হাওয়া: মিথের বিনির্মাণে প্রত্নপ্রতীক সন্ধান
৩১ আগস্ট ২০২২ ১২:৪০
‘পৃথিবীর সর্বত্রই মানুষের মন এক। মানুষের শরীরের অন্তর্গত অভিজ্ঞতাই মানুষের মন। আর মানুষের শরীর তো একই- একই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, একই প্রবৃত্তি, একই আচরণ, একই সংগাত, একই ভয়ভীতি। এই সাধারণ পট থেকেই এসেছে যাকে ইয়ুং বলেন আর্কিটাইপ বা প্রত্নপ্রতীক, অর্থাৎ মিথের সাধারণ বিষয়’- জোসেফ ক্যাম্পবেল।
সাংবাদিক বিল ময়ার্স ও মিথতত্ত্ববিদ জোসেফ ক্যাম্পবেল-এর কথোপকথনে মিথসম্পর্কিত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্যম্পবেল প্রত্নপ্রতীক নিয়ে তার এই ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। যৌথ অবচেতন মনের স্মৃতির ভাণ্ডারে থাকা মিথের বিভিন্ন চিত্রকল্প মানুষের চিন্তা ও ভাবনাকে প্রবলভাবে তাড়িত করছে যুগ যুগ ধরে। মিথের বিভিন্ন রূপ ও প্রতিরূপ নিয়ে বিশ্বে যেমন অনেক কবিতা, গল্প, উপন্যাস রচিত হয়েছে, তেমনি নির্মিত হয়েছে নাটক ও চলচ্চিত্র। রূপকের আড়ালে কিংবা সরাসরি মিথের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখাও হয়েছে সমৃদ্ধ। কবির বর্ণনায় তা কখনো মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে বাংলার প্রকৃতির সাথে, আবার কখনো পৌরাণিক কাহিনির আবরণে ঢাকা পড়ে গেছে কবিতার শরীর। এই আবরণ খুলে পাঠক খুঁজে পেয়েছে মিথের চিরকালীন রূপ। সমসাময়িক বাস্তবতায় অনেক নাটক কিংবা চলচ্চিত্রেরও আখ্যান গড়ে উঠেছে মিথের ছায়ায়।
হাওয়া চলচ্চিত্রটিকে মিথের বিনির্মাণে এক ‘আধুনিক রূপকথা’ই বলা যায়, তাই চরিত্রগুলোকে কেমন যেন চেনা চেনা লাগে। এখানেই প্রত্নপ্রতিমার শক্তিশালী ‘মৌল’ কিংবা ‘প্রত্ন’ প্রতীক খেলা করে যায়। পরিচালক এবং কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচকদের বিশ্লেষণের সূত্রে হাওয়ায় মিথ এবং জাদুবস্তবতার প্রসঙ্গটি ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে। এ প্রসঙ্গে যাবার আগে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটকের চলচ্চিত্রে মিথের ব্যবহার নিয়ে তার নিজস্ব কিছু বক্তব্য পড়ে নিতে চাই, কারণ ঋত্বিক কুমার ঘটক তার বেশীরভাগ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মনের গভীরতম অনুভূতি ও তার উৎস খুঁজতে গিয়ে মিথের কিছু মৌল প্রতীকের (আর্কির্টাইপ) প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ঋত্বিক তার ‘চলচ্চিত্রচিন্তা’ নামক এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘আমার ছবিতে আমি বুঁদ হয়ে এ ধরনের ঐতিহ্যের মধ্যে হারিয়ে যেতে চেয়েছি। কিন্তু এ বড় কঠিন ঠাঁই। আত্মসচেতন ভাবে কোন image কে, প্রতিমাকে, তার যুক্তিযুক্ত শেষ পরিণতি পর্যন্ত নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে মৌলপ্রতীক হয়না- বড়জোড় একটা allegory বা রূপকে পর্যবসিত হয়, তাই সেখানেই শিল্পী তার প্রয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সম্পুর্ন সচেতন সেখানেই তিনি ব্যর্থ। যেখানে অনুষঙ্গের ধারায় কতকগুলি প্রতিমা অনিবার্যভাবে ভেসে আসতে থাকে এবং প্রতীকে পরিণত হতে হতে কখন inconsequential হয়ে অনুচ্চার প্রচ্ছন্নতায় চারিয়ে যায়- সেখানে archetypal force, মৌল প্রতীকের প্রবল শক্তি জন্মগ্রহণ করে।’
লেখার শুরুতে জোসেফ ক্যাম্পবেল-এর মৌল প্রতীক কিংবা প্রত্নপ্রতীক নিয়ে তার ভাবনার উল্লেখ করেছি। এই ব্যাপারে মনোবিদ ইয়ুং-এর সুত্র ধরে ঋত্বিক কুমার ঘটক একটি সহজ ব্যাখ্যা করেছেন। ঋত্বিকের এই বক্তব্যটিও আমরা পাঠ করে দেখতে পারি, ‘মানুষের পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠার আগের থেকেই বিধৃত হয়ে আছে social collective unconscious অর্থাৎ মানব জাতির যৌথ অবেচেতন স্মৃতির ভান্ডার। মানুষের যা কিছু গভীরতম অনুভূতি, সবেরই উৎস এইখানে। এবং কিছু কিছু মৌল প্রতীক মানুষের বিভিন্ন ঘটনার প্রতি যে প্রতিক্রিয়া, তাকে নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। স্বতস্ফুর্ত মানুষের যে প্রতিক্রিয়া তার বেশীর ভাগেরই মূল এইখানে। এবং এই archetype সব সময় image এর মধ্যে দিয়ে Symbol হয়ে দেখা দেয়।’
‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিথের প্রত্নপ্রতিমা ‘মৌল প্রতীক’ হিসাবেই দর্শক মানসপটে ঝিলিক দিয়ে যায়। হাওয়ার কাহিনিতে রয়েছে বিভিন্ন স্তর ও মাত্রা। চলচ্চিত্রভাষা ও মিথলজি নিয়ে কিছুটা ধারণা না থাকলে সবকটি স্তরে বিচরন করা একটু কঠিন বৈকি। পরিচালক যদিও বলছেন হাওয়া আঞ্চলিক মিথের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র, তবু ‘গুলতি’র নামের সাথে যখন গ্রীক পুরানের রহস্য, সৌন্দর্য ও কামনার দেবী ‘আফ্রোদিতি’র একটা অন্ত্যমিল খুঁজে পাওয়া যায় তখন আরেকটি মাত্রা লাভ করে। আফ্রোদিতির জন্ম হয়েছিল সমুদ্রের ফেনা থেকে তার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর। হাওয়ায় গুলতিও ইবাকে জানায় সে তার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে। গুলতিও ট্রলারের মাঝিদের কাছে কখনো কখনো সৌন্দর্য ও কামনার দেবী হয়ে উঠে। আবার উরকেস, পারকেস, ইবা এই নামগুলোও যেন গ্রীক পুরানের চরিত্রগুলোর নামের সাথে কেমন একটা ছন্দে মিলে যায়। মিথের মাধ্যমে শেকড় খোঁজার এই প্রয়াসে অবধারিতভাবেই বিভিন্ন ইমেজ খেলা করে গেছে। পরিচালক এই ব্যাপারে সচেতন থাকলেও প্রত্নপ্রতিমাকে কোন যুক্তিযুক্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাননি; তাই ‘মৌল প্রতীক’ জন্ম নিয়েছে শক্তিশালী হয়েই। আবার গুলতি জানায় সে বেদের মেয়ে। প্রশ্ন জাগে, কে এই বেদের মেয়ে? লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের লোকগাথায়, চলচ্চিত্রে বেদে সমাজ এক বড় উপাদান। পরিচালক হয়তো গুলতি’র মাধ্যমে সেইসব লোকগাথা ও চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোকেই স্মরন করলেন। কে জানে হয়তো বেদের মেয়ে ‘জোসনা’কে!
মিথের কাহিনি জাদুবাস্তবতা কিংবা পরাবাস্তববতার এক খাস লীলাভুমি। এই মিথ ও জাদুবাস্তবতা নিয়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য কোন চলচ্চিত্র না থাকলেও আলমগীর কবিরের চলচ্চিত্র ‘সুর্যকন্যা’, তানভীর মোকাম্মেলের ‘নদীর নাম মধুমতী’, নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর ‘একাত্তরের যীশু’ চলচ্চিত্রে মিথলজির বিভিন্ন চরিত্রের কিছুটা প্রতিরূপের ব্যবহার হয়েছে। এবার মেজবাউর রহমান সুমন তার ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে জাদুবাস্তবতা এবং মিথলজির বিভিন্ন চরিত্রকে বিনির্মান করেছেন তার স্বকীয়তায়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ফর্মুলা ফিল্মের বাইরে নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে নিরীক্ষামুলক চলচ্চিত্রতো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাজার ধরে রাখার জন্য স্বাধীনতাপূর্ব বাংলা চলচ্চিত্রে একসময় যখন উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র নির্মাণের হিড়িক পড়েছিল তখন তার লাগাম ধরে রেখেছিল বাংলার লোককাহিনী নির্ভর কয়েকটি চলচ্চিত্র। নির্মাণশৈলী যাই হোক না কেন, লোককাহিনী ভিত্তিক এইসব চলচ্চিত্র নির্মাণের কারনে উর্দু ভাষার সিনেমা নির্মাণে ভাটা পড়েছিল; সর্বস্তরের মানুষদের কাছেও এইসব চলচ্চিত্র বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এর কারণ হয়তো এই যে, মানুষ নিজেদের শেকড়ের গল্প খুঁজে পেয়েছিল রূপালী পর্দায়। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন লোকগাথা, কেচ্ছা রূপালী পর্দায় জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। আশির দশকেও লোককাহিনি নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়- যেখানে রাজা, বেদে, সাপ এইসব চরিত্র এক বিশাল ভূমিকা পালন করে এবং আজ পর্যন্ত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ চলচ্চিত্রটির জনপ্রিয়তার রেকর্ড কোন চলচ্চিত্রই ভাঙ্গতে পারেনি।
হাওয়া চলচ্চিত্রটি নিয়ে এত আলোচনার পেছনে রয়েছে লোককথা কিংবা মিথের এইসব ছায়া, যা আমাদের সেই যৌথ অবচেতন মনের স্মৃতির ভান্ডারে জমা হয়ে আছে যুগের পর যুগ ধরে। সিনেমার শুরুতেই এক ক্যানভাসারের মাধ্যমে পরিচালক আমাদের জানিয়ে দেন ‘দরিয়ায় কোন সাইন্স খাটেনা ভাইসকল’ অর্থাৎ পরবর্তীতে আমরা যা দেখতে পাব তা বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করলে প্রকৃত রসাস্বাদন করা যাবেনা। আর যদিও মিথলজির অলৌকিকতা বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক, তবু মিথ চিরকালীন হয়ে অন্ধকার মুহুর্তের হঠাৎ আলো হয়েই ফোটে উঠে। এমনকি আজও মানুষের নামকরণ হয় মিথের বিভিন্ন চরিত্র থেকে। বিভিন্ন প্রবাদ প্রবচন/বাগধারা গড়ে উঠেছে মিথকে ঘিরেই। যেমন- ঘরের শত্রু বিভীষণ, শকুনি মামা, কংস মামা, ধর্মপূত্র যুধিষ্ঠির, রাবনের চিতা ইত্যাদি। মিথ তাই এতটাই চিরকালীন। এই প্রসঙ্গে কবির সুমনের গানের দুটি কলি স্মরণ করতে চাই-
‘কাল-কেউটের ফনায় নাচছে লখিন্দরের স্মৃতি/বেহুলা কখনো বিধবা হয় না এটা বাংলার রীতি’।
২
হাওয়ায় বিভিন্ন জাদুবাস্তবতা ঘোরগ্রস্ত স্বপ্নময়তা নিয়ে দেখলে তার প্রতীক আপনি আপনি এসেই ধরা দেবে। গুলতি যখন নিজেকে ‘দেবী’ হিসাবে আখ্যায়িত করে, তার বিপরীতে চান মাঝির মাঝেই সেই অপশক্তির ছায়া দেখা যায়, যাকে নিধন করার জন্যই যেন গুলতির আবির্ভাব। এটা চিরন্তন শক্তি- অপশক্তির দ্বন্ধ, যা মিথের একটি সাধারণ উপাদান। ‘গুলতি’ যখন চান মাঝি সহ অন্যদের লালসা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিবাদী হয়ে পাল্টা আঘাত করে, তখন তার মধ্যে পৌরানিক দেবীর ‘ভয়ংকরী’ রূপই প্রতিবিম্বিত হয়। আবার ইবার সাথে দেখা যায় তার ‘বরাভয়’ রূপও। সামুদ্রিক ঝড়ে ট্রলারের দিক হারানোসহ সমুদ্রের বুকে আরো কিছু বিপর্যয় মনসামঙ্গলের চাঁদ সওদাগরের বিপর্যস্ততাকেই মনে করিয়ে দেয়। অন্যভাবে চান মাঝির মৃত্যুও একটি রূপক। আসলে সাপের বিষে নয়, তার নিজের পাপ ও পঙ্কিলতার বিষেই চান মাঝির মৃত্যু হয়েছে। ইবা তো সেই শোষিত সমাজের প্রতিনিধি, যাকে শোষক চান মাঝি বিভিন্নভাবে দমিয়ে রাখতে চায়, শোষন করতে চায়। তাই অনেক পাপের সাথে ইবার হাতে পরানো শৃঙ্খলের দড়ি চান মাঝির জন্য বিষধর সাপেই পরিণত হয়, যার পরিণতিতে তার মৃত্যু। আবার সাপ মিথলজির এক বড় উপাদান। আদি মাতা ও পিতার সম্পর্কের মাঝেও প্ররোচক সাপের গল্প রয়েছে। এক সাপ নিয়েই এই উপমহাদেশে অনেক বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। গুলতি যখন সাপরূপে মৃত ইবাকে পেঁচিয়ে ধরে আলিঙ্গন করে, তখন গভীর কামনা ও ভালোবাসায় মিলনের এক অপূর্ব দৃশ্য রচিত হয়। স্বপ্নের মত এক দৃশ্য! ঘোরগ্রস্ত না হলে এই দৃশ্যে ডুবে যাওয়া সম্ভব নয়। এতসব মৃত্যু, পাপ, পঙ্কিলতার বিপরীতে এ দৃশ্য ভালোবাসারই জয়গান গায়। গভীর সমুদ্রে ভেসে থাকা ট্রলারে অচেতন ইবা যেন এক লখিন্দর, যাকে গুলতি বেহুলা হয়ে জড়িয়ে শুয়ে আছে ইন্দ্রলোকে যাবে বলে। গুলতি আবার এই সমাজের নির্যাতিত নারীদেরও প্রতীক, তাই নৌকায় যখন মাছ ধরা পড়েনা তখন গুলতিকে ‘অপয়া’ হিসাবেই ধরে নেয়া হয়। আবার সেই ‘অপয়া’ গুলতি সবার কাছেই সময় সময় কামনার বিষয় হয়ে যায়। সবাই তাকে পেতে চায় আবার স্বার্থের প্রশ্নে তাকে ‘ডাইনী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মেরে ফেলতে চায়। গুলতি যেমন এই সমাজের নির্যাতিত নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে, ঠিক তেমনি আবার নারীশক্তির প্রতিভু হিসেবে আবির্ভূত হয়। গুলতির সাপ কিংবা মাছের পারস্পরিক রূপান্তর সৃষ্টি করে এক অপূর্ব জাদুবাস্তবতার। অন্যদিকে ‘হাওয়া’ নামকরণের মধ্যেই রয়েছে মিথের আদি মাতাকে স্মরণের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ট্রলারের সমুদ্রযাত্রা ও তাতে লোভ-হিংসা-ভালোবাসা-সৌন্দর্য ও অবশেষে মৃত্যু অবধারিতভাবেই মানব জীবন ভ্রমনের নানা উপাদানকেই নির্দেশিত করে। তাই ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি ‘অবশেষে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো’ টাইপ কোন চলচ্চিত্র না হয়ে তার প্রতিটা শটের বিন্যাসে, ক্যামেরা কোনের ব্যবহারে, আবহ সংগীতে বরং একটি স্বার্থক চলচ্চিত্র ভাষারই সৃষ্টি করেছে।
পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন ইতিমধ্যে টেলিভিশন নাটক নির্মাণে তার মেধা ও সৃজনশীলতার স্মাক্ষর রেখছেন। নির্মাণ করেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন চিত্র। ‘হাওয়া’ নির্মাণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে হয়তো এক নবতরঙ্গের সৃষ্টি করলেন, যাতে যুক্ত হবে আরো নবীন পরিচালকের চলচ্চিত্র যেখানে শুধু গল্পের মোচড় নয়; সত্যিকার অর্থে চলচ্চিত্রের ভাষার এক নবরূপ দেখতে পাব।
গ্রন্থ সহায়িকা-
১) মিথের শক্তি, জোসেফ ক্যাম্পবেল, অনুবাদ ও ভুমিকা, খালেকুজ্জামান ইলিয়াস, প্রকাশক: বাতিঘর, প্রকাশকাল: ফাল্গুন ১৪২৮, মার্চ ২০২২
২) মিথ-পুরাণের ভাঙাগড়া- চন্দ্রমল্লী সেনগুপ্ত, প্রকাশক: কুমকুম মাহিন্দার, পুস্তক বিপণি, কলকাতা, প্রকাশকাল এপ্রিল ২০০১
৩) চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু; ঋত্বিক কুমার ঘটক, প্রকাশক: সুধাংশুশেখর দে, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
লেখক: ব্যাংকার ও কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
মত-দ্বিমত শ্যামল কান্তি ধর হাওয়া: মিথের বিনির্মাণে প্রত্নপ্রতীক সন্ধান