ইন্দিরা গান্ধী: বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু
৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:১১
নিজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চিন্তা না করে যার নেতৃত্বাধীন সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রায় ২ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের ভরণপোষণ এর জন্য ব্যয় করেছে বিপুল অর্থ। দীর্ঘ ৯ মাস কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম সফল করতে সবচেয়ে যিনি বেশি ভূমিকা রেখেছেন তার নাম ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়িয়ে কী না করেছেন তিনি! আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের জনগণ সর্বোপরি ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অপরিসীম। সেই সময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তাদের বিরূদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষাবলম্বন করা ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী সাহসিকতার সাথে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী নানা টালবাহানা করতে শুরু করে। প্রতিবাদে-প্রতিরোধে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পূর্বপাকিস্তান। শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সন্নিকটে। তিনি ৭ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা দেন। ঘোষণা করেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।বঙ্গবন্ধুর এমন ঘোষণার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে সবকিছু। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করতে। একদিকে আলোচনা, অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অবাঙালি সেনাসদস্য এনে ঢাকা সেনানিবাস ভরে ফেলে, সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র। এ সময় থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পূর্ব বাংলার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শুরু করেন।
২৫ মার্চের কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন রাতে পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে। এ সংবাদ দ্রুত দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণের ভয়ে বহু মানুষ সীমান্ত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঢুকে পড়ে। ইন্দিরা গান্ধী সরকার এ সময় সীমান্ত খুলে দেয়, যাতে নিরীহ মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। প্রায় দুই কোটি শরণার্থী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয়। সহায়-সম্বল সব ফেলে ভারতে পাড়ি দেওয়া এসব শরণার্থীর সব দায়-দায়িত্ব পড়ে ভারত সরকারের ওপর। বাঙালির এই চরম দুঃসময়ে শুধু সহযোগিতাই নয়, মায়ের ভালোবাসায় সকল শরণার্থীদের আগলে রাখেন মমতাময়ী মহীয়সী ইন্দিরা গান্ধী। এরপর ক্রমান্বয়ে এগিয়ে আসে সর্বশ্রেণীর মানুষ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন ইন্দিরা গান্ধী। তার আহবানে সাড়া দিয়ে অনেকেই এগিয়ে আসেন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে।
ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি শুধু এই উপমহাদেশেরই নন বরং গোটা বিশ্বের অগ্রগণ্য রাজনীতিবিদদের একজন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯১৭ সালে ভারতের বিখ্যাত নেহেরু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বিখ্যাত পন্ডিত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু আর মা কমলা দেবী। পারিবারিকভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ইন্দিরা গান্ধী । ১৯৪২ সালের পরপরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন ভারতের রাজনীতিতে। ১৯৬৪ সালে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রিসভায় তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন ইন্দিরা গান্ধী । তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে আসা বহু রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করেছেন দক্ষ হাতে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে সত্যিকারের বন্ধুর পরিচয় দেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে অনেক দেশই এটাকে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে। এ সময় ইন্দিরা গান্ধীর বিশ্ব মিডিয়ায় দেয়া বক্তব্য ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তান তখন স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ায় এর ভেতরে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের করা যুদ্ধকে বাকি সব দেশ গৃহযুদ্ধ হিসেবেই দেখতে চেয়েছে। শুরু থেকেই কিছু আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও সেভাবেই বিশ্লেষণ করছিলেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ততদিনে পূর্ব পাকিস্তান নয়, পূর্ব বাংলা বলে সম্বোধন করছিলেন।
২৫ মার্চ ঢাকায় গণহত্যার পর ২৭ মার্চ ভারতের লোকসভায় ভাষণ দিয়ে করণীয় তুলে ধরেন তিনি। ৩১ মার্চ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রস্তাব লোকসভায় উত্থাপন করলে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদকে সাক্ষাৎকার দেন ইন্দিরা গান্ধী । ৭ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য আশ্রয় ও রাজনৈতিক কাজ পরিচালনার সুযোগসহ সার্বিক সাহায্য করার আশ্বাস পুনঃব্যক্ত করেন।
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন হলে বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানীদের গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞ বাড়তে থাকায় ভারতে শরণার্থীও বাড়তে থাকে। এ প্রসঙ্গ টেনে তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারতের পক্ষে চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। মে মাসে বেলগ্রেডের বিশ্বশান্তি কংগ্রেসে ভারতীয় প্রতিনিধিরা ইন্দিরা গান্ধীর বাণী পাঠ করেন। বাণীতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন প্রসঙ্গে প্রায় ৮০টি দেশের প্রতিনিধি করতালি দিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করে। ৮ আগস্ট বিশ্বের সব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের কাছে ভারত সরকারের পাঠানো এক বার্তায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষায় ও তার মুক্তির দাবিতে ইয়াহিয়া খানের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সোচ্চার ছিলেন। তবুও তাঁর কণ্ঠে বাংলাদেশ শব্দটি শোনার অধীর আগ্রহ ছিল এ দেশবাসীর। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে নিজের বক্তব্য থেকে খুব সচেতনভাবে পূর্ব বাংলা শব্দটি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ উচ্চারণ করেন। আর ডিসেম্বরের ৬ তারিখ লোকসভার ভাষণে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ঘোষণা করেন।
ইন্দিরা গান্ধী ১ জুলাই লন্ডনের টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ইয়াহিয়া খানের নতুন পরিকল্পনা পূর্ববাংলার অবস্থা আরও ভয়াবহ করে তুলবে। এই সাক্ষাৎকারের পর বিশ্ব নেতাদের কাছে নতুন বার্তা পৌঁছে দেন ইন্দিরা গান্ধী । যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে বলেন, পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহে অঞ্চলের শান্তির প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার প্রায় দুই সপ্তাহ পরেই দিল্লির বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ বিষয়ে ভারত সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করবে এবং সম্মানজনক সমাপ্তি ঘটবে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল, বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিবের কাছেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে ভারতের সমর্থনের কথা বলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর ক্রেমলিনে সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভ, পোদগর্নি ও কোসিগিনের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ছয় ঘণ্টা আলোচনা করেন। সোভিয়েত নেতারা বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। ৩ অক্টোবর সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি দিল্লি সফর করেন। ৯ অক্টোবর সিমলায় সর্বভারতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ভারত বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। পরদিনই তিনি কঠিন ভাষায় বলেন, বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই।
২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ পরিস্থিতি ও শরণার্থী সমস্যা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সর্বশেষ অবস্থা জানানোর উদ্দেশ্যে ১৯ দিনের বিশ্ব সফরে বের হন তিনি। ২৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে তিনি বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে বিশ্ববিবেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ২৮ অক্টোবর ভিয়েনাতেও তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। ৩১ অক্টোবর ব্রিটেন সফর করে প্রধানমন্ত্রী অ্যাওয়ার্ড হিথকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেন। ৪ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সঙ্গে ১২৫ মিনিট বৈঠক করেন। এরপর তিনি ফ্রান্সে যান। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দেওয়া ভোজসভায় তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি প্যারিস থেকে জার্মানি এসে চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্টের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
নভেম্বর জুড়ে তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বিশ্বনেতাদের কাছে ভারতের সমর্থনের কথা প্রচার করেন। ৩০ নভেম্বর রাজ্যসভায় ভাষণে বাংলাদেশ থেকে সব পাকিস্তানি সেনা ফিরিয়ে এনে বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। ৩ ডিসেম্বর রাত ১২টা ২০ মিনিটে ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণের মূল বিষয় ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা দেন। ১৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিবকে পত্র লিখেন। ১৫ ডিসেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে অতিজরুরি বার্তা পাঠান।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে পরাজয় স্বীকার করে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামে এক নতুন সূর্য বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। জয়ের আনন্দের পাশাপাশি পাকিস্তানী কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতি বিজয়ের আনন্দকে অনেকটা ম্লান করে দেয়। ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ব বিবেকের কাছে তাকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশে সসন্মানে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান। অতঃপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি কারামুক্ত শেখ মুজিব লন্ডন হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন বীরবেশে।
মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অনন্য-অসাধারণ ভূমিকা ও অবদান কোনোদিন ভোলার নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের ৪০তম বছরে ইন্দিরা গান্ধীসহ আরও বেশকিছু বিদেশি নাগরিককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়। ইন্দিরা গান্ধীকে ভূষিত করা হয় স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর)। ওই বছরের ২৫ জুলাই ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। এটি ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশির অর্জন করা সর্বোচ্চ সম্মাননা।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ভারতের অখন্ডতা রক্ষা ও শিখ বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে নিজের দুই শিখ দেহরক্ষীর হাতে জীবন দেন ইন্দিরা গান্ধী। যদিও এই হত্যাকান্ডের রহস্য নিয়ে এখনো ধূম্রজাল রয়েছে।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এই প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা। মহান মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাঙালির অনেক ঋণ। অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তার স্মৃতির প্রতি।
লেখক: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
ইন্দিরা গান্ধী: বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু মত-দ্বিমত মানিক লাল ঘোষ