বান যেন কারো প্রাণ না কাড়ে
২০ জুন ২০২২ ২২:০৬
দ্বিতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যার কবলে ভাটির জনপদ। বিশেষ করে সিলেট, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ উপজেলা এখন বন্যায় প্লাবিত। দুটি জেলাশহরের বেশিরভাগ অংশ পানিতে ভাসছে। বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। সৃষ্টি হচ্ছে ভূতুড়ে পরিবেশের। পরিবার পরিজন ও গবাদিপশু নিয়ে দিশেহারা বানভাসী মানুষ এখন আশ্রয়ের সন্ধানে।
এই বন্যার প্রভাব পড়ছে পাশের জেলা নেত্রকোনা ও কিশোরগজ্ঞে। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলও এখন প্লাবিত।
অকাল বন্যায় ফসলডুবির ধকল কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতেই প্রথম পর্বের বানের মুখে পড়তে হয় হাওরবাসীকে। সেই বিপর্যয় মোকাবেলা করে যখন সবাই ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল ঠিক তখন অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে একের পর এক নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি আর দুর্দশা। সেইসঙ্গে বাড়ছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি সংকট। বাড়ছে অভাব।
কথা হলো ভাটির মানুষের বন্যার দুর্দশা কী যাবে না? গত কয়েক দশক ধরে সরকারের মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অনেকেই ভাটির মানুষ। বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। তারা বেশিরভাগক্ষেত্রে উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছেন। কিন্তু ভাটির মানুষের দুঃখগাঁথা বন্যার দুর্দশা থেকে মুক্তির চিন্তা হয়ত খুব একটা আসেনি। যদি আসত তাহলে দুর্ভোগের মাত্রা এতোটা অসহনীয় পর্যায়ে যাওয়ার কারণ ছিল না।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, ১৯৮৬ সালের পর এমন ভয়াবহ বন্যা আর দেখেননি তারা। এমনিতেই অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানি। রাত যত গভীর হয় ততো ভয় বাড়ে বানভাসী মানুষের। পানি কতোটুকু বাড়বে? এই পানিতে বসতি ঠিক থাকবে কিনা? ভতুড়ে পরিবেশে এরকম নানা দুশ্চিন্তা মনে আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ভারতের আসামসহ সীমান্তবর্তী সবকটি রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেখানেও দেখা দিয়েছে অকাল বন্যা। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদী সহ সবকটি নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপরে। নদ-নদী-খাল থেকে শুরু করে হাওর এখন পানিতে টইটম্বুর। নদীর পানি উপচে হু হু করে প্রবেশ করছে লোকালয়ে। গৃহবন্দি হয়ে পরেছে অনেক পরিবার।
সবচেয়ে বড় কথা হলো পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সুযোগে স্থানীয় বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে, সংকট দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক। এই সমস্যা যেন কোন অবস্থাতেই চরমে না পৌঁছায় সেদিকে খুব বেশি নজর রাখতে হবে। যে কোন মূল্যে খাদ্যসহ নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিকল্প নেই। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই হবে। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন। সেইসঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকার অভ্যাস হাওরের মানুষের। সন্ধ্যায় খাবার খেয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘরের পাশে থই থই পানির দৃশ্য যুগ যুগ ধরে দেখে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে যায় গ্রাম, জনপদ বিলীন হওয়া, ফসল ডুবিতে হাহাকার আর কান্নার রোল এলাকার পুরোনো চিত্র।
তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তাল হাওর আর ঢেউ পাড়ি দিতে না পারায় অসুস্থ রোগীর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর ঘটনা, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রায় সব গ্রামের মানুষের কমবেশি রয়েছে। বর্ষার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, বাল্যবিবাহ, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশু, শিশুশ্রম এসব বিষয় ভাটির মানুষের আদি অভিজ্ঞতা।
স্থানীয়দের দাবি, ১৯৮৬ সালের বন্যার রেকর্ড ছাড়াবে এবার। ভাটি অঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, জাদুকাটাসহ প্রধান সবকটি নদ-নদীর পানি অব্যাহত বাড়ছে। কেউ বলছেন, ২০০৪ সালের পর এবারই বন্যার চোখ রাঙানি সবচেয়ে বেশি।
মানছি, প্রকৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাধ্য কারো নেই। বন্যা ফেরানো যাবে না। প্রকৃতির থাবা থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে না। তাহলে কি ভাটির মানুষের দুঃখ যাবে না? সদিচ্ছা থাকলে দুর্ভোগ তো কমানো যায়। নাকি তাও সম্ভব নয়?
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার চারপাশ ঘিরে আছে সুরমা-কুশিয়ারাসহ একাধিক নদী। সেখানে পানি বাড়লেই দুই জেলা শহরও প্লাবিত হয়। এসব শহরের অভিজাত এলাকাগুলোও এখন জলমগ্ন। শহরের ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে নগরবাসীর। অর্থাৎ ড্রেন দিয়ে যেন দ্রুত বৃষ্টির পানি নামতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনে ড্রেন আরও বেশি প্রশস্ত করার বিকল্প নেই। জানি না সিলেট ও সুনামগঞ্জের নগর পিতারা কবে নাগাদ এই ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রকল্প হাতে নিবেন।
আরেকটি বড় কাজ হলো, জেলা সবকটি নদ-নদী খনন করা। শুনেছি, সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের ৭৮টি ছোট-বড় নদ-নদী ও খাল খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জেও মোট ২৬টি ছোট বড় নদ-নদী রয়েছে।
দিন দিন পলিতে ভাটি এলাকার নদীগুলোর নাব্যতা কমছে। তেমনি উজাড় হচ্ছে নদীকেন্দ্রিক ছোট ছোট খাল, ছড়া ও নালাগুলোও। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। ব্যাপক খননের মধ্য দিয়ে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়বে। উজানের ঢলে নদী উপচে সহজেই ফসল বা লোকালয় প্লাবিত হবে না। বন্যায় দুর্ভোগ কমবে। অন্যান্য স্থায়ী সমস্যারও কিছু উন্নতি হবে।
তাছাড়া বছর জুড়ে নদীতে পানি থাকবে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থাও সচল রাখা যাবে। কৃষকেরা বোরো মৌসুমে নদীর পানি যেমন ব্যবহার করতে পারবেন, তেমন মিঠা পানির মাছও সংরক্ষণ হবে। আরেকটি বিষয় হলো, ভাটির নদীও দখলের থাবামুক্ত নয়।
তেমনি প্রতিটি হাওরের মূল জলাধার চিহ্নিত করে সেখানেও প্রয়োজনীয় খনন নিশ্চিত করা জরুরী। তাহলে শুকনো মৌসুমে হাওরের একটি অংশে পানি থাকবে। হাওরে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়লে লোকালয়ে বাড়তি পানির চাপ কমবে এমনিতেই।
যদিও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আশ্বাস দিয়েছেন হাওর এলাকায় পারিকল্পিত উন্নয়নের। তিনি যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি কাজ করেন তবে অবশ্যই বন্যা নিয়ন্ত্রণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। কথা হলো কতোটুকু পরিকল্পিতভাবে কাজটি হবে? তাই দেখার বিষয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের চাওয়া একটাই জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে যেন মূল পরিকল্পনা হয়। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অর্থের লোপাট শেষে মানুষের কোন উপকার হবে না? আমরা এমন প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই না।
ভাটি এলাকায় প্রতিটি ঘাট ও বাজার এলাকায় দেখা যায় নদীর জমি কীভাবে নিজের মতো করে দখল করেছে ভূমিদস্যুরা। দখলের কারণে অনেক এলাকায় নদীর গতিপথও বদলে গেছে। পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে যেসব এলাকা কখনো প্লাবিত হয় না, তাও হচ্ছে। দখলমুক্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন।
এর বাইরে অপরিকল্পিত বাঁধ, রাস্তা, স্লুইচগেট তুলে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পরামর্শ কমিটি গঠন করে অপরিকল্পিত উন্নয়ন চিহ্নিত করে তা অপসারণ করা যেতে পারে।
বন্যা কবলিত মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভাটি এলাকায় বাড়াতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যাও। যেন বিপর্যয় শুরুর পর পরই মানুষ নিরাপদ স্থানে যেতে পারেন। তেমনি আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে গবাদি পশুর জন্য আলাদা জায়গা রাখাও প্রয়োজন। কারণ নিম্নাঞ্চলের প্রায় সব পরিবার কৃষিনির্ভর। বেশিরভাগ বাড়িতেই চাষাবাদের জন্য গবাদিপশু রয়েছে। কেউ কৃষিকাজে ব্যবহার করেন, কেউবা বাণিজ্যিকভাবে লালনপালন করেন। কেউবা গুরুর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বন্যার কারণে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেমন কঠিন, তেমনি গবাদিপশু বাঁচাতে হাওরবাসীকে মহা সংগ্রাম করতে হয়। বিশেষ করে গৃহপালিত পশুর খাদ্য সংকট বেশি দেখা দেয়। তাই মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করলেই হবে না, গবাদিপশুর সুরক্ষাও সমানতালে নিশ্চিত করা জরুরি। তাহলে তারা বন্যার ধকল কাটিয়ে চলার পথে তেমন ধাক্কা অনুভব করবেন না। পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা তো নিশ্চিত করার অপেক্ষা রাখে না।
এখন বন্যা ঠেকানোর থেকে বেশি জরুরি হলো দুর্গত মানুষেদের রক্ষা করা। তাদের পাশে থাকা। শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য ৪৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলায়। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার আভাস মিলেছে। তাতে সুনামগঞ্জের পাশাপাশি সিলেট ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতের মেঘালয়ে সাড়ে ছয়শ মিলিমিটারের বৃষ্টিপাত হয়েছে বুধবার। তাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে জানানো হয়েছে, বন্যার পানি ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্রে প্রবেশ করায় নিরাপত্তার স্বার্থে ওই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। সে কারণেই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ।
কথা হলো ভাটির মানুষের জন্য এ ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন কিছু নয়। সবাই কমবেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অভ্যস্ত। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে আছে। উপকূলের লোকজনও এ ব্যাপারে অভ্যস্থ অনেক বেশি। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরণের দুর্যোগ বারবার হবে, বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, ভূমিকম্পসহ এ ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা আগেও সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করেছি।
ইতোমধ্যে ভাটির পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্গত অঞ্চলে আটকে থাকা লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার করা হবে। সকল রাজনৈতিক দল তাদের কর্মীবাহিনীকে দুর্গত মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিবে এটাই স্বাভাবিক। এর বাইরে সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক দায়িত্ব বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকা। খাদ্যের অভাবে যেন কেউ কষ্ট না পায়, কারো যেন মৃত্যুর খবর না আসে।
তাছাড়া সিলেটের মানুষ অনেক বেশি পরোপকারী, অতিথিপরায়ন। এক্ষেত্রে একে অন্যের পাশে এমনিতেই দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। এর বাইরে সরকারের পাশাপাশি রেডক্রস, স্কাউট, বিএনসিসি থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক সাংস্কৃতি সহ পেশাজীবী সংগঠনগুলো দ্রুত সময়ে মাঠে নামবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
সেই সঙ্গে সমাজের বিত্তবানরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ি বানভাসী মানুষের পাশে থাকবে, খাদ্যের যোগান দিবে এটাও প্রত্যাশিত।
সিলেটের বহু মানুষ লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত। তারাও সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে বিশ্বাস। দূর্গত এলাকা ঘোষণা হোক বা না হোক সেটা বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দুর্গত মানুষেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সবাই মিলে একটু একটু করে যদি আমরা সবার পাশে থাকার চেষ্টা করি তাহলে সহজেই এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে বান যেন কোন অবস্থাতেই কারো প্রাণ না কাড়ে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সারাবাংলা/এজেডএস