দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে
৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৯
বাংলাদেশের বিগত প্রায় ৭৭ বছরের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পায়, ছাত্ররাজনীতি আমাদের কি দিয়েছে? আর ছাত্ররাজনীতির জন্য আমরা কি হারিয়েছি?
বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় বড় বিপ্লব ও গণআন্দোলনগুলোতে আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে যুগান্তকারী ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আমরা যদি দেখি, ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। যেখানে সেদিন ঢাকার রাজপথে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় রফিক, শফিক, জব্বার ও বরকত প্রমুখ। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ছিলো বাঙালি জাতির ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন। ইতোপূর্বে অধিকার আদায়ের আন্দোলন বিফল হতে অন্তত আমার চোখে পড়েনি। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনও সেদিন সফলতার মুখ দেখেছিল এবং শেষমেশ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলাই হয়েছিল। এরপরে যদি বলি, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কথা। সেখানেও বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা নিরঙ্কুশভাবে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ তাদের স্বাধীনতা অর্জন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য সেদিন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। এরপর যদি বলি, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের কথা। তখনও ১০ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন হয়। পৃথিবীর কোনো আন্দোলনেই সবগুলো দফা একেবারে পূরণ হবার নজির নেই। নব্বই দশকের আন্দোলনেও সবগুলো দফা পূরণ হয়নি। তবে বেশ কিছু দফা সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সরকার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল সেদিন। যার মধ্যে আছে চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধি, হলে সীট সঙ্কটের কিছুটা হলেও নিরসন সহ আরও বেশক’টি দাবি। ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব। উল্লিখিত কোনো আন্দোলনেই কিন্তু দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন নেতৃত্ব দেয়নি। এটা খুবই স্পষ্ট এবং ক্লিয়ার।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররাজনীতি আমাদের দেশের জন্য অতীতে অমূল্য এবং অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছে। যা সরাসরি অস্বীকার করবার সুযোগ নেই। আমাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ মনে করেন, দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতীয় নেতা কিংবা নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। আবার এটাও সত্য যে, দেশের বড় বড় জাতীয় নেতারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি শিখেছেন এবং পরবর্তীতে দেশের জাতীয় সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আপাতদৃষ্টিতে কথাগুলো বেশ যৌক্তিক এবং গঠনমূলক মনে হয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে। আমি নিজেও কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতা করছি না, বরং দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির সর্বোচ্চ বিরোধিতা করছি এবং বিরোধিতা করে যাবো। কারণ দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে আমার অবস্থান যথেষ্ট যৌক্তিক এবং গ্রহণযোগ্য।
আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখছি ঠিক, তবে কোনো লেজুড়বৃত্তিক দলীয় ব্যানারে নয়। আমরা সবসময়ই দেখেছি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আন্দোলন হয়েছে। মূলত এজন্যই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনগুলো আলোর মুখ দেখেছে এবং বৈধতা দিতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। পাশাপাশি ব্যাপক জন সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে। আমি এটাও দেখেছি যে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে কোনো লেজুড়বৃত্তিক দলীয় ট্যাগের প্রয়োজন পড়ে না। তাদের প্রয়োজন পড়ে কেবল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যুর।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি জাতীয় নেতা বেরিয়ে আসতে দেখে অনেকেই ভাবছে, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি জাতীয় নেতৃত্ব তৈরিতে সক্ষম ভূমিকা রেখেছে। এমন ধারণা কিন্তু মোটেও সঠিক নয়। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নয়, বরং উচ্চশিক্ষাই তাদের জাতীয় নেতৃত্ব তৈরিতে সহায়তা করছে।
আমরা যদি উন্নত বিশ্বের রাজনৈতিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করি তবে দেখতে পায়, ৫৮ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৩১ জনই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ১৪ জন ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেসব দেশে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তারা সারাবিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারণ হচ্ছে তাদের ছাত্র-শিক্ষকরা গবেষণা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান আহরোণে ব্যস্ত থাকে সারা বছর।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি দুই-ই একসাথে চলতে হবে। শিক্ষক রাজনীতিও কিন্তু ছাত্র রাজনীতির জন্য একটা ফ্যাক্টর। একজন হল প্রভোস্টের অনেক দায়িত্ব থাকে। শিক্ষার্থীদের দেখভালের দায়িত্বও প্রভোস্টের। কিন্তু তাঁরা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন না। যা দুঃখজনক হলেও এমনটাই সত্যি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ভবিষ্যত এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ভবিষ্যতের অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা সাজাতে হবে। এদেশের তরুণ রাজনীতিবিদরা আগামীর বৈষম্যহীন রাজনীতিতেও ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় থাকবেন।
বৈষম্যবিরোধী আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক নেতৃত্বের মান উন্নয়নে ছাত্ররাজনীতির অবশ্যই ইতিবাচক, গ্রহণযোগ্য এবং যথাযথ কার্যকরী ভূমিকা থাকা উচিত। এক্ষেত্রে রাজনীতি ও রাজনীতিকদের মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দেশ ও জাতির উন্নতিতে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্বের এগিয়ে আসতে হবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তিকহীন ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় নেতৃত্ব ওঠে আসুক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথার পাশাপাশি জাতীয় সঙ্কটের কথা তুলে ধরতে হবে। সর্বোপরি ক্যাস্পাসে লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের তরুণ নেতৃত্ব, আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব সৃষ্টিতে নিরলস ভূমিকা রাখবে। শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থেকে নতুন কর্মসূচি তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে হবে।
আগামীর বৈষম্যহীন সমাজ ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলোর যেসব ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করছি– তন্মধ্যে পারস্পরিক হানাহানি বন্ধ করতে হবে, পারস্পরিক সহাবস্থানে বিশ্বাসী হতে হবে, পারস্পরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে, পারস্পরিক সহাবস্থানের চর্চার মাধ্যমে মূলধারার রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করবার সুযোগ করে দিতে হবে এবং পারস্পরিক ইতিবাচক প্রতিযোগিতা থাকতে হবে উভয়ের মধ্যে।
আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিকে কলুষ মুক্ত করতে হলে মূলধারার রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যত ছাত্ররাজনীতি ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব তুলে আনতে হবে। কেননা, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিই মূলত বাংলাদেশের শিক্ষা বিকাশের পথে একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে যে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা বিকাশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটাবে। দেশের বর্তমান যে রুদ্ধ অবস্থা তা থেকে উত্তরণ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মুক্ত ছাত্ররাজনীতি অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তা কোনোভাবেই দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নয়। সার্বিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আগামীর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি হোক অধিকারকেন্দ্রিক।
কবি হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার অমর লাইনটি কানে বাজে ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময়’। লাইনটি চব্বিশের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সাথে খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রকৃতির চিরায়ত সত্য এটাই যে, কেবল তরুণরাই জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠে আওয়াজ তুলবে। তারুণ্য অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবে না। তারুণ্যই আগামীর বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্রিক দেশ। যেখানে সুষ্ঠু পরিবেশে গণতান্ত্রিক চর্চা বিকাশের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনের কথা, সেখানে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পিষ্ট হয়ে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হয়েছে।
প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছরের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত অবরুদ্ধ বাংলাদেশ গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে মুক্ত হয়। বাংলাদেশের এই মুক্তিকে অনেকেই দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। দেশের এই স্বৈরাচার নিপাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধারে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং দিনমজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। স্বৈরাচারী শাসক তার অবৈধ শাসনকে কুক্ষিগত করে রাখবার জন্য এদেশের সাধারণ মানুষের উপর নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। যেখানে দেশের প্রায় হাজার-হাজার নিরস্ত্র, নিরীহ সাধারণ মানুষের প্রাণ ঝরেছে। এছাড়াও হতাহতের সংখ্যা অন্তত কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বৈরাচারী সরকার এদেশের প্রায় প্রতিটি স্তরেই দুর্নীতি ও অনিয়মের কারখানা স্থাপন করে গেছে। দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে সরকারের প্রায় সবক’টি কমিশন। যেখান থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনও।
২০০৭ সালে বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করা হলেও স্বৈরাচারী সরকার প্রতিনিয়তই বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। এছাড়াও স্বৈরাচারী সরকারের ছত্রছায়ায় পুলিশি সন্ত্রাস লাগামহীন ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নির্বিচারে প্রকাশ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি ছুঁড়তে পিছপা হয়নি স্বৈরচারী সরকারের সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী।
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরেও বিভিন্নভাবে দেশের শান্ত পরিবেশকে বিনষ্ট করবার এবং স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে চলেছে। স্বাধীনতা বিরোধী সমস্ত অপশক্তিকে রুখে দিতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা কিংবা সহযোগিতার বিকল্প নেই।
ইতোমধ্যে দেশের ক্রান্তিলগ্নের চরম সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথেষ্ট সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদেরও উচিত দেশের সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং দেশের সাংবিধানিক আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
আগামীর বৈষমহীন বাংলাদেশে যেন কোনোভাবেই স্বৈরাচারী সরকারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে-ই চিন্তাধারার আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল আচরণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
সারাবাংলা/এসবিডিই
এস এম রাহমান জিকু দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে মুক্তমত