Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাসদের দায়

বিভুরঞ্জন সরকার
১৫ আগস্ট ২০২২ ১৭:৫২

১৫ আগস্ট নিয়ে লিখতে বসলে কেন যেন মন টানে না। ১৯৭৫ সালের এই দিনটি ছিল বাঙালির জন্য এক বিষাদময় ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার দুঃসহ বেদনার দিন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, যার জনপ্রিয়তা এই ভূখণ্ডের রাজনীতির ইতিহাসে কারো সঙ্গে তুল্য ছিল না, সেই মানুষটি রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয় অত্যন্ত কাপুরুষোচিতভাবে।

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ঢাকা ফেরার পর এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ। রাষ্ট্র পেয়েছি, কিন্তু কোষাগার শূন্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত। রিক্ত নিঃস্ব অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শুরু করলেন। সদ্য স্বাধীনতা পেয়ে মানুষ একদিকে যেমন ছিল উল্লসিত, অন্যিকে তাদের প্রত্যাশার পারদ হয়ে উঠেছিল উর্দ্ধমুখী। ভাবা হয়েছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেই মানুষের জীবনে সুখের নহর বয়ে যাবে। মানুষের জীবনের সব দুঃখ-দুর্ভোগের অবসান হবে স্বাধীনতা পেলেই -এমন একটি সরল বুঝ কীভাবে যে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছিল! যুদ্ধ শেষের পাওনা বুঝে নিতে কারো কারো ব্যস্ত হয়ে ওঠাকে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর সরকার ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে নানা অপপ্রচার চালানো সহজ হয়ে উঠেছিল।

বিজ্ঞাপন

কিছু মানুষ, যাদের কারো কারো অবস্থান আবার বঙ্গবন্ধুর আশেপাশেও ছিল, এমন সব তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছিল, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপতা তৈরি করেছিল। দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছিল। নাশকতা-অন্তর্ঘাতের মাত্রা বাড়ছিল। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের কবলেও পড়েছিল দেশ। সদ্যস্বাধীন দেশের সমাজ ও রাজনীতি অস্থিতিশীল করার নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ১৯৭৫ সালের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং ‘শোষিতের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলেছিলেন দেশে সক্রিয় এবং ইচ্ছুক সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটিমাত্র রাজনৈতিক দল– ‘বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ’; সংক্ষেপে ‘বাকশাল’।

বিজ্ঞাপন

বাকশালের কনসেপ্ট, শোষিতের গণতন্ত্র তথা দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি সফল হলে দেশের অবস্থা কী হতো তা নিয়ে এখন আমরা শুধু জল্পনা-কল্পনা করতে পারি। তবে বাকশাল গঠন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু ত্বরান্বিত করেছে বলে এক ধরনের প্রচারণা আছে। তবে বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রতি আগাগোড়া সহানুভূতিশীল ও বাকশালে যোগ দেওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যে মূল্যায়ন করেছে নিচে সেটা উল্লেখ করছি। সিপিবি বলছে- “…বঙ্গবন্ধু এই নতুন স্বাধীন দেশের (বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা। বহু অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করে তিনি দৃঢ়চিত্তে এদেশের জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী নেতা। দুনিয়াব্যাপী সমাজতন্ত্র ও জাতীয় মুক্তি বিপ্লব এবং আমাদের দেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের প্রভাব এবং জনগণের প্রতি তার দরদ তাকে ক্রমে প্রগতির ধারায় নিয়ে এসেছিল। আরও প্রগতির পথে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনাও তার ছিল।

“দ্বিতীয় কংগ্রেসের (৪-৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৩) মূল্যায়ন করা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ‘সমাজ বিপ্লবের প্রক্রিয়ার সূচনা হইয়াছে…’ বঙ্গবন্ধুর ‘বিশেষ ভূমিকা’ থাকাতে এটা সরলীকরণ করে নেওয়া হয়েছিল। এইসব কিছুর মধ্য দিয়ে একাধারে বঙ্গবন্ধুর উপর কতক পরিমাণে নির্ভরশীল থাকার দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ পেয়েছে এবং অন্য দিকে ‘বিপ্লবী প্রক্রিয়ার সূচনা’ হয়েছে বলে অবস্থাটাকে কিছু ফাঁপিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। কোনও নেতাকে তার শ্রেণি এবং দল থেকে পৃথক করে বিচার কমিউনিস্টরা করে না। রাজনৈতিক দল ও নেতার মূল্যায়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রেণি ভিত্তিকই করতে হবে। …. বঙ্গবন্ধুর ভুল অথবা দুর্বলতা সীমাবদ্ধতা নাই, এইভাবে ভাবা ঠিক নয়। তেমনি তার শক্তি, অবদান ও ভূমিকাকে খাটো করে দেখা ঠিক নয়।” সিপিবির এই মূল্যায়নের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ না করেও এটা বলা যায় যে, স্বাধীন দেশের উপযোগী একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরিতে সবারই কম-বেশি ভুল ছিল।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, স্বাধীনতার পর পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদের জন্ম না হলে বাংলাদেশের রাজনীতি এত দ্রুত টালমাটাল হয়ে উঠতো না। জাসদ যারা জন্ম দিয়েছিলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তার স্নেহ পেয়েছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা শুরু করে বঙ্গবন্ধুবিরোধী, ভারতবিরোধী, পাকিস্তানে বিশ্বাসী সব শক্তিকে সংগঠিত ও শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ করে দিয়েছিল।

একসময় জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এখন দেশের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য কতগুলো ঘটনাকে শনাক্ত করেছেন। সেগুলো হলো-

১. জাসদ নেতৃত্বের দ্বারা পরিচালিত ছাত্র ও যুব সমাজের একটি বড় অংশ। জনবিচ্ছিন্ন এই সংক্ষুব্ধ শ্রেণীটি তারুণ্যের শক্তি ও মতবাদগ্রস্ততার জোরে সমাজে নিরবচ্ছিন্ন হট্টগোল পাকিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছিল।

২. সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্যের সংক্ষুব্ধতা ছিল দুই ধরনের।
ক. বঙ্গবন্ধু যাদের সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন, তারা ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাদের ঘনিষ্ঠরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিরূপ হয়ে উঠেছিল। ১৫ আগস্টের কিলার গ্রুপ গঠিতই হয়েছিল মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত মিডল র‍্যাংকিং অফিসারদের দ্বারা।
খ. সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি হাইলি পলিটিসাইজড শ্রেণি হয়ে পড়েছিল বলে বঙ্গবন্ধু প্যারা-মিলিশিয়া বাহিনী হিসেবে বিকল্প রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিলেন। এটা অনেক নাক-উঁচু সেনা-অফিসারের জাত্যাভিমানে আঘাত হেনেছিল।

৩. বঙ্গবন্ধু আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই বাকশাল ব্যবস্থায় জেলা প্রশাসকদের ওপর গভর্নরদের সুপার ইম্পোজ করেছিলেন। এতে আমলাতন্ত্রের একটি অংশও সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।

৪. পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ায় যারা কষ্ট পেয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর উদারতায় পুনরুজ্জীবিত হয়ে তারাও একটি সংক্ষুব্ধ শ্রেণি হিসেবে গড়ে উঠেছিল।

৫. চরিত্রগতভাবে সাম্প্রদায়িক ও অকৃতজ্ঞ, এমন অনেকে তাদের ভারতবিরোধিতার কারণে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল সংক্ষুব্ধ।

৬. মোজাফফর ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টি বাকশালে বিলীন হয়েছিল সত্য; কিন্তু বাকশালে এই দুই দলের নেতাকর্মীদের যথাযথ পদ বা জায়গা না দেওয়ায় তাদেরও একাংশ ছিল সংক্ষুব্ধ, যদিও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর প্রাথমিক প্রতিবাদটা করেছিল মূলত এ দুই দলের কর্মীরাই।

৭. পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টিসহ কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড বামপন্থী দল তাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বঙ্গবন্ধুকে শ্রেণিশত্রু হিসেবে গণ্য করে সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল।

৮. তাজউদ্দীন আহমদকে মন্ত্রিসভা থেকে ও আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ায় দলের অভ্যন্তরের তার অনুসারীরা সংক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিল।

৯. খন্দকার মোশতাকের মতো অবিশ্বস্ত প্রথম সারির নেতার সংখ্যাও কম ছিল না।

১০. সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪ এ সীমিত করায় বেকার হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যেও ছিল সংক্ষুব্ধতা।

১১. যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি-কবলিত যারা সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সীমিত আকারের ‘ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ প্রকল্পে’র সুবিধাবঞ্চিত হয়েছিল, তারাও ছিল সংক্ষুব্ধ।

১২. সবশেষে, আওয়ামী লীগের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতিরিক্ত দুর্বলতার সুযোগে বিশেষত আঞ্চলিক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতার স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠা এবং বাজারব্যবস্থার তাদের ম্যানিপুলেশন, বিপুলসংখ্যক তরুণ-যুবকের হাতে যুদ্ধাস্ত্র থেকে যাওয়ায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি এবং বাকশাল পদ্ধতিতে নিজস্ব মতপ্রকাশের জন্য দল বা ফোরাম গঠনের বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল অসন্তোষ।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপতা উসকে দিতে স্বার্থান্বেষী মহল নেমেছিল অপপ্রচারেও। যেমন, রটানো হয়েছিল শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন; রক্ষীবাহিনী গঠিত হয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা লোক দিয়ে ইত্যাদি। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে অনেক চুটকিও উদ্ভাবন করে সেগুলো বাজারে ছাড়া হয়েছিল।

এক সময়ের জাসদ কর্মী মাহবুব কামাল আরও লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সরকারকে অজনপ্রিয় করার লক্ষ্যে যেসব অপপ্রচার চালানো হয়েছিল, তার অন্যতম একটি হলো, রক্ষীবাহিনী হাজার হাজার জাসদকর্মী হত্যা করেছে।’ সংখ্যাতত্ত্বভিত্তিক মিথ্যার প্রাচুর্যে আমাদের কান সয়ে গেছে। হ্যাঁ; আমি চ্যালেঞ্জ করছি, রক্ষীবাহিনী হত্যা করেছে এমন ২০০ ব্যক্তির নাম (সংখ্যাটা একটু বাড়িয়েই বললাম) যদি কেউ হাজির করতে পারেন, এই জীবনে আমি আর রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করবো না। দেশটা খুব বড় নয়, একটু খোঁজখবর নিলেই তালিকাটা করা সম্ভব।

জাসদের একজন সার্বক্ষণিক একটিভিস্ট হিসেবে আমি যদি না জানি রক্ষীবাহিনী কতজনকে মেরেছে, আমার চেয়ে কমবয়সী ও নন-অ্যাক্টিভিস্টরা জানবে কীভাবে? ’৭৪-এর ১৭ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে ছিলাম আমিও। সেখানে রক্ষীবাহিনী গুলি করেনি, করেছে পুলিশ, নিহত হন জাহাঙ্গীর। আরও একজনের কথা শুনেছি শুধু, এই শোনা পর্যন্তই। বলা যে হয়, সেখানে শত শত জাসদকর্মী নিহত হয়েছে, কারা তারা? শত শত কিংবা হাজার হাজার লাশ পাশাপাশি রাখলে কী ভয়ংকর দৃশ্যের অবতারণা হয়, তা কি রটনাকারীদের কল্পনায় আসে? এ তো হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে শত শত মুসল্লি নিহত হওয়ার মতো গুজব।

গুজব ও অপপ্রচার একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়েরা। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছে, তখনও কিন্তু শুরু হয়েছে নানামুখী অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র। শোকের মাস আগস্ট এলে কিংবা ১৫ আগস্ট এলে বঙ্গবন্ধুর জন্য কান্না না করে এখন বরং ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সচেতন হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্য মুক্ত বা ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দৃঢ় থাকার শপথ সবাইকে নিতে হবে। মোশতাক, তাহের ঠাকুর, শাহ মোয়াজ্জেমদের মতো ঘরের শত্রু বিভীষণেরা এখনও সক্রিয় আছে, প্রশাসনে, আওয়ামী লীগের ভেতরেও। এদের মুখোশ খুলে না দিলে বাংলাদেশ কিন্তু নিরাপদ নয়।

লেখক: জেষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাসদের দায় বিভুরঞ্জন সরকার মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর