Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্থানীয় সরকারে প্রকৃত জনপ্রতিনিধির প্রত্যাশা 


২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:১৯

।। রাজু আহমেদ ।।

একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই সারাদেশে ফের বেজে উঠেছে নির্বাচনি ডামাডোল। দেশের ৪৯২টি উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার আগে অবশ্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন এবং বেশকিছু জেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন-উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে সারাদেশেই নির্বাচনি আমেজ বয়ে যাওয়ার কথা। তবে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া ‘বিতর্কে’র কারণ বিএনপি ও তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

তবে ‘নির্দলীয়’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নটি মূলত জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক। কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন কখনোই নির্দলীয় সরকারের অধীনে আয়োজন সম্ভব নয়। ফলে এসব নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের সাহস, সামর্থ্য ও নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর। সব দল-মতকে ধারণ করে সবার কাছে নির্বাচন কমিশন যদি নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে, তাহলেই কেবল স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করে তোলা সম্ভব।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন যেমন কখনোই শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে সর্বমহলে নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি, তেমনি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ও স্থায়ী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সময়ে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম সরকার ব্যবস্থা চালু করা হলেও কোনোটিই দীর্ঘদিন কার্যকর থাকেনি। একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদই  স্থানীয় সরকারের স্থায়ী স্তর হিসেবে টিকে আছে। যদিও বিভিন্ন সময়ে এর গঠন, ক্ষমতা ও কার্যপরিধিতে পরিবর্তন এসেছে। তবে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ— এই তিনটি স্তর কার্যকর রয়েছে। আবার বিভাগীয় শহরগুলোতে এসব সিটি করপোরেশন ও ছোট শহরে পৌরসভার মাধ্যমে নাগরিক সেবা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জেলা পরিষদ বাদে প্রতিটি স্তরে স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধিরা পাঁচ বছরের জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। আর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ও জেলার আওতাধীন নিম্নস্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন। অনেক ক্ষেত্রেই নানা জটিলতার কারণে মেয়াদ পার হওয়ার পরও বহাল থাকেন তারা। এর অধিকাংশই ঘটে বিভিন্ন আইনি সমস্যার কারণে। এমনকি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে এক যুগেরও বেশি ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডও রয়েছে। ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত তিন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কমিশনাররা আট বছর ক্ষমতায় থেকেছেন। অসংখ্য ইউনিয়ন এবং পৌরসভায়ও এ ধরনের নজির রয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের (১) ও (২) ধারায় নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। সংবিধান এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটির কাছে স্থানীয় প্রশাসনের শাসনভার অর্পণের কথা বলেছে। অর্থাৎ প্রতি স্তরের স্থানীয় সরকারেরই প্রশাসনের একটি অংশের ওপর কর্তৃত্ব থাকবে। বর্তমানে এর সম্পূর্ণ উল্টোটি চলছে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাসহ বিদ্যমান স্থানীয় সরকারগুলো নানাভাবেই সরাসরি প্রশাসনের মাধ্যমে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এসব প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব নেই। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলা হলেও বাস্তবে আমলাতন্ত্রের শাখা-প্রশাখা সম্প্রসারণ ছাড়া কিছুই হয়নি।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় এসেই নিজেদের পছন্দ ও সুবিধামতো দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার পূর্ববর্তী কাঠামো পরিবর্তন করে নতুন কাঠামো প্রয়োগের চেষ্টা চালিয়েছে। এ কারণেই স্থানীয় সরকারের নানা স্তরের কথা বলা হলেও একমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া এ পর্যন্ত কোনো স্তরই স্থায়ী হয়নি। স্থানীয় সরকারের স্তর নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও আজ পর্যন্ত কেউই স্থানীয় সরকারকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ ও তৃণমূলে তার প্রসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, জনগণের ব্যাপক ক্ষমতায়ন ইত্যাদির কথা বক্তৃতায় হরহামেশা বলা হলেও বাস্তবে শাসক শ্রেণির কায়েমি স্বার্থ ও আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার। বর্তমান ব্যবস্থায় স্থানীয় সরকারকে নানাভাবে সরকারি প্রশাসনের অধীন করে রাখা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হলেও এটি কখনোই স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি। উপজেলা বা থানা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে একে সচিবালয়ের আমলাতান্ত্রিকতার নিগঢ়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা থাকতে হয় সবসময়। প্রশাসনিক বা উন্নয়নমূলক যেকোনো কাজের জন্য আমলাদের মুখের দিকে চেয়ে থাকতে হয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের।

স্থানীয় সরকার বলা হলেও এর নিজস্ব ক্ষমতা খুবই সীমিত। শুধু তাই নয়, ইউনিয়ন পরিষদ আইন ১৯৮৩-এর ১২, ৬৪ ও ৬৫ ধারা অনুযায়ী থানা বা জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ, এমনকি সমগ্র পরিষদ বাতিল করে দিতে পারেন। এই আইনের ৬০, ৬১ ও ৬২ ধারা মতে, সরকারি কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদের ওপর যেকোনো নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধায়ন এবং নির্দেশ আরোপ করতে পারেন। আর্থিক বিষয়ে তারা প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর এখনও নির্ভরশীল। বর্তমান ব্যবস্থা এবং অবস্থা— দু’টিই স্থানীয় সরকারের মৌলিক ধারণার পরিপন্থী।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মৌলিক নীতি হলো— এটি হবে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বের অধিকারী স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রশাসন, উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সুনির্দিষ্ট বিভাগ থাকবে। প্রতিটি স্তরের স্থানীয় সরকারেরই স্থানীয় প্রশাসন এবং উন্নয়ন বিষয়ে সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে। স্থানীয় সরকারের আর্থিক কর্তৃত্বও হতে হবে স্বাধীন। কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধিবদ্ধভাবে স্থানীয় সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করবে।

এ পর্যন্ত কোনো সরকারই এ ধরনের ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়নি। মূলত স্থানীয়ভাবে দলীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশাসনিক হয়রানি, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে দলীয় লোকদের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা ইত্যাদির মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে পরিণত করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে। সরকারী কর্মকর্তাদের হাতে অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে স্থানীয় সরকারের ওপর আমলাতন্ত্রের আইনসম্মত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানাভাবে সংসদ সদস্যদের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য চাইলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ত্রাণ বিতরণের কাজ করতে পারেন। মূলত রাষ্ট্রের আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্যদের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরও বেশি দুর্বল ও পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

ফলে শুধুমাত্র নানা স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করলেই সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে না, স্থানীয় সরকারকে অবশ্যই আর্থিকসহ পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতাসম্পন্ন স্বশাসিত স্থানীয় সংস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমলাতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ নয় রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক ক্ষমতার গণতান্ত্রিক (অর্থাৎ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত) বিকেন্দ্রীকরণই হতে হবে স্থানীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য। প্রতি স্তরের স্থানীয় সরকারকে তার আওতাধীন প্রশাসনের ওপর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। উন্নয়ন ও প্রশাসন বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সরকারের এখতিয়ার ও ক্ষমতা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত এবং পৃথক করতে হবে। স্থানীয় সরকারের আওতায় যেসব কর্মকাণ্ড হস্তান্তর করা হবে, সেসব বিষয়ে স্থানীয় সরকারের কাছে পূর্ণ কর্তৃত্ব দিতে হবে। স্থানীয় সরকারকে দিতে হবে সুনির্দিষ্ট আর্থিক ক্ষমতা। এর কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সংবিধিবদ্ধ অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। অর্থাৎ জাতীয় বাজেটের একটি নির্দিষ্ট অংশ স্থানীয় সরকারের জন্য সরাসরি বরাদ্দের সংবিধিবদ্ধ (স্ট্যাটিউটারি) ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সামগ্রিকভাবে দেশের প্রতিটি স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে হবে। এক স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেন অনৈতিক ও বেআইনিভাবে অন্য স্তরের প্রতিনিধির কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারেন, সেজন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে হবে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যেন গ্রাম-গঞ্জে প্রকল্পের কাজ, শিক্ষক নিয়োগ, রাস্তা নির্মাণ, স্থানীয় উন্নয়ন বা ত্রাণ বিতরণে যুক্ত না থেকে দেশের আইন প্রণয়নের জন্য তাদের আসল দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন, তা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের মীমাংসা সম্ভব।

সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু অতীতে কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে প্রতিটি স্তরে দলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠাই ছিল সব সরকারের মূল লক্ষ্য। ফলে স্থানীয় নির্বাচনে যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সততার পরিবর্তে যেনতেনভাবে জিতে আসাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সুযোগে অনেক ক্ষেত্রেই এলাকার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী, গডফাদার, দুর্নীতিবাজ ও গণধিকৃত ব্যক্তি স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করত। অর্থ ও অস্ত্রের জোরে তাদের অনেকেই জিতে আসত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে জনসমর্থনের চেয়ে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রতিযোগিতাই বড় হয়ে দেখা দেয়। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস পাননি। ফলে নির্বাচনকে কালো টাকা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িক প্রচারণা এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে না পারলে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা কার্যকর স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

লেখক: প্রধান প্রতিবেদক, জিটিভি

[email protected]

সারাবাংলা/টিআর

একাদশ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর