শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থায় সংকট
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৩৪
গত কয়েকদিন আগে কবি নজরুল সরকারি কলেজের একটি ছেলে মেয়েদের জন্য কমন টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে বেশ বিরক্তিকর মুহুর্তে পরতে হয়েছে আমার। টয়লেটে প্রবেশের সময় একটি মেয়ে চিৎকার করে বলে উঠল ভাইয়া একটু দাড়ান। কিছুক্ষণ পর মেয়ে টা বের হয়েই একটু তাড়াহুড়ো করে চলে গেল। আমি টয়লেটে গিয়ে দেখি রক্তমাখা ছুট কাপড় জাতীয় কিছু। বিষয়টি না ভেবেই আমি আমার কাজ শেষে চলে যাই। তবে বিপত্তি বাঁধে অন্য আরেক দিন ক্যাম্পাসে আসার পর আমার এক বান্ধবী এসে বলে ভাই আমাকে ইমার্জেন্সি প্যাড এনে দিতে পারবি। তখন অনুধাবন করলাম শুধু সেই দিনের ওই মেয়ে বা আমার বান্ধবী নয় প্রায় ক্যাম্পাসে আসা সকল নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্যাড ও টয়লেট বিরম্বনা পরতে হয়। এমন চিত্র আমাদের দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান। কোথাও হয় তো নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা টয়লেট নেই, কোথাও আবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই আবার স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড ব্যাংক।
উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের জীবনকে উন্নত করতে পারে। কিন্তু দুর্বল স্যানিটেশন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় বাধা। নারী শিক্ষার্থীদের উপর খারাপ স্যানিটেশনের প্রভাব বহুমুখী। আমাদের দেশের অধিকাংশ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নিরাপদ এবং পরিষ্কার টয়লেটে ব্যবহারের অভাব রয়েছে। এটি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উল্লেখযোগ্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত প্রভাব ফেলে। অনেক স্কুল-কলেজ গুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেট না থাকায় নারীদের যৌন হয়রানি, আক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে। দুর্বল স্যানিটেশন নারীদের উপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে। এই মৌলিক প্রয়োজনীয়তার অভাবের কারণে নারী শিক্ষার্থীরা স্কুল ও কলেজে অনুপস্থিত থাকে এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করতে অক্ষম হয়, যা তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের স্বাস্থ্যবিধি অত্যাবশ্যক এবং বাড়িতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয়ই স্থানে তা বজায় রাখা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার্থীদের অনন্য উন্নত স্যানিটেশন চাহিদা তাদের মাসিক এবং দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অধিকাংশ টয়লেট নোংরা হয়ে থাকে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ পাবলিক টয়লেটের চিত্র প্রায় একই- নোংরা আর স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর । নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় দুর্গন্ধযুক্ত। কোন কোনটিতে বিদ্যুত সংযোগ নেই। ভাঙা দরজা, ছিটকানি অনেকক্ষেত্রেই অকেজো, কোনো রকমে টেনেটুনে দরজা লাগাতেই টয়লেটের ভেতরটায় নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অনেকক্ষেত্রে কমন বাথরুম থাকলেও, মেয়েদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেকক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ব্যবস্থা না থাকায় মেয়েরা ঋতুকালীন সময়ে বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকেও নিজেদের বিরত রাখে। সারাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টয়লেটের চিত্র প্রায় একই। শিক্ষার্থীদের বাইরেও সন্তানদের স্কুল, কোচিং বা পরীক্ষাকেন্দ্রে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন নারী অভিভাবকরা। কিন্তু তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা কোনো টয়লেট নেই। দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট নেই। থাকলেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, যদিও প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর লক্ষ্য ছিলো ২০১৭-র জুনের মধ্যে দেশের ৯৫ শতাংশ সরকারি স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট রয়েছে প্রায় ৩২.৬ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৬৭ শতাংশ ছাত্রীই এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে আবার প্রায় ১৮ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই কোনো টয়লেট নেই। এ চিত্র আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।২০১৪ সালের স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের উদ্যোগে ন্যাশনাল হাইজিন বেসলাইন সার্ভে করেছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি)। স্বাস্থ্যবিধি চর্চার বিষয়ে ধারণা পেতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করা এ জরিপে সহযোগিতায় ছিল ওয়াটার এইড বাংলাদেশ। এতে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গড়ে ১৮৭ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটি টয়লেট, যেখানে সরকারি মানদণ্ডে প্রতি ৫০ ছাত্রীর জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। আবার স্কুল ও কলেজ গুলোর ৫৫ শতাংশ টয়লেট তালাবদ্ধ থাকে। খোলা থাকাগুলোর মধ্যে প্রায় ২৪ শতাংশ ব্যবহারের উপযোগী। এছাড়া নারী শিক্ষার্থী জন্য আলাদা টয়লেট আছে কেবল প্রায় ১১ শতাংশ স্কুল ও কলেজে । আর ঋতুকালীন ব্যবস্থাপনা রয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ স্কুল ও কলেজে। তাই ৮৬ শতাংশ ছাত্রী এ সময় বিদ্যালয় ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নারীবান্ধব টয়লেট নেই। এইসব কারণে নারীরা দীর্ঘ সময় পানি না খেয়ে থাকেন, কিংবা চেপে রাখেন পায়খানা ও প্রস্রাব এর প্রভাব পড়ে শরীরে। এজন্য মূত্রথলির সংক্রমণসহ নানা ধরণের শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয় নারীদের। দীর্ঘ সময় পানি না খেয়ে থাকলে প্রথমেই পানিশূন্যতা হয়। এরপর টয়লেট চেপে রাখা ইউরিন ইনফেকশনের একটি কারণ। আরো অনেক রোগ হতে পারে। কিডনীর কাজ পরিচালনার জন্য পানি পান জরুরি, শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়া এবং গ্লুকোজসহ অন্যান্য উপাদান অ্যাবজর্ব করে কিডনী। ফলে তার কাজ ব্যহত হওয়া মানে পুরো শরীরের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মহিলারা ইউরিনের বেগ চেপে রাখছেন! বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ভয়! ডায়াবেটিস বা কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। দীর্ঘসময় ধরে টয়লেট চেপে রাখতে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা হয় তাঁদের। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ইউরেথ্রা বা মূত্র নিষ্কাশনের জায়গার দৈর্ঘ্য কম। ফলে মহিলাদের মূত্রনালীতে চট করে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নোংরা জায়গায় ইউরিন করা, জল কম খাওয়ার কারণে পুরুষদের থেকে মহিলাদের মধ্যে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বেশি হয়। ডায়াবেটিস, স্নায়ুর সমস্যায় আক্রান্ত মহিলা কিংবা মেনোপজ হয়ে গিয়েছে এমন মহিলার মূত্রত্যাগের সমস্যা বেড়ে যায়। ইউরিন পাসের জন্য নোংরা জায়গা বা টয়লেট এড়িয়ে চলতে হয়। বিশেষ করে যে জায়াগায় ইউরিন পাস করছে, সেই জায়গাটি খুব ভালো করে পরিষ্কার থাকা দরকার। কমোডে ইউরিন পাস করার সময় স্কিন কনট্যাক্ট হয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত মূত্রনালীর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। পাবলিক টয়লেট থেকে গোপনাঙ্গে ঘা হওয়ার আশঙ্কা বিপুল। পাবলিক টয়লেটে মূত্রত্যাগের পাশাপাশি অনেকেই মলত্যাগের জন্য যান। শৌচালয়ের উপকরণ থেকে মারাত্মক পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। পাবলিক টয়লেট থেকে মূত্রনালীতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এর ফলে মূত্রত্যাগের সময় জ্বালা ও ব্যথা হয়। ত্বক বেশি সংবেদনশীল হলে এই সমস্যায় পড়তে হয়। টয়লেটের বেসিন থেকে শুরু করে মগ বা হাত ধোয়ার কলে সংক্রামক জীবাণু থাকে। তাই সংবেদনশীল ত্বক হলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি। বাংলাদেশি টয়লেটে যেহেতু পানির ব্যবহার বেশি হয়, তাই ভাইরাল রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেশি। অপরিষ্কার টয়লেট নারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ হুমকি সৃষ্টি করে। আমাদের সমাজ মহিলাদের ‘প্রস্রাব আটকে রাখতে’ও শেখানো হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করতে পারে, ইউটিআইগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে (আরো বেদনাদায়ক) এবং কিডনির কার্যকারিতাকে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। নোংরা টয়লেটগুলি নারীদের মাসিকের সময় সমস্ত ধরণের সংক্রমণ হতে পারে – জীবাণু দ্বারা ঘেরা নোংরা টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন পরিবর্তন করা প্রতিকূল সম্ভাবনা তৈরি করে। পাবলিক টয়লেট বা স্নানের সুবিধা ব্যবহার করার সময় তারা যৌন হয়রানি এবং লাঞ্ছিত হওয়ার ঝুঁকিতেও থাকে।
উপসংহারে, মহিলাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুর্বল স্যানিটেশন একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। উন্নত স্যানিটেশন পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করে, পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করে এবং অন্তর্নিহিত লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবেলা করে, আমরা এমন একটি দেশ গঠন করতে পারি যেখানে সমস্ত নারীদের তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস থাকবে।
এছাড়া দেশের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বান্ধব টয়লেট নেই। টয়লেটগুলোতে জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুযোগ থাকে না এবং ব্যবহৃত ন্যাপকিন ফেলার জন্যও থাকে না কোনো স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা। অথচ গড়ে একজন শিক্ষার্থী পিরিডের সময় ৭-৮ ঘন্টা স্কুলে থাকে সেজন্য স্কুলগুলোতে জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সুযোগ এবং তা ফেলার স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা থাকা দরকার। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ছয় ঘণ্টা অন্তর ন্যাপকিন পাল্টানো দরকার, তা না হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে এবং নানা রোগ দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজেন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্য মতে, স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের হার ৬২% এবং বাকি ৩৮% এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। অর্থাৎ এই ৩ ভাগের ১ ভাগ মেয়েদের হয়তো স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সামর্থ্য নেই অথবা তাদের কাছে এগুলো সহজলভ্য নয়। জরিপে আরও উঠে এসেছে যে, ‘দেশের বেশিরভাগ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক এবং ব্যবহারের উপযোগী টয়লেট না থাকায় ঋতুকালীন সময়ে প্রতি ৩০ শতাংশ ছাত্রীকে প্রতি মাসে স্কুলে অনুপস্থিত থাকতে হয়’। ফলে তারা একদিকে ক্লাসে পিছিয়ে পড়ে, অন্যদিকে পরীক্ষার ফলাফলও খারাপ হয়। পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে আলাদা টয়লেট স্থাপন হচ্ছে না, যা ব্যবস্থাপনার অভাব বিশেষ করে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতা, নাকি সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণের অভাব। ২টি বিষয় এখন পর্যন্ত প্রতীয়মান, একটি ঋতুকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনার অভাব এবং ন্যাপকিনের প্রাপ্যতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয়ত, বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের পানি-স্যানিটেশন বিষয়ক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মনযোগ, বাজেট বরাদ্দ এবং মনিটরিং- এর অভাব। স্কুলসহ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা এবং সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় মূল যে বিষয়টি, টয়লেট বা পর্যাপ্ত MHM Friendly টয়লেট-এর সংস্কার বা স্থাপন হচ্ছে না। ##
লেখক: সংবাদকর্মী
সারাবাংলা/এসবিডিই
মুক্তমত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থায় সংকট শিতাংশু ভৌমিক অংকুর