র্যাবই বড় মানবাধিকার কর্মী
১১ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৩৯
একসময়ে দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসী বিভিন্ন বাহিনীর কাছে উলুখাগড়ার মতো মানুষের প্রাণ গেছে। এমনকি নিজ মায়ের কোলে দুগ্ধপোষ্য শিশুও নিরাপদ ছিল না। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, ন্যূনতম নিরাপত্তাহীনতায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল।
এদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশে উন্নতির পথে যে সকল বাধা বিপত্তি রয়েছে তার মধ্যে, অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যতম। মানবাধিকার বলতে দেশে কোনো শব্দই বিরাজমান ছিল না। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে যখন সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ অনিশ্চয়তার মাঝে ভুগছিল, তখন পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার একটি এলিট ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করে। তেমনি একটি প্রেক্ষাপটে র্যাবের আবির্ভাব। ক্রমান্বয়ে সভা-সমন্বয়, আলোচনা ও গবেষণার পর সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সংক্ষেপে র্যাব ফোর্সেস নামে একটি এলিট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত ২৬ মার্চ ২০০৪ তারিখে জাতীয় স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জনসাধারণের সামনে আত্মপ্রকাশ করে। জন্মের পরপরই এই ফোর্সের ব্যাটালিয়নসমূহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকে এবং স্ব স্ব এলাকা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এর মাঝে প্রথম অপারেশনাল দায়িত্ব পায় ১৪ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান-রমনা বটমূলে নিরাপত্তা বিধান করার জন্য । এর পর আবার র্যাব মূলত তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিল। গত ২১ জুন ২০০৪ থেকে র্যাব ফোর্সেস পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।
দেশের ক্রান্তিকালে, সময়ের প্রয়োজনে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা যদি ফ্লাশব্যাক করে ২০০৪ সালের দিকে একটু ফিরে তাকাই, তাহলে মনে পড়বে নিশ্চয় তখনকার ঢাকা শহর মানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী, সন্ত্রাস, এলাকার কুখ্যাত মাস্তান, গডফাদার, সেইসঙ্গে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই তথা জেএমবি জঙ্গিদের উত্থান।
সৃষ্টিলগ্ন থেকেই র্যাব এসব অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে সাক্ষাৎ যম হিসেবে আবির্ভূত হয়। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই তথা জেএমবির তৎকালীন নেটওয়ার্ক র্যাবের হাতে নিশ্চিহ্ন হয়। ঢাকা শহর ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোও ধ্বংস হয়ে যায়। এ কারণেই র্যাব অতি অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের হৃদয় ও মনে আস্থা-বিশ্বাস ও সম্মানের আসনে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। সেই শুরু থেকে আজ অবধি র্যাব দেশের গণমানুষের নিরাপত্তা, সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সর্বোচ্চ দেশপ্রেম ও আন্তরিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ফলে র্যাব রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। নেতিবাচক যা কিছু সেসব এক শ্রেণির পরজীবী মানুষের নিরেট অপপ্রচার। এসব গোষ্ঠীর লোক দেশের কোনো কিছুতেই ভালো দেখতে পায় না। আর সেই সঙ্গে যদি দেশি-বিদেশি, দেশবিরোধী শক্তির আশকারা পাওয়া যায়, তাহলে তো ভূতে পাওয়া মানুষের মতো দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে শুধুই চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে। এসব গণশত্রুর মুখে চুন-কালি দিয়ে র্যাবসাফল্যের সঙ্গে সাধারণ মানুষের অকৃপণ ভালোবাসা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী দিনগুলোতেও সরকারের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যের ইস্পাত কঠিন আবহ বয়ে যাবে।
আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সন্তুষ্টির মানদণ্ড কী? মূলত দুটি, পরিসংখ্যান ও পারসেপশন। উভয় মানদণ্ডেই পরিস্থিতি অনুকূল। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা এমন কোনো সমাজে বসবাস করি না, যেখানে শূন্য অপরাধ থাকবে এমন আশা করা যায়। আসলে এ ধরনের কোনো রাষ্ট্র বা সমাজ বিশ্বের কোথাও নেই। সমাজ থাকলে অপরাধ থাকবে কম কিংবা বেশি, আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতি উন্নততর দেখেই দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুতগতিতে বাড়ছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, বৃহদায়তন অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। ঢাকায় প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এগুলো সবই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য, যা অনুকূল ও সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য সম্ভব হচ্ছে। তবে জঙ্গিবাদ ইস্যুটি আলাদা। এটিকে সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে গুলিয়ে দেখা ঠিক হবে না। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে এ সমস্যাকে আমাদের মোকাবেলা করে যেতে হবে। তবে আশার কথা, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি ও কৌশলের আলোকে এ সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের অতীত ও সাম্প্রতিককালে অনেক সাফল্য রয়েছে। মানুষের অধিকার রক্ষা করাই র্যাবের প্রধান দায়িত্ব। র্যাব বড় মানবাধিকার কর্মী।
মানবাধিকারসহ এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী প্রায় সব বেসরকারি সংস্থা পশ্চিমা অর্থপুষ্ট। তারা প্রাপ্ত তহবিলের বৃহদাংশ ব্যয়ের মাধ্যমে বিলাসীজীবন নির্বাহ করে। ঝকঝকে অফিসে বসে, দামি গাড়ি হাঁকায়। অর্থের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্যই তাদের কণ্ঠে দেশের চেয়ে বিদেশিদের স্বার্থ বা ইশারাই উচ্চারিত হতে দেখা যায়। পৃথিবীর সব দেশেই ল এনফোর্সমেন্ট কিলিংয়ের ঘটনা রয়েছে। দুর্ধর্ষ অপরাধী থাকলে, ভয়াবহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী থাকলে এ ধরনের ঘটনা থাকবেই। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্র, গুলি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনি কাঠামোর আওতায় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্যবহার করার জন্য, শুধু পোশাকের অংশ হিসেবে প্রদর্শন কিংবা বহন করার জন্য নয়।
এদিকে মানবাধিকার রক্ষার বড় ত্রাতা বলে যে দেশ দাবি করে , সেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর গড়ে এক হাজার ১০০ ব্যক্তি ল এনফোর্সমেন্ট কিলিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। এমনকি তাদের দেশে প্রতিবছর ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হন। প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও এ ধরনের ঘটনা রয়েছে। পাকিস্তানে এই কিলিংয়ের সঠিক কোনো পরিসংখ্যানই নেই। এদিকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর জবাবদিহি সুনিয়ন্ত্রিত। র্যাব কর্তৃক গোলাগুলির সময় নিহত প্রত্যেকের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তদন্ত হয়ে থাকে। তা ছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পৃথক ‘ইনকোয়ারি সেল’ কর্তৃক অভ্যন্তরীণ তদন্ত হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি সরকার চাইলে যেকোনো সময় প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। অভ্যন্তরীণ, নির্বাহী, বিচারিক ও সরকারি জবাবদিহির সঙ্গে মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি, সর্বোপরি দেশের সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের এক ধরনের অপ্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি রয়েছে। তাই এসব ধুয়া তুলে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজকে অস্থিতিশীল করার কোনো চেষ্টাকেই আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, র্যাব সরকারের একটি বিশেষায়িত বাহিনী এবং এই সংস্থাটি তাদের নিজস্ব নীতিমালা ও বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করে। র্যাববিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম বা নির্যাতনের সাথে জড়িত নয় এবং র্যাব এ ধরণের কর্মকাণ্ড সমর্থনও করে না। কখনো কখনো অভিযান পরিচালনা করার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত গুলি বিনিময়ের মত ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু র্যাববিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা সমর্থনও করে না এবং এই ধরণের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
তিনি আরো বলেন, উন্নততর পৃথিবীতেও অপরাধ নিরিখে এ ধরনের বাহিনী রয়েছে। প্রচলিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধারণত তাদের নিয়মিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পক্ষান্তরে বিশেষ বাহিনী বিশেষ ধরনের অপরাধ, যেমন র্যাব আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অবৈধ অস্ত্র, মাদক নির্মূলে কাজ করে থাকে। সব দেশেই রাষ্ট্রীয় বিশেষ প্রয়োজনে যেমন বিশেষ বাহিনী থাকে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। অভিযান পরিচালনা করার সময় সন্ত্রাসীদের আক্রমণের যদি কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়ে থাকে। এই তদন্তে যদি কোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি পরিলক্ষিত হয় তবে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এদিকে সৃষ্টিলগ্ন থেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় র্যাবের ভূমিকা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। জেএমবি থেকে শুরু করে এ দেশে জঙ্গিবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে র্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব কর্তৃক একের পর এক সাফল্যজনক অভিযানের ফলে জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে যায়, ভেঙে পড়ে। পরে মাওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে । প্রতিষ্ঠাকাল থেকে র্যাব এ পর্যন্ত এক হাজার ৩০৪ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাবের দায়িত্ব সমূহ: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব , অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং এ জাতীয় অন্যান্য বস্তু উদ্ধার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করা। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা। সরকার নির্দেশিত যেকোনো অপরাধের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা। সরকার নির্দেশিত যেকোন জাতীয় দায়িত্ব পালন করা।
রিপোর্ট টু র্যাব মোবাইল অ্যাপস: এদিকে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার নিরিখে র্যাবকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখন থেকে যে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার এলাকায় ঘটে যাওয়া অপরাধ র্যাবকে জানাতে পারে নিমিষেই। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সন্ত্রাসী আক্রমণ , সন্ত্রাসী তথ্য ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে অপরাধের তথ্য দিতে পারবেন, অপহরণের তথ্য দিতে পারবেন , নিখোঁজ ব্যক্তির তথ্য দিতে পারবেন, খুনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন, ডাকাতির তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন এবং মাদকের তথ্য দিতে পারবেন।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাদ্দ বিশেষভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যয় বাড়ানোর কারণ হিসেবে আমরা মনে করি তাদের বরাদ্দ বাড়ানো আমাদের ব্যয় না বরং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিনিয়োগ।
দেশের এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব সদস্যগণের পেশাদারিত্ব ও দৃঢ় মনোভাব দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ একটি স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় চিহ্নিত-সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও চরমপন্থি দমন, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র্যাবের সদস্যগণ ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় উঁচু পেশাদারী মনোভাব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে জনমনে আস্থা স্থাপনে সক্ষম হয়েছেন।
লেখক: যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)
সারাবাংলা/আইই