Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন

রফিকুল ইসলাম বিটু
১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর রাজনীতি নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যতই বিতর্কে নিয়ে আসুক না কেন কিন্তু তারা কি বলতে পারবে তিনি রাজনৈতিক জীবনে কোন ষড়যন্ত্র বা কুটিলতার আশ্রয় নিয়েছেন? না, অবশ্যই বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু সর্বদাই রাজনীতি করেছেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য। এই ধারা থেকে বিচ্যুত তিনি কখনও হননি। যত বাধাবিপত্তি এসেছিলো না কেন তিনি সততা আর যৌক্তিক দাবী নিয়েই আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। মিথ্যার কোন আশ্রয় বা কুটিলতা দিয়ে তা শাসকের বিরুদ্ধাচারণ করেননি। একদম সোজাসাপ্টা সরলপথে ন্যায্য দাবী বৈষম্যহীন দেশ বাঙালি জাতির মুক্তির বারতা নিয়ে। সরলপথে চলতে গেলে যে কোথাও কোথাও উঁচু নীচু হালকা বাঁকা সেটা তিনি ঠিক করেছিলেন কুশলী চিন্তা আর রাজনীতির দার্শনিক প্রজ্ঞা দিয়ে। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর একটি মিথ্যা বা কুটিলতার প্রমাণ বাঙালিদের সামনে প্রকাশ করতে পারেনি যা দিয়ে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারতো।

বিজ্ঞাপন

তৎকালীন কোনো শাসকই বঙ্গবন্ধু অসৎ, জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন বা তাদের উপর ভর করে তিনি নেতা হয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবন গড়ছেন এমন একটি কথা বা কোন দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেননি, বলতেও পারেননি। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো একটিই- বাঙালি জাতির মুক্তি।

বাংলার স্বাধীনতার যে লাল সূর্য পলাশী প্রান্তরের আম্রকাননে অস্তমিত হয়েছিলো, বাঙালি জাতির পরাধীনতার গ্লানি থেকেই শুধু নয় অধিকারহারা হয়ে সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত, শোষিত, নিপীড়িত হয়ে এক জনমদুঃখী জাতি হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলো বিশ্ব মানচিত্র ও দরবারে, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পরও ব্রিটিশ শাসিত সময়ের মত বাঙালি জাতির একই রকম ভাগ্যবরণ করতে হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর আজন্ম সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, বাংলার মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, বাঙালি জাতির মুক্তির কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌছানো পর্যন্ত কেবলই নয় শাহাদাত বরণের অন্তিম সময়েও সেটি অটুট ছিলো।

যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার পরের স্বল্পকালীন শানসামল দিয়ে বিতর্কে বেড়াজালে মাঝে মাঝে আবদ্ধ করতে চান, তারা স্বাধীনতার বিরোধী অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকারী। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন সেটি বাস্তবায়ন হলে এতোদিন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের পরিচয় লাভ করতো। দুর্মুখ জ্ঞানীরা যাই বলে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের অনিয়মের কথা সবই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির লেজুড়বৃত্তিতা।

আমার লেখাটা বঙ্গবন্ধু যে বিশাল রাজনৈতিক জীবন সেটি নিয়ে নয়,কারণ সেই বিশাল জ্ঞান আমার নেই। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে বলতে চাইছি, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির পরিক্রমায় একটি ভুলও করেননি। জীবনে কখনও মিথ্যার আশ্রয়, জাতির সাথে কোন ছলচাতুরী, মিথ্যা আশ্বাস বা প্রলোভন দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেননি বাস্তবধর্মী জীবন উপলব্ধি করানোর মধ্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এই জাতিকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন নিজের জীবনকে আত্মোৎসর্গ করে। এজন্যই বাঙালি জাতি দলমত নির্বিশেষে সকলেই হৃদয় থেকে ভালোবেসে পূর্ন সমর্থন করেছিল।

বিজ্ঞাপন

এই মহামানবের জন্যই আমরা বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই স্বাধীন বাংলাদেশে যারা বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করে তারা কখনই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা বংশ পরম্পরায় ব্রিটিশ বেনিয়া থেকে পাকিস্তানের দালাল ও প্রেতাত্মা। বঙ্গবন্ধু সততার পরাকাষ্ঠা এক মহামানব।

লেখক: প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

সারাবাংলা/এসবিডিই

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় মুক্তমত রফিকুল ইসলাম বিটু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর