Wednesday 14 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল, মেরি কাম কি নেহি

আনোয়ার হাকিম
১৪ মে ২০২৫ ১৫:৪৯

সত্তর সনে ভারতীয় লিজে-ারি গায়ক মোহাম্মদ রফির গাওয়া ছায়াছবির এই গান এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে তা সময়ের গণ্ডী পেরিয়ে আজো শ্রোতাদের চিত্তে আবেদনময়ী হয়ে আছে। ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কাহিনীও জানা নেই। তবে এই গানটাকেই জীবনের এক পর্যায়ে এসে হিসেব কষার চূড়ান্ত প্রয়াস বলে মনে হয়। কবিতায়, গীতে জীবনের হতাশার চিত্র এভাবেই বারবার চিত্রণ করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে। ভালোবাসা যেখানে অধরা হয়ে যায়, বিশ্বাস যেখানে উবে যায়, কথা যেখানে কথার কথায় রূপান্তরিত হয় তখন একজন মানুষের জীবনে কোন তরঙ্গ থাকে না। এত বড় উদার আকাশে কোন আলোর দেখাও সে পায় না। জনারণ্যে আপনার বলে তার কেউ থাকে না। যারা থাকে তাদের ভূমিকাও তার কাছে অসহ্যকর ঠেকে। বোধকরি এমনি এক পরিস্থিতির শিকার মানুষের মনের অভিব্যক্তি এরূপই হয়ে থাকে। আমরা প্রেম-ভালবাসায়-বিচ্ছেদে-বিরহে প্রেমিক-প্রেমিকার এরূপ মনের অবস্থা খুব সহজেই কল্পনা করে নেই। অথচ জীবনে প্রেম একটা গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতি হলেও একমাত্র না। প্রেম যেমন তাকে নানাভাবে আক্রান্ত করে, পরাজিত করে, বিরহ কাতর করে, তার ভুবনকে তুচ্ছ করে তুলে তেমনি সম্ভাবনাময় মানুষ যখন দেখে পরিবারে তার স্থান তলানিতে, সমাজে তার অবস্থান উপেক্ষার, রাষ্ট্রের কাছে সে অসহায় তখন এই যাতনা আরো ঘনীভূত হয়, তাকে বেদনা ক্লিষ্ট করে, এমনকি জীবনটাকেই করে ফেলে অর্থহীন। সেজন্যই বোধকরি কবি বলেছেন, “জন্মই আমার আজন্ম পাপ”। সুনীল আরেক ধাপ নিচে নেমে শ্লেষাত্মক বিশ্লেষণ করে বলেছেন: “আমি মানুষের পায়ের কাছে বসে থাকি মানুষের ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে”।

বিজ্ঞাপন

সমাজে নানা দ্বন্দ্ব থাকবে, নানা শ্রেনীর, নানা মতের নড়াচড়া থাকবে। সবই যে অনুকূলে থাকবে এমনটিও না। কিন্তু মোটা দাগে এক জনমের আশা যখন সম্ভাবনা জাগিয়েও দূরাশায় পর্যবসিত হয় তখনই জীবনের উপর ঘেন্না আসে, তখন জীবন আর মোটেই সৌগন্ধময় বলে মনে হয় না। তখনই হতাশা গ্রাস করে। তখনই কেউ নিজেকে হণন করে, কেউ নিশ্চল-নিশ্চুপ হয়ে যায়, কেউ গৃহকোণে আশ্রয় নেয়, কেউ অন্ধ চোরাগলিতে নিজেকে অধিবাসী করে ফেলে। এরূপ অবস্থাতে তার পেছেনে প্লে-ব্যাক মিউজিক হিসেবে অনবরত বাজতেই থাকে, “ইয়ে দুনিয়া, ইয়ে মেহফিল মেরে কাম কি নেহি”। পলায়নপর মানুষের সরল অংকের শেষ উপসংহার এরূপই হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

আমাদের ব্যাক্তিক, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন প্রতিনিয়ত এত এত ব্যর্থতার কাসুন্দি ঘাটতে ঘাটতে জীবন বিস্বাদে ভরে গেছে। তার উপর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কি সরকার, কি হোয়াইট কালার প্লেয়ারদের চাতুর্যপূর্ণ খেলা দেখে দেখে মনটা বিষাদে ভরে যাচ্ছে। মনের অজান্তেই নেপথ্যে বিলাপের গীত বাজতে থাকে: “ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল মেরি কাম কি নেহি”।

স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছর কেটে গেছে। অনেক অর্জন আছে আমাদের। ব্যর্থতার পরিসংখ্যানও অনেক। আমাদের বাঙ্গালিত্ব আমাদের স্ট্রেংথ আবার উইকনেসও। বাঙ্গালি শংকর জাতি। দেশি-বিদেশী, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, কুলীন-ম্লেচ্ছ সব রক্তের সংমিশ্রণে আমাদের জাতি সত্তার বিকাশ। তাই আমরা ঐকমত্য হই কম অনৈক্যের পাহাড় রচনা করি অনায়াসে। আমরা কাছে আসি স্বার্থের স্কেল নিয়ে আর তা ক্ষুন্ন হলে সংশপ্তক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যাই চোখ উল্টায়ে। আমরা ‘গণতন্ত্র’ ‘গণতন্ত্র’ করে জান কোরবান করে ফেলি। পরে গণতন্ত্রকে নিজের মত করে সাজাই কিম্ভুতকিমাকার রূপে। মুখে জবাবদিহিতার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে এর ধারে কাছেও যাই না। সুশাসনের কথা বলে বলে ফেনা তুলি, অথচ বাস্তবে এর অনুশীলন, অনুসরণ করি না। গণতন্ত্র ‘ইচ্ছেতন্ত্রে’ পরিণত হলেও তা থেকে পিছপা হই না। সরকার আসে কিন্তু সরকার যেতে চায় না। থেকে যাওয়ার জন্য নানা ছল চাতুরি করে। টেনে নামানোর আগে পর্যন্ত নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে যেন তাদের চেয়ে মধুর গণতন্ত্র তৃতীয় বিশ্বের কোথাও নেই। যতবারই যাত্রাপালায় পরিবর্তন হয়েছে ততবারই পাবলিক নতুন আশায় উজ্জীবিত হয়েছে, নতুন স্বপ্নে বিভোর থেকেছে। দিনশেষে যাহা বাহান্ন তাহাই তেপ্পান্ন থেকে গেছে। অথচ আমাদের গলাবাজি এতটুকু কমে না।

আমরা গণতন্ত্রে চাঁদাবাজিকে অপরিহার্য উপাদান করে নিয়েছি। এ নিয়ে কথা বললে সবাই নাখোশ, এ বিষয়ে পজিশন-অপজিশন সবাই একাট্টা। সেই সাথে স্বজনপ্রীতি আর দুর্জন তোষণ নীতি বড়ই উপকারি হিসেবে উপাদেয় করে নিয়েছি। এসব ছাড়া কি আমাদের একদিনও চলে? অফিস-আদালতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সর্বত্র সিণ্ডিকেট জাল বিস্তার করে আছে। একে নিবৃত্ত করার কোন উদ্যোগ কারো নেই। বরং নানাভাবে প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্যে বা গোপনে। সিণ্ডিকেট আমাদের পরম প্রিয়, পুষ্টি দাতা। অফিস-আদালতে সেবা নেই, আবার আছেও। আম পাবলিকের জন্য সেবা নেই, আছে রেফারাল পেশেণ্ট আর ক্যাশবন্ধুদের জন্য। আদালতে মামলা জট দশক দশক ধরে চলমান, এটা ঘটমান বাস্তব। অথচ না উকিলদের না বিজ্ঞ বিচারকদের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা আছে। সরকারি দপ্তরে নিয়োগে বাণিজ্য আছে, পদায়নে বিভিন্ন তরিকা আছে, পদোন্নতিতে আমাদের লোকের সার্টিফিকেট আবশ্যক হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় পালা বদলে এর সবই হুবহু এজে-াভুক্ত থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কেউ নেই, পারমানেন্ট পেণ্ডিং তালিকায় তা বরাবর শীর্ষে শোভা পায়।

দুর্নীতি বিরোধী জিরো টলারেন্স গণতন্ত্রের আদুরে ডায়ালগ। ক্ষমতার পালা বদলে দুদক নিজেদেরকে ধাতস্থ করে নেয়, এনবিআর হঠাৎ স্বক্রিয় হয় নতুবা শীত নিদ্রায় থাকে। যে কোন পরিবর্তনের সাথে সাথে কোথা থেকে যেন চিহ্নিত ও সিজনড কিছু লোক সরকারে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সাথে এটাচড হয়ে যায়। এদের ব্যুহ ভেদ করে কোন কিছু করা রীতিমত এভারেস্ট আরোহণের মত। পরিবর্তনের সাথে সাথেই এরা জমিজমা, দোকানপাট, খাস জমি, নদী-নালা-খাল-বিল, বাস স্ট্যাণ্ড, টেম্পু স্ট্যাণ্ড, মার্কেট, বিগত সময়ে যারা তাফালিং করেছিল তাদের ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা কমিটিতে চেয়ার টেনে বসে পড়ে। দলবাজি, চাঁদাবাজি, টেণ্ডারবাজি, চাপাবাজি, প্রতারণা, ছলচাতুরী তাদের মজ্জাগত। সব কিছুই নিপাতনে সিদ্ধ হয়ে যায় আবশ্যকীয় চিরচেনা গণতন্ত্রের কপি, পেস্টের নামে। পাবলিক হা করে কিছুদিন তা-ব দেখে, টাসকি মেরে থাকে, কিয়ৎকাল পর হুঁশ ফিরে পায়, মেনে নেয়, নিতে বাধ্য হয়। সবকিছু আগের নিয়মেই চলে শুধু পরিবর্তন হয় ড্রাইভার, হেলপার আর কন্ডাক্টরের।

পুলিশ আগের জায়গায় রিফরমেশন ইন সিটু ভূমিকায় চলে যায়। হাসপাতালে রোগীসেবা আগের ছকে বেচাকেনা নিয়মে চলতে থাকে। অফিস আদালতে নতুন মৌসুমী প্লেয়ারদের নড়াচড়া নতুন ভাইব সৃষ্টি করে। সবই হয় গণতন্ত্রের নামে। পাবলিক দেখে আর হাসে, খেদোক্তি করে, খানিকপর প্রয়োজনের তাগিদে সাজানো এই আয়োজনে ঘাড় পাতে। না পেতে উপায় নেই। সোচ্চার হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কাউকেই কাছে পাওয়া যাবে না। অতি ঘনিষ্ঠ পারিবারিক লোকজনও অসহায়, তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে দৌড়ঝাঁপ করবে। সেই আগের পথ রেখা ধরে নতুন মস্তানদের স্মরণাপন্ন হবে। সবকিছুই হবে গণতন্ত্রের নামে। গণতন্ত্র না থাকলে কি আমাদের একদিনও চলে? ভাল মত নি:শ্বাস নেওয়া যায় না। নিজের প্রাপ্য জিনিসের বাইরে ফাউ কিছু পাওয়া যায় না। ভি আই পি ভাব আসে না। প্রটোকলের আমেজ লাগে না।

গণতন্ত্রে প্রভূত সুবিধা। পালা বদলের সাথে সাথে ব্যাংক-বীমা কমিটিতে নাম লেগে যায়। পাড়ার ক্লাব থেকে শুরু করে পেশাজীবি এসোসিয়েশন সর্বত্র আগের আমলের কমিটির পরিত্যক্ত স্থান দখলে চলে আসে। হোয়াইট কালারড লোকজন সচিবালয়ে আর উর্ধতন সোপানে ঘোরাঘুরি শুরু করে দেয়। তারা তাদের ইমেজ বেচে আর মুখ দেখিয়ে বড় বড় পদ নিলামে কব্জা করে, বড় বড় টেণ্ডারে ভাগ বসায়, সরকারি পদ-পদবী দখল করে নেয়। এরা সাবেক আমলা, কেউ সাবেক সেনা, কেউ সাবেক কুটনীতিক, কেউ প্রসিদ্ধ টাউট, কেউ মার্কা মারা সাংঘাতিক, কেউ কেউ মস্তান শ্রেণির বাটপার, আর কেউ অব: জুডিশিয়াল। এদের লাজ-লজ্জা নেই, এদের পরিবার-পরিজন থেকেও নেই। কেউ তাদের কোন চ্যালেঞ্জ করে না। সবাই মেনে নেয়। না নিয়ে উপায় নেই। বড় ভাইরা আছে, সরকারি ডাণ্ডা আছে, চৌদ্দ শিকের আতিথেয়তার অস্ত্র আছে। তাই কেউ সাহস করে আর আগ বাড়ায় না। বাড়ালে ব্যবস্থা আছে। থেরাপি আছে, গুম আছে, কোমর ঢিলা করার ব্যবস্থা আছে, আয়না ঘরের মত অদৃশ্য ঘরের বাসিন্দা হওয়ার ভয় আছে। সরকারি এজেন্সি আছে। এদের হাতে অক্টোপাস সদৃশ দুদক আছে, কাবুলিওয়ালা মার্কা ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট আছে। এদের সব কর্মতৎপরতাই চলে গণতন্ত্রের ছায়ায়। সবাই সব কিছু বুঝি। তবু সবাই গণতন্ত্রের গান গাই।

গণতন্ত্র ছাড়া কোন সভ্য সমাজ চলতে পারে না। বহুমতের চর্চা হয় যে সমাজে সে জাতির বিকাশ হয় তত সুষম। গণতন্ত্রে নি:শ্বাস ফেলার সুযোগ থাকে। নিজের মত করে চলা যায়। কিন্তু সেরূপ গণতান্ত্রিক চর্চা আমাদের দেশে হয়নি কোনকালেই। গেল রেজিমে গণতন্ত্রের বিভৎস চেহারা দেখে মানুষ আজ আতংকিত। তাদেরকে পুনর্বাসনের তোড়জোড়ে মানুষ বড়ই হতাশাগ্রস্ত। গণতন্ত্রের নামে “আগেরটাই ভালো ছিলো” শ্লোগান ক্রমশঃই উচ্চকিত হচ্ছে। এতে করে পাবলিকের বিশ্বাসের ভিত নড়ে গেছে। তারা গণতন্ত্রের নাম শুনলেই নির্বাচন প্রশ্নে “দরকার নাই” বলতে শুরু করে দিয়েছে। এরিমধ্যে রাজনীতির নতুন ও পুরাতন খেলোয়াড়দের বডি ল্যাংগুয়েজ ও হার্ড হিটিং দাপট পাবলিককে নতুন কোন বাণী শোনাতে পারছে না। ভয়টা সেখানেই। গণতান্ত্রিক পরিবেশে প্রসিদ্ধ দুর্নীতিবাজ দায়মুক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়ায়। ব্যাংক লোপাট করে সদম্ভে দাপিয়ে বেড়ায়। পাবলিকের টাকা মেরে তা পাচার করে বিদেশে পুত্র-জায়া-কন্যা পরিবেষ্টিত হয়ে রাজার হালে জীবন যাপন করে। অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত ইতরদের কাছে হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত। গণতান্ত্রিক চেয়ার তাদের জন্য নীলামে উঠে। নমিনেশন বাণিজ্যে অনেকেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। গণতন্ত্রের এরূপ চেহারা দেখে মানুষের সৃজনশীলতা বিনষ্ট হয়ে যায়। উদ্যম-উদ্যোগে ভাটা পড়ে। শর্টকাট পথে সবাই সিদ্ধি খুঁজে বেড়ায়। আণ্ডার পাসের তালাশে যারপরনাই তৎপর হয়ে উঠে। অযোগ্য ও অদক্ষ লোকেরা এলিভেটেড ওয়েতে সুরুত করে উঠে দূরবর্তী হয়ে যায়। নির্বাচন সামনে এলেই নামগোত্রহীন আজেবাজে লোকেরা, যাদের চাল-চুলোর ঠিক-ঠিকানা নেই, তারাও দল গঠন করে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ধর্ণা দেয়। অথচ এদের বিবি-বাচ্চাও যে তাদের ভোটটা তাদেরকে দেবে না – তা তারা জানে। গণতন্ত্রের নামে সর্বত্র এরূপ প্রহসন চলে। তবু গণতন্ত্র, আহারে গণতন্ত্র, কত অমৃত যেন!

গণতন্ত্রই আমাদের জন্য শেষ কথা এটা সত্য। তবে তা চুয়ান্ন বছরের চর্চিত গণতন্ত্র না। সহনশীল ও বহুমতের প্রতি শ্রদ্ধাাশীল, সুষম বন্টনে প্রয়াসী সুশাসন আমাদের দীর্ঘদিনের আকাংখা। এবার সুযোগ এসেছে তা দেখার, তা পাওয়ার। এবারও কারো কারো অবিমৃষ্যকারিতার কারণে সে সুযোগ হাত ছাড়া হলে আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সম্ভাবনা নিবার্পিত হবে আর আমরা পড়বো চিরস্থায়ী আস্থার সংকটে। তখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সত্যিকার অর্থেই বিলাপের ঢংয়ে উচ্চকিত হবে “ইয়ে দুনিয়া ইয়ে মেহফিল মেরি কাম কি নেহি”। সে অবস্থা আমাদের কারো কাম্য না। কাম্য হতে পারে না। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।

লেখক: কলামিস্ট

সারাবাংলা/এএসজি

আনোয়ার হাকিম গণতন্ত্র মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর