Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাষ্ট্র মেরামতের আগে বিএনপির নিজেদের মেরামত জরুরি

মো. আসাদ উল্লাহ তুষার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪১

বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি জোট দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। কখনো খালেদা জিয়ার মুক্তি, কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বা কখনো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে দলটি যেমন কিছু নিপীড়নের শিকার হয়েছে তেমনই বিএনপি জামাত জোট রাজপথে জ্বালাও পোড়াও অগ্নিসন্ত্রাস, জানমালের অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। কিন্তু আন্দোলন জমাতে পারেনি বা দাবি আদায় করতে পারেনি। এক কথায় জনগনকে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্টভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেনি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এই দলটি। এবার তারা সভা সমাবেশ করে জনমত পক্ষে আনার জন্য দেশব্যাপী বড় বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছে এবং অনেকগুলো সমাবেশ শেষও করে ফেলেছে। তবে এর সাথে এবার নতুন বিষয় যোগ হয়েছে। তা হলো ক্ষমতায় গেলে তারা আগামীতে কি কি কাজ করবে। কিভাবে দেশ চালাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এজন্য তারা একটি রূপরেখাও ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৭ দফা বক্তব্য সম্বলিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি। গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সবচেয়ে অভিজাত একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রূপরেখা তুলে ধরে বিএনপি। ঘোষণায় দলটি জানায় “বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়া এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়িয়া তুলিয়াছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা আজ তাহাদের হাতে নাই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রকাঠামোকে ভাঙ্গিয়া চুরমার করিয়া ফেলিয়াছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করিতে হইবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরাইয়া দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হইবে। উক্ত ‘জাতীয় সরকার’ তাদের ঘোষিত ২৭ দফা রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করিবে বলিয়া সংবাদ সম্মেলনে জানান।”

বিজ্ঞাপন

ঘোষিত ২৭ দফার প্রায় সবগুলো দফাই গতানুগতিক হলেও কয়েকটি দফা নিয়ে আলোকপাত করা যায়। যেগুলো ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সেগুলো প্রায় নতুন ধারণা। হয়তো এগুলোকেই মেরামতের কথা বলে থাকতে পারে বিএনপি। বিশেষ করে ঘোষিত দফার ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ দফা আলোচনার দাবি রাখে। কি আছে উক্ত দফাগুলোতে দেখা যাক।

৩. বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হইবে।

৪. প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হইবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হইবে।

৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না।

৬. বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হইবে।
৭. আস্থা ভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত —এমন সব বিষয় ব্যতীত অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া দেখা হইবে।

উপরেল্লেখিত কিছু বিষয় বাস্তবায়ন করতে গেলে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তার জন্য ক্ষমতায় যেতে হবে এবং নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। যা বিএনপি উল্লেখ করেছে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর এগুলো করবে। আর নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এসব করার মত ফলাফল করে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর যদি বিএনপি তা করে তাতে কারো বাধা দেয়ার তেমন কিছুই থাকবে না বা বাধা দিতে পারবে না। আর এগুলোকেই হয়তো রাষ্ট্র মেরামত বলেছে বিএনপি। ঘোষিত ২৭ দফায় আরো অনেক বিষয় আছে সেগুলো এই স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভব না।

এখন প্রশ্ন হলো রাষ্ট্র মেরামতের কথা আসলো কেন? বিদ্যমান রাষ্ট্র কি তাহলে ভেংগে পড়েছে যে মেরামত করতে হবে!বিএনপি তো আগেও রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তখন কেন মেরামত করেনি? ধরে নিলাম অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন তাদের এই মেরামতের চিন্তা। দল হিসেবে বিএনপি বা তাদের জোট তা করতেই পারে। তৃতীয় দফায় উল্লেখ করেছে, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হইবে।” তাহলে তারা ধরেই নিয়েছে তাদের দাবি অনুযায়ী বর্তমান সরকার তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেবে না! যে কারনে তারা ক্ষমতায় গেলে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করবে। তাহলে তারা কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে তা পরিষ্কার করে উল্লেখ নাই। চতুর্থ দফায় উল্লেখ করেছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হইবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হইবে।’ প্রস্তাবটি আপাতদৃষ্টিতে ভালো, তবে কার কি ক্ষমতা হবে তা উল্লেখ নাই। তারপরও যদি করে ভালই হবে। একটাকে তারা হয়তো একটা মেরামত বলে থাকতে পারে।

পঞ্চম দফায় উল্লেখ করেছে, ‘পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না।’ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নাই। তাবে তা বাস্তবায়িত হবে যারা আগে দুই টার্ম দায়িত্ব পালন করেছেন সেটা ধরে নাকি এই বিধান পাস হওয়ার পর থেকে সেটা স্পষ্ট নয়। ধরে নিলাম ইতিমধ্যে যারা দুই টার্ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা আর তা পারবেন না। আর রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে এই বিধান বিদ্যমান আছে। এর মানে দাড়ায় তাদের দলের শীর্ষ দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মধ্যে বেগম জিয়া যেহেতু আগেই এই দায়িত্ব পালন করেছেন তার আর সেই সুযোগ থাকবে না। তাহলে কি খালেদা জিয়া মাইনাস! বিএনপির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী তারেক রহমান? যদিও তিনি দন্ডিত হয়ে পলাতক অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন। কোনদিন বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও তার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা দীর্ঘ আইনি ফসালার বিষয়। বিদ্যমান আইনে তার এখন সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই নাই, প্রধানমন্ত্রী তো পরের বিষয়। এই বিষয়টা মেরামতের আগে নিজেদেরকেই আগে মেরামত করতে হবে যোগ্য হয়ে তৈরি হতে। ইতোমধ্যেই বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রে দন্ডিত বা অভিযুক্তদের পদে বসাতে একটি কালো ধারা সংশোধন করেছে। যা তাদের দন্ডিত শীর্ষ নেতাদের কথা মাথায় রেখেই তা করেছে বলে প্রতিয়মান হয়। এসব বাদ দিয়েও যদি ভবিষ্যতে তাদের সেই সুযোগ আসে এবং তা বাস্তবায়ন করে কিনা তা ভবিষ্যতে দেখার বিষয়।

ষষ্ঠ দফায় উল্লেখ করেছে, “বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হইবে।” এটা তাদের কথিত রাষ্ট্র মেরামতের একটি বড় মেরামতের ব্যাপার তাতে কোন সন্দেহ নাই। ক্ষমতায় গেলে এটা করে কিনা সেটা দেখার বিষয়, যদিও কিভাবে সেই উচ্চ-কক্ষ আইনসভা গঠন হবে তার বিস্তারিত উল্লেখ নাই। তারপরও করবে কি না তার জন্য ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

সপ্তম দফায় উল্লেখ করেছে, “আস্থা ভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত —এমন সব বিষয় ব্যতীত অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া দেখা হইবে।” এই দফার কথাগুলো খুবই অস্পষ্ট। যা এখানে উল্লেখ আছে তা বিদ্যমান সংবিধানেই আছে। তারপরও কোন চুড়ান্ত বক্তব্য নাই, পরীক্ষা নীরিক্ষা করিয়া দেখা হইবে মানে কি? এখানে স্পষ্ট কোন বক্তব্য নাই। থাকলে বুঝা যেত। আরো অনেক দফা আছে যা গতানুগতিক এক ধরনের নির্বাচনী ওয়াদা বলা যেতে পারে। নির্বাচনের পর যা কেউ মনে রাখে না।

তাদের কথিত রাষ্ট্র মেরামত বা এসব বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষমতায় যেতে হবে। ক্ষমতায় যেতে হলে তো আগে তাদের নিজেদেরই মেরামত করতে হবে। তাদের নেতা জিয়ার অবৈধ ক্ষমতা দখল করার কারণে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ওই সময়ে ক্ষমতায় থাকতে যে অন্যায়ভাবে হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছে তার ফায়সালা করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে। আবার ক্ষমতায় গেলে পনেরই আগস্টের ঘাতকদের লালন পালন করা ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত শিবিরের সাথে অতীতে চলা সব অপকর্মে আর না করার ওয়াদা করতে হবে ও সেসব কাজের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একুশে আগস্টের মত বর্বর হত্যাকাণ্ডের চিন্তা আর না করা। অতীতে ক্ষমতায় থাকতে শাহ এম এস কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজউদ্দিনসহ বহু রাজনৈতিক নেতা ও সংখ্যালঘুদের হত্যা না করা। দেশে জঙ্গীবাদের যে অভায়ারন্য তৈরি করেছিল তা আর না করা। এসব হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার করা ও ভুক্তভোগী ওইসব পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। হাওয়া ভবন খোয়াব ভবন আর তৈরি না করা। অতিতে এসব অপকর্ম করার কারনে দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, আর না করার ওয়াদা করা। দন্ডিত কোন অপরাধীকে আর দলের নেতা না বানানো ইত্যাদি ওয়াদা করাই সবচেয়ে জরুরি। ক্ষমতায় যেতে হলে আগে এসবেরই মেরামত করা দরকার। তারপর যদি দেশের জনগন ক্ষমতায় বসায় পরে না হয় রাষ্ট্র মেরামতের বিষয় আসবে। আগে জরুরি নিজেদের মেরামত করা। নিজেদের সঠিকভাবে মেরামত করতে পারলেই রাষ্ট্র আপনা-আপনিই মেরামত হয়ে যাবে। অতএব বিএনপি নেতাদের রাষ্ট্র মেরামতের আগে নিজেদের মেরামত হওয়াই বেশি জরুরি।

লেখক: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

সারাবাংলা/এসবিডিই

মত-দ্বিমত মো. আসাদ উল্লাহ তুষার রাষ্ট্র মেরামতের আগে বিএনপির নিজেদের মেরামত জরুরি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর