Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুপেয় পানি নিয়ে ভাবনা

প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন
১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৬

একটি কথা প্রচলিত আছে যে, যদি এ শতাব্দিতে তেল নিয়ে যুদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে আগামী শতকে সেই যুদ্ধ হবে পানি নিয়ে, যদি না আমরা এই মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনতে না পারি। পানি নিয়ে পৃথিবীতে এক হাজার তিনশত সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে মানবসৃষ্ট কারণ যেমন- কলকারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস, কয়লা পোড়ানো, ইটভাটার ধোঁয়া, গাছ কাটা ইত্যাদির ফলে জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি বা অতি খরার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে উন্নত জীবন-যাপনের প্রয়োজনে মানুষের দৈনিক মাথা পিছু পানির ব্যবহারও বাড়ছে। অথচ পৃথিবীর সুপেয় পানির পরিমাণ সীমিত এবং তার প্রাপ্তিও পৃথিবীর সব জায়গায় সমান নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ পানি সংকটে পড়বে, যার অর্ধেকই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থা আরো খারাপ। জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি শিশু পানির তীব্র সংকটের সম্মুখীন হয়ে জীবন বাঁচার সংগ্রাম করছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ বছরের কম বয়সী ৩৪৭ মিলিয়ন শিশু ব্যাপক পানির ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই সুপেয় বা খাবার পানি রক্ষায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পুকুর, জলাশয়, নদী ও খাল সংস্কার এবং ঢাকা ওয়াসাসহ সব নগরীতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নদী বা জলাশয়ের পানি ব্যবহারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব পানি ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ পদ্ধতির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীতে সুপেয় পানির দুটি বড় ভান্ডার আছে। একটি হল তুষারময় পর্বত। এই ভান্ডারের পানির পরিমাণ ২৮ মিলিয়ন কিউবেক কিলোলিটার। দ্বিতীয়টি ভান্ডারটি হলো পাতাল বা ভূগর্ভ যার পানির পরিমাণ ৮ মিলিয়ন কিউবেক কিলোলিটার। বাংলাদেশের মোট পানি সম্পদের পরিমাণ ১৪০৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার (বিসিএম), তন্মধ্যে ভূ গর্ভে ৫৪.০৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার এবং ভূ-পৃষ্টের উপরে প্রায় ১৩৫০ বিসিএম। ভূ উপরিস্থ পানি নদ-নদীতে ১০১০ বিসিএম ও বার্ষিক বৃষ্টিপাত হতে ৩৪০ বিসিএম পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর মোট পানির মাত্র ২.৫ ভাগ মিষ্টি পানি। এ মিষ্টি পানির ৬৮.৯ ভাগ আসে তুষার ও তুষারাবৃত নদী থেকে, ০.০০৯ ভাগের অবস্থান মিষ্টি পানির লেক ও নদীতে এবং ২৮ ভাগের অবস্থান ভূ-অভ্যন্তরে। মিষ্টি পানির ২০.৫ ভাগ শিল্পোৎপাদনের, ৬৯ ভাগ কৃষি কাজে এবং ৮ ভাগ গৃহস্থলী কাজে ব্যবহৃত হয় এবং মাত্র ২.৫ ভাগ পানি পান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশের উপর দিয়ে ৫৭ টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত তন্মধ্যে ৩টি মিয়ানমার থেকে এবং ৫৪টি নদী ভূটান, নেপাল, চীন ও ভারত থেকে উৎপত্তি হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত মোট পানির ৯২ ভাগ ভাগ পানির উৎস হলো দেশের বাইরে। বাংলাদেশে মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সাত মাস সময়কে শুষ্ক কাল বলা হয় এবং এ সময়ে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২২ ভাগ। অথচ এ সময়ে প্রস্বেদনের পরিমাণ বর্ধিত বৃষ্টিপাতের তুলনায় চার গুণ বেশি। বর্তমানে ভারত নির্মিত চালু বাধের কারণে শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশে নদী প্রবাহ প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বিশেষজ্ঞগণ আশংকা প্রকাশ করেছেনে যে, নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তথা অবশিষ্ট নদীর ওপর বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশের নদী প্রবাহ ৭০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ২৭ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়, যার ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে উত্তোলন করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০ ফুট গভীর পর্যন্ত গভীরতায় পানি উত্তোলনের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, টঙ্গী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ভূগর্ভস্থ পানির সঞ্চয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। ঢাকা মহনগরে ওয়াসার বসানো গভীর নলকুপের সংখ্যা ৯০০ পেরিয়েছে। আর বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন গভীর নলকুপের সংখ্যা ২ হাজার ৫শত এর চেয়ে বেশি। ভূগর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে যায় যা ইকোসিস্টেম এর জন্য অত্রন্ত ক্ষতিকর। যত গভীর থেকে পানি উত্তোলন করা হবে আনুপাতিকহারে খরচের পরিমাণও তত বেড়ে যাবে। রাজধানীতে ভূ গর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর ১০ ফুট করে নিচে নেমে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালে ২২ মিটার নিচে এবং তা বাড়তে ২০০৫ সালে ৫৪ মিটিার এবং ২০২০ সালে ৭৪ মিটার নিচে পানির স্তর চলে যায়।

আমাদের দেশের প্রায় সবমানুষ ভূগর্ভস্থ পানিকে সুপেয় বা খাবার উপযুক্ত পানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মিটাতে এবং অধিক ফসল ফলাতে বোরো ধান উৎপাদন বাড়াতে ভূ-গর্ভস্থ পানিই সেচ দিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি মাত্রাতিরিক্ত্ আর্সেনিক দূষণের কবলে পড়েছে। দেশের গার্মেন্টস শিল্পে প্রতিটি জিন্সের প্যান্ট ধোয়া ও রঙ করার কাজে ৭০-৭৫ লিটার সাধু পানির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের আরএমজি খাতে প্রতিদিন ৪১১ কোটি লিটার সাধু পানি ব্যবহৃত হয়। এক কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩৫৫০ লিটার সাধু পানি ব্যবহৃত হয়।

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা বিশেষ করে উপকুলীয় জেলাগুলোতে লবণাক্ততার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এই পানি খাবার অযোগ্য এবং ফসলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের মতো বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের উচ্চতা বছরে তিন থেকে চার মিলিমিটার করে বাড়ছে। ফলে মিষ্টি পানির প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে নানাবিধ সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দর বন এখন পরিবেশ তাত্ত্বিকভাবে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সুন্দর বন থেকে প্রায় বছরে সাড়ে তিন মিলিয়ন টন গাছের পাতা এ জলাভূমিতে জমা হয়। পাতাগুলো বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় সরাসরি খাদ্য কণায় রুপান্তরিত হয়ে জোয়ার ভাটার মাধ্যমে প্লাবিত হয়ে হয়ে থাকে এবং তা অন্যান্য জৈবিক উৎপাদন শীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৯০ সালে দেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ছিল ৮,৩০,০০০ হেক্টর, আর ২০০১ সালে এসে তা হয়েছে ৩০,৫০,০০০ হেক্টর। কম বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার সমস্যা দিনে দিনে আরও প্রকট হয়ে উঠবে। বরিশাল ও পটুয়াখালীতে লবণাক্ততার পরিমাণ ২ পিপিটি (লবণাক্ততা পরিমাপক মাত্রা) থেকে বেড়ে ৭ পিপিটি হয়ে গেছে (প্রেক্ষিত ২০০৯)। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক গবেষণায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ২০ শতাংশ নারী লবণাক্ততার কারণে অকালগর্ভপাতের শিকার হন বলে যে তথ্য ওঠে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। উপকুলীয় কোন কোন এলাকায় ৬/৭ মাইল দুর থেকে মহিলাদেরকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এ সব এলাকার কিশোরীরা পানি সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত থাকায় স্কুলে যেতে পারে না। এমনকি পানীয় কষ্টের জন্য এসব এলাকায় অন্য এলাকার মেয়েদের বিয়ে দিতে চায় না অভিভাবকরা।

চট্টগ্রাম শহর সন্নিকটের হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে ৮ পিপিটি হয়ে গেছে (২০০৯)। দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬০ জেলার ১ লক্ষ ২৬ হাজার ১ শত ৩৪ ব:কি: এলাকার পানি আর্সেনিক দূষণের শিকার। উপকুলীয় এলাকার ২৫ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত।

পানি সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য ভূ পৃষ্টের উপরিস্থ পানির ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য পুকুর, জলাশয়, নদী,খাল সংস্কার এবং ঢাকা ওয়াসাসহ সব নগরিতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নদী বা জলাশয়ের পানি ব্যবহারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশ বান্ধব পানি ব্যবস্থাপনার চাষাবাদ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেয়া। পাউবোর ভূগর্ভস্থ পানি বিজ্ঞান পরিদপ্তরের পরিচালিত কৃষিতে পানির অপচয় নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, ৩৫ ভাগ পানিই কাজে লাগে না। কৃষকের অনেকেরই ধারণা বেশি পানি দিলে ফসল ভালো হয়। তাই তারা ইচ্ছা মতো পানি দেন। নাগরিকদের মধ্যে পানির অপচয় রোধসহ পানির ব্যবহারে সচেতনতায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

অন্যদিকে ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করা এবং অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সার নির্ভর ধান চাষের পরিবর্তে প্রকৃতি নির্ভর ধান চাষের উদ্যোগ নেয়া। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা। ঢাকার আশেপাশের নদীসহ অন্যান্য সব নদী ও জলাশয় দখল , ভরাট এবং দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। নদী দূষণমুক্ত করা। একই সঙ্গে নদীর পানি পরিশোধন করে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করা। নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা রক্ষায় নদীতে পিলার ব্রিজের পরিবর্তে ঝুলন্ত ব্রিজ বা টানেল নির্মাণ করা।

গবেষকদের মতে, মেঘ ছাড়াই বায়ুমণ্ডলের একদম নিচের স্তরে যে আর্দ্রতা থাকে, সেখানে প্রায় ১৩ হাজার ঘন কিলোমিটার পানি থাকে। বাতাসের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশে থাকা পানি বা জলীয় কণাকে ফাঁদ পেতে আটকে ফেলা হচ্ছে। এজন্য দরকার হয় পানি ধরে রাখার একটি আধার বা ট্যাঙ্ক, কিছু পাইপ ও ট্যাপ। এই মেশিন তৈরির জন্য খোলা মাঠ বা পাহাড়ের চূড়ায় প্রথমে বাঁশ দিয়ে উঁচু কাঠামো তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে জড়ানো হয় মশারির মতো সূক্ষ জাল। সেই জালে ধরা পড়া শিশির বিন্দু একটু একটু করে জমা হয় কাঠামোটির ভেতরে রাখা আধারে বা ট্যাঙ্কে। এরপর পাইপের মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য সংগ্রহ করা হয় পানি। বর্তমানে বিশ্বের ৬৪টি কোম্পানি ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। পৃথিবীর পানি সম্পদের মধ্যে বৃষ্টির পানি সবচেয়ে বিশুদ্ধ, নিরাপদ এবং বিপদমুক্ত। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীতে সুপেয় পানির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

পনির অপর নাম জীবন। জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য সুপেয় পানি পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। নাগরিকদের এ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার তথা রাষ্ট্রের। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং সকল নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। পানি ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সহ নতুন নতুন সুপেয় পানির উৎস অনুসন্ধান করা এবং পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় নিশ্চিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

লেখক: অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ

সারাবাংলা/এসবিডিই

প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন মুক্তমত সুপেয় পানি নিয়ে ভাবনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর