সর্প ব্যবসা ও গবেষণা: কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনাময় খাত
২৯ জুন ২০২৪ ১৮:৫৮
সর্প নিয়ে অনেক পৌরাণিক কাহিনি ইতিহাসের আদি পূর্বে উল্লিখিত আছে। সর্প পূজা, সর্প বন্দনা, সর্প লালন, সর্প চাষ, সর্প শিক্ষা, সর্প গবেষণা, সর্প ব্যবসা ইত্যাদি যুগে যুগে সময়ের আবর্তে অনেক রূপান্তর ঘটেছে সত্যি কিন্তু পালিত প্রাণী হিসাবে তার অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও সমাজব্যবস্থায় তুলনামূলক বিচারে এই বিষয়টি তেমন উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পারেনি যেমন শিক্ষায় কিংবা গবেষণায়। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাণী বিদ্যা বিভাগে অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে সর্পের শিক্ষা কিংবা গবেষণা পাঠ্যসূচিতে থাকলেও কোনো গবেষক সর্প নিয়ে গবেষণা করে স্নাতকোত্তর, এমফিল কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছে তেমনটি দেখা যায় না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী বিদ্যা বিভাগের সাবেক গবেষক ও রিয়াদ চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান সর্প নিয়ে অনেক গবেষণাধর্মী পুস্তিকা কিংবা প্রবন্ধ রচনা করলেও তার ফলাফলের ভিত্তিতে কতগুলো প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প কিংবা অ্যাকশন প্রোগ্রাম প্রণীত হয়েছে তা বলা যায় না কেবল উদ্যোগী গবেষক, কর্মসূচি সংগঠক ইত্যাদির অভাবের কারণে। অথচ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে, কর্ম সংস্থানে, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরিতে, বিনোদনের খোরাক জোগাতে, রপ্তানি বাণিজ্যে, চামড়ার পণ্য তৈরিতে, ওষুধ তৈরিতে, সর্পের অবদান কোনোভাবেই খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অ্যান্টি ভেইন তৈরিতে সাপের বিষের চাহিদা অতুলনীয় আবার গোবড়া সর্প থেকে পটাশিয়াম সাইওনাইট সংগ্রহ করে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সর্পের বিষের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে রয়েছে যা রেমিট্যান্স অর্জনের একটি বড় বাহক হতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষত জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্প মাংস ও সর্প ডিম সুস্বাদু পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে খাদ্যতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এতসব গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও সর্প আতঙ্ক ও সর্প নিধন যেন আমাদের জীবনে এমন শিকড় গেড়ে বসেছে যে সর্প দেখলেই আতঙ্ক আর নিধন ছাড়া মনে হয় তা আর সমাপ্তি ঘটবে না; কিন্তু এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো তার একটি আর্থ-সামাজিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন। অন্যান্য গৃহপালিত পশুর মতো সর্পকে পোষার অনেক প্রক্রিয়া এই উপমহাদেশে বিশেষত পাহাড়, জঙ্গলবেষ্টিত অঞ্চলগুলোতে রয়েছে। যেমন- কোনোকে সাপুড়ে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কৌশলগত দিক নিয়ে তখন সে বলবে আমি ভারতের আসাম রাজ্যের কামরূপ জেলা থেকে সর্প বিদ্যায় প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি অর্থাৎ সর্ব বিদ্যা যে একটি পাঠ্যসূচির বিষয় এখান থেকে তা অনুমান করা যায়। সে যাই হোক না কেন বাংলাদেশে বর্তমানে বর্ষাকাল কেবল আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থাৎ বর্ষাকাল এখন আগের চেয়ে বেশি বিস্তৃত এবং এই সময়টিতে সর্প লোকালয়ের দিকে মানুষের বাড়ি কিংবা গাছে আশ্রয় নেয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই কর্মকাণ্ডগুলোকে কেবল সাপুড়ে কিংবা ওঝা কিংবা বেদেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তবে এই লাভজনক পেশায় অনেকেই সর্প খামার নির্মাণে এগিয়ে আসবে বলে প্রতীয়মান। তা হলে ব্যবসায়ের উপাদান হিসেবে এই প্রাণীটির বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা কি তা নিয়ে আলোকপাত করা যাক-
আইইউসিএন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ বন্যপ্রাণী হুমকির সম্মুখীন বিশেষত- মানুষ সৃষ্ট সর্পের বাসস্থান বনভূমি ঝোপঝাড় ধ্বংসের কারণে। বাংলাদেশে প্রাণী গবেষক আব্দুর রাজ্জাকের মতে দেশে প্রায় ৯০ প্রজাতির সাপের মধ্যে ২৭ প্রজাতি বিষাক্ত যার মধ্যে ১৩টি সমুদ্রে বসবাস করে, বাকিগুলো স্থলে যাদের বেশির ভাগের অবস্থান সিলেট-চট্টগ্রামের গভীর বন-জঙ্গলে। সর্প দেখলেই আতঙ্ক তাকে মারতে হবে এ ধরনের একটি মতবাদ বংশ পরাক্রমায় বহন করা হচ্ছে অথচ বিজ্ঞান বলছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে, খাদ্যশৃঙ্খল অটুট রাখতে, ইঁদুর, কীট-পতঙ্গ, পোকা-মাকড় ইত্যাদি বিনষ্ট করতে সর্পের ভূমিকার জুড়ি নেই। প্রকৃতিতে খাবারের প্রয়োজনে ও প্রজননের সুবিধার্থে সর্প লোকালয়ে চলে আসে আর এমনিতেই মানুষ সর্প দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মেরে ফেলে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চারশরও বেশি গোখরা সর্প নিধন করা হয়েছে যা দেশের অর্থনীতি তথা প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে একটি বড় আঘাত। অথচ এ নিবারণে দেশে কোনো আইন নেই, সাপ উদ্ধারকারী দক্ষ কোনো লোক নেই, উদ্ধার করলেও তার দায়ভার কেউ নিতে চায় না। এ ধরনের একটা পরিস্থিতিতে দক্ষ সাপুড়ে তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ তার সঙ্গে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। দেশে দক্ষ সাপুড়ের সংখ্যা কত তা নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে নেই যা প্রয়োজনমাফিক ব্যবহার করা যাবে অর্থাৎ বংশানুক্রমে পাওয়া সাপুড়ে বিদ্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যে সনাতনী দক্ষতা রয়েছে এবং তার সঙ্গে যদি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যোগ করা যায় তা হলে এটি একটি উন্নত ব্যবস্থা হতে পারে; কিন্তু বাদ সাধে আমাদের সমাজব্যবস্থা, সাপুড়ের ছেলেমেয়েরা এখন আর সাপুড়ে হতে চায় না কারণ এ কাজের শৈল্পিক কোনো অর্থনৈতিক মর্যাদা নেই অথচা ব্যবসায়িক উৎপাদন হিসেবে এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা এখন সময়ের দাবি। একজন সাপুড়েকে প্রশ্ন করা হয় সর্প শিকারের কৌশল সম্পর্কে এবং অনায়াসেই সে বলে ফেলতে শুরু করে যে মাটির গন্ধ থেকে বোঝা যায় এলাকায় সর্পের অবস্থান আছে কি নেই। যদি বিষয়টি ইতিবাচক হয় তবে মন্ত্রের মাধ্যমে সর্পকে গর্তের ভেতর থেকে বের করা সম্ভব হয়। এখন প্রশ্ন- এভাবে সর্প ধরে কি হবে, এসব সর্পের সংগঠিত বাজার কি? কে বা কারা এর দায়ভার নেবে? এই বিষয়গুলো এখনো অস্পষ্ট অথচ কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাপুড়ের কাছ থেকে সর্পের মহামূল্যবান বিষ কিংবা চামড়া কিনে বিদেশে পাচার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে যা হঠাৎ খবরের কাগজে পাওয়া যায়। তাহলে সরকার সর্পের বাজারকে উন্মুক্ত করছে না কেন? কেন সর্প খামার প্রতিষ্ঠায় প্রণোদনাসহ লাইসেন্স প্রদানে আগ্রহী নয়?
সরকারি মালিকানাধীন কোনো সর্পের খামার আছে বলে আমার জানা নেই যা অবিলম্বে প্রকাশ করা উচিত। তবে বেসরকারি উদ্যোগে সর্পের খামারের দু-একটির খবর পাওয়া যায়- যেগুলো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে খুব ভালো করে উঠতে পারছে না। এরকমই একজন উদ্যোক্তা পটুয়াখালীর সদর উপজেলার নন্দীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি আব্দুর রাজ্জাক যিনি বেশ কয়েক বছর বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করেন। সেই সুবাদে বণ্যপ্রাণীর প্রতিকার তার আগ্রহ প্রবল হয়ে ওঠে যার বহির্প্রকাশ ঘটে ২০০১ সালে। সৌদি আরব থেকে ফিরে আসার পর স্বীয় বাড়িতে সর্প খামার প্রতিষ্ঠার একটি পরিকল্পনা করেন যা বাস্তবায়িত হয় ২০০৯ সালে। এই উদ্যোক্তা ২৫ লাখ টাকার নিজস্ব তহবিল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নমুনার ১৫০টি সর্প সংগ্রহ করে খামার শুরু করে। বর্তমানে সর্প ডিমের তা দিয়ে আরও ১৫০টির নতুন বাচ্চা খামারে সংযোজিত হয়। সরকারের প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত খামারটির প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয় ২০০৮ সালে। আবার সর্পের বিষ ব্যবসায়িকভাবে বিক্রির জন্য ২০১১ সালে সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয় যা এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। যদি অনুমোদন মেলে তা হলে ১৫০টি পরিপক্ব সর্প থেকে বিষ আহরণ করে প্রতি মাসে সাত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এরইমধ্যে অনেক ওষুধ কোম্পানি সর্পের বিষ ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে যা অল্প বিনিয়োগে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এই খামারে মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিজীবীর সংখ্যা আট এবং সরকার যদি প্রশিক্ষণসহ বিনিয়োগ সহায়তা দিতে পারে তাহলে এই লাভজনক ব্যবসায় অনেক উদ্যোক্তা আগ্রহ দেখাবে। সরকার সর্প খামার আইন প্রণয়ন করতে পারে এই শিল্পের মানোন্নয়নের জন্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষত ভারত, চীন, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সর্প খামারকে একটি লাভজনক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই সব দেশের সফল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এই শিল্পকে উজ্জীবিত করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কৃষির উপখাত হিসেবে এই খাতটি তুলনামূলক বিচারে অনেক পশ্চাৎপদ যা বর্তমান বছরের বাজেট প্রস্তাবনা থেকেই বোঝা যায় যা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মিলে উন্নয়ন বাজেট মাত্র এক হাজার পনেরো কোটি টাকা যার বেশির ভাগ প্রাণীর খাদ্য ও ভ্যাকসিন আমদানিতে ব্যয়িত হবে। তাহলে প্রাণীর খামার উন্নয়ন বা আধুনিক খামার স্থাপন বিশেষত সর্পকে ঘিরে সে অর্থ কোথায়? প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন একটি এনজিও যারা প্রকৃতির প্রাণিজগৎ নিয়ে আকর্ষণীয় সংবাদ প্রচার করে যার মধ্যে সর্প একটি উল্লেখযোগ্য দিক এবং এই প্রচার মাধ্যমে কেবল তাদের ক্ষয়িষ্ণু বিলুপ্তির দিকগুলো তুলে ধরে। অথচ এটিকে হৃদয়ে মাটি ও মানুষের মতো একটি উদ্বুদ্ধমূলক অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করা যায় যেখানে প্রাণী উদ্যোক্তারা আরও খামারমুখী হবে এবং ব্যাংকিং খাত বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে; কিন্তু সমস্যা হলো প্রকল্প তৈরি নিয়ে কারণ বাংলাদেশে সর্প বিশেষজ্ঞের যথেষ্ট অভাব রয়ে গেছে যারা সর্পের স্বভাব প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে সর্প সরীসৃপজাতীয় নিরীহ প্রাণী যারা বুকে ভর দিয়ে হাটে এবং বনের লতাপাতা, পোকা-মাকড়, ব্যাঙ, ইঁদুর ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। গবেষকরা বলেন একটি সর্প যে শক্তির সঞ্চার করে তা পাঁচটি মানুষের শক্তির সমান। এই প্রাণীটি কোনোভাবে বিরক্ত না হলে তারা মানুষ কিংবা অন্য প্রাণীকে আক্রমণ করে না।
তা হলে সর্প দেখে আতঙ্কের কারণ কি যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এবং একেবারেই অনমূলক। বাংলাদেশে ৯০ প্রজাতির সর্পের পদচারণ থাকলেও কয়েক দশকে এগুলোর কোনো তথ্য নথিভুক্ত হয়নি। সাধারণভাবে যেসব সর্প সচরাচর দেখা যায় সেগুলো হলো ধোড়া, ঘরগীনি, কুপলী, মাচ্চা, দুধরাজ, ফনীমনসা অজগর, শামুখখোর ইত্যাদি। আবার বিষধর সর্পের মধ্যে গোখরা, পদ্ম গোখরা, শঙ্কিনী, কালনাগিনী, আলদ ইত্যাদি অন্যতম। এর বাইরেও অনেক সর্প োকতে পারে; কিন্তু প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কিংবা অন্য কোনো দাতা সংস্থা কর্তৃক অর্থায়িত কোনো বেসরকারি সংগঠন সারা দেশে সর্পের ওপর জরিপ চালিয়েছে তার কোনো নজির জানা নেই অথচ কোনো প্রকার প্রকল্প গ্রহণ করতে গেলেই এ ধরনের ফলাফল অপরিহার্য। বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাণী গবেষক ড. খান সর্পের ওপর অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্পন্ন করলেও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সর্পের অবস্থান নিয়ে কোনো গবেষণা প্রতিবেদন চোখে পড়ে না। তাই বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সামনে আগাতে হবে আর অহেতুক সর্প নিধন নয়, তাকে মানবিকতার বিচারে মেনে নিতে হবে এই হোক জাতির কাছে প্রত্যাশা।
লেখক: গবেষক ও সাবেক ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি
সারাবাংলা/এজেডএস
ড. মিহির কুমার রায় সর্প ব্যবসা ও গবেষণা: কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনাময় খাত