Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেড়ে উঠুক সচেতনতা, লকডাউনের তালা আর না ঝুলুক

মো. শাহাদাত হোসেন নিশাদ
৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:২৮

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয় গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। সেই আতঙ্ক এখন কিছুটা স্বস্তির দিকে। বাংলাদেশও এখন বিশুদ্ধ বাতাসের গন্ধ নিতে শুরু করেছে। কিন্তু কালো ছায়া যেন পিছু ছাড়ে না। করোনা ভাইরাসের এখন নতুন আতঙ্কের নাম ওমিক্রন। বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এই ওমিক্রন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হু-হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। যুক্তরাষ্ট্রেও খুব দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। ভাইরাসটি ঠেকাতে ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে লকডাউন জারি করা হলেও এমন পদক্ষেপে যেতে চাইছে না বাংলাদেশ সরকার।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের হার প্রতি তিনদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯০টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাসটি। শুধু তাই নয় ওমিক্রনে আক্রান্তের তালিকায় আছে এমন দেশগুলোর নাম যেখানকার মানুষদের উচ্চমাত্রার ইমিউনিটি রয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়ানোর কারণে বা অন্তর্নিহিত বর্ধিত সংক্রমণযোগ্যতা বা উভয়ের সংমিশ্রণের কারণে এমনটা হচ্ছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয় বলেও জানায় সংস্থাটি। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছে, করোনার ডেল্টা ধরনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। অথচ আমাদের মাঝে এখন সচেতনতা একেবারেই বিলুপ্তের পথে। ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও দেশের মানুষের মধ্যে নেই কোনো সতর্কতা। গণপরিবহন, বাজারসহ প্রায় সব জায়গায় মাস্ক না পরেই চলাফেরা করছে অনেকে। স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে দেশে ওমিক্রন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

বিজ্ঞাপন

মানুষের মাঝে যদি আবার সচেতনতা তৈরি না হয় তাহলে ওমিক্রন হানা দিলে প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনীহাকে দূর করতে হবে। শুধু তাই নয় যারা এখনো টিকা দেননি তাদের টিকার আওতায় আসা প্রয়োজন। আমরা একটু বোঝা উচিত এই করোনা আমাদের কত কিছু শিখিয়েছে। আমাদের কতটা ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এই করোনায় আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা পিছিয়ে পড়েছে। একবার অতীতের কথা চিন্তা করি। এক এক বার লকডাউনে কত পরিবার অসহায় হয়েছে। দেশের কত বড় বড় ক্ষতি পোহাতে হয়েছে। আমাদের কি মনে পড়ে না সেই কথা? সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ১৭ মার্চ, যা পরবর্তীতে ১ বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল। আর ২২ মার্চ থেকে প্রথম ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। যা পরে সাত দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সে বছর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছিল। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। আমরা কি চাই দেশের পরিস্থিতি আবার খারাপ হোক আবার কঠোর লকডাউন আসুক?

তাই আসুন আমাদের মাঝে আবার গড়ে তুলি সচেতনতা। আবার যেন দেশে না ঝুলুক লকডাউনের তালা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

সারাবাংলা/এসবিডিই

বেড়ে উঠুক সচেতনতা- লকডাউনের তালা আর না ঝুলুক মুক্তমত মো. শাহাদাত হোসেন নিশাদ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর