বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলার অঙ্গীকার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। ইস্পাত কঠিন সংকল্পে অটল থেকে হিমালয়সম বাধা-বিপত্তি, অত্যাচার, জেল-জুলুম, ফাঁসির বিপদ উপেক্ষা করেও শেখ মুজিব কোনো দিনও স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি। ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ বিতাড়নের পর থেকেই তিনি স্বাধীনতার ছক কষেছেন। সহযোদ্ধা ও আপামর জনগণের মাঝে উদ্দীপনা ছড়িয়েছেন এবং পাকিস্তান নামের অদ্ভুত আদর্শে লালিত কৃত্রিম দেশটিকে ঘায়েল করার অহিংস সমর কৌশল নির্ধারণ করে দীপ্ত শপথে বলীয়ান থাকেন। মাঝে মধ্যেই কৌশল পরিবর্তন করেছেন বটে, তবে মূল লক্ষ্য স্বাধীনতার পথ থেকে ২৪ বছরের আধা ঔপনিবেশিক বর্বর পাকিস্তানি অপশাসনে একবারের জন্যও মত পাল্টাননি।
সে পথে মায়ের ভাষার আন্দোলন; (অলি আহাদ বলেছেন, আগের রাতে মুজিব ভাই ঢাকায় এসে ফজলুল হক হলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব না দিলে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের হরতাল, পিকেটিং, মিছিল কিছুই হতো না), চুয়ান্নর ভূমিধস পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন (একুশ দফা প্রণয়নসহ), ১৯৫৫ সালে গণপরিষদে জোরালো বক্তব্য, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি লক্ষ করেছি আপনার লোকজন আমাদের পূর্ব পাকিস্তান বলে ডাকে। এটা কখনো সত্য হতে পারে না। আমরা পূর্ব বাংলা …’; ১৯৫৮ সালে সারা দেশে প্রতিশ্রুত সাধারণ নির্বাচন না দিয়ে সামরিক আইন জারি ও গ্রেফতারসহ শেখ মুজিবের ওপর অত্যাচারের খড়্গ চালানো; ১৯৬২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছে পত্র পাঠানো এবং ১৯৬৩ সালের মার্চে আগরতলা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র চন্দ্র সিনহার মারফত একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা ও লন্ডনে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হলে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা; [(১) এস.এ. করিম বিরচিত শেখ মুজিব-ট্রায়ামন অ্যান্ড ট্র্যাজেডি (২) শেখ মুজিবের একান্ত সুহৃদ ও আজীবন সংগ্রামের সাথী মোয়াজ্জম আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে নিবন্ধকারের আলোচনা]; ১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে স্বাধীনতার বিষয়ে আলোচনা; রাজনীতির বাইরে বুদ্ধিদীপ্ত দেশপ্রেমিকদের নিয়ে ‘নিউক্লিয়াস’ গঠনের দাবি (কাজী আরিফ আহমেদ ও রওশন জাহান সাথী বিরচিত ‘বাঙালির জাতিসত্তা’); ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের লাহোরে (পাঞ্জাবি শোষকদের রাজধানী) বাংলা ও বাঙালির মুক্তিসনদ এবং প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ইশতেহার ছয় দফা ঘোষণা; ১৯৬৮-৬৯-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসে অবলীলাক্রমে ‘নওজোয়ান, নওজোয়ান বিশ্বে জেগেছে নওজোয়ান’ কোরাস গাওয়া (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি সদ্য প্রয়াত কর্নেল শওকত আলীর কাছ থেকে নিবন্ধকারের পাওয়া তথ্য); ’৬৯-এর অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান—জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব—গগনবিদারী স্লোগান; প্যারোলে পিন্ডির আইয়ুব খানের আহূত গোলটেবিল বৈঠকে যোগদানের অস্বীকৃতি (বেগম মুজিবেরও সে রকম পরামর্শই ছিল, আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতাই প্যারোলে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন); আগরতলা মামলার বিচারকের কেন্দ্রীয় সার্কিট হাউজ থেকে চোরের বেশে সন্তর্পণে তেজগাঁও বিমানবন্দরে পলায়ন; স্বাধীনতা-মুক্তির দীপ্তশিখা বাঙালির হৃদস্পন্দন মুজিবের মুক্তি এবং কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত হওয়া; অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বাধীনতার দীপন হিসেবে সত্তরের নির্বাচনের প্রস্তুতি (এক ব্যক্তি এক ভোট নীতি গ্রহণ করে সেনাপতি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর কৃপালাভে সচেষ্ট ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার, এলএফওর মতো সম্মানহানিকর ব্যবস্থাধীনে নির্বাচনে যান—অবশ্যম্ভাবী বিজয়ের পর এলএফও এক ফুত্কারে উড়িয়ে দেবেন সেই আত্মবিশ্বাসে); ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কয়েক লাখ লোক (অনুমান ৫ থেকে ১৫ লাখ) প্রাণ হারালে বঙ্গবন্ধু তার কর্মী বাহিনী (আওয়ামী লীগের নেতা শুধু তিনিই, বাকি সবাই কর্মী হিসেবে কৃতার্থ) উপকূলীয় এলাকায় কয়েক দিন অবস্থান করে দুস্থদের পাশে দাঁড়ান ত্রাণসামগ্রী ও হৃদয়ের ভালোবাসাসহ; ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশের দুস্থ মানবতাকে তুচ্ছ করে তাদের আকাশ বেয়ে চীন চলে যান তার প্রভুদের যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দূতিয়ালি করতে; ইয়াহিয়া খানের গোয়েন্দাদের—সব গোয়েন্দার মতোই রাষ্ট্রপতি যা শুনতে চাইছিলেন সে ভাষায়, ‘শেখ মুজিব খুবই বড় নেতা, অনেক আসন পাবেন কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অন্য বড় নেতারাও দলেবলে নির্বাচিত হয়ে ৩০০ আসনের সংসদে পশ্চিম পাকিস্তানের ১৩১ জন সংসদ সদস্যের সঙ্গে মিলে ‘মিলঝিল কর হুকুমাত বানায়েঙ্গে শেখ মুজিবকো বাহার রাখকে’ আশ্বাস একেবারেই মিথ্যা প্রমাণিত করে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের পাকিস্তান গণপরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে সাতটি সংরক্ষিত নারী আসনসহ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন; গণতান্ত্রিক ন্যায়নীতির তোয়াক্কা না করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি; গণতান্ত্রিক নীতির পরিপন্থী করে ইয়াহিয়া খান তার আতাতের অংশী ৮৮ আসনে বিজয়ী সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর পরামর্শে ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রস্তাবিত তারিখের পরিবর্তে ১৯৭২ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানীর নিয়মিত ক্রমের ঢাকায় গণপরিষদের অধিবেশন ডাকা; পশ্চিম পাকিস্তানের কোনো সদস্য সেই অধিবেশনে যোগ দিলে তাকে গুঁড়িয়ে ও পুড়িয়ে দেয়ার হুমকির মুখে ১ মার্চ সে অধিবেশন স্থগিত করা (স্মরণে রাখা ভালো যে পশ্চিম পাকিস্তানের ৩৫ জন সদস্য ঢাকায় অধিবেশনে যোগ দিতে এরই মধ্যে ঢাকায় এসে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে আটজন সদস্য—সিন্ধুর আইয়ুব খুরো ও তালপুর, সীমান্তের ওয়ালী খান ও মাওলানা হাজারভি, বেলুচিস্তানের গওস বকশ বেজেঞ্জা, আতাউল্লা খান মোঙ্গল ও খায়ের বক্শ মারি এবং খোদ পাঞ্জাবের পিপলস পার্টির সদস্য আহমদ রাজা কাসুরী—শেখ মুজিবের ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধানের সমর্থন করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন); অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণায় বাংলাদেশে অগ্নস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি; অসহযোগ আন্দোলন; ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং তার অনুপস্থিতে কীভাবে স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ চলবে, তার সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান; সেই ভাষণে পুনরায় ডাকা সংসদে যোগদানের যে চারটি শর্ত বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তাতে এবং ছয় দফাভিত্তিক সংবিধানে বাংলাদেশ যে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়ে যেত, সে উপলব্ধি; দখলদার বাহিনীর পালের গোদা ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ১৭-২৪ মার্চ আলোচনার আড়ালে পাকিস্তানিদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগের যুদ্ধ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত পথের কৌশল নির্ধারণ এবং বর্বর বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগসহ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অগ্নি, হত্যা, লুণ্ঠন ও ধ্বংসলীলা শুরু করা এবং ২৫-২৬ মার্চের রাত ১২টা ১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করার সংবাদ কমবেশি সবারই জানা।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর নামে, আদর্শে এবং নির্দেশিত ছকেই সংগঠিত হয়। ১৯৭১ সালে ৪ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে দিল্লিতে ভারতের মহীয়সী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতে ছয় দফার ভিত্তিতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের যে স্বাধীনতা ঘোষণা করার সংবিধানসম্মত একমাত্র পথ ছিল, তা বোঝাতে সক্ষম হন। সেই থেকে কূটনৈতিক, নৈতিক, অস্ত্রাদি, প্রশিক্ষণ এবং এক কোটি দেশান্তরে বাধ্য মানুষকে আশ্রয়দান করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখে ভারত। এদিকে ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলায় নিবন্ধকারের বাড়ি থেকে তিন মাইল দক্ষিণ-পূর্বে তেলিয়াপাড়ায় সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম সভায় কর্নেল ওসমানী এমপি, লে. কর্নেল আব্দুর রব এমপি, মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, মেজর খালেদ মোশারফ প্রমুখের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় ১১টি সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ চালানোর দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রামের বীরগাথা লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং হচ্ছে। ২৫ মার্চের রাতে জাতীয়তাবাদী বঙ্গবন্ধু পালিয়ে যাননি, কারণ তিনি নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামে বিশ্বাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে চাননি, তাকে খোঁজার নাম করে বর্বর পাকিস্তানিদের অত্যাচারে জনগণ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা তিনি চাননি। এতে যে রাজনৈতিক হিসাব ছিল, তা হচ্ছে তাকে যদি কসাই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ফাঁসিকাষ্ঠে হত্যা করে ফেলেন, তাহলে বিশ্বনিন্দা ও সমর্থন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিশোধ স্পৃহায় বহুগুণে বেশি শক্তিতে স্বাধীনতা যুদ্ধ করার সম্ভাবনা তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। তবে ঝানু পোড় খাওয়া প্রত্যয়ী শেখ মুজিব নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন তার গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এত ন্যায়ভিত্তিক ছিল যে জাগ্রত বিশ্ববিবেক কিছুতেই তার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে দিত না। বাস্তবে হলোও তাই। অতঃপর আগুনের পরশমণি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্যকিরণে স্নাত হলো ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। সগৌরবে বীরের বেশে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেন, বাংলার মাটিকে সস্নেহে গভীর আবেগে শ্রদ্ধায় স্পর্শ করলেন আর রেসকোর্সের ময়দানে সর্ববৃহৎ জনসভায় ঘোষণা করলেন, ‘আমার কোনো অপূর্ণ সাধ নাই, দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমি মুক্ত স্বাধীন মানুষের কাছে ফিরে এসেছি ।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পার করেছে বাংলাদেশ, কিন্তু জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। মহার্ঘ্য আগামী স্বাধীনতা দিবসে ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রবিবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নতুন শপথ নিতে হবে কৃতজ্ঞ বাঙালী জাতির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্বাধীনতা দিবসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের কণ্ঠেই ধ্বনিত হউক সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা। কালরাতের আঁধার পেরিয়ে আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার ৫৩ বছর পূর্তির দিনটি বাঙালী জাতি হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই উদযাপন করতে হবে নানা অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে। আসুন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হই যা হবে সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও মক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত অন্য এক নূতন বাংলাদেশ।
লেখক: গবেষক ও অর্থনীতিবিদ
সারাবাংলা/এজেডএস