সেদিন অবরুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশের গনতন্ত্র
১৬ জুলাই ২০২০ ১৮:০৫
তাপস হালদার
১৬ জুলাই, গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার কারান্তরীন দিবস। সেদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকেই অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দি
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে ধ্বংস করার জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগুতে থাকে পাকিস্তানী দোসর বিএনপি-জামায়াত চক্র। প্রথমেই তারা আঘাত করে, আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক খ্যাত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর। তারপর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট করে হত্যার মিশন শুরু করে। সর্বশেষ টার্গেট জননেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনাই স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গনতন্ত্রের স্তম্ভ। তিনি যতদিন থাকবেন ততদিন পাকিস্তানী ভাবধারায় রাষ্ট্র গঠন করা যাবে না। সে আশংকা থেকেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতা-কর্মী নিহত ও ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়। তিনি এভাবে ১৯বার নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ ফিরে এসেছেন।
২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া গংরা ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য নির্বাচনের নীলনকশা তৈরি করে। বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে নিজ দলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান, আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার তৈরি করে পাতানো মঞ্চে নির্বাচন, সবই ছিল সাজানো নাটক।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কে এম হাসান দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় সংবিধানের ৪টি উপধারাকে লঙ্ঘন করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই একই সাথে রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হয়ে যান। কিন্তু তিনি ছিলেন শুধু খেলার পুতুল, সুতোটা ছিল খালেদা জিয়ার কাছে। তিনি যেভাবে নাচাতেন ইয়াজউদ্দিন সেভাবেই নাচতেন। পরিচিতি পান খালেদা জিয়ার ইয়েস উদ্দিন হিসেবে। তার একমাত্র কাজই ছিল যে কোনোভাবে খালেদা জিয়াকে পুনরায় ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের আন্দোলনে জনগণ ইয়াজউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। একদিকে যে কোনো মুল্যে নির্বাচন করার পায়তারা, অন্যদিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগন যে কোনো মূল্যে নির্বাচনকে প্রতিহতের ঘোষণা। জনগন আর সরকার যখন মুখোমুখি তখনই সশস্ত্র বাহিনীর হস্তক্ষেপে ইয়াজউদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক প্রধান থেকে পদত্যাগ করে। বিএনপি মনোনীত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। সে সময়ের সেনাপ্রধানও ছিলেন বিএনপির খুবই আস্থাভাজন। তাকে খালেদা জিয়া আটজন সিনিয়র অফিসারকে বাদ দিয়ে সেনাপ্রধান করেছিলেন।
তিন উদ্দিনের সরকার পেয়ে বিএনপি শুরু থেকেই স্বস্তিতে ছিল। বিএনপি যে ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোট তৈরি করেছিল সে জন্য ভোটার লিষ্ট সংশোধন করার অজুহাতে সংবিধানে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা একটু সময় চেয়েছিল। জনগন তাতে সায়ও দিয়েছিল। কিন্তু অনির্বাচিত সরকার যখন ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে যায় তখনই ফন্দি আঁটে কিভাবে দুই নেত্রীকে মাইনাস করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করা যায়। এদের মদদে ছিল বাংলাদেশের দুটি পত্রিকার সম্পাদক ও স্বঘোষিত কিছু সুশীল।
তিন উদ্দিনের সরকার প্রথমেই বুঝে ফেলে তাদের ক্ষমতাকালকে দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে একমাত্র প্রতিবন্ধকতা শেখ হাসিনা। তখন কিছু দালাল বুদ্ধিজীবিদের মাধ্যমে সংস্কারের ধোঁয়া তুলে মাইনাস টু’র ফর্মুলা বাজারে ছেড়ে দেয়। মিথ্যা, ভুয়া সংবাদ ছেপে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মাইনাস টু’র আড়ালে মূল টার্গেট হলো মাইনাস ওয়ান মানে শেখ হাসিনা।
আমরা দেখেছি গনতন্ত্রের নেত্রীকে গ্রেফতারের আড়াই মাস পর জনগনের চাপে খালেদা জিয়াকে লোক দেখানো গ্রেফতার করা হয়। অথচ তখন খালেদা জিয়া সদ্য ক্ষমতাচ্যুত। পাঁচবারের দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, জঙ্গীদের আশ্রয় ও মদদদাতা।
ব্যক্তিগত সফরে জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানকালে সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার জন্য চাপ দিলে তিনি রাজি হয়ে যান। প্রথমে তারেক রহমানকে নিয়ে যেতে চাইলে সরকার সাড়া না দিলে তিনি একাই চলে যেতে রাজি হন। তখনই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফেরার উদ্যোগ নেন। নেত্রীর দেশে ফেরার খবরে উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সরকার। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তিনটি চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। ক্ষুদ্ধ শেখ হাসিনা যতটা সম্ভব আরো দ্রুত দেশে ফেরার ঘোষণা দিলে ১১ এপ্রিল জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় চার্জসিট দেয়া হয়। এরপরও যখন তিনি আরো দৃঢ় অবস্থান নেন তখন সরকার ১৮ এপ্রিল ‘বিপজ্জনক ব্যক্তি’ হিসেবে দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সকল এয়ারলাইনসকে বলে দেয় শেখ হাসিনাকে বহন করলে ঢাকায় তাদের ল্যান্ড করতে দেয়া হবে না। তখন দেশরত্ন শেখ হাসিনা আল জাজিরা টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে আমার জন্ম, ঐ মাটিতেই আমার মৃত্যু হবে। যে কোনো ভয় ভীতি আমাকে দেশে ফেরা থেকে বিরত রাখতে পারবে না’।
কোন অপশক্তিই সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেশে ফেরা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ৭ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। জরুরী অবস্থা ও সরকারের কঠোর প্রতিরোধ উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ জনতা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সংবর্ধনা দিয়ে বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে বঙ্গবন্ধু ভবন হয়ে সুধা সদনে নিয়ে আসে।
সরকার যখন দেখলো কোন বাধা দিয়েই শেখ হাসিনাকে দাবিয়ে রাখা যাচ্ছে না তখনই গ্রেফতার করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা সংস্কারপন্থী হয়ে সে সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সাহস জুগিয়েছিল। যদিও অনেককে সরকার দমন পীড়নে সংস্কারপন্থী হতে বাধ্য করেছিল। সেদিন যদি সব নেতারা সাহস দেখাতে পারত তাহলে সরকার দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করতে সাহস পেত না।
১৬ জুলাই, সকালে অন্ধকার নেমে এসেছিল বাংলাদেশের গনতন্ত্রের ভাগ্যাকাশে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সংগঠনের সভাপতি, জাতির পিতার কন্যাকে কোনো প্রকার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করা হলো। দেশরত্ন শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পূর্বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিলেন। একটি হলো, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বিশ্বস্ত জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দ্বায়িত্ব প্রদান। অপরটি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান।
দেশনেত্রী সেদিন লিখেছিলেন-
প্রিয় দেশবাসী,
আমার সালাম নিবেন। আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে, কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনো অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। উপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও আপনারা দেশবাসী, আপনাদের উপর আমার ভরসা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন, কখনো মনোবল হারাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সাথে, আমৃত্যু থাকবো। আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। জয় জনগণের হবেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
শেখ হাসিনা
(১৬.০৭.২০০৭)
বঙ্গবন্ধুকন্যার এই চিঠি জাতিকে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে। নেতাকর্মীদের ঐক্য সুদৃঢ় ও মনোবল চাঙ্গা রাখতে সাহস জুগিয়েছিল।
জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেফতারের পূর্বে যেভাবে চুড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ঠিক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের কারাগারে নয় মাস বন্দী থাকাকালে এদেশের মুক্তিকামী বাঙ্গালিরা যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যার ৩৩১ দিন কারাবাসের সময় আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মীরা জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি ও নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করেছিল।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা গ্রেফতারের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় অমর একুশে গানের রচয়িতা, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্য এই গ্রেফতার সাপে বর হয়ে দেখা দিতে পারে, তিনি নেতৃত্বের অগ্নি পরীক্ষায় উতরে গেলেন। বলা হয় ক্রাইসিসেই নেতৃত্বের চরিত্র ও শক্তির পরিচয়। বর্তমানে দল ও তার নেতৃত্বের জন্য যে চরম ক্রাইসিস চলছে, সাহসের সাথে তা মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা প্রমান করলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরী। বঙ্গবন্ধু যেভাবে পাকিস্তানের কারাগারে নয় মাস বন্দি থেকেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতুত্ব দিয়েছেন, শেখ হাসিনাও তেমনি জেলেই থাকুন কিংবা জেলের বাইরে থাকুন এবার বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে মুক্ত করার সংগ্রামে সাহসী নেতৃত্ব দেবেন। প্রমানিত হলো, বাংলাদেশের এত নেতা, হাফ নেতা, পাতি নেতা থাকতে প্রকৃত নেতা আছেন একজনই, তিনি শেখ হাসিনা।’
দেশরত্ন শেখ হাসিনাই গনতন্ত্রকে মুক্ত করেছিলেন। সেই থেকে শুরু, টানা তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। জাতির পিতার অসম্পূর্ণ কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি হয়েছে কলংকমুক্ত। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আইনের শাসন। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে মহাকাশে স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য বাংলাদেশ। জিডিপিতে বিগত কয়েক বছরই দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে।
বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব মানবতার মা। করোনা মোকাবেলায়ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অপার বিস্ময়ের নাম। ‘রূপকল্প-২০২১’ এর মধ্যম আয়ের দেশ বাস্তবায়ন করে ‘রূপকল্প-২০৪১’ এর মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনে দুর্বার দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
লেখক: সদস্য সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা
সারাবাংলা/এসবিডিই