Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব জনগণের সত্যিকারের ভাগ্যের পরিবর্তন

আবু জাফর মিয়া
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫১

ব্রিটিশদের অত্যাচারে বাংলাদেশ যখন নিঃস্ব প্রায় এবং পাকিস্তানের দুঃশাসন ও শোষণে বাঙালি যখন দিশেহারা, বঙ্গবন্ধু তখন ত্রাতা হয়ে এসে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেন এবং এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে শক্তভাবে হাল ধরেন।

স্বাধীনতা অর্জনের পর তার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার। রাষ্ট্র ক্ষমতায় মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যদের হাতে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে থমকে যায় তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা।

বিজ্ঞাপন

তাই বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তারই সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ অনেক কিছুই পেয়েছে। ‘সোনার-বাংলা’ পুরোপুরি গড়তে আর বেশি দেরি নেই। তার সবটাই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে।
আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। যেহেতু যেকোনো সরকারের প্রথম লক্ষ্য দেশের জনগণের দুর্ভোগ দূর করা, তাই আমরা আওয়ামী লীগ সরকার শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে পাওয়া সফলতার উদাহরণ আগে আনবো।

২০০৬ সালের বিএনপি-জামাতের আমলে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলা ছিল শূন্যটি। যেখানে ২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২টি। ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলার সংখ্যাও বিএনপি-জামাতের আমলে ছিল শূন্যটি।

২০২৩ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৪টিতে। ২০০৬ সালের আগে ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ছিল শূন্য। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ৮ হাজার ৯৭২টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করে। বর্তমানে ২ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে যার যাত্রা শূন্য থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

দেশে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার সব সময়ই আলাদা এক গৌরব বহন করে। আর আমাদের এই গর্বের অংশীদার করতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫টি দেশীয় কোম্পানি মোবাইল ফোন উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ১০৯টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ সরকার।

বর্তমানে ৫ কোটি মানুষ ফ্যামিলি কার্ড ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে যার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই ৮৪ লক্ষ উপকারভোগী মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচী সুবিধা ভোগ করছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষকেরাই মানবেতর জীবনযাপন করে।

আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদেরকে নানা সুবিধা দেয়ার জন্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ কৃষককে কৃষি কার্ড প্রদান করেছে। ৮ কোটি ৫০ লক্ষ জনগণকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। ২৮ লক্ষ বর্গা চাষীদের কৃষিঋণ দেওয়া হয়েছে। এসবের কোন কিছুই আগে ছিল না।

আওয়ামী লীগ সরকার শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে এতদূর পর্যন্ত এসেছে। এমনকি বিদ্যুৎ খাতেও আওয়ামী লীগ সরকার অনেক বেশী সক্ষমতা লাভ করে।

এ সরকারের আমলে ২৮ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা অর্জন করে যেখানে ২০০৬ সালে ছিল এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। প্রায় ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা।

দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার যেখানে অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে প্রায় ৫ গুণ। স্বাস্থ্য খাত থেকে শুরু করে সকল খাতে আওয়ামী লীগের অবদান আশীর্বাদ স্বরূপ।

শূন্য থেকে শুরু করা অনেক খাতে আওয়ামী লীগ সফলতার সাথে পদচারণ করে চলেছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরও করবে। আওয়ামী লীগ সরকার তথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই সম্ভব হবে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’-এর বাস্তবায়ন।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি

সারাবাংলা/এসবিডিই

আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব জনগণের সত্যিকারের ভাগ্যের পরিবর্তন আবু জাফর মিয়া মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর