Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাষ্ট্রের সংস্কার কেন প্রয়োজন?

মো. মমতাজ হাসান
২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫৬

সাধারণ মানুষের প্রয়োজন পুরণ করে না, আশানুরূপ নয় তাই রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান তার অংগীকারের বিপরীত মেরুতে। যে রূপ থাকার কথা মানুষ তেমন নেই। তদুপরি এর সাম্প্রতিক ভয়ংকর রূপ দেখে সবাই সন্ত্রস্ত। চারদিকে হানাহানি লুটপাট আর বিশৃংখলার ধুন্ধুমার, যে যেমন পারছে শুষে নিচ্ছে, সকলে হতবিহ্বল। মানুষের চাওয়া ছিল একটি শান্তিপুর্ণ জীবন, সুস্থির সমাজ। কিন্তু রাষ্ট্র উন্নয়নের নামে বিশাল বিশাল স্তুপ তৈরি করে তাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম। মানুষ নিঃশ্বাস ফেলতে চায়, চায় স্বস্তি। তাই সংস্কার করা দরকার। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়গুলো বহুল উচ্চারিত- মানসম্মত খাবার, পোশাক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসসহ যাবতীয় বস্তুগত বিষয়। এগুলির সংগে তার দরকার পুর্ণকালীন মানসম্মত পেশা, নৈতিকতা, অধিকার, মর্যাদাপুর্ণ জীবন, বাকস্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার, পুর্নাঙ্গ নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক জীবন ও জীবন বিকাশের অবাধ ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশ। এর কোনটিই এখন বিরাজমান নয়। তবে মানুষকে তুষ্ট করার জন্য কিছু রংঢং আছে। যদি বিষয়গুলো প্রত্যাশিত মতো থাকত তবে সুযোগ পেলেই মানুষ বিদেশে পলায়নের জন্য উন্মুখ হয়ে উঠতো না। মাতৃভুমির মায়া কাটানো কঠিন। তবে এর পেছনের ধাক্কাটা আঁচ করা যায়।

বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বড় দুর্যোগ বোধ করি রাষ্ট্রের মালিকানা দখলের লড়াই। এর দখল পেতে কিছু পক্ষ নিয়ত যুঝে চলেছেন। লড়াইরতরা মানুষের হাড় মাংস নিংড়ে ক্ষমতা ও সম্পদের মালিক হতে চান। নির্বাচন মালিকানা অর্জনের প্রশস্ত পথ। ভোট এলে তাই লড়াইটা বাড়ে। কোনোরকমে মালিক হতে পারলে পরে সম্পদের বিষয়ে আর ভাবতে হয় না। এর জন্য বিগত ২০১৮ সাল ছিল একটি উৎকৃষ্ট সময়। সবাই বিষয়টা জানেন। অনেকে গায়ে-গতরে টের পেয়েছেন, ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়েছে অনেকদিন।

বিজ্ঞাপন

জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করার সাম্প্রতিক কিছু কান্ডকারখানায় মানুষ ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। দেশের ৫/৭টি ব্যাংকের মালিকানা একটি পরিবারের হাতে। তাদের ঋণের নামে গৃহীত অর্থের পরিমাণ কেউ বলেন, তিরিশ হাজার কোটি কেউ বলেন আশি হাজার কোটি টাকা; শুনলে মাথা ঝিম ঝিম করে, এ কী ভাবে সম্ভব! অর্থনীতিবিদেরা বলছেন টাকাগুলো পাচার হয়ে গেছে। একই সময়ে অন্যদিকে ওএমএসের দোকানের সামনে সস্তা চাল ডাল কিনতে প্রতিদিন অভাবক্লিষ্ট মানুষের দীর্ঘ লাইন আর আহাজারী। এসবের বাইরে গুম খুন সন্ত্রাস বাজারের তীব্রদহন অপরিমেয় দুর্নীতি নৈতিকতার অভাবনীয় পরাজয় হয়ে উঠেছে সাদামাটা বিষয়। রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে হিতে বিপরীত।

এরপর আপনি হয়তো ভেবে পাচ্ছেননা কী বলবেন। কিন্তু ‘উন্নয়ন’ আর মেগা প্রজেক্টগুলোতো বলছে রাষ্ট্র সফল। এই হরিলুট বিশৃংখলার রাষ্ট্র কেউ চায়নি। এর মধ্যে মানুষের সুষ্ঠভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। রাষ্ট্র হোক গণমানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার উপায়। বেঁচে থাকা বলতে একইসাথে অনুরূপ বিকাশের পথটাকেও বোঝায়। বিরাজমান দুর্যোগের প্রতি ইংগিত করে সাধারণত বলা হয় বাজার খারাপ, পরিবেশ-পরিস্থিতি খারাপ। সেকেলে মানুষেরা বলেন দিনকাল খারাপ। অনেকে বলেন আজকাল মানুষের চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে, ধর্মবাদীরা বলেন ইমান নাই। এই অভিযোগগুলি রাষ্ট্রের প্রাপ্য। সবগুলো বিষয়কে একত্র করলে বলতে হবে রাষ্ট্র খারাপ। তাই সাকুল্য ব্যবস্থা হিসাবে রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন।

অরাজকতাগুলি বহুদিন ধরে চলায় অনেকটা কাঠামোতে পরিণত, যেন সবকিছু স্বাভাবিক। রাষ্ট্রের এই চলা থামাতে হবে, তার গতিমুখ পরিবর্তন করা দরকার। এর উপায় আমূল সংস্কার। কাজটা কঠিন। প্রথম আলোতে দেখলাম (১৩-১২-২০২২) প্রথম পাতার খবরে চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে অপরাপর দলগুলোর কাছেও যাবে বিএনপি। রাষ্ট্র সংস্কারই হল প্রথম দফা, প্রথম কথা। সকল অনিয়ম অবিচার দুঃশাসন লুটপাট সহিংসতা বিভেদের মুলে রাষ্ট্র। কিছু মানুষকে বাঘ আর বাদবাকীদেরকে তাদের শিকারে পরিণত করার প্রথম দায়টা তার। অথচ তার সংষ্কারের কথা সবার শেষে। আশাবাদী হওয়া যায়না।

রাজনীতিও এখন একমত যে, রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। বিষয়টি এতদিন তারা সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। খাওয়া-চলা সব পর্যুদস্ত হয় এমন পরিস্থিতি আপনি চাইতে পারেন না। এখন অবস্থা কতকটা বদলেছে, মানুষকে চেপে রাখা কঠিন। নতুন প্রজন্ম পরিবর্তন চান। রাজনীতি বুঝতে পেরেছে যে, ধামাচাপা দিয়ে আর চলা যাবেনা, কাজে হাত দিতে হবে। তাই তাদের মুখ খুলেছে, রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলছেন। যদিও প্রথমবার শোনার কারণে ভুতের মুখে রাম নাম বলে মনে হয়।

রাষ্ট্রের পরিবর্তন যেমন কঠিন এর রূপ-কাঠামো স্থির করাও তেমনই দুরহ। আমরা চেয়েছি রাষ্ট্র সমানভাবে সকলের হোক। এরূপ হলে তাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হবে, বৈষম্য থাকবেনা; থাকবেনা একদিকে হাজার হাজার কোটি টাকার স্তুপ আর অন্যদিকে অভাবী মানুুষের মিছিল। এরূপ হওয়ার কারণ রাষ্ট্র এখন দুইভাগে বিভক্ত- কেন্দ্র ও প্রান্ত। কেন্দ্রে আছে স্বল্প সংখ্যক মানুষের একটি বলয়, এদের হাতে সবকিছু। বাদবাকীদের অবস্থান প্রান্তে, হাতে কিছু নাই, কোথায় কী সুবিধা পাওয়া যাবে শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন আর সুযোগ পেলে কাকের মতো ভীড় করেন। এই ভীড় দেখা যায় চাকুরী ও সামাজিক ভাতার লাইনে, আরও নানা জায়গায়। সাধারণ মানুষকে কাকে পরিণত করা এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার অনন্য কৃতিত্ব। এই দুই দলের মাঝে অল্প পরিসরে আরও কিছু মানুষ আছেন গুণগান আর তোষামোদিতে নিমগ্ন। এদের প্রধান হাতিয়ার ঢাকঢোল, খাদ্য উচ্ছিষ্ট; রাষ্ট্রের পরিবর্তন হলে আর দেখা যাবে না।

পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হবে, রাষ্ট্রে কোন কেন্দ্র-প্রান্ত থাকবেনা। অবস্থান যেখানেই হোক নতুন রাষ্ট্রে সবাই এর কেন্দ্রে থাকবেন। দেশব্যাপী বিস্তৃত একটি নেটওয়ার্ক সারা দেশের মানুষকে কার্যকরভাবে রাষ্ট্রের সংগে যুক্ত ও কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত করবে। কেন্দ্রে থাকলে ক্ষমতা ও অধিকার প্রয়োগ করা সম্ভব, চাওয়া-পাওয়া পুরণ করা যায়। তাই মালিকানা চর্চায় মানুষের এইরূপ অধিষ্ঠান জরুরী। মানুষকে রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক ও ক্ষমতাবান করার বিকল্প নাই। সংস্কারের প্রথম কথা দেশব্যাপী মানুষের সংগে কথা বলে এর স্বরূপ স্থির করা। কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া হলে আবারও সাবেক দশা তৈরি হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রত্যন্ত জনপদের মানুষও যুক্ত হবেন। শাস্তি দিয়ে, শিখিয়ে-পড়িয়ে, উদ্বুদ্ধ করে মানুষকে সংশোধন করা যায়। রাষ্ট্র একটি নিরেট সংগঠন। তার ক্ষেত্রে এগুলি প্রযোজ্য নয়। যে দলিলমুলে তার সৃষ্টি সেখানে সংশোধন করা দরকার। তাহলেই সে ভাল হবে। আলোচনা চলছে তবে মানুষকে প্রাধান্য দেওয়ার মত কিছু এখনও দৃশ্যমান নয়। নামমাত্র সংস্কার হবে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। প্রক্রিয়াটি ধীর হলে মনে হবে আরও বহুদিন খাবার ব্যবস্থা হচ্ছে।

একটি ভিন্ন প্রসংগ তোলা দরকার। দেশে অনেক ভাল ভাল পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে উৎপাদনের হিসাবগুলো বলছে রাষ্ট্র অনেকটা এগিয়েছে। অনেকের চোখে মুখে তৃপ্তির ছাপ। শুধু উৎপাদন হলেই হয় না, সুষম বন্টন দরকার। সবার পাতে সমানভাবে দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ব্যর্থ। পরিসংখ্যানগুলো সঠিক নয়। দেশের জনসংখ্যা সতেরা কোটি। সেই কবে থেকে শোনা যাচ্ছে এই কথা। বেকারের কথা ধরা যাক। বহুকাল থেকে শোনা যাচ্ছে তিরিশ লক্ষ শিক্ষিত বেকারের কথা। প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ে, কারণ কাজের বাজারে নামা সবার ভাগ্যে কর্ম জোটেনা। পরিসংখ্যান স্থির থাকে কীভাবে?

খাদ্য উৎপাদন প্রচুর, আমদানীও অনেক। তবু সংকট কাটেনা, বেড়ে চলে এর মুল্য আর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। উৎপাদনের তথ্য ঠিক হলেও সরবরাহ ও বন্টন ব্যবস্থা ঠিক নয়। এরকম হলে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা আছে। দেশে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষিত মানুষ তৈরি হচ্ছে। এদের মান কীরূপ। শিক্ষা বিভাগের অতি উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা একবার বললেন যে, শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিমাণগত অর্জন হয়েছে, এখন তারা মানের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। পাঠক অনুগ্রহ করে এর সংগে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীকে উচ্চ জিপিএ পাইয়ে দেওয়ার বিভাগীয় কৌশল সম্পর্কে আপানার শোনা কহিনীগুলি মিলিয়ে দেখুন, বুঝতে পারবেন। কথাগুলো তোলার কারণ বিষয়গুলি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে রাষ্ট্র সংস্কারের উপরে এর প্রভাব পড়বে। পরিসংখ্যানপন্থীরা বলবেন রাষ্ট্রতো ভালোই এগুচ্ছে, সংস্কার করতে গেলে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। প্রতিক্রিয়াশীল মানুষের সংখ্যা কম নয়।

রাষ্ট্র সংস্কার কঠিন, এর বিপরীত স্রোত প্রবল। একটি ছোট উদাহরণ দেওয়া যাক। বর্তমান নির্বাচনে না- ভোটের বিধান নাই। না-ভোটকে আপাতঃভাবে খুব নিরীহ বিষয় মনে হলেও এটি একটি মৌলিক পরিবর্তন, একটি সুদুরপ্রসারী বাঁক। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে রাজনীতিকেরা শুরুতেই তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে না-ভোট ছিল। তখন এই খাতে কিছু ভোটও পড়েছিল। ব্যবস্থাটি চালু থাকলে মানুষ প্রচলিত রাজনীতির বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসের আলোকে বিরক্ত ও অতীষ্ঠ হয়ে ক্রমে সবাইকে না বলতেন, রাজনীতির অসারত্ব ও কদাকার চেহারা বেরিয়ে আসত। চেহারা ঢেকে রেখে চলা লোকদের জন্য স্বরূপ ফাঁস হওয়া এক বড় বিপদ। মানুষ যেন ভিন্নদিকে মোড় না নেন, তাদের বাঁধাছকেই অবধারিতভাবে ঘুরপাক খান তাই ভিন্নপথের সুত্রটা গোড়াতেই নির্মুল করা হয়। এই রাজনীতি অত্যন্ত হিংস্র, মানুষকে তাদের ফাঁসের বাইরে গিয়ে বাঁচতে দিতে চায় না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে রাজনীতিই আসল হন্তারক। একটি বড় রাজনৈতিক দলের একজন প্রধান নেতা এ বিষয়ক একটি প্রশ্নের জবাবে একবার বললেন, যদি কেউ তেমন মনে করেন (না-ভোট দিতে চান) তাহলে তিনি ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। সকল প্রতিযোগীকে অযোগ্য মনে করা আর ভোটদানে বিরত থাকা কি একই ব্যাপার। এই মন্তব্য দমন নীতির পরিচায়ক। তারা দুটো আলাদা বিষয়কে অভিন্ন দেখছেন; কায়মনে চান আমুল পরিবর্তনকারী কোন বিষয়ের বীজ যেন বপন করা না হয়। ভবিষ্যতে তা মহীরুহ হয়ে তাদের সাজানো জমিদারি ধ্বংস করে ফেলবে। এর ফল জুলুম নির্যাতন স্বত্ত্বেও উপায়হীন মানুষের হাত ঘুরে ক্ষমতার ঈগল পাখিটি বার বার তাদের হাতে এসে ধরা দেয়। এর অবসান হবে আত্মঘাতী। কেবল প্রকৃত নির্বাচন নয় বর্তমান রাজনীতি আরো অনেককিছুকে মনে মনে ‘না’ বলে। এই তালিকায় অনেক নাম যেমন- বিচার বিভাগ, দুদক, স্বাধীন ব্যাংক ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি। প্রচলিত পথ-পন্থার পরতে পরতে প্রচুর বিষ মেশানো এই ব্যবস্থাটির নাম রাষ্ট্র। আমাদের ভাল থাকার সুযোগ নাই। এই ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখেছে প্রচলিত সামন্তবাদী রাজনীতি। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের সংগে বিষধর এই রাজনীতিরও সংস্কার দরকার।

একটি রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে একান্ন বছর আগে যে রাষ্ট্র গঠিত হয় সেটি এখনও আধুনিক হতে পারেনি। একটি সময়োপযোগী ও আধুনিক রাষ্ট্র ছাড়া সীমিত সম্পদ দিয়ে বিপুল জনসংখ্যার সুরাহা ও হরিলুট-বিশৃংখলার অবসান সম্ভব নয়। এখনও রয়ে গেছে সনাতন সংসদ সংবিধান ও বিধিব্যবস্থা। এগুলো অনেকটা অকেজো এবং নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। এসবের অক্ষমতার কারণে জনগণের প্রত্যাশা ও বিদ্যমান প্রক্রিয়ার মধ্যে বিরোধ প্রচুর; এখনো রক্তক্ষয় হচ্ছে, মনে হয় আরও অনেকদিন হবে। সময়ের বিবর্তনে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে আধুনিক সামন্তবাদ। এটা আরও হিংস্র; নতুন পুরোনো মিলে মানুষকে ছিঁড়েখুড়ে খাচ্ছে শকুনের মত। মানুষের বাঁচা ও কল্যাণকর রাষ্ট্র নির্মাণের একমাত্র উপায় সকল সামন্তবাদ নির্মুল করা, একটি সময়োপযোগী আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ এবং মানুষকে প্রকৃত মালিকে পরিণত করা। অন্য বিকল্প নাই। এই কাজের জন্য সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের একটি আধুনিক কাঠামো নির্মাণ করা দরকার। অন্য বিষয়গুলি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা যাবে।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

মুক্তমত মো. মমতাজ হাসান রাষ্ট্রের সংস্কার কেন প্রয়োজন?

বিজ্ঞাপন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর