দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় স্বতন্ত্র বোমা
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৮
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে দেশজুড়ে ততই বেড়ে চলেছে উত্তাপ-উৎকন্ঠার ঘনঘটা। আর বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষরাও অধীর আগ্রহে উন্মুখ হয়ে আছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকে ঘিরে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দুটি শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি লড়াই শুরু হয়েগেছে। নিজ নিজ দেশের পররাষ্ট্র দফতর ও দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করায় নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে শংকা তৈরী হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশের ওপর এরকম জোর কাটানো কোনোভাবে সমীচিন মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যতদিন না এই নির্বাচন শেষ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের সাধারণ মানুষ গভীর উদ্বেগকে ধারণ করে অজানা শংকার মধ্যে দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক বিধি নিষেধের ধুয়ো তুলে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে সাধারণ নাগরিকরা মনে করছেন। একটি স্বাধীন দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে এভাবে যখন তখন নাক গলানোকে তারা ভালো চোখে দেখছেন না। আবার অন্যদিকে একসময়ে সরকার পরিচালনাকারী বৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিসহ সমমনা পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী করে টানা অন্দোলনের অংশ হিসেবে হরতাল, অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে সরকারকে এক রকম ব্যাতিব্যস্ত করে রেখেছে বলে মনে করলেও সরকার তা নাকজ করে দিয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলের আহ্বানে আন্দোলনের নামে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি পোড়ালেও সেদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো নজর নেই বরং দ্বিগুন উৎসাহে সরকার ঘোষিত নির্বাচনী ট্রেন এগিয়ে চলেছে মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে। এটি প্রতিদিনের প্রেস ব্রিফিং অথবা সভা-সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা নির্ভয়ে বলে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাযায়, বর্তমান পর্যন্ত ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ এ। ইতিমধ্যে নিবন্ধিত ৩০ টির মত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে নির্বাচন কমিশনে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। বিএনপিসহ সমমনা বাকী দলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি। আওয়ামী লীগের সাথে ছোট ছোট শরীক দলগুলো একাত্মতা পোষণ করে বিগত নির্বাচনের মতো আসন ভাগাভাগিতে উঠে পরে লেগেছে। আশাকারি কয়েকদিনের মধ্যে শরীক দলগুলোর বিষয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নীতিনির্ধারণী কমিটি সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন। তবে বিগত নির্বাচনে যেভাবে শরীক দলগুলোকে সাদামাটাভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবার সেরকম নাও হতে পারে।
তবে সবচাইতে দুঃশ্চিন্তার বিষয় হলো নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত জড়িয়ে পড়ার খবর দেশের মানুষকে আতংকিত করে তুলেছে। দেশের ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২২৭ টি আসনে এ বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। অনেকে মনে করছেন এটি ভ্রাতৃঘাতের সামিল! সবচেয়ে বেশি সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র¿ প্রার্থীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদ্বয়ের কর্মি সমর্থকের মাঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে মারধর, ককটেল বোমা ফাটানো, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অঘটনার মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজ দল থেকে মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাছাই করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ক্ষেত্রে যে কৌশল বেছে নিয়েছে তা কতটুকু সফল হবে সময়ে বলে দেবে। আবার সফল হলেও কর্মি সমর্থকদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-বিরোধের ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে তা আগামীতে কতদূর পর্যন্ত গড়াবে ভাববার বিষয়। নির্বাচনে জনসমর্থন ও ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো এই চেষ্টা যদি সফল হয় তাহলে এটি হবে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন এবং অভিনব দৃষ্টান্ত।
তবে একথা ঠিক যে, আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তের ফলে অধিকাংশ আসনে নিজ দলের নেতাকর্মির মধ্যে মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত উস্কে দিয়েছে। প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের দল-উপদলের মধ্যে আধিপত্য কোন্দল থাকলেও উপরের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে আগে কেউ কখনো এরকম প্রকাশ্যে আসতে সাহস পেতো না। যারা বিরোধে জড়াতো পার্টির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। কিন্তু এবারের নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে উন্মুক্ত রাখায় অনেকের মনে সন্দেহের দানা বাঁধছে। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মিরা বলছেন এ যেন ভাইয়ে-ভাইয়ের মধ্যে তুমল সংঘাত, ঝগড়া-বিবাদ! ইতিমধ্যে দেশের অনেক স্থানে তাই হয়েছে। বিশেষ করে বিগত সময়ে যারা সাংসদ ছিলেন তাদেরকে যাতে কোনভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ সুযোগ দেওয়া না হয় তা চিন্তা করতে হবে। আমি একটি আসনের উদাহরণ দিতে চাই- যেমন পটিয়া থেকে তিন তিনবার নির্বাচিত সাংসদ শামশুল হক চৌধুরীকে স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে মাঠে নামিয়েছে। আবার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বিগত তিনটি নির্বাচনেই তারা দুজনকে দেখেছি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে। এবার হয়েগেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা দুজনের মধ্যে ইতিমধ্যে তিক্ততা শুরু হয়েগেছে। গন্ডগোল হয়েছে উভয়ের কর্মি সমর্থকদের মধ্যেও। শামশুল হক চৌধুরী তিনবার এমপি থাকার সুবাধে তিনি নির্বাচনী এলাকার আনাছে-কানাছে চষে বেড়িয়েছেন। এ কারণে তিনি তার ভীত শক্ত করে নিয়েছেন। নির্বাচনকে ঘিরে কোথায় কি করতে হবে তার নকদর্পনে। হ্যাঁ তাকে নিয়ে অনেক রটনাও আছে সেটি অন্য কথা। তার বিপরীতে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সেভাবে কাজ করার সুযোগ পায়নি। যা করেছে বিগত সময়ে এমপির পক্ষে হয়ে করেছিল। এজন্য শামশুল হক চৌধুরীর তুলনায় মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সেভাবে কর্মি সমর্থক তেমন একটা গড়ে তোলার সময় পায়নি। এখন দল যেহেতু মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনীত করেছে সেখানে দীর্ঘ তিনবারের একজন এমপিকে স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া অনেকে এটিকে শত্রুতামুলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। দেশের সবখানে এ জাতীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যার যার এলাকায় বোমা হিসেবে অবির্ভূত হয়ে নির্বাচনে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাবেক এমপি যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠ গরম করার খেলায় নেমেছেন সময় থাকতে সেইসব স্বতন্ত্র প্রার্থিদেরকে সড়িয়ে নেওয়া জরুরী। আর না হলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে তার খেসারত দিতে হবে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এ চিত্র শুধু এখন পটিয়ায় বিরাজমান। অন্য ১৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমনটি অবস্থান নেই। তার কারণ পটিয়া ব্যতীত অন্যকোন আসনে সাবেক সদ্য বিদায়ী এমপি’র সাথে নির্বাচনে জড়া–তে হচ্ছেনা নৌকা সমর্থীত প্রার্থীদের। তাই পটিয়াকে নিয়ে এখন চট্টগ্রামের সবার নজর। মিরসরাই, সীতাকুন্ড, সন্দীপ, ফটিকছড়ি, হাটাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম সদর ৯ আসন কোতোয়ালী-বাকলিয়া, চট্টগ্রাম ১০ ডবলমুরিং-আকবরশাহ আসন, চট্টগ্রাম ১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসন, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া, বাঁশখালী। মিরসরাই থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন ছিল শক্ত প্রার্থী তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তাকে কৌশলে সড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঠিক একই ভাবে সীতাকুন্ড থেকে নির্বাচিত সাবেক সদ্যবিদায়ী এমপি দিদারুল আলমও স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। হাটাজারী আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন একটা মাথা ব্যাথা নেই, তার কারণ বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে জোটগত ঐক্যের কারণে জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এবারও তার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও বা সে আসনে আওয়ামী লীগ আপাতত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালামের নাম ঘোষণা করেছে। এদিকে সন্দীপ, ফটিকছড়ি, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম সদর- ৯, চট্টগ্রাম- ১১, চন্দনাইশ, সাতকানিয়াতেও কোন শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তবে বাঁশখালী আসনে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা, শিল্পপতি সিআইপি মুজিবুর রহমান ও চট্টগ্রাম মহানগরের ডবলমুড়িং-আকবর শাহ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তিত্ব মঞ্জুরল আলম মঞ্জু দাঁড়ানোর ফলে নৌকার প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী, বিশিষ্ট শিল্পপতি সিআইপি এম এ মোতালেব সাহেবের যদি মনোয়ন বাতিল না হতো তাহলে নৌকা প্রার্থীর সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতো বলে সকলে আশা করেছিলেন সাধারণ ভোটাররা। এখন নৌকার প্রার্থী হয়েছেন সদ্যবিদায়ী এমপি আবু রেজা মুহম্মদ নদবীও অনেকটা খালি মাঠে গোল করার মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পটিয়া আসন ছাড়া অন্য আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীগুলোর অবস্থা নড়েবড়ে। তাই নৌকার প্রার্থীদের আপাতত টেনসনের কোন কারণ নেই। কিন্তু পটিয়ায় মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতায় লড়ছেন তারা ছিলেন একে অন্যের পরিপুরক। পটিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ একটি সিদ্ধান্তে আসা জরুরী। আর না হলে পটিয়ায় ভ্রাতৃ সংঘাত যে শুরু হবে আগামীতেও তা চলমান থাকবে মাঝখান থেকে ফায়দা নেবে অন্য রাজনীতিক দলগুলো।
যারা এই প্রথম আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক পেয়ে একেবারে তৃনমুল থেকে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন সেসব প্রার্থীদ্বয় এলাকায় জনপ্রিয় হলেও নির্বাচন প্রক্রিয়ার কৌশলে অনেকে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। তার কারণ বিগত সময়ে তাকে এমপির পিছনে সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তাই সংগত কারনেই দলীয় নৌকার প্রার্থী ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আগামীতে দ্বন্দ্ব-বিবাদ লেগে থাকবে। সেই সাথে লেগে থাকবে উভয়ের কর্মি-সমর্থকদের মধ্যেও। কেউ কাউকে ছাড়বে না। অচিরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রদের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে আগামীতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে চুড়ান্তরূপে ফাটল দেখা দেবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ সচেতন মহল মনে করেন। এবং একই সাথে নতুন প্রজন্মের কর্মি সমর্থকদের মধ্যেও যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে তা নিজ দলের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর হবে। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামীতে নতুন প্রজন্ম রাজনৈতিক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের অভিজ্ঞ দল, তারা চাইলে মুর্হুতের মধ্যে পটপরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিশেষকরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে দীর্ঘ বছর ধরে জড়িতরা মনে করেন মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে নতুন একটি দিক নির্দেশনা আসুক।
লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক
সারাবাংলা/এসবিডিই
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় স্বতন্ত্র বোমা বিপ্লব বড়ুয়া মুক্তমত