Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খবরের পাঠাভ্যাস, ডিজিটালের জন্য নেই কোনো সুখবর!


২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৪১

ডিজিটাল মিডিয়া’র উত্থানে সংবাদপত্রগুলো গণহারে বন্ধ হয়ে যাবে এমনটা ভাবা হলেও প্রকৃতপক্ষে গত এক দশকে ঘটনাটি সেভাবে ঘটেনি। গবেষণা বলছে… সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক চিত্র আর বিংশ শতাব্দীর শেষভাগের চিত্রে খুব একটা ভিন্নতা কিছু নেই। ফলে ডিজিটাল যুগে সংবাদপত্র থাকবে না বলে যে তত্ত্ব ছিল এ গবেষণা সে তত্ত্ব কিছুটা হলেও ম্লান করে। তবে তারপরেও বলি, তথ্যপ্রযুক্তির এই বিপ্লবের যুগেও যারা সনাতনি ভাবধারায় বিশ্বাস আঁকড়ে বসে আছেন তাদের এতে খুশি হয়ে ওঠার কারণ নেই। তা এই জন্য যে, গবেষণাগুলো বলছে… গণবিলুপ্তি না ঘটলেও সংবাদপত্রের গণসংকোচন যে ঘটেছে তাতে সন্দেহমাত্র নেই।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু তাই বলে কী ডিজিটাল ক্যানভাসে খবর পাঠ নিয়ে রয়েছে কোনও সুখবর? গবেষণা সেখানেও ভালো কিছু বলছে না। প্রশ্ন উঠেছে ডিজিটাল জগতে পাঠকদের মনযোগিতা কতটুকু নিয়েও।

এটা সত্য প্রতিটি সংবাদপত্রে পাতার সংখ্যা এখন কমেছে, বার্তাকক্ষের আকার ছোট হয়েছে, ছাপাখানা ছোট হয়েছে, আর সর্বোপরি বাজেট কমেছে বড় হারে। এতে বন্ধ হয়েছ হয়তো কম, কিন্তু কলেবরে কমে এসেছে অসংখ্য, কিংবা বলা চলে প্রায় সকল সংবাদপত্র। এই সংকোচন নীতিতেও শেষ রক্ষা হয়নি, হচ্ছে না!

আরও আগে প্রতিদিন সকালে দরজার নিচে থেকে ঠেলে দেওয়া সংবাদপত্রটি যখন তুলতেন তখনকার সময়ের কথা আর আজ সকালে যে কপিটি তুলেছেন সেটির কথাই গভীর অনুমানে ভাবুনতো! নিঃসন্দেহে বুঝতে পারবেন- আগে পত্রিকাটি একটু বেশিই ওজনদার ছিলো। কনটেন্ট ও কলেবর উভয়ার্থে।

দেশের প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর কথাই ধরুন। শনিবারে একটি আলাদা ম্যাগাজিন বের হতো- ছুটির দিনে নামে। ম্যাগাজিন সাইজে তিন/চার ফর্মার সেই পত্রিকা আজ নেই। সংকোচন নীতিতে তা এখন খোলা দুই পাতা মূল সংবাদপত্রের সঙ্গে এসেছে ভাজ হয়ে। রস+আলো আলাদা ম্যাগাজিন সাইজে আসতো… তাও এখন খোলা দুই পাতা। এসবের মূল কারণ যে বিজ্ঞাপন কমে যাওয়া- তা বুঝতে দেশের প্রধান সংবাদপত্রগুলোর ফ্রন্টপেজ-ব্যাকপেজ দেখে নেয়াই যথেষ্ঠ। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবারের সংখ্যায় দৈনিক প্রথম আলোর ফ্রন্টপেজের বিজ্ঞাপন ৫০ কলাম ইঞ্চিরও কম। বছর খানেক আগেও এই চিত্র ছিলো অনেক ভিন্ন। গলা অবধি বিজ্ঞাপনে ডুবে থাকতো এই সংবাদপত্রের সামনের পাতা।

আমেরিকার উদাহরণ দেওয়া যাক- ২০১৮ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ম্যাকক্যাচির বিজ্ঞাপন আয় ২৬.৪ শতাংশ কমেছে। গ্যানেটের কমেছে ১৯.১ শতাংশ আর ট্রঙ্ক দেখেছে ১৮ শতাংশ রেভিনিউ পতন।

বিজ্ঞাপন

ফলে এখন আর কেউ সংবাদপত্রের গ্রাহক বাড়ানোর কথা সামান্যতমও মাথায় আনছে না বরং অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল ভার্সনের দিকেই ধাইছে…। গবেষকরা বলছেন- জেনো’র প্যারাডক্সের কথা স্মরণ করে যারা টিকে থাকার নানা পথ দেখছেন তা স্রেফ তাদের দৃষ্টিভ্রম। তাদের মতে, সংবাদপত্রের জন্য মোটে দুটি পথ খোলা- এসব প্রিন্ট আর অনলাইন দুই ভার্সন নয়, স্রেফ অনলাইন ভার্সন হয়ে যাও… নয়তো বন্ধ করে দাও।

প্রিন্টই সেরা… প্রিন্টই সেরা এসব বলে এখনও যারা সকালে সংবাদপত্র হাতে চায়ের কাপে ফুঁ দেন… তারাও অচিরেই তাদের মনোভাব পাল্টাবেন। আর প্রকাশকদের তখন বসে যেতে হবে… কিংবা এখনই বসে যেতে হয়েছে সেই হিসাবের খাতা নিতে যাতে তাদের কাছে স্পষ্ট কত খরচ আর কতই বা তার আয়। ছাপাখানা যারা চালাচ্ছেন- তাদেরও হিসাব-নিকাশ একই ধারায় প্রবাহিত। সুতরাং সময় এসে যাচ্ছে- ছাপাখানাগুলোও বন্ধ করে দেওয়ার।

প্রশ্ন হচ্ছে কবে? কতদিনে? দুই বছর? পাঁচ বছর? নাকি দশ বছরে?

তবে নিকট কিংবা মধ্যম ভবিষ্যতের একটি প্রশ্ন- সংবাদপত্র বিলুপ্ত হয়ে গেলে তখন কি হবে? তা নিয়ে কথা বলার সময়ও কিন্তু এখনই এসে গেছে।

কথা বলতে হবে- এইসব সংবাদপত্রের পাঠকেরা সবাই কি ডিজিটাল মিডিয়ার পাঠক হয়ে যাবেন, বা যাচ্ছেন? এখন তারা সংবাদপত্র পাঠে যে পরিমান সময় দিচ্ছেন এবং মনোনিবেশ করছেন তা কি ডিজিটালে করছেন বা করবেন? কিংবা তারা কি এখন যেমন সংবাদপত্র নিয়ে ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসেন… তেমনি মোবাইল ফোনটি হাতে খবর পড়ার জন্য ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসবেন? আর সর্বোপরি- ইন্টারনেট তাদের আরও যেসব পাঠের কিংবা দর্শন-শ্রবনের সুযোগ করে দিচ্ছে তাতে তারা সংবাদই বা কতটুকু পড়বেন? এসব প্রশ্নে।

এই খানে গবেষকরা এরই মধ্যে যা ফাইন্ডিংস পাচ্ছেন- তা কিন্তু ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের জন্য সুখকর মোটেই কিছু নয়।

নতুন একটি গবেষণার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে। সেটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির মিউনিখের লুদিগ ম্যাক্সিমিলানস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গবেষক নিল থারম্যান ও রয়টার্স ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম-এর শিক্ষক রিচার্ড ফ্লেচার। তারা উপরোক্ত প্রশ্নগুলোকে গভীরভাবে দেখে নিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে- ডিজিটাল ক্যানভাসে খবরের পাঠাভ্যাস বিষয়ে সত্যিই কোনও সুখবর নেই। সরাসরি বলে দিয়েছেন- সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই যে পাঠককুল হৈ হৈ করে সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে খবর পড়তে হুমড়ি খেয়ে পড়বে- তা একেবারেই নয়। বরং তারা আরও অনেক ডিজিটাল জগতের বাসিন্দাদের মতো- সহজেই পথ হারাবেন। স্বল্প মনযোগিতায় তারা এক লিংক থেকে আরেক লিংকে ক্লিক করে যাবে। কিন্তু পড়বেন সামান্যই। কোনও বিষয়ের গভীর পাঠে তাদের আগ্রহ বলতে কিছু নেই কিংবা থাকবে না।

এই দুই গবেষক ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’র পাঠকদের ওপর গভীর নিরীক্ষা চালিয়েছেন। সংবাদপত্রটি তার ত্রিশ বছরের ছাপানোর ইতিহাসের ইতি টেনে ২০১৬ সালে অনলাইন-অনলি (মানে স্রেফ অনলাইনেই পাওয়া যাবে) পথে হাঁটতে শুরু করে। তাতে এই সংবাদপত্রের পাঠক আর প্রভাব এই দুইয়ের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা একটু দেখে নেওয়া যাক।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট তার প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে দেওয়ার পর এক বছরে দেখা গেলো তার বন্ধ করার কারণে যে সংখ্যক পাঠক হারালো… ডিজিটাল ভার্সনে অনেকটা সেই সংখ্যক পাঠকই বেড়েছে। আপনি যদি আধা গ্লাস পূর্ণ মনোভাব নিয়ে দেখেন- তাহলে বলবেন: বাহ! বেশতো কমে যাওয়া ও বেড়ে যাওয়ায় কাটাকাটি। কিন্তু আধা গ্লাস খালি মনোভাব দিয়ে দেখলে… কিংবা একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন- এই কাটাকাটির পরেও ওই বছর যুক্তরাজ্যে যে কোনও জাতীয় দৈনিকের চেয়ে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের অবস্থান ছিলো সবচেয়ে নিচে। সেটি এমনই এক সময়ে যখন যুক্তরাজ্যে চলছে ব্রেক্সিটের মতো হটকেক একটি ইস্যু, আর ওদিকে যুক্তরাজ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া, সিরিয়া যুদ্ধ, আইসিস, ইরান, উত্তরকোরিয়া এসবতো রয়েছেই।

এত কিছুর পরেও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কেন সবার থেকে পিছিয়ে? সেটিও এক জটিল অংক। এখানে কতজন পাঠক? এর চেয়ে কতক্ষণের পাঠক? প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানেই ঘটে গেছে বিপর্যয়। দ্য ইন্ডি যেদিন তার ছাপা ভার্সন বন্ধ করে দেয়… ঠিক সেদিন তার সার্কুলেশন ছিলো ৪০ হাজার। আর অনলাইনে মাসে ইউনিক সেশন ছিলো ৫৮ মিলিয়ন। মানে- ৫ কোটি ৮০ লাখ।

৪০ হাজারের চেয়ে ৫ কোটি ৮০ লাখ অনেক বেশি… তা বোকার হদ্দটিও বুঝতে পারে। কিন্তু থারম্যান ও ফ্লেচার দেখলেন- ওই মোটে ৪০ হাজার পাঠকই ইন্ডিপেন্ডেন্টের মোট কনটেন্ট কনজামশনের (আধেয় পাঠ) ৮১ শতাংশ দখল করে ছিলেন। আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যারা রয়েছেন তাদের ভাগে ছিলো মোটে ১৯ শতাংশ।

অনেকে বলবেন- হিসাবটা এভাবে মেলানো ঠিক হবে না। একটি পত্রিকার সার্কুলেশন আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ইউনিক ইউজার এক কথা নয়। আর এই দুইয়ের তুলনাও যথার্থ নয়। মাসিক ইউনিক সেশনের গণনা হয় পাঠকের সংখ্যায়… আর সার্কুলেশনে জানা যায় কত কপি পত্রিকা বিক্রি হলো সেটি। তবে যে যাই বলুন না কেন একটি বিষয়কে স্ফটিক স্পষ্ট। তা হচ্ছে- প্রিন্ট ভার্সনের পাঠক ডিজিটাল ভার্সনের পাঠককুলের চেয়ে অনেক, অনেক, অনেকগুনে ভালো।

আমরা যারা সাংবাদিক, আমাদের পক্ষে বিষয়টা সহজে মেনে নেওয়া কঠিন, কিংবা বুঝতে পারাও কঠিন। কারণ দিন-রাত সারাক্ষণ আমরা টনকে টন ডিজিটাল খবরের মধ্যেই পার করে দিই। যখন এই অনলাইন ছিলো না… স্রেফ প্রিন্টেরই দিন ছিলো, তখন একজন সংবাদকর্মী ও পাঠকের মধ্যে খবর পাঠে এই ফারাকটা খুব বেশি কিছু ছিলো না। সংবাদকর্মী আগে খবরগুলো পেয়ে যেতেন, আর পাঠক প্রকাশিত হওয়ার পর পড়তেন… এই যা। কিন্তু এখন যারা খবর নিয়ে কাজ করেন, তারা দিন-রাত খবরের ডিব্বার মধ্যেই বসে থাকেন। সকালে ঘুমভাঙ্গে ব্রেকিং নিউজের টুংটাং অ্যালার্টে। মেইল খুললেই ইনবক্সে নিউজ লেটার… আমার খবর সবার সেরা… আমরা ব্রেকিং নিউজ দেই এইসব স্লোগানে। এছাড়া টুইটার ফেসবুকেও সারাক্ষণ নিউজফিডগুলোই তাদের আশেপাশে ঘুরপাক খায়। কিন্তু যারা সাধারণ পাঠক তাদের কাছে খবরই একমাত্র বিষয় নয়। কিংবা বলা চলে এদৌ কোনও বিষয় নয়। তারা ঘুরপাক খায় ফেসবুক, টুইটারের অন্য অসংখ্য আধেয়তে। নেটফ্লিক্স, ইউটিউব এইসবে তারা অন্য কনটেন্টে থাকেন। মাঝে মধ্যে সুযোগ-সুবিধায় মিলে গেলে সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া নিউজফিড গুলো কাছেধারে পেয়ে গেলে… আর তাতে আকর্ষণ বোধ করলেই কেবল ঢোকেন। এতেই তাদের খবর পাঠ হয়ে যায়। কেউ কেউ, কিংবা বলা চলে অধিকাংশই সামাজিক মাধ্যমের টিজারটুকু দেখে কিংবা পড়ে পুরো খবর পড়ার স্বাদ নিয়ে নেন, কিংবা সাধ পূরণ করে চলেন।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট যেহেতু তার প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে কেবলই অনলাইনে এসেছে- এই পত্রিকাটিকে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখেছেন থারম্যান ও ফ্লেচার তাদের গবেষণায়। তারা দেখেছেন পত্রিকাটির প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করার পর পত্রিকাটিতে মোট সময় কাটানোর হিসাবটি এক বছরে ৫.৫৪৮ বিলিয়ন মিনিট থেকে কমে ১.০৫৬ বিলিয়ন মিনিটে দাঁড়িয়েছে। পত্রিকাটির প্রিন্ট ভার্সনের পাঠকদের অন্তত অর্ধেক পাঠক নিয়ম করে প্রতিদিনই সংবাদপত্রটি পড়তেন। অন্য দিকে এর অনলাইন ভার্সনের পাঠকরা মাসে এক কি দুইবার পত্রিকাটিতে ঢোকেন। প্রিন্টের পাঠকরা একবা্র পত্রিকাটি খুলে বসলে ৩৮ থেকে ৫০ মিনিট ধরে পড়তেন প্রতিদিনই। আর অনলাইনের একেকজন পাঠক গড়ে মাসে মোটে ৬মিনিট করে দ্যইন্ডিপেন্ডেন্ট.সিও.ইউকে তে থাকেন।

সারাবাংলা.নেট এ পাঠকের গড় সেশন মোটে তিন মিনিট। একবার ঢুকে পাঠক গড়ে তিন মিনিট থেকে বেরিয়ে যান। দেড় দশক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের কোনও মিডিয়ায় এই সেশন ডিউরেশন ৫/৬ মিনিটের বেশি দেখতে পাইনি।

পাঠকরা এখন বলেন- হ্যাঁ আমরা অনেক নিউজই পাই… এ যেনো বাজারে এখন তাজা শাক-সব্জি পাওয়া যাচ্ছে … এমনই কিছু একটা পণ্য কিংবা আমিতো প্রতিদিন সকালে হাঁটি এমনই কিছু একটা অভ্যাসের কথা। সংবাদ এখন মাছ-ভাতের তালিকায় সামিল।

এতে করে কি সংবাদমাধ্যম তার আজন্ম লালিত বৈশিষ্ট্য ও গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে? সে প্রশ্নে এখন বিশ্বজোড়া।

** একটি রাজনৈতিক মিথ্যা ও সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ

**  সাংবাদিকতায় কুম্ভিলকবৃত্তি পরিত্যাজ্য

** গো ব্লু ড্রেস গো… জয় হোক মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতার

** স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সংবাদপত্রে ভুল খবর সীমাবদ্ধতা নাকি ব্যর্থতা?

**  থাকুন সারাবাংলা’য় সারাক্ষণ

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর