শেখ হাসিনা: মানবতায় মাতৃসম মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:১৬
সব হারিয়ে আজ আমি এসেছি বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই- ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে নেমেই এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন তার বাবার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন এবং তার বাবার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনি বিরামহীন সংগ্রাম-লড়াইয়ে অবতীর্ণ আছেন। এভাবেই দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন।
৭৫ এর নৃশংস ঘটনার পর দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত থেকে দেশের মাটিতে পা রাখেন জীবন বাজি রেখেই। সামরিক শাসনের মত দূ:সময়ে কঠিন ইস্পাত মনোবল নিয়ে ফিরে আসেন নিজের জন্মভিটায়, বাবার হাতে সাজানো এই বাংলাদেশে। বাবাহীণ এক শুন্যস্থানে শেখ হাসিনা এসেছিলেন মুক্তির দিশারী হয়ে। কোটি মানুষের হৃদয়ের আস্থাভাজন হয়ে। হাল ধরলেন দলের, হাল ধরলেন বাংলার নিপীড়িত মানুষের। দায়িত্ব নিলেন বাংলার মানুষের আশা ভরসার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর। কাজ করে যাচ্ছেন বিরামহীন নিরবধি।
স্বপ্নদর্শী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণের পর দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। দলকে করেন সুসংগঠিত। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং হাজারও প্রতিকূলতা আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার গতিতে। এই হাতেই যেন সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ নিশ্চিত, নির্ভার।
হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সর্বংসহা নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার বড় সন্তান শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা, পাহাড়সম সফলতার প্রতীক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধনিক বাংলাদেশের রূপকার, শোষিতের পক্ষের বলিষ্ঠ কন্ঠ, মানবতার নেত্রী, বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বস্ত ঠিকানা।
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। একজন জননন্দিত ও বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সারাবিশ্বে আজ সমাদৃত। একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, সিদ্ধান্তে অবিচল, সুশাসনে আপোষহীণ, মমতায় মাতৃত্ব, মানবতায় দৃষ্টান্ত। তিনিই বাংলাদেশের রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য সন্তান দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিভিন্ন সময়ে ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে। বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকার প্রধান, বিশ্বে সৎ নেতৃত্বের তালিকায় তৃতীয় অবস্থান, নারী ক্ষমতায়নে ১৫৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭ম, মাদার অব হিউম্যানিটি, ক্যারিশম্যাটিক লিডার, লেডি অব ঢাকা, নারী-অধিকারের স্তম্ভ, বিশ্ব শান্তির দূত, মানবিক বিশ্বের নেতা, বিশ্ব মানবতার আলোকবর্তিকা, বিশ্ব মানবতার বিবেক, বিরল মানবতাবাদী নেতা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ, ভ্যাকসিন হিরোসহ নানা উপাধিতে তিনি ভূষিত। যা এককথায় বিরল।
শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আলোকিত করা আর বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখানো নেত্রীর নাম শেখ হাসিনা। সাফল্য গাঁথা এই কর্মময় জীবন সবসময়েই ছিল কণ্টকাপূর্ণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যিনি অসীম সাহস আর মনোবলে অবিচল থেকে দেশের মানষের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম অবিরত। তার জন্মদিনে শ্রদ্ধা।
শুভ জন্মদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
লেখক: সাংবাদিক ও প্রবান্ধিক
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
মত-দ্বিমত শেখ হাসিনা: মানবতায় মাতৃসম মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী সফিউল আযম