Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আসুন, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই

মাহবুব আলম
২৫ আগস্ট ২০২৪ ১৪:১৫

‘আল্লাহ হেফাজত করুন আমার স্ত্রী-কন্যাকে। কেউ (ফেনী) সদরের লালপুল বা আশপাশে থাকলে দোহাই লাগে, হেল্প করুন,’ ফেসবুকে পোস্টে লিখে এভাবেই স্ত্রী-কন্যাকে উদ্ধারের বিষয়ে সহযোগিতা চান একজন অসহায় স্বামী ও পিতা হুসাইন আজাদ। ঢাকায় কর্মরত পেশায় সাংবাদিক আজাদ লিখেছেন‘ ফেনী সদরের হাফেজিয়া এলাকা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে (২২ আগস্ট, বৃহস্পতিবার) বিকেল ৬:১৫ মিনিটে জ্যামের কারণে হেঁটে লালপুলের দিকে যাচ্ছিল আমার স্ত্রী সাবিনা সুলতানা প্রিয়া (২৬), মেয়ে আফরা সাইয়ারা হৃদি (৪), শ্যালিকা লিমা (২২)। ফেনী শহরে বোনের বাসায় যেতে রওনা দিয়েছে। ওদের ফোন নম্বর বন্ধ। লালপুলে প্রচুর পানির তোড়। শহরেও অনেক পানি। যারা আছেন, উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ।

ফেনী সদরের মহিপাল এলাকার বাসিন্দা পেশায় জনসংযোগকর্মী মো. শহীদুল ইসলাম শিমুল। বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন। শিমুল লিখেছেন, মহিপালে আছি। ১টা নৌকার খুব দরকার। শেখ আহমদ দরবেশ বাড়ি, আলুকিয়া যাব। আমার পরিবারের দশজনের জীবন খুবই বিপদে। উনাদের নিয়ে আসতে হবে। উনাদের নিয়ে আসতে হবে। হেল্প, প্লিজ।

বৃহস্পতিবার থেকেই সামাজিক মাধ্যমে আমরা দেখছি, সহযোগিতা কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার আকুতি লাখো মানুষের। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলার লাখো মানুষের অবস্থা দুর্বিসহ। মোবাইল নেটওয়ার্ক কিংবা বিদ্যুৎ না থাকায় খবর নিতে না পেরে শম্কায় সময় পার করছেন তারা। তাই বানভাসী এসব মানুষকে উদ্ধারে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন তারা। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আতিকুর রহমান জানালেন, গত মঙ্গলবার থেকে এখনও (বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা) পরশুরামের বাড়িতে থাকা তার মা-বাবার কোনো খোঁজ নিতে পারেননি। কর্মস্থল জামালপুর থেকে রওয়ানা দিয়ে কোনোমতে কুমিল্লা পর্যন্ত যেতে পারলেও গ্রামে বন্যার ভয়াবহতার কারণে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কথা জানিয়েছেন ঢাকার একটি সংবাদমাধ্যমে কর্মরম শামীম হোসেন মজুমদারও। সাত ঘণ্টা অনিশ্চয়তা আর উৎকণ্ঠায় থেকে হুসাইন আজাদ অবশ্য স্ত্রী-কন্যাসহ স্বজনদের খবর পেয়েছেন। শামীম হোসেন এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে জেনেছেন তার মা-পরিবারের নিরাপদে অবস্থানের খবর।

তবে আতিকুর যেমন জানেন না এখনও মা-বাবার খবর, তেমনই শিমুলও নিরাপদ আশ্রয় যেতে পেরেছেন কিনা তা জানা যায়নি। বন্যাগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধারের যে আকুতি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এতটাই করুণ যে, কল্পনাতীত। বর্ষা মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বাংলাদেশ যে আরেক দফা বন্যার কবলে পড়তে পারে, তা আগস্টের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়। তবে সেই বন্যা যে এমন প্রলয়ঙ্করী রূপ নিয়ে আবির্ভূত হবে, তা কল্পনাও করেনি দুর্গত এলাকার মানুষ। শান্তশিষ্ট ফেনী কিংবা মুহুরী নদীর বানে ফেনী জেলা যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে, ইতিহাসে তার নজির নেই। সম্পদ যা গেছে, তা তো গেছে-ই, এ জেলার চার উপজেলার চার লাখের বেশি মানুষ এখন প্রাণ বাঁচানো নিয়েই শঙ্কায়।

এখন বন্যার বিস্তৃতি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। এসব জেলায় প্রায় ৯ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মারা গেছেন একজন স্বেচ্ছাসেবীও।

গণমাধ্যমের খবর, এ বন্যার একটি বড় কারণ হচ্ছে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে লঘুচাপের কারণে এবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের মুহুরী, ফেনী, গোমতী নদীর মাধ্যমে (যাদের ক্যাচমেন্টের বেশির ভাগ অংশ ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত) ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ব্যাপক বন্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের ভেতরের বৃষ্টি।

জুলাই মাসের শেষ দিকে এসেও এই নদীগুলোর পানি বেড়েছিল; যা বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে প্লাবনভূমির পানির আধারগুলো প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ আগস্ট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। ২০ আগস্ট তা আরও বাড়ে। এসব এলাকায় ওইদিন ১৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। কুমিল্লায় ২১০ মিলিমিটার, অমরপুরে (গোমতী ক্যাচমেন্টের ওপরের দিকে) ২৬৭ মিলিমিটার আর মুহুরী নদীসংলগ্ন পরশুরামে ৩০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। ২১ আগস্ট বৃষ্টি একটু কমলেও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আবার বৃষ্টি বেড়ে যায়। ফলাফল এসব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়া। ফেনী সদরের ক্যাডেট কলেজ এলাকা যেটি বেশ উচু। কিন্তু সেখানেও কোমর সমান পানি বইছে।

এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো—দুর্যোগ, দুঃসময় যে বাঙালিকে এক করে দেয় তার প্রতিফলন। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে মানুষের সহযোগিতায় দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে এক হতে দেখা যাচ্ছে। কেউ নৌকা, তো স্পিডবোট নিয়ে হাজির হচ্ছেন৷ দলে দলে অনেকেই যাচ্ছেন নগদ অর্থ অথবা খাবার, পানি নিয়ে।

ছাত্ররা নিজ উদ্যোগে ফান্ড তৈরি করে শ্রম দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যারা নিজেদের জন্য বা সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য একটু একটু অর্থ জমাচ্ছিলেন তারাও এই বন্যায় দুর্গতের কল্যাণে তা নিয়েই পাশে দাঁড়িয়েছেন। আসলে এটাই তো বাংলাদেশ। যখনই কোনো বিপদ এসেছে। সকল বয়সী মানুষ, ধর্ম, বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে, যার যা আছে তা নিয়েই দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াচ্ছে। বরিশালের অয়ন চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করুন – আমি ভাবিনি আমার বাড়ির দুর্গাপুজোর বাজেট থেকে একটা অংশ বন্যার্ত মানুষদের জন্য দেয়ার এই বার্তা এত মানুষকে আলোড়িত করবে। কারণ, এটা আমি প্রয়োজন ভেবেছি, দায়িত্ব ভেবেছি। আমি জানি, একবছর আলোকসজ্জা না করলে পুজোর আচার-বিচার-অনুষ্ঠানে একটুও প্রভাব পড়বে না, ভক্তিতে ছেদ পড়বে না।’

‘আমি আবারও বলছি— এটা দান না। এটা আমার দেশের বন্যার্ত মানুষের অধিকার,’ যোগ করেন তিনি। নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাসিন্দা পিংকু দত্ত বলেছেন, দেশের এই বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার জন্য আমাদের গ্রামের ‘কালি মন্দির’ তহবিল থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে কিছু অনুদান দিয়েছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে এবং খরচের সিংহভাগই বন্যাকবলিত মানুষের কল্যানার্থে গ্রামবাসী এগিয়ে এসেছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির একটি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ভবনের জন্য জমি কেনার জন্য জমানো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছেন দুর্গতদের কল্যাণে। খবর আসছে বিভিন্ন বাহিনীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও একদিনের বেতনের অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছেন। সবার উদ্দেশ্য মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাইতো হওয়ার কথা, মানুষ তো মানুষের জন্যই!

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকালীন সময় পার করছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকার দেশকে স্থিতিশীল করার চেষ্টায় কাজ করছে। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি এই সময়ে জনতার নিজস্ব উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আনন্দে চোখে জল আসে। প্রমাণ করে কতিপয় দুর্নীতিবাজ, ধাপ্পাবাজ আর সুবিধাবাদীর এই দেশ নয়, এই দেশ মানুষের।

এদিকে বন্যায় যোগাযোগহীনতা বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বেশির ভাগ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

খবরে বলা হয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ধলাই জেলার বিশাল জলাধার ডুম্বুরের (৪১ বর্গকিলোমিটার) ‘স্ন্যাপ গেট’–এর তিনটির মধ্যে একটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ভাটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশের বন্যাকবলিত অঞ্চল ডুবে যাওয়ার এটি-ই মূল কারণ। যদিও গেট ‘খুলে’ দেওয়ার বিষয়টি ভারত অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেট খুলে গেছে। যাই হোক সাধারণত, পানির অস্বাভাবিক চাপ থাকলে এ সংক্রান্ত গেট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে ভাটির দেশকে জানাতে হয়, যাতে তারা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আমরা জেনেছি, ভারত গেট খুলে দেওয়ার আগে বাংলাদেশকে জানায়নি। এটা আন্তর্জাতিক রীতির বরখেলাপ।

ভারতের এই ভূমিকা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণির মানুষ। তবে উজান থেকে আসা পানির ঢলই বন্যার একমাত্র কারণ নয়। দেশের ভেতরে আমরা যেভাবে নদী, খাল ও জলাশয় ভরাট করে ফেলেছি, তাতে সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে। আর এবার তো রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পাশাপাশি জনগণকেও জীব-বৈচিত্র্য আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

আমাদের মনে নতুন এক আশা জাগালো এবারে আকস্মিক এই বন্যাকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-জনতার তৎপরতা। তাদের সঙ্গে দুর্গতদের সহায়তা করতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন। অনেকে বোট সরবরাহ করেছেন। খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিতে বন্যাদুর্গত এলাকায় চলে গেছেন। শুরু থেকেই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা দিনরাত এক করে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ করে যারা পানিবন্দী হয়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে কাজ করছেন৷ কেবল বোট নয়, বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য, খাবার পানি ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। এই মুহূর্তে বন্যাদুর্গত মানুষগুলোকে বাঁচানো প্রধান কর্তব্য।

দুর্যোগ–দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানোর মহৎ গুণটি এ দেশের মানুষের আছে। যা আবার প্রমাণ করেছে এই বন্যায়। সিডর, আইলায় আমরা দেখেছি, দেখেছি সিলেটের বন্যা, উপকূলের জলোচ্ছ্বাস, উত্তরের শৈত্যপ্রবাহ কিংবা অগ্নিকাণ্ড- ভবনধস এমনকি মহামারি করোনার সময়ও সাধ্যানুযায়ী মানবিক সহযোগিতা নিয়ে সক্রিয় থেকেছে সর্বস্তরের মানুষ। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যারা সশরীরে যেতে পারছেন না তারাও ফেসবুকে নানা ধরনের তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। দুর্যোগ মুহূর্তে সঠিক তথ্যটি পৌঁছে দেওয়াও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

দুর্গত এলাকায় পানি সরে যাওয়ার পর পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। বিপন্ন মানুষের কষ্ট ও যন্ত্রণা আমরা উপলব্ধি করতে পারবো না। কিন্তু আপনাপন জায়গা থেকে সাধ্যানুযায়ী পাশে দাঁড়ালে, সহায়তার হাত বাড়ালে তাঁদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে। দেশে দুর্যোগ–দুর্বিপাক আসতেই পারে। এই সময়টায় তাদের পাশে দাঁড়ালে সাহস দিলে-তারাই হয়তো গড়ে তুলবে নিজেদের দেশ।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

সারাবাংলা/এসবিডিই

আসুন- মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই মাহবুব আলম মুক্তমত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর