় হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যভাবে বললে বলতে হয়, গা ভাসিয়ে, গতিকে শ্লথ করে দিয়ে, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দিন গুজরান করছেন। সরকার তো এদেরকে নিয়েই। তাই জনগণ হতাশ। এক বছরে না প্রশাসনে না পুলিশে কোন দৃশ্যমান উন্নতি যোগ হয় নি। আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয় নি। বৈষম্যের নিরসন হওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু প্রশমনের কাজটাও দৃশ্যমান হচ্ছে না। উল্টো যে যেমন করে পারছে সচিবালয় আক্রমণ করে, প্রেসার ক্রিয়েট করে ন্যায্য- অন্যায্য দাবী-দাওয়া আদায় করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলতঃ শৃঙ্খলা, সুশাসন এখনো সুদূর পরাহত।
আরেকটা সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে আজকাল। সবার হাতেই এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকায় সবাই সাংবাদিক, ইউটিউবার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, টিকটকার ও ভ্লগার। ফলতঃ গুজবের ডাল পালা ও ডাহা মিথ্যার উৎকর্ষতা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারোয়ারি বাজারে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে চ্যানেলগুলোর টক শোতে যাকে তাকে ধরে এনে অনর্থক ও নি:সার তর্কাতর্কির একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এর সাথে অনলাইন প্লাটফর্মে গালাগালি, খিস্তিখেউড়ের যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে, রাজনীতিবিদদের নিয়ে ট্রল করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। পাবলিক খাচ্ছে এসব। খাচ্ছে বলেই লাইক, ভিউ বাড়ছে, কমেন্টে আশ্রাব্য গার্বেজ হজম করতে হচ্ছে। আর তাতেই এর ক্রিয়েটরদের পোয়া বারো।
প্রকাশ্যে সমাজের এক অংশের সাথে আরেক অংশের, এক দলের সাথে আরেক দলের হাতাহাতি, মারামারি, রক্তারক্তি, কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি এখন নিত্যকর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতৃস্থানীয়দের একক কমা-েও যেন কাজ হচ্ছে না। কেউ কাউকে মানছে না, শুনছে না। নিজের খায়েস মেটানোর আগে পর্যন্ত কেউ যেন থামছেই না। সমাজে এখন মধ্যস্তকারীর ভূমিকায় কেউ নেই। তাদেরকে কেউ ডাকেও না, তারাও আগ বাড়িয়ে সাড়া দেন না, অবার তারা নিজেরাও প্রশ্নবিদ্ধ। এভাবে একটা সমাজ চলতে পারে না, এগিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা।
প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাচাল লেগেই আছে। কোন প্রতিকার হচ্ছে না। হুমকি-ধামকিও চলছে সমান তালে। কথায় কথায় প্রথমেই আল্টিমেটাম, অবরোধ, ভাংচুর, যমুনা অভিমুখে যাত্রা, অবস্থান, সচিবালয় ঘেড়াও ও তছনছ করা এখন সম্ভাব্য ‘কোর্স অব একশন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কে শুনে কার কথা, ধুলোয় অন্ধকার। সবাই সোচ্চার, সবাই মাতব্বর, সবাই নেতা।
এখন সবচেয়ে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পেশাজীবি সংগঠন ও ছাত্র গোষ্ঠী। বিশেষত ছাত্ররা শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে নেই, অভিভাবকের আয়ত্তেও নেই। কী সাংঘাতিক কথা! কিছু একটা হলেই এদের বেপোরোয়া আচরণ, উৎশৃঙ্খলা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ নাগরিক জীবনের জন্য যেমন আতংকের তেমনি সরকারের জন্যও অস্বস্তির। এদেরকে কারা যেন সমস্যার শুরুতেই হট হেডেড করে দেয়। এরা কাউকে মানে না। ইচ্ছেমত দাবী দাওয়া দিচ্ছে, নাহলে আল্টিমেটাম, ভাংচুর, অবরোধ। এদেরকে সামাল দেওয়ার মত পুলিশ ও প্রশাসনের কেউ যেন নেই। কয়েকজন উপদেষ্টার অতিকথন বা ভুল ম্যাসেজ দেয় এমন বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে ও মারমুখী করে তুলে। সম্মানিত উপদেষ্টাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিষ্ক্রিয়, অনভিজ্ঞ এবং এযাবতকৃত কমের্র ফিরিস্তি তুলে ধরতেও পারঙ্গম না। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সম্প্রতি বলেছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের মধ্যেও আরেক সরকার আছে। সষের্র মধ্যে ভূত? কী সাংঘাতিক কথা!
সামনে নির্বাচনী বাতাস আরো জোরেশোরে বইবে। নির্বাচিত রাজনৈতিক দল দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার স্টিয়ারিং হাতে নেবেন। তাদেরকে এরকম শতধা বিচ্ছিন্ন সমাজ, সুশীল নামধারী ভয়ংকর বাকপটু বুদ্ধিজীবী শ্রেণি, নিষ্ক্রিয় পুলিশ ও গা ছেড়ে দিয়ে তামাশা দেখার প্রশাসন নিয়ে লং ড্রাইভ করতে হবে। সেটা তাদের মেধা ও দক্ষতার উপর নিভর্র করবে। সে পথ যে মোটেই মসৃণ ও নিস্কন্টক নয় বরং শ্বাপদসংকুল তা বলাই বাহুল্য। উদ্দীষ্টহীন যাত্রার বিলাসিতা আমাদের মত রাষ্ট্রের সাথে যায় না। জুলাই সনদ কি পারবে সে উদ্দীষ্ট পথ রচনা করতে?
নির্বাচন পরবর্তী সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার যেসব সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছেন তা শেষ করে যাবেন, না পারলে উত্তরসূরির জন্য লিখিত আকারে রেখে যাবেন এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা। বাকিটা আমাদের ভবিতব্য। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: কলামিস্ট

 
                                     
                         
                         
                        