Tuesday 17 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্র: প্রভাব ও প্রতিকার

ড. মতিউর রহমান
১৭ জুন ২০২৫ ১৭:৪৪

ক্ষুদ্রঋণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। তবে, এই ব্যবস্থার এক জটিল দিক হলো ‘ঋণচক্র’, যা ক্ষুদ্রঋণের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আরও গভীর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ক্ষুদ্রঋণ হলো স্বল্প আয়ের বা দরিদ্র পরিবারগুলোকে জামানতবিহীন, ছোট অঙ্কের ঋণ প্রদান, যা তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণে সহায়তা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন। তবে, এই ব্যবস্থার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ঋণচক্রের ঝুঁকি। ঋণচক্র বলতে এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে একজন ঋণগ্রহীতা তার পূর্বের ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়, ফলে ঋণের বোঝা ক্রমাগত বাড়তে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এটি একটি দুষ্টচক্র, যা একবার শুরু হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত, উচ্চ সুদের হার, অপর্যাপ্ত তদারকি, ঋণের অর্থের অপব্যবহার, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পারিবারিক সংকটের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এই ঋণচক্র সৃষ্টির প্রধান কারণ। অনেক সময় ঋণগ্রহীতারা ঋণের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে অনুৎপাদনশীল খাতে, যেমন দৈনন্দিন ব্যয় বা ভোগে ব্যয় করে ফেলে, যা তাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর (MFI) মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাব বা একচেটিয়া প্রবণতাও অনেক সময় উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ঋণচক্রকে আরও ত্বরান্বিত করে।

ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্রের আকার এবং বিস্তার ভৌগোলিক অবস্থান, সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার নীতিমালার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, এবং আফ্রিকার কিছু দেশ, যেখানে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচলিত, সেখানে ঋণচক্রের ঘটনাও তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ একাধিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করে, যা তাদের ঋণের বোঝাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। অনেক ক্ষেত্রে, একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার ঋণ পরিশোধের জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা ’ডাবল বোরোইং’ বা ’মাল্টিপল বোরোইং’ নামে পরিচিত। এই প্রবণতা ঋণচক্রকে আরও জটিল করে তোলে, কারণ ঋণগ্রহীতাকে একই সাথে একাধিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অনেক পরিবার একাধিক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সদস্য হয়ে পড়ে এবং এক সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতে অন্য সংস্থার ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঋণের বোঝা যখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন ঋণগ্রহীতা তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হয়, যা তাকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারগুলোর মধ্যে ১০% থেকে ৩০% পরিবার ঋণচক্রের শিকার হতে পারে, যা ক্ষুদ্রঋণের ইতিবাচক প্রভাবকে অনেকটাই ম্লান করে দেয়। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করে। ঋণের আকার, ঋণগ্রহীতার আয়, এবং অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের পরিমাণ ঋণচক্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্র ঋণগ্রস্ত পরিবারের উপর বহুমুখী এবং ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। এর প্রভাব কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং সামাজিক, মানসিক, এবং স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। ঋণচক্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রভাব হলো অর্থনৈতিক। পরিবারের উপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, যা তাদের সঞ্চয়ের ক্ষমতাকে হ্রাস করে এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে, ঋণের কিস্তি পরিশোধ করাই তাদের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে পরিণত হয়।

অনেক সময় পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পারিবারিক সম্পদ, যেমন জমি, গবাদি পশু, বা গহনা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের ঘটনাও বিরল নয়, যা তাদের আরও দরিদ্র করে তোলে। ঋণের কারণে অনেক পরিবার তাদের পুষ্টির মান কমাতে বাধ্য হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, অনেকেই উচ্চ সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়, যা তাদের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে।

ঋণচক্র পরিবারের সামাজিক সম্পর্ক এবং মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঋণের কারণে পরিবারে কলহ, বিবাদ এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। সমাজের চোখে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সম্মান কমে যায়, যা তাদের সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে ঋণগ্রহীতাদের আত্মহত্যা করার ঘটনাও ঘটে, যা একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। সম্প্রদায়ের মধ্যে ঋণগ্রহীতাদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে, যা তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করে। পারিবারিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয় এবং শিশুদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, কারণ তারা তাদের পিতামাতার উদ্বেগ এবং চাপ অনুভব করে।

অতিরিক্ত ঋণের বোঝা ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে তীব্র মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং হতাশা সৃষ্টি করে। এই মানসিক চাপ ঘুমের অভাব, ক্ষুধামন্দা, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বিষণ্নতা এবং এমনকি আত্মহত্যার চিন্তাভাবনার জন্ম দিতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার খরচ মেটাতে না পারায়, ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলো অসুস্থতার কারণে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে বা প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র কিনতে পারে না, যা তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। ঋণের বোঝা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের অসহায়ত্বের অনুভূতি তৈরি হয়।

ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বহুমাত্রিক এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলো ঋণগ্রহীতা, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, সরকার, এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর নির্ভরশীল। নিম্নে কয়েকটি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা উল্লেখ করা হলো।

১. সুদের হার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি: ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত এবং নিয়ন্ত্রিত সুদের হার নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো সুদের হারের উপর একটি নির্দিষ্ট সীমা আরোপ করতে পারে, যাতে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে সংস্থাগুলো ঋণগ্রহীতাদের উপর অযৌক্তিক বোঝা চাপাতে না পারে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা উচিত, যেখানে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের সময়সূচী, এবং অন্যান্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে জানানো হবে। ঋণগ্রহীতাদের ঋণের শর্তাবলী সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবহিত করা উচিত, যাতে তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবকিছু বুঝতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সুদের হারের তুলনা করার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে, যাতে ঋণগ্রহীতারা তুলনামূলকভাবে কম সুদের ঋণ বেছে নিতে পারে।

২. আর্থিক শিক্ষা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি: ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক শিক্ষা কর্মসূচির আয়োজন করা উচিত। এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তাদের বাজেট তৈরি, সঞ্চয়, ঋণের সঠিক ব্যবহার, এবং ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যেতে পারে। ঋণগ্রহীতাদের তাদের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঋণ গ্রহণ এবং উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা উচিত। ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রশিক্ষণ এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে তথ্য প্রদান তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে সাহায্য করবে, যা তাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা বাড়াবে। মোবাইল ব্যাংকিং এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (DFS) এর ব্যবহার শেখানো তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাড়াবে এবং অর্থ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে।

৩. তদারকি এবং রেগুলেশন জোরদারকরণ: ক্ষুদ্রঋণ খাতকে কার্যকরভাবে তদারকি করার জন্য শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক কাঠামো প্রয়োজন। সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক একটি স্বাধীন সংস্থা স্থাপন করা যেতে পারে, যা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে এবং তাদের অনিয়ম রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঋণের অপব্যবহার রোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং তা বাস্তবায়ন করা উচিত। ডাবল বোরোইং বা মাল্টিপল বোরোইং ঠেকাতে একটি কেন্দ্রীয় ঋণ তথ্য ব্যুরো বা ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (CIB) স্থাপন করা যেতে পারে, যেখানে সমস্ত ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এটি সংস্থাগুলোকে ঋণগ্রহীতাদের ঋণের অবস্থা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত ঋণ প্রদান রোধ করবে।

৪. নমনীয় ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা: ঋণগ্রহীতাদের অপ্রত্যাশিত সংকট, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অসুস্থতা, বা ফসল নষ্টের কারণে ঋণ পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোকে নমনীয় ঋণ পরিশোধের বিকল্প প্রদান করা উচিত, যেমন ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা বা পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো। এই ধরনের নমনীয়তা ঋণগ্রহীতাদের চাপ কমাতে এবং তাদের ঋণচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে। ঋণের পুনর্গঠনের সুযোগও প্রদান করা যেতে পারে, যেখানে ঋণের শর্তাবলী ঋণগ্রহীতার সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।

৫. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী শক্তিশালীকরণ: ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের জন্য শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি থাকা উচিত। সরকারি সহায়তা, যেমন কন্ডিশনাল ক্যাশ ট্রান্সফার, খাদ্য সহায়তা, বা স্বাস্থ্য বীমা, পরিবারগুলোকে অপ্রত্যাশিত সংকটের সময় সহায়তা প্রদান করবে এবং তাদের ঋণের উপর নির্ভরশীলতা কমাবে। এই কর্মসূচিগুলো পরিবারগুলোকে ঋণচক্র থেকে রক্ষা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

৬. ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ: ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোকে কেবল মুনাফার দিকে নজর না দিয়ে সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে। তারা ঋণগ্রহীতাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে ঋণ প্রদান করবে এবং তাদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো থেকে বিরত থাকবে। ঋণগ্রহীতাদের সাথে মানবিক আচরণ করা এবং তাদের সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করা সংস্থাগুলোর নৈতিক দায়িত্ব। সংস্থাগুলো ঋণগ্রহীতাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তাদের কার্যক্রমের নিয়মিত মূল্যায়ন করতে পারে।

ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য বিমোচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, তবে ঋণচক্রের ঝুঁকিকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সুচিন্তিত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। সুদের হার নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক শিক্ষা, শক্তিশালী তদারকি, নমনীয় পরিশোধের ব্যবস্থা, এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণের ইতিবাচক প্রভাবকে আরও বাড়ানো সম্ভব এবং ঋণগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঋণচক্রের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করা যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলো কেবল অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে না, বরং সামাজিক সমতা এবং মানব উন্নয়নেও অবদান রাখবে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

সারাবাংলা/এএসজি

ঋণচক্র ক্ষুদ্রঋণ ড. মতিউর রহমান মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর