Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাইরালের ভাইরাস সারবে কিসে?

আনোয়ার হাকিম
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫

আজকাল প্রযুক্তির যুগ। গতকাল যা ছিল অকল্পনীয় আজ তা বাস্তব। একসময় কবুতরের পায়ে চিরকুট বেধে বা দূত পাঠিয়ে বার্তা আদান- প্রদান করা হত। এরপর গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে সেই কষ্টসাধ্য, শ্রম ক্লিষ্ট কাজটা সহজ করে দিলেন। এরপর সভ্যতা এগিয়েছে। বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। টরেটক্কা বা টেলিফোনেও নতুন প্রযুক্তি ভর করেছে। হাত ঘুরিয়ে সহজেই কথা বলার সহজ পন্থা আবিষ্কৃত হয়েছে। এত কিছু হওয়ার পরেও অনুসন্ধান, গবেষণা, আবিষ্কার থেমে থাকেনি। আরো পরে আংগুল ঘুরিয়ে, বাটন প্রেস করে বার্তা বিনিময়ের সিস্টেম নিয়ে এলো সাচ্ছন্দ্য। কালের চক্রে সেই টেলিফোন আজ শৃংখলা মুক্ত হয়ে মানুষের হাতে হাতে ভ্রাম্যমান তকমায় ঘুরে বেরোচ্ছে। শুধু এক বার্তা বিনিময়ের ক্ষেত্রেই সংঘটিত এত এত পরিবর্তন প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে করেছে সমাদৃত।

বিজ্ঞাপন

আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রেই এরূপ অসাধারণ সব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, হচ্ছে। আমরা আজ অতি আধুনিক এক বিজ্ঞান নির্ভর পৃথিবীতে বসবাস করছি। এর বেশিরভাগই আমাদের জীবনযাপন প্রণালীকে করেছে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও উন্নত। এর উল্টো চিত্রও রয়েছে অনেক। তবে আমাদের প্রয়োগ আর পছন্দ-অপছন্দের সাথে তা সম্পৃক্ত হওয়ায় এ নিয়ে বিজ্ঞানের দায়ভার নেই। চাকু হাতে ডাক্তার-কে পরম নির্ভরতার প্রতীক বলে মনে হয়। সেই একই চাকু গৃহিনীর হাতে রান্নাঘরের আবশ্যকীয় হাতিয়ার হিসেবে স্বাভাবিক ঠেকে। অথচ খুনীর হাতে তা ভয়ংকর হিসেবে আতংক ছড়ায়।

বিজ্ঞাপন

বলছিলাম প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আর তার প্রভাব আর আধিপত্য নিয়ে। জুকারবার্গ সাহেব ফেসবুক আবিষ্কার করে সারা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সন্দেহ নাই। এর মাধ্যমে আবাল-বৃদ্ধ- বণিতাকে তিনি আজ নেশাক্রান্ত করে রেখেছেন। কী নেই এতে? তথ্য, পরিসংখ্যান, চিত্র, স্মৃতি, বিনোদন, বন্ধুতা, প্রেম, সামাজিকতা, যোগাযোগ, পর্ণের অফ লাইন, অনলাইন সব কিছু রয়েছে এর ভেতর। আলাদীনের চেরাগে ঘষা দেওয়ার মত আংগুলের এক টোকাতেই চাহিদা অনুযায়ী সব যোগান আনলিমিটেড হয়ে যায়। একের পর এক মাধ্যম আবির্ভূত হচ্ছে দর্শক-গ্রাহকের সামনে। লাইভ প্রোগ্রাম, টিকটিক, রীল আরো কত কি? উদ্দেশ্য একেক জনের কাছে একেক রূপ। চোখ খোলা রাখলে যেমন চতুর্পাশের সব কিছু অটো ক্যাপচার হয়ে যায় তেমনি ফেসবুকের পর্দায় অষ্টপ্রহর আসা-যাওয়া করা এই সব কন্টেন্টও সহজেই দৃষ্টি আকর্ষক হিসেবে দ্রষ্টব্য হয়ে উঠে। উপেক্ষা করার মত মনের জোর বা রিপুর শাসন সব সময় যথেষ্ট থাকে না। ধর্মীয় দিকের কথা নাই বা বললাম। নীতি-নৈতিকতার দিক থেকেও বিষয়গুলো হজম করার মত উপযোগী না। বাস্তব জীবনে আমরা আমাদের ইচ্ছা, জীবিকা আর সামর্থ্যের কাছে প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছি। সুযোগের সমতার বিধিবদ্ধ ঘোষণা থাকলেও আত্মীয়করণ, দলীয়করণ আর গোষ্ঠী-প্রীতির কাছে প্রতিনিয়ত নিজেদের অসহায়ত্বকে ভীষণভাবে উপলব্ধি করছি। সরকারি সেবা নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা আছে কিন্তু প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর না। আমাদের সীমিত আয়ের সাথে বাজারের চোখ পাকানোর কোন সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সাধ আর সাধ্যের চিরায়ত দ্বন্দ্বের কষাঘাত উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এত এত পরাজয় আর পরাভবের বিপরীতে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবে বিনোদন আবশ্যক হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই, প্রাত্যহিক অসহায়ত্বের ঘানি লাঘবের জন্য মানুষ বিনোদনের সকল জানালা-দরোজা খুলে নেড়ে ঘেটে দেখে, শুনে। বিমর্ষ মন তখন বিনোদনকেই প্রাধান্য দেয়। নীতি-নৈতিকতা তখন সুদূর পরাহত হয়। মাত্রাজ্ঞান সাময়িক সময়ের জন্য বিরতিতে ঝিমোয়। আর এর ফাঁক গলেই খাদ্য-অখাদ্য সব ‘বিনোদন- বিচিত্রা’ জায়গা করে নেয়।

প্রযুক্তির সুবিধা কে না নিতে চায়? কিন্তু তা যদি হয় জীবন সংহারক তাহলেই বিপদ। ফেসবুকের সুবিধা অনেক, অসুবিধা অল্প। এই অল্প অসুবিধা থেকে খুব সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু সেরকম মনের উপর জোর খাটানো লোকেরই অভাব। বিনোদন আজ ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে কোনই সন্দেহ নেই। কিন্তু এর সীমা-পরিসীমা অবশ্যই থাকা দরকার। জুকারবার্গ সাহেব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে একে আবিষ্কার ও সম্প্রচার করেছেন। বিনিময়ে তার নাম, যশ আর অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে। মানি বিগেটস মানি’র সূত্র ধরে তার প্রচেষ্টা থাকবে ক্রমে ক্রমে এটাকে আরো বিস্তৃত ও উন্মুক্ত করা। বিনিময়ে ঘুমিয়ে থেকেও তার থলিতে প্রতি সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ ডলার জমা হবে এটা নিশ্চিত। দেশ-কাল-পাত্র ভেদে কার কত উন্নতি বা অধ:পাত হলো তা দেখার দায়িত্ব তার না।

যাহোক, এই প্রযুক্তিগত সুবিধা নিয়ে আজ সবাই ভাইরাল হওয়ার জন্য মজেছে। নিত্য নতুন আইটেম ক্রিয়েট করে সর্বসমক্ষে হাজির হতে যার পর নাই চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। কেউ হাসছে, কেউ কাঁদছে। কেউ সুগার ড্যাডি সেজে জনসমক্ষে হাজির হচ্ছে। কেউ সেলিব্রেটি তকমা সেঁটে বাণিজ্য করছে। কেউ কারো বিরুদ্ধে চোদ্দগুষ্টি তুলে গালিগালাজ করছে। পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ি চলছে। যেন বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে ছেড়ে দেবে না সূচাগ্র মেদিনী। রাস্তার ছিচকে চোরকে দিয়ে হাসির কন্টেন্ট বানিয়ে রীতিমত সেলিব্রেটি ভাইব দেওয়া হচ্ছে। ঘৃণিত অপরাধে অভিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কেউ পাবলিক প্লাটফর্মে এসে নিজের হৃত ইমেজ পুনরুদ্ধারে হয়ে পড়েছে ব্যস্ত সমস্তÍ। নায়িকা-গায়িকা, নায়ক-গায়করাও কম যান না। বলাচলে বইমেলায় এখন বইয়ের সাথে সার্কাস ফ্রি। সোজা করে বললে, সার্কাসের সাথে বই শুধুই শো। দ-প্রাপ্ত আসামীর সাথে মিলনে ধন্য হতে স্টার ক্রিকেটার থেকে শো-বীজের তারকারাও দেশ থেকে ছুটছে বিদেশে। দোকান উদ্বোধন আর প্রবাসের বাঙ্গালী স্টেজ কাঁপাতেও তাদেরকে এই প্রযুুক্তি নির্ভর হতে দেখা যাচ্ছে। পোষাকে আশাকে উগ্রতা ও সমজাতীয়তাকে প্রমোট করা হচ্ছে। সমকামীতা দুষণীয় নয় বরং অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। গ্রামীন কিশোরীরাও এখন কোরিয়ান না তরুন না তরুনী সমৃদ্ধ বিটিএস-এর টানে ঘর ছাড়া হচ্ছে। রাস্তার অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অতি দরিদ্র ব্যাক্তিরও এখন ধ্যান-জ্ঞান ভাইরাল হওয়া।

ভাইরাল জ্বরে কাঁপছে দেশ। কেউ কেউ ক্যামেরা আর মাইকের সামনে পরম তৃপ্তিতে ভাষা দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের নতুন নতুন ইতিহাস রচনা করছে। অতি গ্রাম্যতার দুর্গন্ধযুক্ত কন্টেন্টের ছড়াছড়ি সর্বত্র। সবারই আকাংখা ভাইরাল হওয়া। ভাইরাল হলে কী হবে? জানি না। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলে ডাক্তাররা জ্বরের কারণ উদঘাটনে নানা প্রকার টেস্ট দিয়ে থাকেন। জ্বর নিজে কোন রোগ নয়, রোগের লক্ষ্মণ মাত্র। তদ্রুপ এই ভাইরাল প্রবণ মানসিকতা একটি সামাজিক ব্যাধি। এর যথাযথ চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। কেননা, তা এখন করোনার চেয়েও শক্তিশালী ভাইরাস রূপে মারণঘাতী হয়ে দেখা দিয়েছে।

শিক্ষা তথা সুশিক্ষা এর উপযুক্ত দাওয়াই বলে বিবেচিত হতে পারে। মানসিক সুস্থতা, সুবোধ ও সুচিন্তা হতে পারে অতন্দ্রপ্রহরী। পারিবারিক, সামাজিক অনুশাসন হতে পারে এর ভিত্তি। সবাই যদি এভাবে গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে দিয়ে চলি তাহলে ভাইরালের মারাত্মক ভাইরাস আত্মঘাতী হতে সময় নেবে না। প্রশ্ন উঠতে পারে সবাই কেন ভাইরাল হতে এত মরিয়া? এর উত্তর সামাজিক গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিদগ্ধ জনেরাই ভালো বলতে পারবেন। মোটা দাগে বলা যায়, আমাদের সবারই মনে হিরো হওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা বাস করে। প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস-খাদ্য পেলে তা পত্র-পল্লবে বিকশিত হতে সময় নেয় না। আমাদের প্রাথমিক দীক্ষা ছিলো, লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। অথচ আজ তার উল্টো দীক্ষা অহরহ চাক্ষুষ হচ্ছে। সদা সত্য কথা বলার সামাজিক ও পারিবারিক শিক্ষা আজ অকার্যকর হয়ে দেখা দিয়েছে। বরং মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা, চাপাবাজি, চাটুকারিতা এখন তার স্থান দখল করে নিয়েছে। আমাদের দর্শন ছিলো দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। এখন আমরা কেউই আর হারতে চাই না। সবাই জিততে চাই। তাই ডিমান্ড-সাপ্লাই গ্যাপের কারণে দশে মিলে কিছু করলে তেমন মোক্ষ লাভ হয় না। তাই একলা চলো তালে আজ আমাদের পথচলা। এদেশে আজ অধিকাংশের পকেটে টাকা বাড়ন্ত , অনেকের ভোল্টে তা অফুরন্ত। আকাশে বাতাশে আজ টাকা উড়ন্ত। তার পিছু এখন সবাই ছুটন্ত। তাই, এখন কেউ আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে না। এতে অনেক হ্যাপা, অনেক কাঠখড়ের প্রয়োজন। এর চেয়ে শটকাটই ভালো। হোক না তা “আই এম জিপিএ ফাইভ বা আই এম তো অবাক” জাতীয় কিছু। কারণ আমাদের সামনে পড়ালেখা করে গাড়ী ঘোড়া চড়া লোকের সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে যাচ্ছে। বিপরীতে দাও মেরে, ফাও খেয়ে, টেন্ডারবাজী করে, ডিগবাজী দিয়ে, সরকারের পকেট কেটে, পাবলিকের অর্থ পাচার করে, দেশান্তরি হয়ে দিব্যি আছে এরকম বিপুল সংখ্যক লোকের সদম্ভ উপস্থিতি এখন সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত সত্য। যোগ্য লোকেরা এখন অযোগ্য, দলবাজ, পল্টিবাজ, মাসল শক্তির অনুগামী। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভুঁইফোড় ব্যাবসায়ীদের আধিক্য। বাজারের নিয়ন্ত্রক তারাই। তারাই আবার সুশাসনের কা-ারী। বুদ্ধিজীবিরা ঘুমের ছলে, তলে তলে নিয়ন্ত্রকদের অন্দর মহলের ভি আই পি। কেউ কেউ পদকের আর পদবীর ওয়েটিং লিস্টে চাটুকারিতার কম্পিটিশনে ব্যস্ত। তারা সারা বছর শীত নিদ্রায় থাকেন। মাঝে মধ্যে ঘুম থেকে জেগে উঠেন জাগতিক কারণে।

কোথাও কোন বাতিঘর নেই। সরকারি কর্তারা যা বলেন তার বেশিরভাগই চাক্ষুষ হয় না। যা দেখান তা যতটা না কাজের, তার চেয়ে অধিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। প্রভুর দৃষ্টিতে আসার জন্য অথবা স্ব স্থানে পুনর্বহাল থাকার জন্য। তাদের ফেসবুক জুড়েও একই ট্রেন্ড। সবচেয়ে বেশি অধ:পাতে গেছে মিডিয়া। জাতপাত জ্ঞান নেই। কাউকে ভাইরাল করে দিচ্ছে, কাউকে জিরো থেকে হিরো বানিয়ে দিচ্ছে, কাউকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আনছে। কোন টপিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত, কোনটা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে, কোনটা সমাজে নীতি-নৈতিকতায় নেগেটিভ আছর করবে তার প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। যোগ্য লোকের মানহানি আর অযোগ্যদের সনদ প্রদানের জোয়ার বইছে এখন। তাই আমাদের সামনে এখন আর করণীয়-বর্জণীয়র কোন লিস্ট নেই। কোনো ক্ষেত্রেই আদর্শ স্থানীয় বলে কেউ দেদীপ্যমান নেই। কোথাও কোন জোরালো আওয়াজ নেই সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে। এসব অসামঞ্জস্যতাকে তুলে ধরে হুইসেল ব্লোয়ারের কাজ করবেন এমন কেউ আজ আর সরব নেই। কেন নেই? পাবলিক সব জানে, সব বুঝে। তাই চলমান ঘটমান বাস্তবতার নিরিখে সবাই এখন শ্বাস ফেলতে বিনোদন হাতড়ে বেরাচ্ছে। আর এ সুযোগেই সার্কাসের আর বেলেল্লাপনার পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছে যতসব ভাইরাল কন্টেন্ট। জিরো থেকে রাতারাতি হিরো হতে আর কি লাগে? চলছে এরই খেলা। প্রযুক্তিকে বন্ধ করে লাভ নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা সম্ভবও নাা। তাহলে ভাইরালের এই ভাইরাস সারবে কিসে?

ভাইরাল প্রবনতা আজ এতটাই জেঁকে বসেছে যে তা এখন প্রাণঘাতী ভাইরাসে রূপান্তরিত হয়েছে। হয়ত এই বিধ্বংসী ভাইরাল ভাইরাস আরো কিছুকাল চালু থাকবে। হয়ত একটা প্রজন্মকে পংগু করে দিয়ে তবেই ক্ষান্ত হবে। আমরাও কালের সাক্ষী হয়ে যেন সব কিছু দেখতে থাকবো। আর মনে মনে আত্মনিমগ্ন হয়ে বলতে থাকবো, দেখি শালা কি করে? আসুন, এইসব ভাইরাল কন্টেন্ট প্রবণতার বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হই। ঘৃণা প্রক্ষিপ্ত করি। তাতে আর যাই হোক মানসিক যাতনা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে আর দায়ভার মুক্ত হওয়া যাবো। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

সারাবাংলা/এসবিডিই

আনোয়ার হাকিম ভাইরালের ভাইরাস সারবে কিসে? মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর