Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ষাট বছরেও পূরণ হয়নি শিক্ষা দিবসের প্রত্যাশা

ইমরান ইমন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২০

শিক্ষাকে বলা হয়ে থাকে জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ড ছাড়া যেমন মানুষ দাঁড়াতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়াও একটি জাতি উন্নতি ও সমৃদ্ধির শেখরে দাঁড়াতে পারে না।‌ বিশ্বের বুকে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ। শিক্ষা ছাড়া একটি রাষ্ট্রের সুষম উন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব নয়। একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিতে চাইলে শুধু এর শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিলেই চলে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখবো একটি জাতিকে ধূলিসাৎ প্রকল্পে শিক্ষার ওপরই আক্রমণ হয়েছে সবার আগে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অনেক বড় বড় যুদ্ধে বিজয়ী শক্তি পরাজিত জাতির লাইব্রেরি ধ্বংস করে দিয়েছে যেন সে জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে না হতে পারে।

১৯৬২ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তৎকালীন শিক্ষা সচিব এসএম শরিফের নেতৃত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে প্রণয়ন করল চরম বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতি, যা ‘শরিফ কমিশন’ নামে পরিচিত। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’-এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করে একটি বিশেষ শ্রেণির হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তাবসহ একটি সাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি এদেশের জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিতে চাইল তৎকালীন আইয়ুব সরকার। এ চরম বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সদাজাগ্রত ছাত্রসমাজ ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হরতাল আহ্বান করে এবং এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পেশাজীবী, শ্রমিক, কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

১৭ সেপ্টেম্বর ‌সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র জনতা সমাবেশে উপস্থিত হয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। খবর আসে জগন্নাথ কলেজে গুলি হয়েছে। মিছিল তখন দ্রুত নবাবপুরের দিকে যায়। হাইকোর্টে পুলিশের সাথে সংঘাতে না গিয়ে মিছিল আব্দুল গনি রোড ধরে যেতে থাকে। পুলিশ তখন পিছন থেকে মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশের সাথে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ বাধে ঢাকা কোর্টের সামনে। এখানেও পুলিশ ও ইপিআর গুলি চালায়। এতে বাবুল, গোলাম মোস্তফা ও ওয়াজিউল্লাহ–৩ জন শহীদ হন, আহত হন শতাধিক এবং শত শত ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ দিন শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। টঙ্গিতে ছাত্র-শ্রমিক মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করে সুন্দর আলী নামে এক শ্রমিককে। পিচঢালা রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলো। রাজপথকে নরকপুরীতে পরিণত করে পিছু হটল স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার। পারলো না বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে। পরবর্তী সময়ে একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আর ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিনটি প্রতিষ্ঠা পায় ‘জাতীয় শিক্ষা দিবস’ হিসেবে। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের অভ্যুদয়ের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে শিক্ষার সর্বজনীন অধিকার আদায়ের এই আন্দোলন।

সেই সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ৯ সেপ্টেম্বর ১৪৪ ধারা জারি করে শোভাযাত্রা, পিকেটিং নিষিদ্ধ করলেও ১০ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা মিছিল শুরু করলে দশজনকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ঢাকায় মিছিল করে। পুলিশ আবুল হাসনাত, আব্দুর রহিম আজাদ, আবু হেনা, কাজী জাফর আহমেদ, সিরাজুল আলম খান, শাহ্‌ মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিল না করলে সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেয়া হয়। সোহরাওয়ার্দী জাতীয় পরিষদে এই রিপোর্ট বিবেচনার প্রস্তাব দেন। ১৬ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী ঢাকায় আসেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী ১৬ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দেন সরকার শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনা করবে। কিন্তু ছাত্ররা তাদের হরতালের কর্মসূচী ঠিক রাখে। ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারা পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ, লাঠিচার্জ এবং গুলি চলে। ঢাকায় ৫২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মোট আহতের সংখ্যা ছিল ২৫৩ জন, ১০৫৯ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুর ১২টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সামরিক বাহিনী নামানো হয়। নবাব হাসান আসকারির গাড়ী আক্রান্ত হয়, নিহত হন গোলাম মোস্তফা। ১৮ সেপ্টেম্বর মৌন মিছিল বের করা হয়। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ দিবস পালনের মাধ্যমে ছাত্ররা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।

সেই দিন পল্টন ময়দানে ছাত্রদের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদের আন্দোলনের উত্তপ্ত অবস্থায় ’৬২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর লাহোরে গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠিত হয় সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব, মাওলানা মওদুদি, মাহমুদ আলী ও জহিরুউদ্দিনের উদ্যোগে। তারপর শুরু হয় ধারাবাহিক আন্দোলন যা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঊনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।

দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম করে, রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি মানচিত্র, স্বাধীন ভূখণ্ড, একটি লাল-সবুজের পতাকা। পেয়েছি একটি শিক্ষা দিবস। কিন্তু পরম পরিতাপের বিষয় হলো, এ দিবসটি এখন বাম প্রগতিশীলরা ছাড়া তেমন কেউ মনে রাখে না। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা দিবসের ৬০ বছর পরও ছাত্রসমাজের সর্বজনীন শিক্ষার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আজও পূরণ হয়নি। কিছুটা সংশোধন হলেও সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আমলে কেরানি কর্তৃক নির্মিত শিক্ষাব্যবস্থা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। শিক্ষা ও ছাত্র আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ এ ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই অজানা রয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের এ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের কথা। তারা বঞ্চিত হচ্ছে এর তাৎপর্য অনুধাবন থেকে।

শিক্ষা এখনও বাজারে ওঠে, চলে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা। তবে পার্থক্য একটাই—আগে বিক্রি হতো খোলাবাজারে আর এখন বিক্রি হয় শোরুমে। হুঁ হুঁ করে বাড়ছে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে পড়তে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, যা দেশের অধিকাংশ মানুষের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। তাছাড়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শিক্ষার গুণগত মান। অবশেষে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে গিয়ে আমরা পেয়েছি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০। যেখানে চমৎকার সাবলীল ভাষায় ও কৌশলে দেয়া হয়েছে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’।

শিক্ষা দিবসের চেতনায় উঠে আসা সর্বজনীন, বৈষম্যহীন এবং একই ধারার বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষাকে করা হয়েছে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ। যার প্রভাবে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা- সর্বস্তরেই চরম নৈরাজ্য চোখে পড়ছে। দেশে এখনও রয়ে‌ গেছে শিক্ষক সংকট। এখনও জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের আমৃত্যু অনশনে যেতে হয়, যা শিক্ষা দিবসের চেতনার পরিপন্থী।

আমাদের স্মরণে রাখা উচিত—সেদিন ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল‌ ও গোলাম মোস্তফাদের রক্ত রাজপথে শুকিয়ে যায়নি, সঞ্চালিত হয়েছিল জাতির ধমনিতে, মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায়। আর ওই রক্তের স্রোত গিয়ে মিশেছিল আরেক রক্তগঙ্গায়। অবশেষে গিয়ে মিলিত হয় স্বাধীনতার মোহনায়।

তাই দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সর্বজনীন মতামতের ভিত্তিতে একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, যেখানে শিক্ষা হবে সবার জন্য অবাধ। ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা সবার অধিকার’—এটি সর্বস্তরে প্রতিফলিত হোক মহান শিক্ষা দিবসে।

তাৎপর্যপূর্ণ মহান শিক্ষা দিবসের ইতিহাস মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা‌ এখন সময়ের‌ দাবি। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিনটি পালনের উদ্যোগ নেয়া উচিত। শিক্ষা দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গ্রাম ও শহরের মাঝে শিক্ষার যে বৈষম্য বিরাজমান তা দূর করতে হবে।

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বলতে হয় বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো শিক্ষানীতির‌ কার্জকর নেই, বহুবিধ ধারায় শিক্ষা চলছে, শিক্ষা এখন ‌পণ্যে পরিনত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক ভাবধারায় সিলেবাস ভারাক্রান্ত, শিক্ষার নামে‌ অবাধে চলছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, শিক্ষার মান আশংকাজনক ভাবে নিচে নেমে এসেছে। আমাদের শিক্ষার‌ মান বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার মান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে বুঝা যায়।‌

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো‌ এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়‌ নেই।‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো গবেষণা। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম নেই বললেই চলে, অন্যের থিসিস চুরি করে ডিগ্রী নেয়া হচ্ছে। দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা হুঁ হুঁ করে বাড়ছে, কিন্তু শিক্ষার মান কতটুকু বাড়ছে—সে প্রশ্ন না ওঠে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসনের নামে‌ দাসবৃত্তি‌ করছে। ফলে তারা তাদের নিজেদের শক্তি সামর্থ্য নিজেরা কাজে লাগাতে পারছে না।‌ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে‌ আগের মতো ‌সুস্থ‌্যধারার রাজনীতি নেই, নেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা।‌ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যেত আগে যারা উপাচার্য হতো, তারা দেশ সেরা শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী‌ এবং যোগ্য ব্যক্তিত্বরাই এ পদে আসীন হতো। আর এখন উল্টো চিত্রটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।‌ তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে দেখা যায় অস্বচ্ছতা; অভ্যন্তরীন দুর্নীতি ভারাক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়সূহ। রাজনৈতিক লবিং-এ ছেয়ে গেছে উচ্চশিক্ষার উচ্চ পদসমূহ। ফলে ‌শিক্ষা তার প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ হচ্ছে।‌ আর তাই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থান দিন দিন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।‌ এখনই এসবের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে আমাদের উচ্চশিক্ষার পথ অচিরেই অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যাবে।

শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য, শিক্ষায় বৈষম্য দূর না করতে পারলে, একটি যুগোপযোগী কার্যকরী শিক্ষা কমিশন গঠন এবং এর বাস্তবায়ন না করতে পারলে শিক্ষার‌ সার্বিক উন্নয়ন ‌সম্ভব‌ হবে না। করোনাকালীন সময়টাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছিল। সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম প্রবর্তিত হয়েছে। সেখানে অনেকগুলো ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবুও সার্বিকভাবে শিক্ষাখাত পুনর্গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষাখাত—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মূল্যবোধ ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে হবে। সর্বোপরি একটি মানসম্মত, যুগোপযোগী ও কল্যাণকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠুক—এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

ইমরান ইমন মুক্তমত ষাট বছরেও পূরণ হয়নি শিক্ষা দিবসের প্রত্যাশা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪০

সম্পর্কিত খবর