Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারী: ধর্মালয় শিক্ষালয় সর্বত্র লাঞ্চিত

বিপ্লব বড়ুয়া
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৪

বর্তমানে দেশে নারীর শ্লীলতাহানী, কেলেংকারী, উত্যক্ত, ধর্ষনের সংবাদ বাংলাদেশে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। দিনমজুর থেকে ধর্মগুরু, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কেউ বাদ নেই এই নগ্ন উদ্যমতায়। এবার সে তালিকায় যুক্ত হলো একুশে পদকপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির নামও। তাও আবার শিক্ষায় পদক পাওয়া ব্যক্তি। তিনি আবার বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু হিসেবে কাজ করেন। নৈতিকতা যে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে বুঝা দায়! ধর্মালয়ে গিয়ে যেখানে নারীরা নিগ্রহ, নিপীড়নের শিকার হয়, তাহলে কোথায় গিয়ে নারীরা নিজেদেরকে সুরক্ষা করবে? ধর্মালয় শিক্ষালয় থেকে শুরু করে সর্বত্র বাংলাদেশের নারী সমাজ এখন চরম আতংক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিশ্বব্যাপী যেখানে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুগপৎভাবে উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের সংবাদ পত্রে প্রতিদিন নারী নিপীড়নের চিত্র ভয়াবহ আঁকার ধারণ করছে। এটি কিসের আলামত! জাতি আর কত অপমান বয়ে বেড়াবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের উন্নত জীবনযাপন, শিক্ষা, ব্যবসা, চাকরি সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে নারীবান্ধব একটি শান্তিময় দেশ পরিচালনা করতে যেখানে বদ্ধপরিকর, সেখানে গনমাধ্যমের এ জাতিয় সংবাদ শিরোনাম দেখে আমরা প্রতিনিয়ত উৎকন্ঠায় বিপর্যস্ত হই যা কখনো সভ্য সমাজের জন্য সুখকর নয়।

বিজ্ঞাপন

নারীরা এখন ঘর থেকে বের হলেই যেন সমূহ বিপদ। এক বোঝা ভীতিকর আতংক মাথায় নিয়ে চলতে হয়। হাটবাজারে, রাস্তাঘাটে, অফিস-আদালতে, গাড়িতে, ধর্মালয়ে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি সেক্টরে আজ ইভটিজিংয়ের মাধ্যমে নারী সমাজ লাঞ্চিত, পদদলিত হচ্ছে। একসময় মনে করতাম শিক্ষালয় ও ধর্মালয় নামের প্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের জন্য নিরাপদ স্থান কিন্তু না, এখন ক্রমশঃ সেস্থান গুলো নারীদের জন্য অনিরাপদ হয়ে ওঠছে। অতকিছুর পরও জীবিকার তাগিদে নারীরা ঘর থেকে বের হয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে নারী সমাজ আর কতকাল নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করবে? উন্নত বিশ্বের দিকে দৃষ্টি দিলে সহজে অনুমেয় নারীরা কী পরিমান পরিবার-সমাজ-দেশের জন্য অবিরাম লড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা, মন্ত্রী পরিষদ, জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে বিগত ৩০ বছরের তুলনায় এখন নারীদের সর্বোচ্চ আধিক্য থাকলেও সমষ্টিক পর্যায়ে নারীদের জীবনমান এখনো যোজন যোজন দূরে। বিচারহীনতা এর জন্য বড়ো একটি দায় বলে অনেকে মনে করেন। নারীদের শ্লীলতাহানী, উত্ত্যক্ত, ধর্ষনের মতো ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামীরা কিছুদিন না যেতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে নারীদের প্রতি একশ্রেনির পাষ-রা নষ্টামী ভ-ামীর নগ্ন উন্মত্ততায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। ২০২৩ সালে ১১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটের ড. মো. নরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক। ছাত্রীকে তার নিজ কক্ষে নিয়ে গিয়ে যৌন করেন। জানা যায় এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত সময়েও অনেক শিক্ষার্থি যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনোরকম ব্যবস্থা করেনি বলে জানাযায়। ২০২৪ এর ১০ ফেব্রুয়ারির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। ময়মনসিংহ জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিনহাজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের এক শিক্ষার্থিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথায় ধরুন সেখানে একশ্রেণির ছাত্র নামধারীদের হাতে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পরিচিত এক দম্পতিকে কৌশলে ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে মোস্তাফিজ ও মামুন নামের ছাত্র লীগের নামধারী যুবক স্ত্রীকে নারকীয়ভাবে ধর্ষন করে। একই চিত্র দেশের সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. মাহবুবুল মতিনকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়। সেই শিক্ষক ১৩ জানুয়ারি ছাত্রীকে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানী করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। সিলেটের টিলাগড় এলাকায় বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজের সামনে থেকে তুলে নিয়ে বিগত ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। চট্টগ্রামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষন করে। চলতি বছর ১৫ এপ্রিল ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর মা মামলা দায়ের করলে শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রতিকার না পেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে ছাত্রীটি। গত ১৫ মার্চ ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ও কোনো রকম সুরক্ষা না পাওয়ায় শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও এক সহপার্টি আম্মান সিদ্দীকির নাম উল্লেখ করে তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন। কুমিল্লার নিজ বাড়িতে তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করে। অবন্তিকা এই দুইজনের হাতে দীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে নির্যাতন হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থিকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২১ মার্চ বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিস্কার ও অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ হালিমকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থি যৌন হয়রানীর শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনষ্টিটিউটের শিক্ষক ওয়াসেল বিন সাদাতের নিকট ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তক্রমে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে যৌন হয়রানীর শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের খোদ উপচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের হাতে। তার বিরুদ্ধে অজস্র দুর্নিতির অভিযোগ ওঠে।

নারীদের উৎপীড়নে এত নামের ভীড়ে যখন একজন ধর্মগুরু, শিক্ষক আবার শিক্ষায় একুশে পদকে ভূষিত কারো নাম অভিযোগে যুক্ত হতে দেখি তখন ভাবি আসলে আমরা কোন দেশে বাস করছি। প্রত্যেক ধর্মের কিছু কিছু গুরুর অনৈতিক কারণে আজ ধর্মচর্চার প্রতি এক ধরণের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু একজন একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ এরকম হবে কেন? খুব জানতে ইচ্ছে করে এই জাতিয় লোকগুলো আসলে মানুষের রক্ত বহন করে কিনা। গত ৮ মার্চ নারী দিবসের দিন চট্টগ্রামে এক বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারীর শ্লীলতাহানীর চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। যাকে অভিযুক্ত করা হয় তিনি হলেন ২০২৪ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের শিক্ষক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। একজন নারীর শাড়ি টেনে খুলে ফেলার এই বীভৎস চিত্র দেখে বলতে হয় মাতৃজাতির সুরক্ষা কোথায়? এই সংবাদ গত ৯ ই র্মাচ জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক কালবেলা প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সন, ইলেক্ট্রোনিক্স সংবাদ চ্যানেল ‘সময়’ টেলিভিশন, চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক আজাদী অনলাইন সংস্করণ ও একাধিক নিউজ পোট্রাল অনলাইন গনমাধ্যমে নারী নেত্রীর শ্লীলতাহানীর ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ফলাও করে প্রচারিত হয়। এতে দেখায়ায় নারী নেত্রীর শাড়ি ধরে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে তলপেটে আঘাত করে শাড়ি টেনে খুলে ফেলার দৃশ্য। ১০ ই মার্চ জিনবোধি ভিক্ষুর অনুসারীরা শ্লীলতাহানীকে মিথ্যা বানোয়াট উল্লেখ করে উল্টো তার ওপর হামলা হয়েছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে দোষিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে। ১১ ই মার্চ শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে নারী নেত্রী রেখা রানী বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা সংগঠন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। নারীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক জিনবোধি ভিক্ষুর কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেয়া একুশে পদক প্রত্যাহার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের শিক্ষক পদ থেকে বহিস্কারের দাবি তোলা হয়। এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলনে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেন তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগর ও গ্রামে একাধিক বিহার (মন্দির) দখলে রাখার জন্য এক ডজনেরও বেশি সংখ্যক মামলা চলমান আছে বলে তারা জানান। এছাড়া জায়গা ব্যবসা, বুদ্ধমূর্তি ব্যবসা, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত জঙ্গল সলিমপুরের ত্রাস সন্ত্রাসী আক্কাস বাহিনীর প্রধান আক্কাসের সাথে সখ্যতার ফিরিস্তি উত্থাপন করেন তারা। গত ১০ মার্চ রেখা রানী বড়ুয়া কর্তৃক জিনবোধি ভিক্ষুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে দায়ের কৃত মামলা থেকে জানায়ায় গত ৮ই মার্চ ছিল নারী দিবস এই দিন চট্টগ্রামে বিশিষ্ট নারী নেত্রী রেখা রানী বড়ুয়া বাসার সন্নিকটে শতাব্দী পুরনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে পুজা-প্রার্থনা করতে গেলে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। জানাযায়, নারীনেত্রী সেদিন নগর শ্রমিক লীগ আয়োজিত নারী দিবসের কর্মসূচী যোগদানের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিদিনের ন্যায় পুজা-প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন। নারী নেত্রী বলেন, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মে ভিক্ষুদের পরিহিত কাপড় সাধারণ পুরুষ গৃহীদের শরীর স্পর্শ করলে পাপ হয়, সেখানে আমার মতো একজন নারীর কাপড় টেনে খুলে ফেলার চেষ্টায় জনসমাজে আমি খুব বিব্রতবোধ করছি। ‘তোর বেইশ্যার কেতারে ফোরাম’ অর্থ খাড়াপ মহিলা বলে নোংরা ভাষায় গালাগালির শব্দ ভিডিও ফুটেজে শোনা যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে জিনবোধি ভিক্ষুর নাম উল্লেখ করে কথাটি এখন মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই ভিক্ষু সেদিন তাকে উল্টো হামলার অভিযোগ করে ফেসবুকে ভুয়া আওয়াজ তুললে তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামের বাইরে থেকে নিয়ে আসা কিছু যুবক ও বৌদ্ধ ভিক্ষু চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের গেইট ভেঙ্গে ল্যাপটপ, কম্পিউটার লুটপাট, আলমিরা, ভিক্ষুদের কক্ষ, অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর ও দলিল দস্তাবেজ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তালেবানি কায়দায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। যা বর্বরতার সামিল। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তদুপরি একজন ধর্মীয়গুরুর জীবনাচরণ যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কাদের কাছ থেকে সুশীল সমাজ আশা করবো, সাধারণের দুঃচিন্তার বিষয় নয় কী?

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৫৭৩ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তি হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৫ জন আর ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে ১২৯ জন। দেখুন কী যে ভয়াবহ অবস্থা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন প্রতিভাদীপ্ত নারী। মাতৃজাতি নারী সমাজের সার্বিকনিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সুরক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আরো বেশি সজাগ দৃষ্টি রাখবেন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক

সারাবাংলা/এসবিডিই

নারী: ধর্মালয় শিক্ষালয় সর্বত্র লাঞ্চিত বিপ্লব বড়ুয়া মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর