Thursday 28 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মহামারীর সঙ্গে জনসংখ্যার সম্পর্ক, কেন মহামারী আসে?

ইমরান ইমন
৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০৯

রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক উপাদানগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাদান। জনসংখ্যা ব্যতীত রাষ্ট্র গঠন কোনভাবেই কল্পনা করা যায় না। জনসংখ্যা একটি রাষ্ট্রের সম্পদ। কিন্তু অত্যধিক জনসংখ্যা রাষ্ট্রের সম্পদ হওয়ার পরিবর্তে তখন রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।

জনসংখ্যাকে ‘সম্পদ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হলেও একবিংশ শতাব্দীতে প্রয়োজনের বেশি জনসংখ্যা বিশ্বের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ অত্যধিক জনসংখ্যাই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞের মতে—অপুষ্টি, পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাব, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া ইত্যাদি মৌল মানবিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর জনসংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী- বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। গবেষকদের মতে, পৃথিবীর যা সম্পদ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ২০০-৩০০ কোটি লোককে সঠিকভাবে জায়গা দেওয়া সম্ভব!

একটি দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ বা বৃদ্ধির যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সমাজে বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, ছেলে সন্তানের লোভে অধিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো কুসংস্কার রয়েছে যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

কুসংস্কারের যে বিভিন্ন বেড়াজাল সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তার অন্যতম কারণ অশিক্ষা বা শিক্ষার অভাব। যখন দেশের মানুষের গড় আয়ু কম হয় এবং শিশু মৃত্যুর হার বেশি হয় তখনও দেশের জনগণ অধিক সন্তান জন্মদানের প্রতি আগ্রহী হয়। দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি আর অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা জনসংখ্যার বিস্ফোরণের অন্যতম উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

বিজ্ঞাপন

আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পৃথিবীতে মনে হয় বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশ আর একটিও নেই। অথবা জনসংখ্যার সংখ্যায় বেশি থাকলেও জনসংখ্যার ঘনত্বের হিসাবে আর একটি দেশেও নেই। বলা বাহুল্য যে, বাংলাদেশের চেয়েও বেশি জনসংখ্যার ঘনত্বের দেশের সংখ্যা একেবারেই কিন্তু কম নয়।

পৃথিবীতে ১১টি এমন দেশ রয়েছে এবং যাদের মধ্যে আমাদের পরিচিত অনেক দেশও রয়েছে। যেমন- সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, মালদ্বীপ। সিঙ্গাপুরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮ হাজারেরও অধিক লোক বসবাস করে। যেখানে বাহরাইনের রয়েছে ২ হাজার আর বাংলাদেশের রয়েছে ১১শ লোকের বসবাস।

অন্যদিকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের চেয়ে কম ঘনত্বের দেশের সংখ্যা ২২০টি। আরেকটু সহজ করে বললে বলা চলে ২৩২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ প্রথম পাঁচ শতাংশ দেশের মধ্যে। সবচেয়ে নিম্ন ঘনত্বের যে দেশগুলো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র তিনজন।

আবার জনবহুলতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান আট (১৬.৬ কোটি)। অন্যান্য শীর্ষদেশগুলো হলো চীন (১৪৩.৫ কোটি), ভারত (১৩৬.৫ কোটি), যুক্তরাষ্ট্র (৩৩ কোটি), ইন্দোনেশিয়া (২৭ কোটি), পাকিস্তান (২১.৭ কোটি), ব্রাজিল (২১ কোটি), নাইজেরিয়া (২০ কোটি)। অন্যদিকে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হলো ভ্যাটিকান সিটি, যার জনসংখ্যার পরিমাণ মাত্র ৮২৫ জন।

বিশ্বব্যাংকের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যা বর্তমানে ৭৮০ কোটি থেকে আগামী ৩০ বছরে বেড়ে ৯৭০ কোটিতে দাঁড়াতে পারে এবং ২১০০ সাল নাগাদ তা ১১০০ কোটিতে উন্নীত হতে পারে। জনসংখ্যার এই অত্যধিক বৃদ্ধির সহজাত কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু ও প্রজনন হার দুটোই বৃদ্ধি পাওয়া।

প্রত্যাশিত আয়ু ও প্রজনন হার একেবারেই কম ছিল শত সহস্র বছর আগে। প্রায় ১২ মিলিয়ন বছর আগে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ যা লন্ডন শহরের বর্তমান জনসংখ্যার অর্ধেক। এমনকি ১৮০০ সালে জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি যা বর্তমানে প্রায় আটগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ বছরের ব্যবধানে।

পৃথিবীতে কত মানুষের জন্ম হয়েছিল এই প্রশ্নের উত্তরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি তত্ত্ব গবেষণা করে যেটা জানা যায় তা থেকে বলা যায়, এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ কোটি মানুষের জন্ম হয়েছিল এই পৃথিবীর বুকে। বর্তমান থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে নয়টি দেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এ নয়টি দেশ পৃথিবীতে একত্রে প্রায় ১০০ কোটি অতিরিক্ত জনসংখ্যা যোগ করবে। এ দেশগুলো হলো- ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি থাকবে কেননা ভারতের জনসংখ্যা ২০২৭ সালে চীনের জনসংখ্যাকেও অতিক্রম করবে।

প্রত্যাশিত আয়ু বাড়ার কারণে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে তুলনামূলক বেশি ধনী ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে। কারণ, বিশ্বে বর্তমানে মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু ৭২ দশমিক ৬ বছর যা বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুর সমান এবং যা আবার গরিব দেশগুলোর মধ্যে ৬৫ বছর। ফলে ভবিষ্যতে বিশ্বে বয়স্ক (৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে) মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে প্রতি ১১ জনে একজন বয়স্ক লোক পাওয়া যায়, যা ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি ৬ জনে একজনে পরিণত হবে। ৮০ বছরের ওপরে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বর্তমানে যা আছে তা ২০৫০ সাল নাগাদ তিনগুণ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর নীতির বিপরীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উদার নীতিও গ্রহণ করেছে অনেক দেশ। যেসব দেশগুলো হলো মূলত যাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে- যেমন জাপান, ইতালি, পোল্যান্ড, কিউবা, গ্রিস, পর্তুগালসহ বহু এমন দেশ রয়েছে।

আবার এসব দেশের অধিকাংশ দেশ আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি বাড়াতে পারছে না। এক হিসাব মতে, জাপানের জনসংখ্যা বর্তমানে ১২ দশমিক ৭ কোটি হতে কমতে কমতে ৮ দশমিক ৩ কোটিতে দাঁড়াতে পারে ২১০০ সাল নাগাদ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সূত্রমতে—যে সকল দেশ বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, তাদের জনসংখ্যা এক সময় কমতে শুরু করবে।

বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন। আর বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬০.৬ মিলিয়ন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ ২০২২ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার। ২০১৮ সালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের জনসংখ্যা ২২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

বিশ্বের যেসব দেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে চীন অন্যতম। তারা কঠোরভাবে ‘এক সন্তান নীতি’ প্রয়োগ করেছে। কোনো নাগরিক তা না মানলে কঠোর শাস্তিরও বিধান রেখেছে। আবার অনেক দেশ বা অঞ্চল রয়েছে যারা চীনের মতো কঠোর পদক্ষেপ না নিয়েও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জন করেছে।

শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারতের কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়। এক্ষেত্রে তারা যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করেছে তার মধ্যে রয়েছে মানুষকে সুশিক্ষিত ও সচেতন করা, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা, শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারা, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং জন্মনিরোধ পদ্ধতিগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা।

আশার কথা হলো, সম্প্রতি বাংলাদেশ জনসংখ্যার বৃদ্ধি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমবেশি সফলতা অর্জনকারী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশে জনসংখ্যা এখনও একটি বড় সমস্যা। কেননা এখানে জনসংখ্যার ঘনত্বের হার সবচেয়ে বেশি।

এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে চারজন করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ বাস করে এশিয়া মহাদেশে। জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে ঘাটতিসমূহ আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বেকারত্ব, দারিদ্র্য; অপুষ্টি ও অশিক্ষার শিকার হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। আর বৈশ্বিক জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রকৃতি ও পরিবেশে নিত্যনতুন যুক্ত হচ্ছে অসংখ্য সমস্যা। বিশ্বে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে সে হারে খাদ্যের যোগান নেই।

অর্থাৎ, জনসংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে, আর খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে গাণিতিক হারে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ মারা যাচ্ছে খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিজনিত কারণে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ এ জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এছাড়া সুপেয় পানির অপ্রতুলতা, বাতাসের বিষাক্ততা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রাণিকুলের বিলুপ্তি, বাসস্থানের সমস্যা, ওজোন স্তরের ক্ষয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী ইত্যাদি বহু বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিশ্বকে। তার ওপর প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। আর এর মূলে রয়েছে এ জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

জনসংখ্যা বিষয়ক তত্ত্ব ম্যালথাস তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেলে বা অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে তখন প্রাকৃতিকভাবেই এর বিনাশ বা ধ্বংস হয়। আর এ প্রাকৃতিক বিনাশ ঘটে থাকে বিশ্বের বুকে কোনো মহামারী বা দুর্যোগের আগমনের মধ্য দিয়ে।

পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যুগে যুগে পৃথিবীবাসী অনেক মহামারী, দুর্যোগ দেখেছে। আর সেসব দুর্যোগ, মহামারীতে বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি মানুষ মরে গিয়ে পৃথিবীর সম্পদ ও জনসংখ্যার মাঝে ভারসাম্য রক্ষিত হয়েছে। যেমন—প্লেগ মহামারী। ১৩৪৬ সালে ইউরোপ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্লেগে সারা পৃথিবীতে মারা গিয়েছিল ২০ কোটি মানুষ। এ মহামারীর ভয়াবহতা এতই তীব্র ছিল যে, একে “ব্ল্যাক ডেথ বা কালো মৃত্যু” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার ফলে আমরা বিশ্বজুড়ে এখন সেই প্রাকৃতিক নিধনের বাস্তব প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।

করোনাভাইরাস নামক মহামারীর ছোবলে এখন পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোও এই বিধ্বংসী করোনাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না, বারবারই সেটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে ছোবল মারে। এটা প্রাকৃতিক নিধনেরই বাস্তব উদাহরণ। তাই পৃথিবীটাকে মানুষের বাসযোগ্য করে তুলতে হলে, দুর্যোগ-মহামারী থেকে বাঁচতে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট

সারাবাংলা/এজেডএস

ইমরান ইমন মহামারীর সঙ্গে জনসংখ্যার সম্পর্ক কেন মহামারী আসে?

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর