ছোট্ট বাবুই শেখ রাসেল
১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৪৭
‘টুঙ্গিপাড়ার গাছের ডালে বাবুই পাখির বাসা দোলে
শত শত পাখির গানে, শেখ রাসেলের কথা বলে।
গাইছে ময়না-টিয়া-বুলবুল, খেলছে উঠোনে পায়রা দল
ছোটো শিশুটি রোজ খেলত ব্যাডমিন্টন আর ফুটবল’
ব্রিটিশ দার্শনিক ও সমাজকর্মী বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছিলেন, “সত্যবাদী হও, এমনকি যদি সত্যটি অপ্রীতিকর হয় তারপরও। কারণ সত্য প্রকাশ করার চেয়ে সত্য লুকিয়ে রাখার চেষ্টাটি আরো বেশি অপ্রীতিকর”। কত চমৎকার সত্য বচন বিশ্ববরেণ্য দার্শনিকের কথা শুনলে জলছবির মতো চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাবুই পাখির মতো আমাদের ছোট আদুরে শেখ রাসেলের ছবি।
জন্মকথা
শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালে ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাতা ফজিলতুননেছা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দি অবস্থায় বার্ট্রান্ড রাসেলের বই ছিল বঙ্গবন্ধুর নিত্যসঙ্গী। দার্শনিক ও সমাজকর্মী রাসেলের নাম অনুসারে নিজের পুত্রসন্তানের নাম রাখেন, শেখ রাসেল। পাঁচ ভাইবোনদের মধ্যে শেখ রাসেল ছিল সর্বকনিষ্ঠ।
শৈশব জীবন
শেখ রাসেল ছোটবেলা থেকে ছিল দুরন্ত। ছুটোছুটি করে ৩২ নম্বর বাড়িটি মাতিয়ে রাখত। মাথাভরতি ছিল কেশরাশি । যে কেশে হাত বুলিয়ে আদর করতেন বঙ্গবন্ধু। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাসেল তার বাবার বুকের ওপর শুয়ে থাকত। রাসেলের বয়স যখন দুই তখন থেকে সে, আব্বা আব্বা বলে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বেড়াত। বিশেষ করে যখন বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সে দেখতে পেত না। শেখ রাসেল ছিল ছোটোবেলা থেকে নাদুসনুদুস সবার আদরের। ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর বাড়ির সামনে ছোটো একটা লন ছিল। প্রকৃতির বিছিয়ে দেওয়া সবুজ চাদরের উপর পাটি বিছিয়ে দেওয়া হতো সে পাটিতে রাসেল খেলা করত। হাঁটিহাঁটি পা পা যখন করত সে হাটতে পারত না লনের পাশে একটা বাঁশ বেঁধে দেওয়া হলো যাতে সে বাঁশ ধরে হাঁটতে শিখে।
রাসেল যখন হাঁটতে শিখে, তখন তাকে সাইকেল কিনে দেওয়া হলো। তিন চাকার একটা সাইকেল ছিল শেখ রাসেলের। সাইকেল নিয়ে বাড়িতে ব্যস্ত থাকত ছোটো রাসেল। রাসেল পাশের বাড়ির আদিল ও ইমরানের সাথেও মাঝে খেলা করত। মপেট মোটর সাইকেল ছিল। একবার সাইকেল থেকে পড়ে পায়ে আঘাত লেগেছিল। বাড়িতে শেখ রাসেলকে রমা আর আলতাফ দেখাশুনা করত। রাসেলের প্রিয় ছিল কবুতর, বাইসাইকেল। স্বাধীনতা যুদ্ধেও পর যখন ৩২ নম্বর বাড়িতে উঠলেন বঙ্গবন্ধু রাসেল দেখল তার প্রিয় সাইকেলটি জং ও ধুলোয় ছেয়ে গেছে তা দেখে সে কান্না করল। রাসেল ছিল বেশ সাহসী। কালো পিঁপড়া দেখলে ধরতে যেত। একদিন বড়ো পিঁপড়া ধরতে গিয়ে কামড় খেল। এর পর থেকে পিঁপড়ে দেখলে ধরতে যেত না। সে পিঁপড়ার নাম দিয়েছিল ভুট্টো। কবুতরকে সে নিজ হাতে খাওয়ানোর চেষ্টা করত। কবুতরের পিছু পিছু হেঁটে কবুতর ধরতে চাইত। রাসেলদের একটা পোষা কুকুর ছিল ওর নাম ছিল টমি। রাসেল টমিকে নিয়েও খেলত। টমি ঘেউ ঘেউ করলে রাসেল বলত, টমি আমাকে বকা দিয়েছে। রাসেল টমিকে তার পছন্দের খাবার খেতে দিত। রাসেল ছিল খুব মিশুক প্রকৃতির। টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাড়িতে গেলে তার গ্রামের অনেক ছোটো ছোটো শিশু তার খেলার সাথি ছিল। গ্রামের ছেলেদের সাথে সে খেলনার ডামি বন্দুক নিয়ে খেলত। গ্রামের খেলার সাথিদেরকে সে খাবার কিনে দিত। জামাকাপড় উপহার দিত। শৈশব জীবন থেকে রাসেল ছিল বেশ প্রাণবন্ত ও বন্ধুবৎসল।
ইশকুল জীবন
শেখ রাসেলকে তার মা শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করে দিলেন। প্রথম দিকে ইশকুলে ভালো লাগত না। ধীরে ধীরে সহপাঠীদের পেয়ে ইশকুল প্রিয় হয়ে ওঠে। ইশকুল ব্যাগে বই পেনসিল, খাতা, টিফিন বাক্স। ইশকুলে বন্ধুদের সাথে ছুটি ফাঁকে দুষ্টুমি আর খেলাধুলো করে কেটে যেত। ইশকুল বন্ধ থাকলে, তার রেহানা আপা তাকে হাতের লেখা শেখায়। রাসেলের ফুপাতো ভাই আরিফ ছিল তার বন্ধু। খেলার সাথিদের মধ্যে আরো ছিল সুকান্ত, ভাগ্নে জয়ও তখন ছোটো ও আদুরে। জয়কে নিয়েও রাসেল খুব মজা করত। শেখ রাসেল “ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরির স্কুল কলেজ”এর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। রাসেল নিয়মিত ইশকুলে যেত। পড়ালেখায় বেশ ভালো ছিল। গীতালি নামে তার একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। রাসেল গীতালি টিচারকে আপা বলে ডাকত।
আদুরে রাসেল
রাসেল ছিল ধানমন্ডি ৩২ এর প্রাণ। ছোটো হওয়াতে সে ছিল পরিবারের সকলের আদুরে খোকা। রাসেলের জন্মদিনে খুব আনন্দ আর ঘটা করে পালন করত সবাই । রাসেলের হাসু আপা তাকে খুব আদর করতেন। জন্মদিনে হাসু আপা ছবির বই উপহার দেন, রেহানা আপা রাসেলকে দিলেন রং পেনসিল, কামাল ভাই দিলেন খেলার বল। জন্মদিনে রাসেলের মা জননী পায়েস রান্না করলেন, সবাই মিলে খেলেন সেই পায়েস। বাসায় আনন্দধারা বইয়ে যেত।। ছোট্ট রাসেল কবুতর পছন্দ করতো কিন্তু তাঁকে কেউ কখনো কবুতুরের মাংস খাওয়াতে পারেনি। কবুতরের মাংস খেতে দিলে সে কখনো খেতো না। শিশু রাসেলের কতো আবেগ শান্তির পায়রার প্রতি।
সে সময় কারাগারে বন্দি রাসেলের বাবা। মায়ের সঙ্গে রাসেল কারাগারে তার আব্বাকে দেখতে যেত। জেলখানার অপেক্ষমাণ রূমে অপেক্ষা করতে হতো। বঙ্গবন্ধু আসলে রাসেলকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতেন। কথা বলতেন, গল্প করতেন, হাসতেন। রাসেল তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে রাখত। বুকের সাথে লেগে থাকত। সময় যখন শেষ হয়ে আসত রাসেল তার বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইত না। রাসেল বঙ্গবন্ধুকে বলত, বাবা এটা কি তোমার বাড়ি আমি তোমার বাড়িতে থাকব। তোমার সঙ্গে খেলব, তোমাকে জড়িয়ে ঘুমাব, রাসেল জেলগেট থেকে আসতে চাইত না বাবার সাথে থাকার জন্য কান্না করত। রাসেলের বাবা বলতেন, “বাবা রাসেল দুষ্টুমি করবে না, মার কথা শুনবে। তোমাকে অনেক বড়ো হতে হবে বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো।” জেলখানার গেট থেকে যখন চলে আসত রাসেল বাবাকে হাত নেড়ে টা টা দিত। বাবাও হাত নাড়াতেন। পেছনে ফিরে বাবাকে বারবার দেখত। মায়ের সাথে ঘরে ফিরে বাবাকে খুঁজত। রাসেল দেখত মায়ের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে, রাসেল বলত মা মাগো মা তুমি কাঁদছ কেন? রাসেলকে তার মা বুঝতে দিত না। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত হলেন। আকাশে বাতাসে আনন্দের বন্যা বইতে লাগল। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেল ধানমন্ডির ৩২ । বঙ্গবন্ধুর গলায় ফুলের মালা। যখন ঘরে ফিরলেন, রাসেলকে দেখে হাত বাড়িয়ে টেনে কোলে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, গালে টুপ করে চুমু দিলেন। বাবা রাসেল কোথায় ছিলে তুমি তুমি তো সবার আগে আমার কাছে আসবে তুমি আমার আদুরে রাসেল। রাসেল বাবার গলা জড়িয়ে ধরে রাখল । ঘাড়ে মাথা রেখে বলেন, “বাবা তুমি কোথায় ছিলে এতদিন আবার ছেড়ে যাবে না তো।” রাসেলের বাবা বললেন, “না আমি আমার রাসেল বাবাকে ছেড়ে কোথাও যাব না।” রাসেলকে বাবা কবিতা শোনালেন, আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। রাসেল বাবার হাত ধরে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে মধুমতী নদী দেখে। নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। রাসেল তার বাবার কণ্ঠে কবিতা শুনতে চায়। বাবা আবৃত্তি করেন, “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।” ২৩ মার্চ বাংলাদেশে পতাকা ওড়ানো হলো। রাসেলও তার সাইকেল লাল সবুজের পতাকা লাগিয়ে নিল, গোলাকার বৃত্ত তার মধ্যে হলুদ রঙের মানচিত্র। রাস্তায় মানুষের মিছিল গেটের ভিতর থেকে চেয়ারে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু পতাকা তুললেন। সবাই জয় বাংলা জয় বাংলা বলে স্লোগান তুলল, রাসেলও তাঁদের সাথে গলা মিলিয়ে বলল, জয় বাংলা জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু খুশি হয়ে রাসেলকে কোলে তুলে আদর করে দু-হাতে জড়িয়ে ধরে রাখলেন।
রাসেলের স্বপ্ন
ছোটো শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার রেহানা আপুসহ সফর সঙ্গী হলেন। রাসেলে ছবি যেন আজও কথা বলে। রাসেল ছিল ছোটোবেলা থেকে খুব স্মার্ট তার পোশাক তাই বলে সে যখন জাপান সফরে গেল। রাসেল তার বাবার মতো প্রিন্স সুট পরিধান করত। সুটের সাথে রাসেল লং টাই ও বু টাই পরিধান করত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জাপান সফরের সেই ছবিগুলো আজও রাসেলের কথা বলে। ছোট্ট রাসেল কত স্মার্ট। রাসেলের ছোটোবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল সে বড়ো হয়ে আর্মি অফিসার হবে। কেউ জিগ্যেস করলে বড়ো হয়ে তুমি কী হবে। রাসেল বলত, আর্মি অফিসার হবে এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিবে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন থেকে তাঁর একটাই স্বপ্ন সে আর্মি অফিসার হবে। রাসেল তাঁর বাবাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করত।
যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শেখ রাসেলকে
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট রাতের শেষদিকে ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। মসজিদ থেকে একটু পরে আজানের ধ্বনি, হঠাৎ অনেক গুলির শব্দে রাসেলে ঘুম ভেঙে গেল সে তার মায়ের কাছে শুয়েছিল। রাসেল উঠে গেল কিন্তু মা বললেন, শুয়ে থাকতে। কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে রাসেলে মা উঠে গেলেন। রাসেলে বাবা তখন কোথায় যেন ফোনে কথা বলতে ছিলেন। রমাকে বললেন, রাসেলকে নিয়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে পাশের বাসায় যাও। যাওয়ার পথে সৈন্যরা ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলো। রাসেল মহিতুল ভাইকে জড়িয়ে ধরেছিল। মাঝখানে তার ছোটো সাইকেলটি উঁকি দিয়ে দেখল। হঠাৎ গুলির আওয়াজ কাঁদতে কাঁদতে রাসেল শক্ত করে রমাকে জড়িয়ে ধরল। লাফাতে লাফাতে কয়েকজন সৈন্য উল্লাস করে বলে সব শেষ। রাসেল তখন খুব ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে অঝোরে কাঁদছে। ওরা রাসেলের পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যা করল। রাসেল কাঁদতে কাঁদতে বলে আমি মায়ের কাছে যাব। হায়েনার দল হেসে বলল, চলো তোমাকে মায়ের কাছে নিয়ে যাই। কথা শুনে রাসেল যেন স্বস্তি ফিরে পেল। রাসেল দেখছে, নীচতলায় দরজার পাশে কামাল ভাই পড়ে আছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। রাসেলের বুক কাঁপছে। এক সৈন্য বলল, কি তুমি মায়ের কাছে যাবে না। এবার সিঁড়িতে দেখল লুঙ্গি পাঞ্জাবি পরা আব্বার বিশাল দেহটা পড়ে আছে। রক্তের সাগর বইছে সিঁড়িতে। চশমা পড়ে আছে পাশে। রাসেলের দু-চোখে অশ্রু বন্যা। সে দেখল পরিবারের সবাই রক্তমাখা শরীরে শুয়ে আছে। মা, বাবা, ভাই, ভাবি, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হেঁটে নিয়ে যাওয়ার সময় রাসেলের মনের কী অবস্থা ছিল কত আকুতি মিনতি আহা যাদের সান্নিধ্যে স্নেহ মায়া ভালোবাসায় আদরে হেসে খেলে বড়ো হয়েছে। তাঁদের নিথর দেহগুলো মেঝেতে রক্তমাখা। রাসেল অঝোরে কেঁদে এক সৈন্যকে বলেছিল, “আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমাকে মারবেন না। আমি ছোট্ট। আমাকে হাসু আপার কাছে পাঠিয়ে দিন।” যেন নীড় হারা ছোট্ট পাখিটি তার বোনের কাছে যাওয়ার জন্য কী আর্তনাদ। ছোট্ট বাবুই পাখির কণ্ঠটা হঠাৎ যেন থমকে গেল। সৈন্যটা হাসতে হাসতেই ধপাস ধপাস করে গুলি ছুড়ে সেই রাসেল নামক ছোট্ট বাবুই পাখিটাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। রাসেলের বাবুই মাথা ফেটে উড়ে গেল। শরীরে বৃষ্টির মতো অনেক বুলেট এসে পড়ল রাসেলের । রাসেলের নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। শেষনিঃশেষ ত্যাগ করার সময় রাসেল নিশ্চয় বিড়বিড় করে বলছিল, “মা তুমি বলো আমার কী দোষ ছিল, ওরা আমার আবদার রাখেনি মা! মা মাগো জানো ভয়ে মা! আমি খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলাম তবুও ওরা সেখান থেকে ধরে এনে তোমাদের মতো আমাকেও নির্মমভাবে মারল।” এ যেন পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ। চিরতরে শুয়ে পড়ল ছোট্ট রাসেল শরতের ঝরা শিউলি ফুলের মতো-
‘বাদ পড়েনি ছোট্ট রাসেল নির্মমতা থেকে
চমকে উঠি যখন দেখি রক্ত মিছিল চোখে।
নিরন্তর ভালোবাসা আজকের এই দিনে
বেহেশতের বাগিচায় ফুটে থেক তোমার জন্মদিনে’।
তথ্য ঋণ: “আমাদের ছোট রাসেল সোনা”- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং “রাসেলের গল্প”, বেবী মওদুদ
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই