Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাঘের গর্জন যেন ভারত ও পাকিস্তানের বেলায়ও থাকে

আজহার মাহমুদ
৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৪২

বাংলাদেশের গ্রুপে এখন সেমিফাইনালে পৌঁছানোর সমীকরণ অনেক রকম দাঁড়িয়েছে। সেই সমীকরণের সবচেয়ে উপরের দিকে আছে বাংলাদেশ আছে। আফ্রিকা, ভারত, বাংলাদেশ এই তিন দল থেকে দুই দল সেমিতে যাবে এমন স্বপ্ন বুনছে। যদিও এই রেস থেকে জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তানকেও কোনো ভাবে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। সবকিছুকে একপাশে রেখে হয়তো ভারত এবং আফ্রিকা এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইলে চলে যেতে পারে।

এতে অবাক হওয়ার মতো কিছুই নাই। দিনশেষে যারা ভালো ক্রিকেট খেলে তারাই সেমিতে যাবে। তবে এই বিশ্বকাপে লড়াইটা বেশ জমছে। যেগুলো অনেকেই অঘটন বলে আমার কাছে সেগুলো লড়াই হিসেবে মনে হয়। এই লড়াইয়ে অনেক সময় হেরে যেতে হয়। যেমন জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে হারিয়েছে। এটা অঘটন নয়, এটা লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। একইভাবে আয়ারল্যান্ডও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। সবমিলিয়ে সুপার টুয়েলভের সব দলগুলোই নিজেদের সর্বোচ্ছ দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপে ভালো খেলার প্রত্যাশা নিয়েই গিয়েছে। অন্তত ১/২ টা ম্যাচ জেতাটাই মূল লক্ষ্য ছিলো সকলের। কারণ যেখানে বিগত ১৫ বছরে মূল পর্বে একটা ম্যাচেও জয় পায়নি সেখানে সেমির আশা করাটা বোকামি। কিন্তু জয়ের সুবাস পেতেই প্রত্যাশার পারদ যেন আরও বেড়ে গেছে সর্মথকদের। প্রত্যাশা এখন সেমিফাইনালের। বাংলাদেশ দলটা অনেকটা আনএক্সপেক্টেড বলা যায়। তাই স্বপ্ন দেখতেই পারেন আপনি।

তবে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লড়াই করা। বিশ্বকাপে দুই জয় পাওয়াটা প্রত্যাশা ছিলো সেটাই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের যে অবস্থান টি-টুয়েন্টিতে আছে সে হিসেবে বাংলাদেশ তাদের সেই অবস্থানটা বিশ্বকাপে ধরে রেখেছে। এটাই প্রথম চাওয়া ছিলো। এখন নিজেদের আরও একধাপ উপরে নিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেজন্য সেমিফাইনালে যাওয়ার চাইতে বড় বিষয় হবে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচগুলো থেকে অন্তত একটি ম্যাচ জয় পাওয়া।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বড় দলকে হারানোর মর্যাদা অনেক বড়। সেক্ষেত্রে এই দুটো ম্যাচ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য লড়াই করার বড় সুযোগ। যদি দুই ম্যাচও হেরে যায় আফসোস থাকবে না, তবে সেটা যেন লড়াই করে হারে সেই প্রত্যাশা থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেটাই চাওয়া।

সুতরাং আগামী ২ নভেম্বর এবং ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে সকলে। এখান থেকেই সৃষ্টি হতে পারে ইতিহাস।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

আজহার মাহমুদ বাঘের গর্জন যেন ভারত ও পাকিস্তানের বেলায়ও থাকে মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর