২০৩০ সালের মধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি
১৭ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৫
সম্প্রতি সমাপ্ত বিজনেস সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার। কিন্তু গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম বোস্টন গ্রুপ -বিসিজি এবং বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি তাদের সমীক্ষা শেষে জানিয়েছিল যে ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ বছর কমিয়ে বলছেন ২০৩০ সালেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। এটি কি সম্ভব?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএফএম এর পরিসংখ্যান থেকে কানাডার অনলাইন প্রকাশনা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে লাগবে আরও ৫৩৫ বিলিয়ন ডলার। ৭ বছরে এ লক্ষ্য অর্জন করতে প্রতিবছর গড়ে ৭৬,৫ বিলিয়ন ডলার বাড়াতে হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি কমে ৫ শতাংশে নেমে এলেও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে যাবে। আর প্রবৃদ্ধি ৮ বা ৯ শতাংশ হলে ২০৩০ সালেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ, পদ্মাসেতু, করোনা ভ্যাকসিন এমন আরো অনেক বিষয়েই দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব ঘোষণা দিয়েছেন বা লক্ষ্য ঠিক করেছেন তা বাস্তবায়ন হয়েছে সফলভাবে। সবার কাছে যা অসম্ভব মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী তা ঠিকই বাস্তবায়ন করেছেন। তার মানে তিনি যা বলেন বা যে লক্ষ্য ঠিক করেন তা জেনে শুনে হিসেব নিকেষ করেই করেন। তাঁর ঘোষণা শুধু কথার কথাই নয় কিংবা অসম্ভব কিছু নয়।
তাই প্রধানমন্ত্রীর মুখে ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছার আশাবাদ শুণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাদের অনেকেই বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা দেশের উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করবে। বিনিয়োগ, উৎপাদন, বাণিজ্য, রপ্তানি ইত্যাদিতে তারা আরও উদ্যোগী হবেন। কেউ কেউ বলছেন এটি কঠিন লক্ষ্য। কিন্তু লক্ষ্য স্থির করে আগালে অনেকদূর যাওয়া সম্ভব।
ব্যবসায়ীদের অনেকেরই ধারণা কিছু সমস্যা সমাধান করলে সহজেই এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। একটি হচ্ছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লালফিতার দৌরাত্ম। তারা আশাবাদী এটি খুব তাড়তাড়ি দূর হবে কারণ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এ প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে তিনি অবগত এবং এটি দূর করার ব্যবস্থা করছেন। পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থাও অচিরেই হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে সেটিকে ৩৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এখনও দূর্বলতা রয়েছে। ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়নেও বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে।
যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং অনেকগুলো শেষ হওয়ার পথে। যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাইলফলক পদ্মাসেতু। এই সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলায় বিনিয়োগ ও ব্যাপক উন্নয়নের বিপ্লব ঘটছে। আপাত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে পদ্মাসেতুতে প্রতিদিন টোল উঠছে ২কোটি টাকা। সে হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয় উঠে আসতে সময় লাগবে ৩৫ বছর। কিন্তু পদ্মাসেতুর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গতিশীলতার কারণে প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা।
এছরই চালু হবে কর্ণফুলির নদীর নিচে দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক যোগাযোগ টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল। এটি চালু হলে কর্ণফুলি দক্ষিণ পাড়ের বিস্তীর্ন অঞ্চলে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সূচনা হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিশাল অঞ্চলে বিপুল আকারের বিনিয়োগ হবে। গড়ে উঠবে অসংখ্য শিল্পকারখানা। আপাত সমীক্ষায় দেখা গেছে কর্ণফুলি টানেল চালুর প্রথমদিকেই প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরে এরই মধ্যে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তবে এক দুই বছরের মধ্যেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ আরো বড় আকারে শুরু হবে। তখন ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজ বা মাদার ভেসেল বাংলাদেশের বন্দরেই ভিড়তে পারবে। ফলে এতদিন কলম্বো, সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার বন্দরের উপর দেশের আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকদের যে নির্ভরশীলতা ছিল তার আর দরকার হবে না। পণ্য আমদানী রপ্তানিতে জটিলতা দূর হবে। সময় কমে আসবে প্রায় তিনভাগের দুই ভাগ। এতে আমদানি রপ্তানিতে গতিশীলতা বাড়বে। সমগ্রিকভাবে তা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ধারণা করা হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যোগ হবে আরও ২ থেকে ৩ শতাংশ।
যমুনার নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু চালু হলে দেশের উত্তারঞ্চলে আরেক দফা উন্নয়ন বিপ্লব ঘটবে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই সেতু হবে আরেকটি অনুঘটক। ২০৩০ সালের মধ্যেই পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিবছর যোগ হবে ৪০ বিলিয়ন ডলার। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।
আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোষাক। তৈরি পোষাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধির গ্রাফ উর্ধ্বমুখি। নতুন নতুন বাজার সন্ধান করা হচ্ছে এতে এ ক্ষেত্রে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে। তৈরি পোষাকের সঙ্গে পাল্লা দিতে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আমাদের ওষুধ শিল্প। যুক্তরাস্ট্র, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৬০টি দেশে গত বছর ১ হাজার ৯৮২ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। দ্রুত বাড়ছে এ ক্ষেত্রে আয়। ধারণা করা হচ্ছে অচিরেই রপ্তানি আয়ে তৈরি পোষাকের সঙ্গে পাল্লা দিবে ওষুধ শিল্প। তৈরি হচ্ছে ওষুধ শিল্প পার্ক। এখানে ২৭টি ওষুধ তৈরির কারখানা স্থাপন করা হবে। ওষুধ শিল্প মালিকরা বলছেন সুযোগ সুবিধা পেলে বিশ্ববাজারে প্রতিবছর ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি করতে পারবেন তারা।
সবার আড়ালে নিরবে নিভৃতে আরেকটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বিল্প ঘটছে। সেটি হচ্ছে আইসিটি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সুত্রে জানা গেছে বিশ্বের ১৩৫টি মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রায় ১০ লক্ষ আইটি কর্মি । প্রান্তিক জনপদের তরুণ-তরুণীরাও এখন এ কাজ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন। সরকারের হিসেবে এ ক্ষেত্র থেকে গত বছর ১০ হাজার ৬০০কোটি টাকার সমপরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। দ্রুত বাড়ছে এই আয়ের গতি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সংখ্যার দিক থেকে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। আর আয়ের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকার ২০১৪ সাল থেকে “লার্নিং এন্ড আর্নিং” প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক কর্মি তৈরি করছে। আশা করা হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে এই ক্ষেত্র নেতৃত্ব দেবে।
বৈদেশিক মুদ্রার আরেকটি উৎস রেমিটেন্স। এ ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি ঘটছে। সরকার নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করছে। এখন ইউরোপেও অন্তত ১৫টি দেশে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ৫ হাজার ওয়ার্ক ভিসা দিতে রুমানিয়া অস্থায়ী কনস্যুলেট খুলছে ঢাকায়। কাতারে প্রধানমন্ত্রীর সফর ও বাংলাদেশে সৌদি যুবরাজের আসন্ন সফরের ফলে এই দুই দেশের শ্রম বাজারে আরো বেশি শ্রমিক যাবার সুযোগ হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ নতুন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে উলম্ফন ঘটবে। কারণ এতদিন বিদেশে বাংলাদেশের যেসব শ্রমিক গেছেন তাদের প্রায় সবাই অদক্ষ শ্রমিক। গ্রামের যে মানুষটি ঢাকায় কখনও আসেননি তিনি ঢাকা হয়ে বিদেশে গেছেন কাজ করতে। ফলে এই অদক্ষ শ্রমিকটি বেতন পেয়েছেন নিম্নতম পর্যায়ের। কিন্তু সরকার এখন উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষ, আধাদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর। এ জন্য জেলা উপজেলায় টেকনিক্যাল কলেজ, কারিগরি বিদ্যালয়, ভকেশনাল সেন্টার, নানান ধরণের ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছে এবং নতুন নতুন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে। ফলে এই সব প্রশিক্ষিত কর্মি যখন বিদেশে কাজ করতে যাবেন তাদের রেমিটেন্স হবে আগের শ্রমিকদের চেয়ে ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি। ইউসেপ এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তারা বিদেশী ক্লায়েন্টদের ডিমান্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মি পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়া কর্মিদের শতভাগই চলে যাচ্ছেন জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে। যাদের বেতন দেড় থেকে দুই লাখ টাকারও বেশি। দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে দেরিতে হলেও সরকারের উদ্যোগের ফলে শ্রমশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রেও বিপ্লব ঘটছে।
বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের আরেক ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় ৬ হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসঙ্ঘ মিশনে কাজ করেন ও দেশের রেমিটেন্স আয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। এখন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী দেশের রেমিটেন্স আয়ে আরও বড় ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদী সামরিক চুক্তি হয়েছে। এখন থেকে কাতারের প্রতিরক্ষায় কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চুক্তির আওতায় এরই মধ্যে কাতার ১ হাজার ২২৯ জন সৈনিক ও সামরিক কর্মকর্তার ওয়ার্ক ভিসা দিয়েছে। এরা উচ্চ মানের বেতন পাবেন। ধারণা করা হচ্ছে এই সৈনিক প্রেরণের সুবাদে প্রতিমাসে বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসবে। কাতারেই বাংলাদেশের সৈনিকদের সংখ্যা বেড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার হতে পারে। সৌদি আরবের প্রিন্স সালমান আসছেন বাংলাদেশ সফরে। তখন সৌদি আরবও বাংলাদেশ থেকে সেনা নেয়ার চুক্তি করবে। সে ক্ষেত্রেও ৫ থেকে ১০ হাজার সৈনিকের সৌদি আরবে কাজ করার সুযোগ হবে। এতে মাসে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এ ক্ষেত্র থেকেই আসতে পারে।
সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় ধরণের উলম্ফন ঘটবে। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বলে যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক।
সারাবাংলা/এজেডএস