Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্তমান বিশ্ব ও রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা

আসহাবে কাহাফ
১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৩৮

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তথা তরুণ প্রজন্ম কোটা সংস্কার করতে গিয়ে পতন ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের; যারা টানা ১৫ বছর ক্ষমতার মসনদে ছিলো। এমতাবস্থায়, যে রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী সরকার তৈরি করে গেছে, সে রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। তবে এ কথা সত্য যে, তাদের এ রাষ্ট্র সংস্কারের বিক্ষিপ্ত চিন্তাভাবনা কতটুকু সফল হবে, আলোর মুখ দেখবে; সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। কিন্তু, এ আধুনিক যুগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ পোষণের সুযোগ নেই। এহেন পরিস্থিতি রাষ্ট্রের কোথায় কোথায় সংস্কার জরুরি এবং কীভাবে তা করা যায়, তার একটা রূপরেখা দাড় করানোর জন্য ব্যর্থ প্রচেষ্টা করব। তরুণদের এ রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব নিতে হবে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তীতে সরকারে যারা আসবে তাদেরসহ, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণকে। কারণ, যে রাষ্ট্রে স্বাধীনতা তিপ্পান্ন বছর পরে এসেও স্বাধীনতার স্বাদ পেতে রক্তা ঝরাতে হয়, সে রাষ্ট্র এক বছরে কিংবা একটা সরকারের মেয়াদে চাইলেও সংস্কার পুরোপুরি সম্ভব না। কারণ, যখন আমরা হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বলছি, তখন আমাদেরকেও এটা মনে রাখতে হবে; প্রতিটি জন্মই প্রমাণ করে, মানুষ জন্ম থেকেই স্বৈরাচার। দুর্বলের উপর সবলের এ স্বৈরচারিতা প্রতিফলিত হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে এবং যে যত বেশি ক্ষমতার স্বাদ পায়, তার স্বৈরচারিতা তত বেশি বৃদ্ধি পায়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস একজন বিশ্ব নন্দিত ব্যক্তি এবং বৈশ্বিক বিষয় সম্যক জ্ঞানের অধিকারী। তিনি যেমন দেশে দেশে ঘুরেছেন একই সাথে সেসব দেশের রাজনীতি অর্থনীতি সমাজনীতি শিক্ষানীতি যুদ্ধনীতিসহ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পলিসি বিষয়েও তার যথেষ্ট অনুধাবন এবং পর্যবেক্ষণ আছে বলে মনে করি। এছাড়াও অন্যান্য উপদেষ্টামন্ডলী ও যথেষ্ট বিচক্ষণ এবং সুদক্ষ। এমতাবস্থায়, রাষ্ট্র সংস্কারের সুত্রপাত তাদেরকেই করতে হবে এবং তা এখনই। সংস্কারের প্রশ্ন যদি আসে, প্রথমেই বলতে হয়, কোন জায়গা থেকে এটা শুরু করা যায়? সেটার উত্তরে বলতে হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১৫ (ক,গ ও ঘ) ধারা অনুযায়ী—অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, চিত্তবিনোদন এবং সামাজিক নিরাপত্তা—এই সাতটি চাহিদাকে মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে, রাষ্ট্রকে সর্বাগ্রে জনগণের এসব চাহিদা পূরণ করতে হবে। যেহেতু সংস্কারের কথা বলতে গেলে, এসব চাহিদার কথা আগে আসে, সেক্ষেত্রে এসব জায়গায় সংস্কার সবার আগে করতে হবে। অন্ন যেহেতু মৌলিক চাহিদার গুলো অন্যতম একটি, সেক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রথমেই নজর দিতে হবে, দেশের কৃষি ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে। এক্ষেত্রে আমরা নজর দিতে পারি, বিশ্বে খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী হিসেবে এক নাম্বারে অবস্থিত চীনের দিকে। তারা কীভাবে চাষাবাদ করে, কৃষকদের সুযোগ সুবিধা দেয়, কীভাবে খাদ্য উৎপাদনে বীজ এবং অন্যান্য বিষয়ে ভর্তুকি দেয়। সংরক্ষণ করে, দাম নির্ধারণ করে। কারণ, কথায় আছে, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। অথচ, আমাদের দেশে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দিকে সরকারিভাবে যে সুযোগ সুবিধা, প্রশিক্ষণ ভর্তুকি দেয় তা একেবারে অপ্রতুল। এছাড়াও মজুমদার এবং মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কাছেও কৃষকেরা সারাবছর বিভিন্নভাবে জিম্মি থাকে। আমাদের দেশেও কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা, তরুণদের কৃষিখাতে অন্তর্ভুক্ত করণ এবং যাবতীয় অসংগতি দূরীকরণসহ পাহাড়ি অঞ্চল সমূহকে কাজে লাগানো গেলেই, আমরা অতি দ্রুত এগিয়ে যাব। একইভাবে যদি বলতে হয়, পোশাক শিল্পেও আমাদের যে অবস্থান তা আরও সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের এ উন্নতি কয়েকগুণ বেশি তরান্বিত হবে। তার জন্য, পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও তদারকির আওতায় নিয়ে এসে, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকারখানা মালিকদের পৃষ্ঠাপোষকতা দিয়ে হলেও বর্তমান বাজারে ধরে রাখতে হবে এবং বিভিন্ন সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

মানুষের পরবর্তী চারটি মৌলিক চাহিদা হচ্ছে, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও চিত্তবিনোদন। চারটি বিষয়কে একত্রে আলোচনায় রাখার কারণ, একটা অন্যটার সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের ঢাকা শহরে মানুষের যে চাপ এবং পরিবেশের অব্যবস্থাপনা, তার একটা উদাহরণ ; আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা পৃথিবীর অবসবাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় ( সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার, অনলাইন প্রতিবেদন ১৪/৮/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ)। এখন কথা হচ্ছে এটা কেন? কারণ, আমাদের প্রতিটি বিভাগে বড়ো বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বড়ো বড়ো মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল এখনো গড়ে উঠেনি। যার ফলে, মানুষ এখনো চিকিৎসার জন্য হলেও দিনে দিনে ঢাকা মুখী হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বড়ো বড়ো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বড়ো বড়ো মেডিকেল কলেজ এবং সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এবং অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের বিভাগীয় পর্যায়ে প্রদায়নের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে, দেশার আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদেরকেও সরকারি তদারকির মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ সুবিধা দিয়ে জনগণের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করতে হবে। এখানে, আরেকটু খোলাসা করার দরকার, বিনোদনের বিষয়। যার জন্য, সরকারকে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়েও পাবলিক লাইব্রেরি, স্টেডিয়াম এবং শিল্পকলা একাডেমি গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্র যদি সংস্কার করতে হয়, এসব বিষয়ের মধ্য দিয়ে সংস্কার সম্ভব। আর, আমাদের দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা, তা যদি বর্তমানের মত নড়েবড়ে থাকে, উপরে যত কিছু বললাম; তার কোনোটাই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই সময় নিয়ে হলেও,আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর দরকার। যদিও এ ঢেলে সাজানোটা কী এবং কেন, তা নিয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন, আপাতত সেদিকে যাচ্ছি না। তবে, দুই দিন পর পর যে পরিবর্তন হচ্ছে, এসব বন্ধ করা খুবই জরুরি। এতে করে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। এক্ষেত্রেও সংস্কারের কথা আসলে, অবশ্যই যুক্তরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে অনুকরণ করা যেতে পারে এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার মানকে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এছাড়াও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সাপ্তাহে দুইদিন মাঠ পর্যায়ে কিংবা কলকারখানায় ও শিল্পকারখানায় কায়িকশ্রমের শিক্ষা দিতে হবে। তবে, সংস্কার সম্ভব।

সংবিধান অনুযায়ী মানুষের সর্বশেষ মৌলিক চাহিদা সামাজিক নিরাপত্তা। সামাজিক নিরাপত্তার প্রশ্নের সাথে জড়িত আমাদের জীবনমান কৃষ্টি-কালচার, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানসহ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সামাজিক যোগাযোগগুলো! আর এসব বিষয় যখন আলোচনা করতে হবে; তখন চলে আসে মৌলিক অধিকারের কথা! বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ জুড়ে মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা আর মৌলিক অধিকার দুটো বিষয় এতটাই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, একটা বাদ দিয়ে আরেকটা কল্পনা করা যায় না। একজন হিন্দু মন্দিরে শঙ্খ বাজাবে এবং মুসলিম মসজিদের মাইকে আযান দিবে, এটা যেমন তাদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার একই সাথে এটা করার যে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সেটাই সামাজিক নিরাপত্তা। এমতাবস্থায়, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে মানুষের যে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার আছে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে, সর্বপ্রথমে ডিজিটাল আইনের ৫৭ ধারা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এ বিষয়েও সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো আইন করা যাবে না। আর যদি করা হয়, তবে তা স্বতঃসিদ্ধভাবে বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং সংস্কারের ক্ষেত্রে এ জায়গায় সবার আগে কাজ করতে হবে। একই সাথে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে যেন তার ধর্মমত প্রচার এবং অন্যের ধর্ম অবমাননা করতে না পারে, এমন আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আর, এ জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকারকে এমন একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নিয়োগ প্রাপ্তরা জনগণের সামনে সরকারের প্রতিটি কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। এ ধরনের আরও কয়েকটি বিষয় নিচে তুলে ধরেই শেষ করব।

রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিধি এ বিস্তৃত যে, সারাদিন বলেও সংস্কারের কথা শেষ করা যাবে না। তবে, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে নিয়মিত জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে এসে মূল্যায়ন ও পদায়ন করতে হবে। দুর্নীতিতে যুক্তদেরকে অবিলম্বে অব্যহতিসহ বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সারাদেশে সেল গঠন করে সাপ্তাহে অন্তত, তরুণদের একদিন স্বেচ্ছাশ্রম বিভিন্ন সেক্টরের কাজে নিয়োজিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে এক বছরের সামরিক ও প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে, দক্ষ জনবলে পরিণত করতে হবে, যাতে দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিংবা যেকোনো পরিস্থিতি দেশ রক্ষায় যেকোনো মুহুর্তে তরুণ সমাজ এগিয়ে আসতে পারে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের বয়স সীমা বাড়িয়ে এবং অবসরের সময় সীমাকে কমিয়ে যুব শক্তিকে ব্যবহার করার ব্যবস্থাসহ বেকারত্ব কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। বিভাগ ভিত্তিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে তরুণ ও মেধাবীদের সমন্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে সবাইকে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিতদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ্যে এনে পদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যারা রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতা-কর্মী এবং সরকার যন্ত্রে থাকবে, তাদের বাইরের দেশের নাগরিকত্ব রহিত করনসহ, তাদের চিকিৎসা ও সন্তানদের উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা দেশেই নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে বিশেষ করে যারে সরকারি চাকরি করে, তাদের মধ্যে প্রতিটি গ্রেডের একটার সাথে আরেকটার বেতন বৈষম্য কমিয়ে এনে, যথাযথ বেতন কাঠামো প্রদানের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতি রুখে দিতে কাজ করতে হবে। এবং সরকারি চাকরিতে জুনিয়রদেরকে সিনিয়রদের অনিয়ম ও অবৈধ কাজের বিরোধিতা করার মত সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি সু পরামর্শ প্রদানের সুযোগ করে দিতে হবে। এতে করে, দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে এবং প্রতিটি সেক্টরে দ্রুত সংস্কার আসবে। আমাদের দেশের যে কাঠামোগত উন্নয়ন এবং সংস্কারে আমরা বিশ্বাসী এর বাইরে এসে যদি আমরা নীতি-নৈতিকতার উন্নতি ও সংস্কার করতে না পারি, আর যাইহোক, কখনো একটা রাষ্ট্রের সংস্কার হবে না। পরিশেষে, এটা বলা যায়, রাষ্ট্র সংস্কারের বুলি আওড়ানো সহজ হলেও সংস্কার কিন্ত একেবারেই সহজ নয়। এহেন পরিস্থিতিতে আমলাতন্ত্রের দুর্নীতি ও অনিয়মের দূর্গ্য ভেদ করে, সে অসাধ্য সাধন কি ড.মুহাম্মদ ইউনুস ও তার উপদেষ্টাবৃন্দ শুরু করতে পারবে?

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক

সারাবাংলা/এসবিডিই

আসহাবে কাহাফ বর্তমান বিশ্ব ও রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা মুক্তমত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর