করোনায় বিমর্ষ দিন ও ছাঁটাইকলের গান
১ জুলাই ২০২০ ২৩:৪৭
কর্মহীন মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে, সেটা কত দ্রুত তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যরা আঁচও করতে পারছেন না। মাসের শুরু কিংবা শেষদিকে এটা প্রকট হচ্ছে। বছরের পর বছর কিংবা মাসের পর মাস যে প্রতিষ্ঠানে শ্রম-মেধা দিয়েছেন, সে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিচ্ছে আপনার আর প্রয়োজন নেই। আবার যাত্রাবাড়িতে যার মাছের আড়ত ছিল, এখন তিনি ব্যবসা গুটিয়ে বিক্রি করছেন মাস্ক; অভিজাত শপিং মলের মোবাইল ফোনের দোকান ছেড়ে দিয়ে স্যানিটাইজার-গ্লাভসসহ চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবসায় নেমেছেন কেউ কেউ। বিউটি পার্লারের সাইনবোর্ড ঝুলছে কিন্তু ভেতরে বিক্রি হচ্ছে সবজি- এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হবার পাশাপাশি কর্মান্তরিতও হচ্ছেন।
যে পোশাক কারখানা শ্রমিকের ঘাম-শ্রমে বছর শেষে কোটি কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে, সেই পোশাক কারখানা সরকারের প্রণোদনা পাবার পরও ৩-৪ মাস সব শ্রমিককে বেতন দিতে পারছে না। ছাঁটাইকলে চিড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে শ্রমিক জীবন। এ বৈপরীত্য করোনার আগে আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। পুঁজি মুনাফা চায়, তা না হলে তার দিন চলে না; তাই বোধহয়- মেহনতিরা এখন ছাঁটাইকলে পিষে মরছে। পোশাককারখানা মালিকরা ঝুঁকি নিতে চান না, ফি বছরের লাভের কড়ি এখন তার নিজের পুঁজি। ওখানে টান পড়ুক এমন ‘অমানবিক’ তারা হতে পারেন না। স্বজন-পরিবারের পাশে কিভাবে দাঁড়াবে ছাঁটাইকলের গানে পিষ্ঠ হওয়া শ্রমিক, সে ভাবনা তাদের নেই। তবে দু’চারটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত গণমাধ্যমে এসেছে, সে আলাপ দিনান্তরে। এখানে বলে নেয়া ভালো- পোশাক কারখানার উদাহরণটা চোখের খুব কাছাকাছি; তাই দেওয়া। অন্যসব কারখানা বা পেশার মানুষও ছাঁটাইকলের বেসুরো গান শুনছেন।
গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে সবজি ব্যবসায় নেমেছেন, নানা পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে রাজধানী ছাড়ছেন; জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হারিয়ে বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন, ছাঁটাইকল দ্রুত ঘুরছে; কোটি মানুষ কর্মহীন হয়েছে, আরো কতজন হবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। একইসঙ্গে ছাঁটাই হয়ে অন্যজগতে (মৃত্যু) যাচ্ছেন কত মানুষ। এমন ছাঁটাই এ পৃথিবীর শতবর্ষী নাগরিকও দেখেননি।
কথায় কথায় আমরা যে করোনাযুদ্ধের ‘ফ্রন্টলাইনার্স’ শব্দ কপচাই, সেইসব বীরদের অনেকেই ঢাল-নেই; তলোয়ার নেই (সুরক্ষা-সামগ্রীহীন) নিধিরাম সর্দার। যোদ্ধার হাতে সঠিক সমরাস্ত্র তুলে দিতে না পারার ব্যর্থতা আমাদের দেশে বহুল চর্চিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষার দরকারি জিনিসের অপ্রতুলতার সঙ্গে মহামারীর শুরুর দিকে ইচ্ছাহীনতাও ভূমিকা রেখেছে। আর এখন যখন বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু, তখন হালে পানি যেন সোনার পাথরবাটি। তাই দেশের করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই আমরা দেখছি, বারো হাত কাপড়ে তেরো হাত গতর ঢাকার প্রাণান্ত চেষ্টা।
দিন যত যাচ্ছে গতর বাড়ছে তরতর করে (রোগীর সংখ্যা)। করোনার চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে ‘ফ্রন্টলাইনার্স’ ডাক্তার আক্রান্ত হবার পর কর্মরত হাসপাতালেই ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না, কারণ আসন খালি নেই- এমন দু’-একটি ঘটনাও সামনে এসেছে [ডাক্তার, নার্সসহ ৪০৯৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত (২৪ জুন পর্যন্ত), আর ৬০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু (২৫ জুন পর্যন্ত)]। মাঠ প্রশাসনের ফ্রন্টলাইনার্সদের মধ্যে ২৫ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২২০ জন। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে এ লেজেগোবরে অবস্থা সামাল দেয়া দুরুহ হয়ে উঠছে। হোক সেটা করোনাক্রান্ত ফ্রন্টলাইনার্সদের চিকিৎসা, সাধারণ করোনারোগীর চিকিৎসা, উপসর্গের চিকিৎসা কিংবা সাধারণ রোগীর যত্ন-সেবা কিংবা পথ্যের ব্যবস্থা করা; সবকিছুতেই সমন্বয় ও সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার যেমন হচ্ছে না, তেমনি ঘাটতিটাও ‘চোখে পোকা পড়া’র মতো দীপ্যমান। তাই দিন শেষে শুধু উৎকণ্ঠা নয়, মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে চেনা-অচেনা নতুন মুখ। গণমাধ্যমে এগুলো শুধুই সংখ্যা। এ সংখ্যা শতকের ঘর পেরিয়ে বীরবিক্রমে সহস্র্রের ঘর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অযুত-নিযুত ছাপিয়ে লাখের ঘর পেরিয়েছে দেশের আক্রান্ত। করোনা পরীক্ষার নতমুখ (দিনে ২০ হাজার পরীক্ষা হলো না এখনও) একটু উঁচু হলে আরও আক্রান্তের তথ্য-উপাত্ত আমরা নিশ্চয় পেতাম। এমনকি সব মৃত্যুর পেছনে মহামারীর গুপ্তাঘাত আরও স্পষ্ট হতো, মৃতমুখগুলো নিশ্চয় তাদের আত্মীয়-পরিজনের কাছে শুধু সাদা-কালো অক্ষর নয়, একেকটি মৃত্যুর আড়ালে চাপা পড়ে যায় কত স্বপ্ন। যার চলে যায়, সে-ই জানে কেবল স্বজন হারানোর যন্ত্রণা।
১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পাক হানাদাররা এদেশকে মেধাশূন্য করেছিল। ঠিক একই রকমভাবে না হলেও এই করোনাকালেও আমরা পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের বয়োবৃদ্ধ তথা বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়কে খুব দ্রুত হারাচ্ছি। অনেকেই হয়তো এ বিষয়ে একমত হবেন না, তবু বলি- করোনা মহামারী না থাকলে আমরা স্বাভাবিক যে মৃত্যুগুলো প্রত্যক্ষ করছি, তার সবগুলো ঘটতো না। কারণ দেশে দ্রুত চিকিৎসা, প্রয়োজনে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করা যেত; যেটা এই করোনার বিমর্ষ দিনে সম্ভব হচ্ছে না। শুধু করোনায় মৃত্যুকে গুনলে তো হবে না, এ সময়ে অন্য মৃত্যুগুলোর মধ্যেও করোনার লালা লেগে থাকছে- কোনটায় উপসর্গ; কোনোটাতেই এর প্রভাব (ভর্তি না নেয়া, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পিলো পাসিং গেম) এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রভাব-প্রতিপত্তি, ধন-সম্পদ, ক্ষমতাধর-অক্ষম, শিক্ষিত-অশিক্ষিত- কোনো বাছ-বিচার নেই, যাকে যেখানে যেভাবে পাচ্ছে; জেঁকে ধরছে করোনা। পারলে মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরতে দিচ্ছে না। দেশের অগ্রসর শ্রেণির বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ হিসেবে আমরা যাদের চিনি-জানি, তাদের প্রজ্ঞায় আলোকিত হই, তরুণ প্রজন্ম পথ খুঁজে পায়- সেসব মানুষগুলোও দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. আনিসুজ্জামান, কামাল লোহানী, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, মাশুক চৌধুরীসহ আরও অনেককেই হারালাম। আরও কতজনকে হারাতে হবে, সেটা আমরা ধারণা করতে পারছি না। এখনো সময় আছে আমাদের সচেতন হবার, তা নাহলে কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকব, তা বলা অনুমান করা দুরুহ।
সব সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষার সময় চলে যায়। পুলিশ সদস্যরা দলে দলে লাইন দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে। সেই ছবি ও খবর আমরা সংবাদপত্রের পাতায় দেখছি। গণমাধ্যম নিজে কর্মীর (সাংবাদিক) মৃত্যু-খবরও প্রকাশ করছে। কিন্তু পরের কাজটি কেন এখনো শুরু করছে না (কোনো কোনো গণমাধ্যম এরই মধ্যে করেছে) তা সত্যিই অবাক ব্যাপার। অবশ্য অবাক হবার পাশাপাশি আমরা এটাও ভেবে নিতে পারি- পরিবারের কর্তা যেমন সব সদস্যের খাওয়া-পরার দায়িত্ব পালন শেষে নিজের প্রতি একটু বেশি অবিচার করেন, অপুষ্টি ও অতি পরিশ্রমে রোগ-শোক বাসা বাঁধে শরীরে, সময় মতো ডাক্তার দেখানোর উদ্যোগও তার হয় না। সাংবাদিক সমাজও অনেকটা তেমন, সাংবাদিকরা দেশের-দশের সব খবর, এমনকি করোনার অনিয়ম-দুর্নীতি, সাফল্য-ব্যর্থতা ফলাও করে ছাপাচ্ছে, দৌড়াচ্ছে করোনার সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহে এবং তা প্রকাশে। অথচ নিজেদের সুরক্ষার ছিটেফোঁটা নেই তার।
করোনা-ফ্রন্টলাইনার্সদের তালিকা থেকে নিজেদের বাদ দিয়ে সংবাদকর্মীদের এ পেশায় থাকার কোনো সুযোগ নেই, ঘরে বসে সাংবাদিকতা করার মতো যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করতে পারিনি আমরা। আর এটা সম্ভবও নয় এই মহামারিকালে। মাঠের খবর, পরিস্থিতি তুলে ধরে পাঠককে তথ্য জানানোর পাশাপাশি দায়িত্বশীলদের অর্জন-ব্যর্থতাগুলো তুলে ধরাও সংবাদকর্মীদের বড় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সে দায়িত্ব পালনে পিছপা নয় কেউ-ই, কিন্তু ন্যূনতম নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ধারেকাছে নেই আমরা।
বিখ্যাত কথন আছে, ‘অলস ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার (প্রেম ও যুদ্ধে সবকিছুই বৈধ)’। তাই অস্ত্রশস্ত্রহীন (সুরক্ষাসামগ্রীহীন) করোনাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবন দান করে ‘শহীদ’ হবার চেয়ে আপনারা (সংবাদকর্মী) বেঁচে ‘গাজী’ হন; জয় করুন এ অদৃশ্য যুদ্ধকে। করোনা রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের খবরাদি প্রকাশে আপনি যেমন সচেতন, ঠিকই একইভাবে নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারেও সচেতন হবেন। অগ্রসর মানুষ হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব। নিজে বাঁচলেই না অন্যের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর কিংবা অব্যবস্থাপনার খবর সংগ্রহ করবেন, পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন। সময় চলে যাচ্ছে, সঠিক কাজটি সঠিকভাবে করার।
এরই মধ্যে আমরা হারিয়েছি সাংবাদিক হুমায়ূন কবির খোকন, মাহমুদুল হাকিম অপু, আসলাম রহমান, সুমন মাহমুদসহ কমপক্ষে ১২ জন সাংবাদিককে। মোট আক্রান্ত ৩৭৮ জন (১৯ জুন পর্যন্ত)। এখানে গণমাধ্যমের করণীয় সম্পর্কে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাব-এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপুর মৃত্যুতে (৫ মে) গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ৬ মে এক বিবৃতিতে বলেন, কিছুদিন আগে দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর পর আমরা আশা করছিলাম পত্রিকাটির কর্তৃপক্ষ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। প্রতিষ্ঠানটির সব সাংবাদিক ও কমর্চারীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। কার্যত সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাসা থেকে সাংবাদিকদের কাজ করার একটা দায়সারা নোটিশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ কার্যত তার দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে।
এ সাংবাদিক নেতারা গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, এখনও বেশকিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেনি। ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, যা অমানবিক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করার জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার ডিইউজের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরও আক্রান্ত কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, তারা নিজের খরচে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকের পরিবারের দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে। তাছাড়া এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে এরই মধ্যে; কিন্তু অধিকাংশ গণমাধ্যমের দু’চার-দশজন করে আক্রান্ত হলেও সবার পরীক্ষার বিষয়টি সামনে আসছে না। এমনকি যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, শুধু তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা সম্পন্ন করতেও সময় লাগছে। কারণ কোথাও সিরিয়াল দিলেই তো দিনে দিনে স্যাম্পল সংগ্রহ হচ্ছে না। নানা ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে যখন পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসছে; ততক্ষণে উপসর্গওয়ালা ব্যক্তি সারা অফিসের সব কক্ষ পরিভ্রমণ ওসব কর্মীর সংস্পর্শের শেষ ধাপে পৌঁছে যাচ্ছেন। করোনাক্রান্ত অথবা অন্য অসুখে কারো অবস্থা শোচনীয় হলে তার জন্য হাসপাতালে সিট/আইসিইউ ইউনিটে ভর্তির সুযোগ এখন সোনার হরিণ। যেসব সাংবাদিক গুরুতর অসুস্থতার পর নানান ঝক্কি পেরিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা এ রকমই। তাই বলাবাহুল্য- সময় বয়ে যাচ্ছে, সংবাদকর্মীদের সবার করোনা পরীক্ষা দ্রুত শেষ করা এবং রিপোর্ট অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বীর যোদ্ধাদের সামনে শুধুই অন্ধকার ছাড়া আর কিছু কি থাকবে?
লেখক : গল্পকার ও সংবাদকর্মী; যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর
করোনা করোনার অনিয়ম-দুর্নীতি কর্মী ছাঁটাই ছাঁটাই সংবাদকর্মী ছাঁটাই হোসেন শহীদ মজনু