আমাদের মাটি আছে মানুষ আছে
৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫২
টানা তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার সাংবিধানিক ভাবে তার মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও বিশ্বাস যোগ্য নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও তার সমর্থিত জোট এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নারাজ। এরা চায় নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এদিকে বর্তমান সাংবিধানিক বাস্তবতায় এটার সুযোগ নেই। সর্বশেষ বি এন পি মদদপুষ্ট লতিফুর, ইয়াজুদ্দিন ও সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন-এই তিনটি তত্ত্বাবধায়কের চরম বিতর্কিত ভুমিকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশ্বাসকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মুলতঃ সেই চিন্তা থেকেই বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি আইনগত কাঠামোর মধ্য দিয়ে বাতিল করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামিলীগ মহাজোট গঠনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। ২০১৪ সালে বি এন পি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রতিহত করে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। ২০১৮ সালে ৬ টি আসনে বি এন পি নির্বাচিত হয়েও নির্বাচনে আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে একতরফা ভোট অনুষ্ঠানের অভিযোগ ওঠায়। পরে জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দলে রেখে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে। তবে সরকার নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও আস্থাশীল করার লক্ষ্যে ছবি যুক্ত পরিমার্জিত ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ই ভি এম) এর সুবিধা প্রচলন করেছে যা সন্দেহাতীত ভাবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বটে। বলাবাহুল্য, দুটি নির্বাচন কোনো-কোনো মহলের কাছে বিতর্কিত হলেও সরকারের সামগ্রিক সময়-কালে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য সমগ্র বিশ্বের নজর কেড়েছে। উন্নয়নশীল দেশের জন্য বাংলাদেশ এখন বিষ্ময়কর রোলমডেল হিসাবে আই এম এফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জাতিসংঘের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। এরা এখন বাংলাদেশের ঘুড়ে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাতে চাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক সমস্যা- জঙ্গি দমনেও বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
করোনা সংকট মোকাবেলায়ও বাংলাদেশ যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতা, স্বামীপরিত্যক্তভাতা প্রদানসহ দেশের প্রান্তিক স্তরের মানুষের জীবন-মান এর উন্নয়ন কল্পে গৃহীত বহু প্রশংসনীয় পদক্ষেপে এসরকার দেশকে অভূতপূর্ব মর্যাদার উচ্চতায় নিতে সক্ষম হয়েছে যা এই স্বল্প পরিসরে বলে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বিরোধী দল কখনোই সরকারের এই দৃশ্যমান গণমুখী উন্নয়নকে স্বীকার করেনি, করেনা। উপরন্তু দেশের অগ্রায়নকে পশ্চাৎপদে ঠেলে দেয়ার জন্য সরকার বিরোধিতার নামে কার্যত দেশের বিরুদ্ধেই দীর্ঘকাল ধরে বিদেশিদের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে আসছে। উল্লেখ্য, ভূরাজনৈতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। এ অঞ্চলে আমেরিকা তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য দীর্ঘকাল ধরে মুখিয়ে আছে যা এখন ওপেন সিক্রেট। আমেরিকা তার স্বার্থে যেকোনো দেশকে করায়ত্বে আনতে সে যেকোনোরকম অপকৌশল করতে দ্বিধা করেনা- পৃথিবীতে এরকম বহু নজির আছে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, আফগানিস্তান সর্বশেষ পাকিস্তান তার জ্বাজল্য উদাহরণ। সমগ্র পৃথিবীতে আমেরিকা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ছবক দিয়ে বেড়ায় অথচ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের ক্ষেত্রে তার গণতন্ত্র-মানবাধিকার নির্বাক হয়ে যায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আমেরিকা ও তার দোসর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ সরব হয়ে উঠেছে। তাদের এহেন আহাজারিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন ৭১ এ পাকিস্তানের ঘৃণ্য বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে! জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এই আচরণ গভীর সন্দেহের উদ্রেক করে। যদি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথাই বলতে হয় তবে ‘৭১ এর পৈশাচিক গণহত্যাকে কেন তারা আজো আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার করেনা? ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম রাজনৈতিক হত্যাকে কেন তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেনা? উপরন্তু খুনিদের আশ্রয় দিয়ে আমেরিকা বাংলাদেশে কোন প্রহসনের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়? জিয়ার কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে বিচার রোধ কোন্ মানবাধিকারের সংজ্ঞায় পরে?
‘৭৫ পরবর্তী লোমহর্ষক জেল হত্যা, জিয়ার দ্বারা কথিত ক্যাংগারু কোর্টে নির্বিচারে শত-শত সেনা হত্যা, ২১ আগষ্ট ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলের কন্ঠ চিরতরে রোধ করতে খালেদা প্রশাসন কর্তৃক রাষ্ট্রীয় ভাবে গ্রেনেড মেরে হত্যাযজ্ঞ চালানো, তৎকালীন শতশত বিরোধীদলের নেতাকর্মী হত্যা, বর্বরতম সংখ্যা লঘু নির্যাতন, প্রকাশ্যে বিচারক হত্যা, সিরিজ বোমায় সমগ্র দেশকে প্রকম্পিত করে তোলা, একাধিক জনপ্রিয় সাংসদ হত্যা, প্রকাশ্যে সসস্ত্র জঙ্গি তৎপরতা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্রের চালান সহায়তার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করা, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা ইত্যাদি সংঘটিত বহু গর্হিত ইস্যুগুলোতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক বেদবাক্য কোথায় থাকে? সত্যিই যদি তারা এদেশের মঙ্গল চেতো তবে অবশ্যই এই এসকল গর্হিত ইস্যুগুলোতেও তারা ন্যায্যতার ভিত্তিতে চিন্তা করতো। কিন্তু তারা কখনোই এগুলোকে তাদের নিরপেক্ষ বিবেচনায় আনেনি। অর্থাৎ তাদের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মন্ত্র স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পক্ষপাতদুষ্ট স্বার্থের লোভনীয় অর্থে ও দাসত্বের ঘৃণ্য মনস্তত্ত্বে চর্চিত হয় যা বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ঘটনায় প্রমাণিত। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ যখন বিচিত্র প্রতিকূলতা পেরিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখন স্যাংশনের নামে তাদের একের পর এক হুমকি সাধারণ জনমনে এক ভয়ার্ত আতংক সৃষ্টি করে যাচ্ছে যা ‘৭২-‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর মহান নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার দেশি-বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্রের সেই ঘৃণ্য দূরভিসন্ধিকেই স্মরন করিয়ে দেয়! ইতোমধ্যে আমেরিকা বাংলাদেশে তাদের তথাকথিত গণতন্ত্র-মানবাধিকার নিশ্চয়নের নামে পূর্ব ঘোষিত ভিসানীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা প্রদান করেছে। এ নীতির আওতায় কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করলেও তারা বর্তমানের পাশাপাশি সাবেক প্রশাসনিক ও বিচারিক কর্তাদের কথা উল্লেখ করেছে। তারা দাবী করছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ করতেই তাদের এই কৌশল। প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে ঘিরেই যদি তাদের এই উদ্যোগ হয় তবে এখানে সাবেকদের জড়ানো হচ্ছে কেন? ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র ম্যাথ্যু মিলার ঘোষণা করেছেন যে, যে কেউ এই ভিসানীতির আওতায় আসতে পারে। এটা সাধারণের মধ্যে আরো আতংক সৃষ্টি করছে যা নির্বাচনকে ক্ষতি করার দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল বলে মনে হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত পোশাক শিল্প যার সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ভেজাল পোশাক রপ্তানীর অভিযোগ এনে সেখানকার বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ‘ইউ এস টি আর’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রশ্ন হলো, এটি প্রকাশে কেন এই নির্বাচনী সময়কে তারা বেছে নিল? এটিও সন্দেহের উদ্রেক জাগায়! বলাবাহুল্য, এর আগে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারীসহ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জি এস পি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানান যা ছিল সরকার বিরোধিতার নামে মূলতঃ দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডে চরম আঘাতের সামিল! ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারী বিখ্যাত ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকার এক নিবন্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তৎপরবর্তীতে, বাংলাদেশের জন্য জি এস পি সুবিধা বন্ধ হয়ে যায় এবং আজো তা ফিরে পায়নি। সন্দেহ জাগে যে, বর্তমানে সৃষ্ট আতংকজনক পরিস্থিতি বিএনপি ও যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ বিরোধী যুগপৎ ষড়যন্ত্রেরই কি কোনো কৌশল? লক্ষণীয় যে, ভিসানীতি কার্যকর ঘোষণার পরে বিএনপি ও তার জোট যথেষ্ট উৎফুল্ল। ফখরুল ভুঁইয়া সম্প্রতি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে, ভিসানীতি তাদের আন্দোলনকে বেগবান করেছে। বিএনপি জামায়াত বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিদেশী লবিস্ট নিয়োগ করেছে মর্মে অভিযোগ আছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অতিসম্প্রতি মিডিয়ায় ব্রিফিং শেষে জনৈক এক সাংবাদিক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা উচ্ছ্বাসের সাথে স্বীকার করেন। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর স্যাংশন আনায়নের অন্যতম পরামর্শক মার্কিন সিনেটর বব মেনেনডেজ সম্প্রতি ঘুষ গ্রহনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। এ ধরনের একজন নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যক্তির সুপারিশে কিভাবে একটি রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর উইং এ স্যাংশন জারী হতে পারে এবং তা কতটুকু বিবেচনা প্রসূত তা সচেতন মহলে একটি জ্বলন্ত প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনগণের শক্তিকে ধারণ না করে বিদেশী বেনিয়া শক্তির ওপর নির্ভর করে কখনোই বেশীদিন টিকে থাকা যায়না-এটাই ইতিহাসের চুড়ান্ত শিক্ষা। আজকে বিরোধীদল সরকার বিরোধিতার নামে যেভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মরণফাঁদ সৃষ্টি করেছে তাতে একদিন তাদেরকেও সেই ফাঁদে মরতে হবে, মরতে হয়- পলাশীর নির্মম ইতিহাস সেই শিক্ষাই দেয়। আজ বিএনপি’র ঐকান্তিক সহায়তায় আমেরিকা যে শকুন দৃষ্টি এদেশে নিবদ্ধ করেছে তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পরেও বিএনপি হারলে তা অগ্রহনযোগ্য ঘোষণা করে দেশকে অনিশ্চয়তার আঁধারে যৌথভাবে ঠেলে দিতে চাইবে মর্মে সচেতন মহলে সন্দেহ জাগছে। একমাত্র জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারে এহেন ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে। বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটি ও মানুষে বিশ্বাস করতেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামিলীগ আয়োজিত এক যৌথ মতবিনিময় সভায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী স্যাংশন পরোয়া করিনা মর্মে সুদৃঢ় মনোবল ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মাটি আছে ও মানুষ আছে; সেই মাটি ও মানুষ দিয়েই বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছিলেন।’ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের এই সংকটকালে তার অকৃত্রিম স্বদেশ প্রেমের এই মননশীল ও মহান দর্শনতাত্ত্বিক অভিব্যক্তি আমার হতাশার দু’চোখে হৃদয় বিগলিত আশার জল এনেছে! তিনি তার নীলকন্ঠী জীবনের ৭৭ তম কালের বাঁকে দাঁড়িয়ে যে ‘কালজয়ী দর্শন’ রচনা করে গেলেন, কালে-কালান্তরে তা বাংলার প্রজন্ম পরম্পরার জন্য স্বদেশ প্রেমের এক অবিনাশী পাথেয় হয়ে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে পথ দেখাবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বদেশ প্রেমের এই সৃষ্টিশীল দর্শনে আবিষ্ট হয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে একদিন পৃথিবীর বুকে সর্বোচ্চ গৌরবের জাতি হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করবে- বঙ্গবন্ধু কন্যার ৭৭ তম শুভজন্মদিনে সুবাসিত শুভেচ্ছাসহ এই হোক শুভপ্রত্যাশা।
লেখক: কলামিস্ট; তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১ যশোর
সারাবাংলা/এসবিডিই